নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ রোববার সকালে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ মিডিয়া গ্রুপে এই মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াতের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না। তার রাজনৈতিক অবস্থান বা দর্শনসহ কোনো সহযোগিতা বা সমঝোতায় যাওয়া এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে বলে আমি মনে করি।’
সামান্তা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নেতারা মন্তব্য করেছিলেন, জামায়াতের জুলাইয়ের স্পিরিট, বাংলাদেশের নিয়ে পরিকল্পনা নিয়ে একমত হলে জামায়াতের সাথে জোট করতে আসতে পারে যেকোনো দল।’
এনসিপি ও জামায়াতের মূলনীতি আলাদা বলে জানান সামান্তা। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির এত দিনের অবস্থান অনুযায়ী তার মূলনীতি, রাষ্ট্রকল্প জামায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন তথা সেকেন্ড রিপাবলিককে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দল এনসিপি। ফলে এই তিনটি বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান যেকোনো রাজনৈতিক মিত্রতার পূর্বশর্ত।’
নিজের অবস্থান তুলে ধরে সামান্তা বলেন, ‘আমার বর্তমান অবস্থান পার্টির গত দেড় বছরের অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিম্নকক্ষে পিআর আওয়াজ তুলে সংস্কারকে ব্যাহত করায় লিপ্ত হয়েছিল জামায়াত। ফলত এনসিপির আহ্বায়ক বলেছিলেন, “যারা সংস্কারের পক্ষে নয়, তাদের সাথে জোটও সম্ভব নয়।” তাই জুলাই পদযাত্রার পর থেকে “৩০০” আসনে একক প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয় আহ্বায়কসহ একাধিক বরাতে এবং স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে এনসিপি— এই মর্মে সারা দেশ থেকে প্রার্থীদের আহ্বান করা হয়।’
জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা মানেই বিএনপির পক্ষ নেওয়া নয়— জানিয়ে এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘জামায়াতের সাথে জোট করার সমস্যাসমূহ তুলে ধরা মানেই বিএনপির পক্ষে অবস্থান বোঝায় না। বরং বিভিন্ন বিষয়ে এত দিন ধরে প্রকাশিত ও নানান মহলে প্রশংসিত এনসিপির অবস্থান আমি সঠিক মনে করি ও নিজেকে এই আদর্শের সৈনিক মনে করি। বিএনপি-জামায়াতের যেকোনোটির সাথে জোট এনসিপির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পলিসি থেকে সরে গিয়ে তৈরি হচ্ছে।’

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ রোববার সকালে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ মিডিয়া গ্রুপে এই মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াতের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না। তার রাজনৈতিক অবস্থান বা দর্শনসহ কোনো সহযোগিতা বা সমঝোতায় যাওয়া এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে বলে আমি মনে করি।’
সামান্তা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নেতারা মন্তব্য করেছিলেন, জামায়াতের জুলাইয়ের স্পিরিট, বাংলাদেশের নিয়ে পরিকল্পনা নিয়ে একমত হলে জামায়াতের সাথে জোট করতে আসতে পারে যেকোনো দল।’
এনসিপি ও জামায়াতের মূলনীতি আলাদা বলে জানান সামান্তা। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির এত দিনের অবস্থান অনুযায়ী তার মূলনীতি, রাষ্ট্রকল্প জামায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন তথা সেকেন্ড রিপাবলিককে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দল এনসিপি। ফলে এই তিনটি বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান যেকোনো রাজনৈতিক মিত্রতার পূর্বশর্ত।’
নিজের অবস্থান তুলে ধরে সামান্তা বলেন, ‘আমার বর্তমান অবস্থান পার্টির গত দেড় বছরের অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিম্নকক্ষে পিআর আওয়াজ তুলে সংস্কারকে ব্যাহত করায় লিপ্ত হয়েছিল জামায়াত। ফলত এনসিপির আহ্বায়ক বলেছিলেন, “যারা সংস্কারের পক্ষে নয়, তাদের সাথে জোটও সম্ভব নয়।” তাই জুলাই পদযাত্রার পর থেকে “৩০০” আসনে একক প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয় আহ্বায়কসহ একাধিক বরাতে এবং স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে এনসিপি— এই মর্মে সারা দেশ থেকে প্রার্থীদের আহ্বান করা হয়।’
জামায়াতের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা মানেই বিএনপির পক্ষ নেওয়া নয়— জানিয়ে এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘জামায়াতের সাথে জোট করার সমস্যাসমূহ তুলে ধরা মানেই বিএনপির পক্ষে অবস্থান বোঝায় না। বরং বিভিন্ন বিষয়ে এত দিন ধরে প্রকাশিত ও নানান মহলে প্রশংসিত এনসিপির অবস্থান আমি সঠিক মনে করি ও নিজেকে এই আদর্শের সৈনিক মনে করি। বিএনপি-জামায়াতের যেকোনোটির সাথে জোট এনসিপির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পলিসি থেকে সরে গিয়ে তৈরি হচ্ছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ বেলা ২টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
১৮ মিনিট আগে
ইসলামী ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটাতে করা রিট আবেদন খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আজ রোববার আপিল করবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্তকে ঘিরে জুলাই অভ্যুত্থানের তরুণ যোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে অস্থিরতা তুঙ্গে উঠেছে। দলটির ভেতরের একটি বড় অংশের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শুধু নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকের মাধ্যমে না নিয়ে সাধারণ সভায়ও আলোচনা করার দরকার ছিল।
৭ ঘণ্টা আগে
১৭ বছর পর দেশে ফিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল শনিবার তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি, নিজের ছোট ভাই আরাফাত রহমানসহ আরও কয়েকজনের কবর জিয়ারত ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসব কাজ শেষে বিকেলে তিনি শ্বশুরের বাসায় যান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ বেলা ২টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আজ রোববার ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর বেলা ২টা থেকে ঢাকাসহ আট বিভাগে অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের গতকাল শনিবার রাতে বলেন, ‘ওসমান হাদির খুনিদের জনতার সামনে না আনা পর্যন্ত, আমাদের কর্মসূচি চলবে। আমরা আন্দোলন ছোট করব না, আন্দোলন আরও বড় করব।’
শনিবার রাতে শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের সামনে উপস্থিত হয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘শহীদ হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্তের চূড়ান্ত ধাপ প্রায় শেষের পথে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে নির্ভুল ও শক্ত প্রমাণভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করা হবে ৭ জানুয়ারির পর।’
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘আমি হাদিকে আমার ভাই মনে করতাম, এখনো করি। দেশের তাঁকে আরও অনেক দিন প্রয়োজন ছিল। যেই লোকের মৃত্যুতে ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষ জানাজা পড়ে, সেই মানুষের মৃত্যুর বিচার আসলে একটা জাতীয় কর্তব্য।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো আপনাদের মতো এখানে বসে নেই। কিন্তু সরকার আমাদের শহীদ হাদিকে যারা খুন করেছে, সে সমস্ত চিহ্নিত খুনির পেছনে যারা ছিল, সকলকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
শিশু আছিয়া হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ তুলে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘আছিয়ার ঘটনায় ছয় কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা গিয়েছিল। কাজেই চার্জশিটটা যাতে আমরা নির্ভুলভাবে দিতে পারি, নিখুঁতভাবে দিতে পারি। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে যাতে কোথাও কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। সেটা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ৭ জানুয়ারির পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা অবশ্যই করে যাব।’
উপদেষ্টা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘অপরাধী যদি পালিয়েও থাকে, তারপরেও আমাদের সর্বান্তঃকরণ চেষ্টা আছে, তাদেরকে যেন আমরা অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই হাদি হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই বাংলাদেশের মাটিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীন আমাদের হাদিকে যারা মেরে ফেলল, তাদের বিচার সম্পন্ন করে যাব।’
এ সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি হত্যার তদন্ত চলছে। সরকার পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সব গোয়েন্দা বাহিনীকে এই ঘটনার পেছনে কারা আছে, তা উদ্ঘাটনের জন্য নিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। তদন্তের স্বার্থে আমি সব বিষয় এখানে বলাটা ঠিক হবে না। তাহলে প্রতিপক্ষ আমাদের রহস্যগুলো জেনে নেবে। তাই যতটুকু সম্ভব তদন্তের যে অংশটুকু বলা যায়, আমি সেগুলো আপনাদের কাছে এখন বলছি। মামলার তদন্ত চলাকালে এযাবৎ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ১০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেব। এই মামলা-সংক্রান্ত আমার কাছে যে তথ্য আছে, আপনাদের দিলাম। তদন্তের যতটুকু প্রকাশ করা যায়, ততটুকুই বললাম। আগামীকাল (রোববার) আরও বিস্তারিতভাবে আপনাদের আমার মিডিয়া সেন্টার থেকে বলবেন। আপনারা নিশ্চয় আমার কথা বুঝতে পেরেছেন, সবাই ধৈর্য ধারণ করুন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচন করে দেব।’
তথ্য উপদেষ্টা ও ডিএমপি কমিশনারের আশ্বাসের পর শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ ছেড়ে যান বিক্ষোভকারীরা। আজ রোববার বেলা ২টা থেকে তাঁরা আবারও সেখানে অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ বেলা ২টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আজ রোববার ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর বেলা ২টা থেকে ঢাকাসহ আট বিভাগে অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের গতকাল শনিবার রাতে বলেন, ‘ওসমান হাদির খুনিদের জনতার সামনে না আনা পর্যন্ত, আমাদের কর্মসূচি চলবে। আমরা আন্দোলন ছোট করব না, আন্দোলন আরও বড় করব।’
শনিবার রাতে শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের সামনে উপস্থিত হয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘শহীদ হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্তের চূড়ান্ত ধাপ প্রায় শেষের পথে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে নির্ভুল ও শক্ত প্রমাণভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করা হবে ৭ জানুয়ারির পর।’
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘আমি হাদিকে আমার ভাই মনে করতাম, এখনো করি। দেশের তাঁকে আরও অনেক দিন প্রয়োজন ছিল। যেই লোকের মৃত্যুতে ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষ জানাজা পড়ে, সেই মানুষের মৃত্যুর বিচার আসলে একটা জাতীয় কর্তব্য।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো আপনাদের মতো এখানে বসে নেই। কিন্তু সরকার আমাদের শহীদ হাদিকে যারা খুন করেছে, সে সমস্ত চিহ্নিত খুনির পেছনে যারা ছিল, সকলকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
শিশু আছিয়া হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ তুলে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘আছিয়ার ঘটনায় ছয় কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা গিয়েছিল। কাজেই চার্জশিটটা যাতে আমরা নির্ভুলভাবে দিতে পারি, নিখুঁতভাবে দিতে পারি। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে যাতে কোথাও কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। সেটা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ৭ জানুয়ারির পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা অবশ্যই করে যাব।’
উপদেষ্টা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘অপরাধী যদি পালিয়েও থাকে, তারপরেও আমাদের সর্বান্তঃকরণ চেষ্টা আছে, তাদেরকে যেন আমরা অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই হাদি হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই বাংলাদেশের মাটিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীন আমাদের হাদিকে যারা মেরে ফেলল, তাদের বিচার সম্পন্ন করে যাব।’
এ সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি হত্যার তদন্ত চলছে। সরকার পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সব গোয়েন্দা বাহিনীকে এই ঘটনার পেছনে কারা আছে, তা উদ্ঘাটনের জন্য নিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। তদন্তের স্বার্থে আমি সব বিষয় এখানে বলাটা ঠিক হবে না। তাহলে প্রতিপক্ষ আমাদের রহস্যগুলো জেনে নেবে। তাই যতটুকু সম্ভব তদন্তের যে অংশটুকু বলা যায়, আমি সেগুলো আপনাদের কাছে এখন বলছি। মামলার তদন্ত চলাকালে এযাবৎ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ১০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেব। এই মামলা-সংক্রান্ত আমার কাছে যে তথ্য আছে, আপনাদের দিলাম। তদন্তের যতটুকু প্রকাশ করা যায়, ততটুকুই বললাম। আগামীকাল (রোববার) আরও বিস্তারিতভাবে আপনাদের আমার মিডিয়া সেন্টার থেকে বলবেন। আপনারা নিশ্চয় আমার কথা বুঝতে পেরেছেন, সবাই ধৈর্য ধারণ করুন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচন করে দেব।’
তথ্য উপদেষ্টা ও ডিএমপি কমিশনারের আশ্বাসের পর শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ ছেড়ে যান বিক্ষোভকারীরা। আজ রোববার বেলা ২টা থেকে তাঁরা আবারও সেখানে অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন।

জামায়াতের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না। তার রাজনৈতিক অবস্থান বা দর্শনসহ কোনো সহযোগিতা বা সমঝোতায় যাওয়া এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে বলে আমি মনে করি।’
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটাতে করা রিট আবেদন খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আজ রোববার আপিল করবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্তকে ঘিরে জুলাই অভ্যুত্থানের তরুণ যোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে অস্থিরতা তুঙ্গে উঠেছে। দলটির ভেতরের একটি বড় অংশের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শুধু নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকের মাধ্যমে না নিয়ে সাধারণ সভায়ও আলোচনা করার দরকার ছিল।
৭ ঘণ্টা আগে
১৭ বছর পর দেশে ফিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল শনিবার তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি, নিজের ছোট ভাই আরাফাত রহমানসহ আরও কয়েকজনের কবর জিয়ারত ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসব কাজ শেষে বিকেলে তিনি শ্বশুরের বাসায় যান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইসলামী ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটাতে করা রিট আবেদন খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আজ রোববার আপিল করবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধা কেটে যাবে।
মান্না বলেন, ২০১০ সালে বগুড়ার শিবগঞ্জে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম নাজমুল কাদির চৌধুরীর সঙ্গে অংশীদারত্বে তিনি ‘আকাফু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’ করেন। ওই বছর তাঁরা ইসলামী ব্যাংকের বড়গোলা শাখা থেকে ২২ কোটি টাকা ঋণ নেন। ২০১২ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। এই সুযোগে ২০১৪ সাল নাগাদ নাজমুল কাদির ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে ২২ মাস কারাগারে রাখে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতির দাবি, নাজমুল কাদির ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে ব্যবসার আয় দিয়ে আরেকটি কোল্ড স্টোরেজ করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে শিবগঞ্জে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপর নাজমুল কাদির পালিয়ে যান। তিনি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান। কিন্তু এ সময়ে ঋণের পরিমাণ সুদ-বিলম্বসহ প্রায় ৩৮ কোটি টাকা দাঁড়ায়। তিনি বলেন, কাগজ-কলমে প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকায় ঋণের বোঝা তাঁর ওপর পড়ে। তিনি গত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক ১০ ডিসেম্বর ঋণ পুনঃ তফসিল অনুমোদন করে।

ইসলামী ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটাতে করা রিট আবেদন খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আজ রোববার আপিল করবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধা কেটে যাবে।
মান্না বলেন, ২০১০ সালে বগুড়ার শিবগঞ্জে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম নাজমুল কাদির চৌধুরীর সঙ্গে অংশীদারত্বে তিনি ‘আকাফু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’ করেন। ওই বছর তাঁরা ইসলামী ব্যাংকের বড়গোলা শাখা থেকে ২২ কোটি টাকা ঋণ নেন। ২০১২ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়। এই সুযোগে ২০১৪ সাল নাগাদ নাজমুল কাদির ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে ২২ মাস কারাগারে রাখে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতির দাবি, নাজমুল কাদির ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে ব্যবসার আয় দিয়ে আরেকটি কোল্ড স্টোরেজ করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে শিবগঞ্জে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপর নাজমুল কাদির পালিয়ে যান। তিনি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান। কিন্তু এ সময়ে ঋণের পরিমাণ সুদ-বিলম্বসহ প্রায় ৩৮ কোটি টাকা দাঁড়ায়। তিনি বলেন, কাগজ-কলমে প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকায় ঋণের বোঝা তাঁর ওপর পড়ে। তিনি গত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক ১০ ডিসেম্বর ঋণ পুনঃ তফসিল অনুমোদন করে।

জামায়াতের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না। তার রাজনৈতিক অবস্থান বা দর্শনসহ কোনো সহযোগিতা বা সমঝোতায় যাওয়া এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে বলে আমি মনে করি।’
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ বেলা ২টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
১৮ মিনিট আগে
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্তকে ঘিরে জুলাই অভ্যুত্থানের তরুণ যোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে অস্থিরতা তুঙ্গে উঠেছে। দলটির ভেতরের একটি বড় অংশের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শুধু নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকের মাধ্যমে না নিয়ে সাধারণ সভায়ও আলোচনা করার দরকার ছিল।
৭ ঘণ্টা আগে
১৭ বছর পর দেশে ফিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল শনিবার তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি, নিজের ছোট ভাই আরাফাত রহমানসহ আরও কয়েকজনের কবর জিয়ারত ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসব কাজ শেষে বিকেলে তিনি শ্বশুরের বাসায় যান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্তকে ঘিরে জুলাই অভ্যুত্থানের তরুণ যোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে অস্থিরতা তুঙ্গে উঠেছে। দলটির ভেতরের একটি বড় অংশের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শুধু নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকের মাধ্যমে না নিয়ে সাধারণ সভায়ও আলোচনা করার দরকার ছিল। ‘মতামত উপেক্ষিত হওয়ার’ প্রতিবাদে অনেক নেতা-কর্মী পদত্যাগের কথাও ভাবছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এরই মধ্যে গতকাল ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগের কথা জানিয়ে ঢাকা-৯ আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। একই দিন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে ‘স্মারকলিপি’ দিয়েছেন।
তাসনিম জারার দল থেকে পদত্যাগ
ঢাকা-৯ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে পদত্যাগপত্রও পাঠিয়েছেন তাসনিম জারা। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উশ সালেহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাসনিম জারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পদত্যাগের কথা জানিয়ে টেক্সট করেছেন। তিনি আহবায়কের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।’
নাহিদকে ৩০ নেতার স্মারকলিপি
২৫ ডিসেম্বর দলের নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেয় এনসিপি।
পরদিন গত শুক্রবার রাতে জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠকে দুই দল একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে আজ রোববারই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তবে এনসিপির পক্ষে এই সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়নি বলে অভিযোগ দলের অনেকের। তাঁরা বলছেন, নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকেও সদস্যদের বড় একটি অংশ অনুপস্থিত ছিলেন। সেখানে অনেকের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে দলের ভেতরে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের নির্বাহী কমিটি ও তৃণমূল পর্যায়ে যথেষ্ট আলোচনা ছাড়াই সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দলীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ২৫ ডিসেম্বর মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশে নির্বাহী কাউন্সিলের মিটিং ডাকা হয়। অনেকেই সেদিন ঢাকার বাইরে ছিলেন। অনেকে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে ছিলেন। সব মিলিয়ে ওই বৈঠকে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ উপস্থিত থাকতে পারেননি। একটি দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত এভাবে নেওয়া যথাযথ নয়।
এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উশ সালেহীন বলেন, জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে দলের ভেতরে অনেকের মতভিন্নতা রয়েছে। সেই ভিন্নমতের কথা দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জানানো হয়েছে।
এনসিপির নারীনেত্রীদের একটি বড় অংশের মধ্যে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন করার বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। দলের নির্বাহী কাউন্সিলের অন্তত ছয়জন নারী সদস্য আহ্বায়ককে জানিয়েছিলেন, জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হলে তাঁরা এনসিপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে পরে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ‘দলীয় স্বার্থে’ সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে জানা গেছে। দলের নারীদের কেউ কেউ আবার জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষেও।
দলীয় সূত্র জানায়, এনসিপির নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ শুরু থেকেই এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। তবে একটি অংশ সংসদে আসন পাওয়া নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা বিবেচনায় প্রতিষ্ঠিত পুরোনো দল জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এই দুই অবস্থানের টানাপোড়েনেই বর্তমানে দলটিতে এই অস্থিরতা।
মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য দায় স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা এবং নারী বিষয়ে কিছু উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, মূলত এই দুই ইস্যুতে এনসিপির একাংশের মধ্যে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে।
এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, দলের বৃহত্তর স্বার্থ এবং সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্য সামনে রেখেই জামায়াতের সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল ও মধ্যম সারির নেতাদের একটি অংশ এখনো এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন।
দলের যুগ্ম সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান থেকে উদ্ভূত রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির উচিত গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও জুলাইয়ে প্রকাশিত নতুন রাজনীতি এবং নতুন বন্দোবস্তের দাবিকে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়া। শুরুতে কিছু সংগ্রাম থাকলেও একসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সফল হওয়া সম্ভব হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করি।’
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবে না হওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবেই নেওয়া হয়েছে। নির্বাহী কাউন্সিলে কোরাম পূর্ণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশ’ দিয়ে বৈঠকের অভিযোগ বিষয়ে রাসিন বলেন, নির্বাহী কাউন্সিল গঠনের সময় যে নীতি ছিল, সেখানেই বলা হয়েছে, যেকোনো সময় জরুরি সভা ডাকা যাবে।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত দৃশ্যত চূড়ান্ত হলেও আসনসংখ্যা নিয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত নয়। এ বিষয়ে এনসিপির নেতারা বলছেন, সংখ্যাটি এখনো চূড়ান্ত নয়। ৩০টি আসন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। এটা আরও বাড়তেও পারে। এই আসনগুলোতে জামায়াত তাদের প্রার্থী তুলে নেবে।
তাসনিম জারার পদত্যাগ
এমন প্রেক্ষাপটে দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। গতকাল সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তাসনিম জারা ঢাকা-৯-এর আওতাভুক্ত খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদাবাসীর সমর্থন কামনা করেছেন। নিজেকে এলাকার মেয়ে হিসেবে উল্লেখ করে তিনি পোস্টে বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল একটি রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম থেকে সংসদে গিয়ে আমার এলাকার মানুষের ও দেশের সেবা করা। তবে বাস্তবিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জারা আরও লেখেন, ‘একটা দলের প্রার্থী হলে সেই দলের স্থানীয় অফিস থাকে, সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী থাকে। সরকার ও প্রশাসনের সাথে নিরাপত্তা বা অন্যান্য বিষয়ে আপত্তি ও শঙ্কা নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকে। তবে আমি যেহেতু কোনো দলের সাথে থাকছি না, তাই আমার সেসব কিছুই থাকবে না। আমার একমাত্র ভরসা আপনারা।’
জারার পদত্যাগ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘তাসনিম জারা একক সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য আমার কাছে নেই।’
জামায়াতের কারণে জোটও চাপে
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতাকে কেন্দ্র করে এনসিপির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটও ভাঙনের মুখে বলে আভাস পাওয়া গেছে। জোটের তিন দলের অন্যতম রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বলেছে, তারা কোনো অবস্থাতেই জামায়াতকে নিয়ে নির্বাচন করবে না। দলটির সভাপতি হাসনাত কাইয়ূমসহ নেতারা গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপি বা জামায়াত কারও সঙ্গেই না গিয়ে তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলা ছিল তাদের জোট গঠনের লক্ষ্য। অন্যদিকে এ সমঝোতার খবরে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হিসেবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অবস্থান নিয়ে শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে দলীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আরেক জোট সদস্য এবি পার্টির জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় আপত্তি নেই।
জোটসঙ্গী এবি পার্টি জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার আলোচনায় আছে কি না জানতে চাইলে এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আলোচনাটা দলীয়ভাবে হচ্ছে, জোটগতভাবে নয়। এবি পার্টির সঙ্গে জামায়াতের আলাদা আলোচনা চলছে। এবি পার্টি আমাদের আলোচনার অংশীদার নয়।’

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্তকে ঘিরে জুলাই অভ্যুত্থানের তরুণ যোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে অস্থিরতা তুঙ্গে উঠেছে। দলটির ভেতরের একটি বড় অংশের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শুধু নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকের মাধ্যমে না নিয়ে সাধারণ সভায়ও আলোচনা করার দরকার ছিল। ‘মতামত উপেক্ষিত হওয়ার’ প্রতিবাদে অনেক নেতা-কর্মী পদত্যাগের কথাও ভাবছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এরই মধ্যে গতকাল ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগের কথা জানিয়ে ঢাকা-৯ আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। একই দিন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে ‘স্মারকলিপি’ দিয়েছেন।
তাসনিম জারার দল থেকে পদত্যাগ
ঢাকা-৯ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে পদত্যাগপত্রও পাঠিয়েছেন তাসনিম জারা। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উশ সালেহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাসনিম জারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পদত্যাগের কথা জানিয়ে টেক্সট করেছেন। তিনি আহবায়কের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।’
নাহিদকে ৩০ নেতার স্মারকলিপি
২৫ ডিসেম্বর দলের নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেয় এনসিপি।
পরদিন গত শুক্রবার রাতে জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠকে দুই দল একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে আজ রোববারই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তবে এনসিপির পক্ষে এই সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়নি বলে অভিযোগ দলের অনেকের। তাঁরা বলছেন, নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকেও সদস্যদের বড় একটি অংশ অনুপস্থিত ছিলেন। সেখানে অনেকের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে দলের ভেতরে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের নির্বাহী কমিটি ও তৃণমূল পর্যায়ে যথেষ্ট আলোচনা ছাড়াই সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দলীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ২৫ ডিসেম্বর মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশে নির্বাহী কাউন্সিলের মিটিং ডাকা হয়। অনেকেই সেদিন ঢাকার বাইরে ছিলেন। অনেকে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে ছিলেন। সব মিলিয়ে ওই বৈঠকে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ উপস্থিত থাকতে পারেননি। একটি দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত এভাবে নেওয়া যথাযথ নয়।
এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উশ সালেহীন বলেন, জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে দলের ভেতরে অনেকের মতভিন্নতা রয়েছে। সেই ভিন্নমতের কথা দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জানানো হয়েছে।
এনসিপির নারীনেত্রীদের একটি বড় অংশের মধ্যে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচন করার বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। দলের নির্বাহী কাউন্সিলের অন্তত ছয়জন নারী সদস্য আহ্বায়ককে জানিয়েছিলেন, জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হলে তাঁরা এনসিপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে পরে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ‘দলীয় স্বার্থে’ সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে জানা গেছে। দলের নারীদের কেউ কেউ আবার জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষেও।
দলীয় সূত্র জানায়, এনসিপির নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ শুরু থেকেই এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। তবে একটি অংশ সংসদে আসন পাওয়া নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা বিবেচনায় প্রতিষ্ঠিত পুরোনো দল জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এই দুই অবস্থানের টানাপোড়েনেই বর্তমানে দলটিতে এই অস্থিরতা।
মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য দায় স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা এবং নারী বিষয়ে কিছু উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, মূলত এই দুই ইস্যুতে এনসিপির একাংশের মধ্যে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে।
এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, দলের বৃহত্তর স্বার্থ এবং সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্য সামনে রেখেই জামায়াতের সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল ও মধ্যম সারির নেতাদের একটি অংশ এখনো এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন।
দলের যুগ্ম সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান থেকে উদ্ভূত রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির উচিত গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও জুলাইয়ে প্রকাশিত নতুন রাজনীতি এবং নতুন বন্দোবস্তের দাবিকে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়া। শুরুতে কিছু সংগ্রাম থাকলেও একসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সফল হওয়া সম্ভব হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করি।’
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবে না হওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবেই নেওয়া হয়েছে। নির্বাহী কাউন্সিলে কোরাম পূর্ণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশ’ দিয়ে বৈঠকের অভিযোগ বিষয়ে রাসিন বলেন, নির্বাহী কাউন্সিল গঠনের সময় যে নীতি ছিল, সেখানেই বলা হয়েছে, যেকোনো সময় জরুরি সভা ডাকা যাবে।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত দৃশ্যত চূড়ান্ত হলেও আসনসংখ্যা নিয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত নয়। এ বিষয়ে এনসিপির নেতারা বলছেন, সংখ্যাটি এখনো চূড়ান্ত নয়। ৩০টি আসন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। এটা আরও বাড়তেও পারে। এই আসনগুলোতে জামায়াত তাদের প্রার্থী তুলে নেবে।
তাসনিম জারার পদত্যাগ
এমন প্রেক্ষাপটে দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। গতকাল সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তাসনিম জারা ঢাকা-৯-এর আওতাভুক্ত খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদাবাসীর সমর্থন কামনা করেছেন। নিজেকে এলাকার মেয়ে হিসেবে উল্লেখ করে তিনি পোস্টে বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল একটি রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম থেকে সংসদে গিয়ে আমার এলাকার মানুষের ও দেশের সেবা করা। তবে বাস্তবিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জারা আরও লেখেন, ‘একটা দলের প্রার্থী হলে সেই দলের স্থানীয় অফিস থাকে, সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী থাকে। সরকার ও প্রশাসনের সাথে নিরাপত্তা বা অন্যান্য বিষয়ে আপত্তি ও শঙ্কা নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকে। তবে আমি যেহেতু কোনো দলের সাথে থাকছি না, তাই আমার সেসব কিছুই থাকবে না। আমার একমাত্র ভরসা আপনারা।’
জারার পদত্যাগ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘তাসনিম জারা একক সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য আমার কাছে নেই।’
জামায়াতের কারণে জোটও চাপে
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতাকে কেন্দ্র করে এনসিপির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটও ভাঙনের মুখে বলে আভাস পাওয়া গেছে। জোটের তিন দলের অন্যতম রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বলেছে, তারা কোনো অবস্থাতেই জামায়াতকে নিয়ে নির্বাচন করবে না। দলটির সভাপতি হাসনাত কাইয়ূমসহ নেতারা গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপি বা জামায়াত কারও সঙ্গেই না গিয়ে তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলা ছিল তাদের জোট গঠনের লক্ষ্য। অন্যদিকে এ সমঝোতার খবরে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হিসেবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অবস্থান নিয়ে শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে দলীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আরেক জোট সদস্য এবি পার্টির জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় আপত্তি নেই।
জোটসঙ্গী এবি পার্টি জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার আলোচনায় আছে কি না জানতে চাইলে এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আলোচনাটা দলীয়ভাবে হচ্ছে, জোটগতভাবে নয়। এবি পার্টির সঙ্গে জামায়াতের আলাদা আলোচনা চলছে। এবি পার্টি আমাদের আলোচনার অংশীদার নয়।’

জামায়াতের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না। তার রাজনৈতিক অবস্থান বা দর্শনসহ কোনো সহযোগিতা বা সমঝোতায় যাওয়া এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে বলে আমি মনে করি।’
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ বেলা ২টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
১৮ মিনিট আগে
ইসলামী ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটাতে করা রিট আবেদন খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আজ রোববার আপিল করবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
৭ ঘণ্টা আগে
১৭ বছর পর দেশে ফিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল শনিবার তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি, নিজের ছোট ভাই আরাফাত রহমানসহ আরও কয়েকজনের কবর জিয়ারত ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসব কাজ শেষে বিকেলে তিনি শ্বশুরের বাসায় যান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৭ বছর পর দেশে ফিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল শনিবার তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি, নিজের ছোট ভাই আরাফাত রহমানসহ আরও কয়েকজনের কবর জিয়ারত ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসব কাজ শেষে বিকেলে তিনি শ্বশুরের বাসায় যান।
গত বৃহস্পতিবার দেশে এসে রাজধানীর পূর্বাচলে সংবর্ধনা নেন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। পরদিন শুক্রবার বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান।
গতকাল সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে বের হন তারেক রহমান। এ দিন লাল-সবুজ রঙে সাজানো বাসের পরিবর্তে সাদা রঙের একটি গাড়িতে চেপে প্রথমে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সেখানে আততায়ীর গুলিতে নিহত জুলাই যোদ্ধা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন। হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন। এ সময় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরও কবর জিয়ারত করেন এবং শ্রদ্ধা জানান তারেক রহমান।
