Ajker Patrika

নিজেকে এখনো বৈধ প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ০৮
নিজেকে এখনো বৈধ প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন শেখ হাসিনা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তাঁর দাবি, সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনো দেশের ‘বৈধ প্রধানমন্ত্রী’। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ফোনালাপে এমন দাবি করেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর দাবি, দেশ ছাড়ার আগে তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে গণভবন থেকে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি। 

শেখ হাসিনার দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘উনি যদি নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, সেটা তো ভারতে বসে দাবি করলে হবে না। এ দাবি তো বাংলাদেশে এসে করতে হবে। উনি তো ওখানে কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে নেই। এ বক্তব্যের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।’ 

শেখ হাসিনার কথোপকথনের ভাইরাল হওয়া অডিওটি ২০ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের। এতে তাঁর সঙ্গে বেলজিয়ামপ্রবাসী এক আওয়ামী লীগ নেতার কথা বলতে শোনা যায়। এই নেতা নিজেকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে লবিস্ট হিসেবে কাজ করেন বলে দাবি করেন। 

আজকের পত্রিকা ফোনালাপটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে আজ বিকেলে আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘বক্তব্য শুনলেই তো বোঝা যায়, এগুলো কার কথা। আমাদের সভাপতি এখন ভারতে আছেন। তাঁর তো কারও সঙ্গে কথা বলতে নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি কথা বলতেই পারেন।’ 

ফোনালাপের একপর্যায়ে ৫ আগস্টের ঘটনা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তাঁর মতে, সেদিন গণভবন এমনভাবে ঘেরাও করা হয়েছিল যে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালালে সবাই লাশ হতো। 

লাশ ফেলে ক্ষমতায় থাকতে চাননি দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো, আমার নিরাপত্তা রক্ষায় বাধ্য হয়ে সরে যেতে হলো গণভবন থেকে। যার ফলে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারিনি। কাজেই আমার পদত্যাগ হয়নি। কাজেই আমি এখনো সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।’ 

৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দিতে চেয়েছিলেন দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের সিস্টেম হচ্ছে, আমি পদত্যাগ করার পরে সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতে নতুন কেউ নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন প্রধানমন্ত্রী। সেটা হলে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে হবে সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য, তখনই সংবিধান ভাঙবে, তা ছাড়া ভাঙবে না। এটাও সংবিধান অনুযায়ী। আমি তো পদত্যাগ করি নাই। আমাদের সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যেভাবে পদত্যাগ করতে হয়, আমার কিন্তু সেইভাবে পদত্যাগ করা হয়নি।’

পদত্যাগের ভুয়া ছবি প্রচার করা হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছবিটা ভালো করে দেখলে দেখা যাবে, ওইটা একটা মোটা বই। ওই রকম কোনো বইয়ে প্রধানমন্ত্রী সই করে পদত্যাগ করে না। আর আমার সেই চিঠিও কেউ দেখাতে পারছে না। চিঠি তো গণভবনে রেখে আসছিলাম। গণভবনে আগুন দিয়েছে, লুটপাট হয়েছে, ওইগুলো সব চলে গেছে।’

এখন প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের একটি মেয়ে, তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো। বলল, আত্মহত্যা করেছে। এসব লাশের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টাকে নিতে হবে।’ 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে হত্যাকাণ্ড হয়নি, আন্দোলনকারীদের মধ্যে কিলিং এজেন্ট ছিল বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনের একটি বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘উপদেষ্টা সাখাওয়াত সাহেব আর্মির লোক। তিনি নিজেই বলেছেন, এ বুলেট পুলিশের কাছে থাকে না। তার মানে, সাধারণ লোকের কাছে অস্ত্র ছিল। আজ পর্যন্ত বুলেট সম্পর্কে তদন্ত নেই, অস্ত্র কে ব্যবহার করেছে, কোনো তদন্ত নেই।’ 

হত্যাকাণ্ডের দায় বর্তমান সরকারকে নিতে হবে—শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘হত্যাগুলো কেন হলো, কে করল, এগুলোর মোটামুটি ধারণা পাবেন যখন জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদল আসবে। মানুষগুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে ৫ আগস্টের মধ্যে। আর এর দায় আমাদের হওয়ার প্রশ্নই নেই। কারণ, আমরা দায়িত্ব নিয়েছি ৮ আগস্ট।’ 

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মো. তানভীর কায়সার নামের এক যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীর সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। গতকাল মধ্যরাতে তাঁর ফেসবুক আইডি সচল দেখা গেলেও শুক্রবার সেটি সচল ছিল না। সেখানে তানভীরকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশ থেকে একটা ভিডিও নিউজ আসছে আপা, সেখানে বলা হয়েছে আপনাকে নাকি হেলিকপ্টার দিয়ে ভারতের গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লিতে ট্রান্সফার করা হয়েছে। খুব কষ্ট হয় আপা। আপনি বললে আমি এই মুহূর্তেই দেশে চলে আসব।’ 

তানভীরের কথা শুনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোথায় নিয়ে গেছে? হেলিকপ্টারের ছবি দিয়েছে? আজগুবি কথা বলে এরা। আমি কিন্তু দেশের খুব কাছেই আছি। যেকোনো সময় চট করে ঢুকে পড়তে পারি।’ 

তানভীরকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু এখন তুমি দেশে গেলে মামলা খাবে। আমার বিরুদ্ধে ১১৩টি মামলা হয়েছে। এটা কোন ধরনের কথা? আমার পরিবারের কেউ বাকি নাই। সবার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।’ 

ফোনালাপ দুটির বিষয়ে আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। ফেসবুক পেজের অটো বার্তায় দুটো মেইল আইডি দেওয়া হয় যোগাযোগের জন্য। সেখানেও বার্তা দিয়ে ফিরতি জবাব পাওয়া যায়নি।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে তারেক রহমানের গভীর শোক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৬
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই শোক জানান।

ওই পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি শরীফ ওসমান হাদীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ যেন তাঁর রুহের মাগফিরাত করে তাঁকে বেহেশত নসীব করেন। তাঁর এই অকাল শহীদি মৃত্যু আবারও মনে করিয়ে দিল— রাজনৈতিক সহিংসতা কত বড় মানবিক মূল্য দাবি করে।’

হাদি ছিলেন এক সাহসী রাজনৈতিক কর্মী এবং নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে তিনি জুলাইয়ের যোদ্ধাদের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধরে রাখা এবং জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমি তাঁর শোকাহত পরিবার, স্বজন ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার, শাস্তি এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আর কোনো ঘটনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে বা আমাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে আঘাত না করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতি একজন নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও আদর্শবাদী যোদ্ধাকে হারাল: জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি৷

বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ওসমান হাদি মানবিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। ন্যায়, সত্য ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর শাহাদাতে জাতি একজন নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও আদর্শবাদী যোদ্ধাকে হারাল।

শফিকুর রহমান যোগ করেন, তাঁর (ওসমান হাদি) শাহাদাতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তাঁর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর নতুন প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে এবং দলমত-নির্বিশেষে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা ও সাচ্চা দেশপ্রেমিক। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। তাঁর কণ্ঠ ছিল সব আধিপত্যবাদী শক্তি ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। তিনি ছিলেন আপসহীন এক যোদ্ধা। দুনিয়ার কোনো লোভ-লালসা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমি মহান আল্লাহর দরবারে তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁর মাসুম বাচ্চাসহ স্ত্রী, শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহযোদ্ধা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আল্লাহ তাআলা যেন তাঁদের সবাইকে এই বিরাট শোক সওয়ার তাওফিক দান করেন, সেই দোয়া করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে জাপার আনিসুল ও রুহুল আমিনের গভীর শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪৪
চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম ও মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত
চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম ও মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও প্রতিবাদী যুবক ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক শোকবার্তায় জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা বলেন, ওসমান হাদি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ও সাহসী যুবক। নিজ আদর্শে অবিচল থেকে তিনি আজীবন অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। সন্ত্রাসী হামলায় তাঁর এ নির্মম মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

শোকবার্তায় নেতারা আরও বলেন, যারা ওসমান হাদিকে হত্যা করেছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়া রাজধানীর বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে ওসমান হাদির মতো একজন তরুণকে গুলি করে হত্যার পরও জড়িত সন্ত্রাসীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে না পারায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে এনসিপির শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ওসমান হাদির মৃত্যুতে এনসিপির শোক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই শোক জানায় দলটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি আজ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই সহযোদ্ধার প্রয়াণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত