Ajker Patrika

টিপু ও প্রীতি হত্যা: খুনের বিনিময়ে ৫ মামলা থেকে অব্যাহতির চুক্তি হয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ১৬: ৪৯
টিপু ও প্রীতি হত্যা: খুনের বিনিময়ে ৫ মামলা থেকে অব্যাহতির চুক্তি হয়েছিল

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করেন শুটার মাসুম। মাসুমের নামে পাঁচটি মামলা আছে। এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেতেই টিপু হত্যার বায়না নিয়েছিলেন বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন মাসুম।

জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে হত্যার দায় স্বীকার করে দেওয়া এ জবানবন্দিতে উঠে এসেছে আরও নানা তথ্য। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন শুটার মাসুম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাসুম স্বীকারোক্তিতে আদালতকে জানিয়েছেন কিলিং মিশনের অন্তত দেড় থেকে দুই মাস আগে দক্ষিণ কমলাপুরের রূপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (রূপালী ক্লাবে) বসে টিপু হত্যার মূল বৈঠক করা হয়েছিল। বৈঠকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দুবাইয়ে পলাতক ও বোচা বাবু হত্যা মামলার আসামি মুসা। ছিলেন শামীম, মোল্লা মানিক, ফারুক, দামাল, মারুফসহ আরও কয়েকজন। মুসা বৈঠক শেষে শুটার ঠিক করার দায়িত্ব দেন শামীমকে। শামীমই মাসুমকে টিপু হত্যার মিশনে যুক্ত করেন।

এর আগে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাসুমকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ ওরফে শুটার মাসুম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক। এ কারণে তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তাঁর খাসকামরায় আসামির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

মাসুম আদালতকে বলেন, রূপালী ক্লাবের ওই বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে ওই বৈঠকেই টিপুকে হত্যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি শামীমের কাছে শুনেছেন। তারপর শামীমই তাঁকে জানান, ‘বড় ভাই (মুসা) বলছে টিপুকে শেষ করে দিতে হবে। টিপুকে মারতে পারলে মাসুমের ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তি, যাবতীয় খরচ ও পরবর্তী সময়ে অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধা দেখা হবে।’

মাসুম আরও বলেন, এলাকায় শেয়ারে ডিশ ব্যবসা করতেন তিনি। সেখান থেকে যা আসত, তা দিয়ে তাঁর সংসার ও মামলার খরচ মেটানো সম্ভব ছিল না। মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় প্রতিনিয়ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হতো। শুধু তাঁর মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল। সব দিক বিবেচনা করে টিপুকে হত্যা করতে রাজি হন মাসুম। কিলিং মিশনের আগে মাসুমকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে নিয়ে যান শামীম। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মুসা। পরে এক আইনজীবীর উপস্থিতিতে মাসুমের নামে থাকা পাঁচটি মামলা থেকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার জন্য চুক্তি হয়। কিলিং মিশন সফল হলেই মাসুমকে মামলা নিষ্পত্তির টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা দেওয়ার আগেই গ্রেপ্তার হন তিনি।

জবানবন্দিতে মাসুম আরও বলেন, ঘটনার আগের দিনও টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। ঘটনার দিন শাহজাহানপুর ইসলামী হাসপাতালের সামনে মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে গুলি করলে টিপু এবং তাঁর ড্রাইভার দুজন আহত হন। একটি গুলি রিকশারোহী এক মেয়ের গায়ে লাগে। তবে অন্য কেউ আরও গুলি করেছিল কি না, সে বিষয়ে মাসুম কী বলেছে তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল রেকি করায় কয়েকজন ছিল বল মাসুম বলেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তাঁর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরের দিন ২৫ মার্চ দুপুরে জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২৭ মার্চ বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাসুমকে। পরদিন ২৮ মার্চ তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। 
 
এই মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির, সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আরফান উল্লাহ দামালকে গত ৩ এপ্রিল পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ জবানবন্দির পর মাসুমকেও কারাগারে পাঠানো হয়।

টিপু হত্যা সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না’

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।

এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’

প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’

তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষকের ঘরে ১২ ফুট লম্বা গাঁজার গাছ, আটক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।

পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জেলে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত