বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা সিরাজগঞ্জের আলোচিত সেই চিকিৎসক রতন কুমার রায়কে পাবনার চাটমোহরে রোগী দেখা বন্ধ করেছে ছাত্র জনতা। আজ শুক্রবার দুপুরে চাটমোহর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চিকিৎসক রতন কুমার রায় ছাত্র জনতার অনুরোধ রাখবেন বলে জানান।
দীর্ঘদিন ধরে প্রতি শুক্রবার চাটমোহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ও ফার্মেসিতে রোগী দেখেন রতন কুমার রায়। আজ শুক্রবার চাটমোহর পৌর শহরের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছিলেন তিনি।
এ সময় চাটমোহরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সদস্যরা তাঁর চেম্বারে যান। তাঁরা চিকিৎসক রতন কুমার রায়কে বলেন, সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যে আচরণ করেছিলেন তা ছিল অশালীন, অন্যায়। যার ভিডিও সারা দেশে ভাইরাল হয়েছিল। ঘটনাটি বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী এবং দেশবাসীর জন্য ছিল লজ্জাজনক। সেই ঘটনার ন্যায় বিচার এখনো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা পায়নি। তাই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার বা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে চাটমোহরে কোনো চেম্বারে রোগী না দেখার অনুরোধ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা।
এ সময় চিকিৎসক রতন কুমার রায় তাদের বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি মানসিক ট্রমাতে ছিলাম। তাই ভুলবশত তেমন আচরণ হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে আমি ঘটনায় লজ্জিত হয়ে পত্রিকায় ব্যাখ্যা বা বিবৃতি দিয়েছি। সেদিনের সেই ঘটনার জন্য আবারও আমি ভুল স্বীকার করছি। তারপরও যেহেতু আপনারা চাটমোহরে রোগী না দেখার অনুরোধ করলেন, ঠিক আছে আমি আপনাদের কথা রাখব।’
এ সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার পক্ষে ফয়সাল কবির, রবিউল ইসলাম সুজন, শেখ জাবের আল শিহাব বলেন, যেহেতু চিকিৎসক হয়ে আপনি নিজেই মানসিক ট্রমাতে আছেন, আপনি অসুস্থ। আগে আপনি আপনার নিজের চিকিৎসা করান, সুস্থ হন। তা না হলে আপনার মাধ্যমে মানুষ ভুল চিকিৎসার শিকার হতে পারে।
শেখ জাবের আল শিহাব আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘এর মাধ্যমে এখন থেকে তিনি আর চাটমোহরে কোনো চেম্বারে রোগী দেখতে পারবেন না। তিনি আমাদের কথা রাখবেন বলেও জানিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট সিরাজগঞ্জের ২৫ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে কয়েকজন সেবাপ্রত্যাশী স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী ও রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমারের কাছে স্বাভাবিকভাবে মৌখিক অভিযোগ করেন এবং একই সঙ্গে হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি চান।
তাতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সহকর্মীদের সামনে অভিযোগকারীদের গালিগালাজ ও অশ্লীল আচরণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে সহকর্মীদের সামনেই নিজের প্যান্টের চেইন খুলে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হম্বিতম্বি করতে থাকেন। তাঁর অশ্লীল আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরদিন শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। এরপর ১৩ আগস্ট ডা. রতন কুমার রায়কে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করার পর বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএসটি) দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও খবর পড়ুন:
- নালিতাবাড়ীতে ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
- সখীপুরের এক গ্রামজুড়ে তৈরি হয় মদ
- পায়রা কখনোই ভালো সমুদ্রবন্দর হবে না
- ‘বাংলাদেশ যা করেছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না’
- যে ভুলে আউট না হয়েও আউট কোহলি
- সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি পার
- নিউইয়র্কে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হচ্ছে না ড. ইউনূসের
- রাজধানীর কলাবাগানে যৌথবাহিনীর অভিযান
- পোশাকশিল্পে অস্থিরতা: আওয়ামী লীগের ৫ নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার
- পানিশূন্য পুকুরে মাছ চাষ করা হাসিবের ১ কোটি টাকা জরিমানা
- ৬ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে ভোরে মদিনা-ঢাকা ফ্লাইট বাতিল করল বিমান
- পার্বত্য ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনমন চায় ভারতের চাকমারা
- রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড সেবা ব্যাহত
- অবস্থান পাল্টে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিল অন্তবর্তী সরকার
- ক্ষমা চেয়ে শামীম ওসমান বললেন, ফিরব কিনা জানি না
- তিন পার্বত্য জেলায় উত্তেজনা চরমে, রূপ নিতে পারে ভয়াবহ দাঙ্গায়
- শিক্ষা-গণমাধ্যমসহ কয়েকটি কমিশন গঠনের পরিকল্পনা চলছে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
- অপহরণ নয়, মুসলিম প্রেমিকের জীবন রক্ষায় ঘর ছাড়ি: কুড়িগ্রামের সেই কিশোরীর জবানবন্দি
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে