Ajker Patrika

৭০ ছররা গুলিতে ঝাঁঝরা ছিল সাইফুল্লাহর বুক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১: ৩২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকার আইডিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগে পড়ত খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ (১৬)। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। ইচ্ছে ছিল পড়ালেখা শেষে আইনজীবী হবে। তবে জুলাই আন্দোলনে পুলিশের ছোড়া গুলিতে তার সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই শেষ হয়ে যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত বছরের ১৮ জুলাই প্রাণ দিয়েছে সাইফুল্লাহ। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তার বাবা কামরুল হাসান তখন নিজে বাদী হয়ে মামলাও করতে পারেননি। সে জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের অপেক্ষা করতে হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর লালবাগের বাসায় আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান কামরুল হাসান।

লালবাগের আমলিগোলার একটি বাসায় দুই ছেলে, এক মেয়েসহ পরিবার নিয়ে থাকতেন কামরুল হাসান। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসকও। তাঁর বড় ছেলে সাইফুল্লাহ আজিমপুরে একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে ভর্তি হয়েছিল আইডিয়াল কলেজে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাইফুল্লাহ যোগ দেয় ১৬ জুলাই। এর দুই দিন পরই পুলিশের গুলি তার প্রাণ কেড়ে নেয়।

ছেলের মৃত্যুর দিনের ঘটনা বিষয়ে কামরুল হাসান বলেন, ১৮ জুলাই সকাল থেকেই সে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে যোগ দেয়। দুপুরে বাসায় বাবার সঙ্গে খাওয়াদাওয়াও করেছে। বেলা ৩টার পর আবার বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। আজিমপুর এলাকায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দেয়।

কামরুল হাসান জানান, একপর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া করলে বিক্ষোভকারীরা আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় ঢুকে যায়। পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে সেখানে গুলি করে। তখনই গুলিবিদ্ধ হয় সাইফুল্লাহ। শটগানের ৭০টি ছর্‌রা গুলি (ছোট ধাতব বল) তার বুক ও পেটে লাগে। এতে শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

আন্দোলনকারীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের প্রথমে বাধা দেয়। সাইফুল্লাহকে শিবির বলে আখ্যা দেয় তারা। যখন দেখা যায় সাইফুল্লাহ আর বেঁচে নেই, তখন তাদের যেতে দেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।

আন্দোলনকারীদের একজনের ফোন পেয়ে সাইফুল্লাহর বাবা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে যাওয়ার পর তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। যাওয়ার পথেই ছেলের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন কামরুল হাসান। মর্গে গিয়ে বেশ কয়েকটি লাশের মধ্য থেকে নিজের ছেলের নিথর দেহ শনাক্ত করেন তিনি। ‘একপাশে আমার ছেলের লাশটা খুঁজে পাই। তার শরীরে ৭০টি গুলির চিহ্ন ছিল। সব গুলি তার বুকে ও পেটে বিদ্ধ হয়েছিল। এতে শরীর থেকে প্রচুর রক্ত বেরিয়ে যায়’, বলেন এই শোকাতুর বাবা।

ছেলে হারানোতেই কষ্টের শেষ হয়নি কামরুল হাসানের। তাঁর লাশ বুঝে পেতেও তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। সাইফুল্লাহর বাবা বলেন, ‘১৮ তারিখ রাত থেকে হাসপাতাল থেকে থানা, থানা থেকে হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করে ছেলের মৃতদেহ হাতে পাই ২১ জুলাই বিকেলে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে সে দিন দিবাগত রাতে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। পরদিন সকালে সেখানে তাকে দাফন করা হয়।’

বড় ছেলেকে দাফনের চার দিন পর পরিবার নিয়ে ঢাকায় আসেন কামরুল হাসান। তারপর পুলিশ বাদী হয়ে লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করে। কামরুল হাসান জানান, সে মামলায় বিএনপি-জামায়াতের কিছু নেতাসহ অনেককে আসামি করা হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন তুঙ্গে উঠলে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। কামরুল হাসান এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিমসহ ৫২ জনকে আসামি করেন তিনি। এ পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ছেলের হত্যার যথাযথ বিচার দাবি করে সাইফুল্লাহর বাবা কামরুল হাসান বলেন, ‘আর কোনো স্বৈরাচারী শাসক যেন এ দেশে না আসে। যারা এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের বিচারটা যেন দ্রুত হয়। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়েও দেখা করে সেই দাবি জানিয়েছি। দেশের প্রচলিত আইন মেনে খুব দ্রুতই যেন বিচার পাই।’

চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি জুলাই শহীদদের নাম দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ গেজেটে তালিকার ১৯৯ নম্বরে রয়েছে খালিদ হাসান সাইফুল্লাহর নাম। জুলাই ফাউন্ডেশন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে নিহত সাইফুল্লাহর পরিবার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল তরুণীসহ ৩ অটোযাত্রীর

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান (৩৬), রিয়াজ উদ্দিন ও আজমিরী আমরিন (২০)। এর মধ্যে মো. মিজান ও রিয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আজমিরী আমরিনকে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরে লালমোহন থেকে চালকসহ পাঁচ যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভোলার দিকে যাচ্ছিল। পথে মানিকার হাটবাজার এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে সেটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অটোরিকশাচালকসহ তিন যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওসার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁ-৫: নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমীন

নওগাঁ সংবাদদাতা
এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমীন। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমীন। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন নওগাঁ-৫ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমীন। আজ রোববার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।

মনিরা শারমীন লিখেছেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থী রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ-৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সঙ্গে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না।’

মনিরা শারমীন আরও বলেছেন, ‘আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্টের চেয়ে আমার গণ অভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মনিরা শারমীন আরও লেখেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারও একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’

উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমীনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আজ রোববার গাজীপুরের টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আজ রোববার গাজীপুরের টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।

অবরোধের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়ে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। ‎

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী কলেজ গেট এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মহাসড়কে মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে পুলিশের অনুরোধে বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। ‎ছাত্র-জনতার ব্যানারে পালিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু, দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ’

বাগেরহাট প্রতিনিধি
সায়মন শমিত জিয়ন । ছবি: সংগৃহীত
সায়মন শমিত জিয়ন । ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ছাত্রশক্তি বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক সায়মন শমিত জিয়নকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়নের বাড়ির গেটে রেখা যাওয়া একটি চিরকুটে এই হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় পরদিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।

এদিকে আজ রোববার হুমকির চিরকুটটি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শেখ বাদশা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

জানতে চাইলে সায়মন শমিত জিয়ন বলেন, ২৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১টা ২৫ মিনিটে প্রতিদিনের মতো বাড়িতে ফেরার সময় তিনি বাড়ির মূল গেটের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা একটি চিরকুট দেখতে পান। কাগজটি খুলে দেখতে পান, সেখানে লেখা ছিল—‘সায়মন জিয়ন। তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু। দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ। জুলাই... জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’

চিরকুটের ভাষা ও হুমকির ধরন দেখে তাঁর ধারণা, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

সায়মন শমিত জিয়ন বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ে রাজপথে ছিলাম, গুলির মুখোমুখি হয়েই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন করেছি। এসব হুমকি-ধমকিতে আমরা ভয় পাই না। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। দেশের জন্য আমরা যে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও যে কাজ করব, তা অব্যাহত থাকবে।

‘কিছুদিন আগে জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি ভাইকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আজ জাতির কাছে একজন শহীদ। তিনি জুলাইকে ধারণ করেই শহীদ হয়েছেন, জুলাইকে বিক্রি করেননি। আমরাও সেই পথেই হাঁটতে চাই।’

সায়মন শমিত জিয়ন আরও বলেন, ‘হুমকির বিষয়টি আমি কিছু মনে না করলেও পরিবারের সবাই খুবই আতঙ্কে আছে।’

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিরকুটের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত