Ajker Patrika

পলাতক রিপনের ১২০৯ কোটি টাকা ঋণের কী হবে

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা 
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪: ৫১
পলাতক রিপনের ১২০৯ কোটি টাকা ঋণের কী হবে

গাইবান্ধা–৫ (ফুলছড়ি–সাঘাটা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার আগে পর্যন্ত বেশ দাপুটে সংসদ সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এলাকায় বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টে আত্মগোপনে যাওয়ার পর ঋণখেলাপিসহ একের পর এক অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তাঁকে নিয়ে নিজ এলাকায় নানা আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে। 

সরেজমিন গাইবান্ধার (ফুলছড়ি-সাঘাটা) ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাহমুদ হাসান রিপন এলাকায় উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ আসনের (ফুলছড়ি–সাঘাটা) উপজেলা দুই–তৃতীয়াংশ চরাঞ্চল। এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেকটা অনুন্নত। শুকনা মৌসুমে চারদিকে ধু ধু বালুচর। বর্ষা মৌসুমে থইথই পানি। কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো উন্নয়নে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেক পিছিয়ে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা। 

এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখাতেন রিপন। তিনি এখন পলাতক। তিনি একাই ১ হাজার ২০৯ কোটি টাকা ঋণ রেখে গেছেন। 

এই আসনটিতে দীর্ঘদিন এমপি ছিলেন আওয়ামী লীগের ফজলে রাব্বী। মাহমুদ হাসান রিপন আলাদাভাবে দলীয় কর্মসূচি দিতেন। ফজলে রাব্বী মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হন রিপন। ছয় মাসের অল্প সময়ে এমপি হয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের বাজেট পেয়েছেন বলে এলাকায় বলে বেড়াতেন। কাজগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হন। কিন্তু কোনোটাই বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এলাকায় সব ভোটারকেই নিজের কর্মী বানিয়েছিলেন। ভোটের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারি কর্তাদেরও মাঠে নামিয়েছিলেন। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে জানা যায়, নির্ভরশীল ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের এসএম স্পিনিং মিলস লিমিটেডে ১ শতাংশ, এসএম নিটওয়্যারস লিমিটেডে ২ দশমিক ৪৮ এবং মায়ার লিমিটেডে ৬৫ শতাংশ শেয়ার দেখিয়ে মাহমুদ হাসান রিপন ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৮ টাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ২০ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৮, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকে ৩৭৩ কোটি ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৬৪, ইস্টার্ন ব্যাংকে ২০৬ কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার ৯৪৫, যমুনা ব্যাংকে ৩০ কোটি ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭১, সিটি ব্যাংকে ৪৯ কোটি ৫ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩, ব্যাংক এশিয়ায় ৭২ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০, ব্র্যাক ব্যাংকে ৭৮ কোটি ৮০ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৬ টাকা ঋণ নিয়েছেন। 

এ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে এসএম স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ৩ শতাংশের শেয়ারহোল্ডার দেখিয়ে, ইস্টার্ন ব্যাংক ৬১ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩ টাকা, সিটি ব্যাংকে ৪৯ কোটি ৫ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩, ব্র্যাক ব্যাংকে ৭৮ কোটি ৮০ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৬, ব্যাংক এশিয়া ৭২ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক ১০৩ কোটি ৯৭ লাখ ২৫২ টাকা ঋণ নেন রিপন। 

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শীর্ষ ১০ ঋণ ও দায়গ্রস্ত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে। এর মধ্য সর্বোচ্চ ঋণগ্রস্ত প্রার্থী এস এ কে একরামুজ্জামান। তাঁর ঋণ ও দায় ২ হাজার ৫৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আর মাহমুদ হাসান রিপনের ঋণ ও দায় ১ হাজার ২০৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একরামুজ্জামান আবার রিপনের শ্বশুর। 

হাসিনা সরকারের পতনের পর মাহমুদ হাসানও আত্মগোপনে গেছেন। এখন এসব ঋণ আদায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। 

আত্মগোপনে গেলেও মাহমুদ হাসান রিপন ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী তারেক ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা যায়। তবে তাঁরা কেউই এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। 

মাহমুদ হাসান রিপনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বলেন, নিজেরাই বিপদে আছেন। নেতা–কর্মীদের রেখে এভাবে তিনি পালিয়ে যাবেন, তা তাঁরা ভাবতে পারেননি। ঋণ ও দায় বিষয়ে তাঁরা বলেন, এসব তাঁর ব্যক্তিগত। তাঁর অপরাধের দায় কেন তাঁরা কেন নেবেন! 