সেখান থেকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেখানে মেয়ে জাইমা রহমান ও নিজের ভোটার নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। নির্বাচন কমিশনও আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। নির্বাচন ভবনের পেছনে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে গিয়ে ছবি তোলা, দশ আঙুলের ছাপ দেওয়া, আইরিশ (চোখের মণির ছাপ) ও স্বাক্ষর করার কাজ করেন তারেক রহমান। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমান ও জাইমাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আজ রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, তারেক ও জাইমা ঢাকা-১৭ আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, তারেক ও জাইমা আগেই অনলাইনে ফরম পূরণ করে রেখেছিলেন। গতকাল কমিশনে উপস্থিত হয়ে বায়োমেট্রিক দিয়েছেন।
ভোটার নিবন্ধনের কাজ শেষ করে বেলা দেড়টার দিকে নির্বাচন কমিশন ভবন ত্যাগ করেন তারেক রহমান। গতকাল ইসির কাজ শেষে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) যাওয়ার কথা ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। তবে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, তারেক রহমান পঙ্গু হাসপাতালে যাবেন না।
নির্বাচন কমিশনের কাজ শেষ করে বনানী কবরস্থানে যান তারেক রহমান। সেখানে ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো ও শ্বশুর সাবেক নৌপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন তিনি। এরপর ঢাকার পিলখানায় হত্যার শিকার সেনা কর্মকর্তাদের কবর জিয়ারত করে গুলশানের বাড়িতে ফিরে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বিকেলে তিনি ধানমন্ডিতে শ্বশুরের বাড়ি মাহবুব ভবনে যান।

১৭ বছর পর দেশে ফিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল শনিবার তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি, নিজের ছোট ভাই আরাফাত রহমানসহ আরও কয়েকজনের কবর জিয়ারত ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসব কাজ শেষে বিকেলে তিনি শ্বশুরের বাসায় যান।
গত বৃহস্পতিবার দেশে এসে রাজধানীর পূর্বাচলে সংবর্ধনা নেন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। পরদিন শুক্রবার বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান।
গতকাল সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে বের হন তারেক রহমান। এ দিন লাল-সবুজ রঙে সাজানো বাসের পরিবর্তে সাদা রঙের একটি গাড়িতে চেপে প্রথমে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সেখানে আততায়ীর গুলিতে নিহত জুলাই যোদ্ধা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন। হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন। এ সময় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরও কবর জিয়ারত করেন এবং শ্রদ্ধা জানান তারেক রহমান।
সেখান থেকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেখানে মেয়ে জাইমা রহমান ও নিজের ভোটার নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। নির্বাচন কমিশনও আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। নির্বাচন ভবনের পেছনে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে গিয়ে ছবি তোলা, দশ আঙুলের ছাপ দেওয়া, আইরিশ (চোখের মণির ছাপ) ও স্বাক্ষর করার কাজ করেন তারেক রহমান। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমান ও জাইমাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আজ রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, তারেক ও জাইমা ঢাকা-১৭ আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, তারেক ও জাইমা আগেই অনলাইনে ফরম পূরণ করে রেখেছিলেন। গতকাল কমিশনে উপস্থিত হয়ে বায়োমেট্রিক দিয়েছেন।
ভোটার নিবন্ধনের কাজ শেষ করে বেলা দেড়টার দিকে নির্বাচন কমিশন ভবন ত্যাগ করেন তারেক রহমান। গতকাল ইসির কাজ শেষে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) যাওয়ার কথা ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। তবে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, তারেক রহমান পঙ্গু হাসপাতালে যাবেন না।
নির্বাচন কমিশনের কাজ শেষ করে বনানী কবরস্থানে যান তারেক রহমান। সেখানে ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো ও শ্বশুর সাবেক নৌপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন তিনি। এরপর ঢাকার পিলখানায় হত্যার শিকার সেনা কর্মকর্তাদের কবর জিয়ারত করে গুলশানের বাড়িতে ফিরে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বিকেলে তিনি ধানমন্ডিতে শ্বশুরের বাড়ি মাহবুব ভবনে যান।

জামায়াতের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না। তার রাজনৈতিক অবস্থান বা দর্শনসহ কোনো সহযোগিতা বা সমঝোতায় যাওয়া এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে বলে আমি মনে করি।’
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ বেলা ২টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
১৮ মিনিট আগে
ইসলামী ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটাতে করা রিট আবেদন খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আজ রোববার আপিল করবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্তকে ঘিরে জুলাই অভ্যুত্থানের তরুণ যোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে অস্থিরতা তুঙ্গে উঠেছে। দলটির ভেতরের একটি বড় অংশের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শুধু নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকের মাধ্যমে না নিয়ে সাধারণ সভায়ও আলোচনা করার দরকার ছিল।
৭ ঘণ্টা আগে