
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৬ হাজার ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ১৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১০১ কোটি ১০ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

সরকার পরিবর্তনের পর ঋণ দেওয়া-সংক্রান্ত শর্তাবলি শিথিল হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু সেই আমানত বিনিয়োগে রূপান্তরিত না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর হাতে জমা তারল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে এই অতিরিক্ত তারল্য ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর পৌঁছেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সব মিলিয়ে ১২১ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে বড় চারটি ঋণদাতা দেশ ভারত, চীন, জাপান ও রাশিয়া থেকে প্রতিশ্রুতি মিলেছে শূন্য। চীনের নেতৃত্বে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকও (এআইআইবি) ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

দীর্ঘদিন ধরে মন্দ ঋণের চাপে দেশের ব্যাংক খাত। ঋণগ্রহীতাদের সময়মতো কিস্তি ও সুদ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে ব্যাংকের ঋণ অস্বাভাবিকহারে মন্দ ঋণে পরিণত হচ্ছে। মন্দ ঋণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংককে ঝুঁকি কমাতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখার চাপ ক্রমেই বেড়ে গেছে।