গাইবান্ধা–৫ আসনে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতারাও আত্মগোপনে আছেন। ফলে তাঁদের সঙ্গেও কথা সম্ভব হয়নি।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষকের ঘরে ১২ ফুট লম্বা গাঁজার গাছ, আটক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।

পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জেলে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রামেকে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড চালু। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড চালু। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রথমবারের মতো মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে ভর্তি রাখার প্রয়োজন থাকলেও সেটি সম্ভব হতো না। কিছু কিছু রোগী রাখা হতো মেডিসিন বিভাগেই।

এবার প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর হাসপাতালটিতে পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। এ ওয়ার্ডে ২৫টি শয্যা আছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য সাতটি, শিশু-কিশোরদের জন্য পাঁচটি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য তিনটি শয্যা সংরক্ষিত। এ ছাড়া রোগীদের থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি করা হয়েছে এ ওয়ার্ডে।

রামেক হাসপাতালের সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদের উদ্যোগে হাসপাতালের পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই ওয়ার্ড করা হয়েছে। গত বুধবার তিনি এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধিদল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। তারা মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমবে। এ ছাড়া মেডিকেল কলেজের অ্যাক্রেডিটেশনেও সমস্যা হতে পারে। তখন এ কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সুযোগ কমবে। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এই ওয়ার্ডটি জরুরি ছিল।

তাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে এই ওয়ার্ড চালু করার জন্য হাসপাতাল পরিচালকের কাছে অনুরোধ করা হয়। সবকিছু শুনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন। ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটিই অবাক করার বিষয়। প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও চিকিৎসা নিতে পারবে।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি। এরপর তিনি হাসপাতাল ও রোগীদের কল্যাণে নতুন অনেক উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন। হাসপাতালকে করে তুলেছেন রোগীবান্ধব। বাড়িয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান। বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

মানসিক রোগীদের জন্য নতুন ওয়ার্ড চালুর আগে গেল ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করেন শামীম আহাম্মদ। এরপর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে একজন সাপে কাটা রোগীরও মৃত্যু হয়নি। আগে প্রায় প্রতিদিনই সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হতো এ হাসপাতালে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মান্নাকে ৩৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধে ‘কলব্যাক নোটিশ’

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২০
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধে ‘কলব্যাক নোটিশ’ জারি করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, বগুড়া শাখা। গত বুধবার ইসলামী ব্যাংক, বগুড়া শাখার প্রধান মো. তৌহিদ রেজার স্বাক্ষরে এ নোটিশ ইস্যু করা হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। ব্যাংকের নোটিশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হলেও মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বর্তমানে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। নোটিশে বলা হয়, আফাকু কোল্ড স্টোরেজ একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও মান্না ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ পরিশোধ করেননি। বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও টাকা পরিশোধের কোনো চেষ্টাও করেননি তিনি।

গত বুধবার ইসলামী ব্যাংক, বগুড়া শাখার প্রধান মো. তৌহিদ রেজার স্বাক্ষরে এই নোটিশ ইস্যু করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
গত বুধবার ইসলামী ব্যাংক, বগুড়া শাখার প্রধান মো. তৌহিদ রেজার স্বাক্ষরে এই নোটিশ ইস্যু করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া শাখাপ্রধান তৌহিদ রেজা স্বাক্ষরিত নোটিশে আরও বলা হয়, ‘মঞ্জুরিপত্রের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি ডিলে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কিস্তির টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও আপনাকে/আপনাদেরকে মৌখিকভাবে, ব্যক্তিগতভাবে ও মোবাইল ফোনে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও আপনি/আপনারা তা পরিশোধ করেননি। ইতিপূর্বে আপনাকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে, তবুও বিনিয়োগের দায় পরিশোধ করেননি। আপনার/আপনাদের লেনদেনের পরিস্থিতি দেখে আমাদের কাছে অনুমিত হচ্ছে যে, আপনার/আপনাদের সঙ্গে আমাদের আর ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অতএব, আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিনিয়োগের সমুদয় দায় ৩৮৪.৭৬ মিলিয়ন টাকা পরিশোধ করে হিসাবসমূহ নিষ্পত্তি করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে।’

এদিকে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) তৃতীয় অধ্যায় (নির্বাচন) ১২(১)(ঠ) ধারা অনুসারে কোনো ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ আছে, এটা সঠিক। তবে চিঠির বিষয়ে এখনো কিছু জানি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত