Ajker Patrika

কূটনৈতিকপাড়ায় পুলিশ সদস্য নিহত: উন্মাদের মতো ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন কনস্টেবল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪, ১৯: ৪১
কূটনৈতিকপাড়ায় পুলিশ সদস্য নিহত: উন্মাদের মতো ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন কনস্টেবল

রাজধানীর গুলশানে কূটনৈতিকপাড়ায় এক পুলিশ সদস্যের গুলিতে আরেক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ সময় জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। 

শনিবার (৮ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। আর যিনি গুলি করেছেন তাঁর নাম কাওসার আলী। তিনিও পুলিশের কনস্টেবল।

রাতে পদস্থ এক পুলিশ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, কূটনৈতিকপাড়ায় দায়িত্ব পালনের জন্য কিছুদিন আগে পুলিশ সদস্যদের ব্রাজিল থেকে আনা এসএমটি সাবমেশিনগান দেওয়া হয়েছে। এই অস্ত্র দিয়ে মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি করা যায়। দায়িত্বরত কনস্টেবলের হাতে সেই অস্ত্র ছিল। সহকর্মীকে লক্ষ্য করে তিনি সেই অস্ত্র দিয়ে ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন।

ডিএমপি কমিশনার কমিশনার হাবিবুর রহমান রাতে আজকের পত্রিকা’কে বলেন, যে পুলিশ সদস্য গুলি করেছেন তাঁকে আটক করে গুলশান থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার ব্যাপারে এখনও তাঁরা পরিষ্কার নন। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি মনে করছেন, কোনো মানসিক চাপের কারণেই হয়তো ওই কনস্টেবল এ ধরনের আচরণ করেছেন।
  
ঘটনার পর রাতেই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৃতদেহটি পড়ে আছে বারিধারার দূতাবাস সড়কের ফিলিস্তিন দূতাবাসের গার্ডরুমের পাশের ফুটপাত ঘেঁষে রাস্তার ওপরে। ঘটনাস্থলের খুব কাছে রয়েছে যুক্তরাজ্য, জাপান ও চীন দূতাবাস। ঘটনাস্থলটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের সদস্যরাও চারদিকে ঘিরে আছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থতি হয়েছেন।

ঘটনাস্থলের কাছে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য আজকের পত্রিকা বলেন, তিনি এসে দেখেন, এক পুলিশ সদস্য উন্মাদের মতো আচরণ করছেন। পাশে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃতদেহ পড়ে আছে। পাশে একটি অস্ত্র পড়ে আছে। কয়েকটি গুলির খোসা ছড়িয়ে আছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক পুলিশ সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তখন পুলিশের আরেক সদস্য বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পথচারীরা সামনে এগোতে চাইলেই এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন তিনি। ফলে আতঙ্কে মুহূর্তের মধ্যে এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ডিউটিরত মনিরুল ও কাওসারের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কাওসার মনিরুলকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মনিরুল প্রাণ হারান এবং একজন পথচারী আহত হন। আহত পথচারীর বাইসাইকেল ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে।

মনিরুলকে গুলি করার পর কাওসার দিগ্-বিদিক অস্ত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকেন। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাঁকে নিরস্ত্র করে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল –মামুন জানান, ওই পুলিশ সদস্য এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ রাউন্ড চাইনিজ গুলিসহ আরও কিছু গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যকে নিরস্ত্র করে গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালক আহত হয়েছেন। তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন পুলিশকে জানান, তিনি সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন এক পুলিশ সদস্য আহত হয়ে পড়ে আছেন। তিনি এর কারণ জানতে এগিয়ে গেলে সেখানে থাকা কনস্টেবল তাঁকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন। সেই গুলিতে তিনি আহত হন। 

প্রত্যক্ষদর্শী এক আনসার ব্যাটেলিয়ন সদস্য বলেন, দেখি, এক পুলিশ সদস্য উন্মাদের মতো আচরণ করছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের পায়ের ওপর রাখা তাঁর রাইফেল। একটু দূরেই যে অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে, সেটি মাঝ রাস্তায় পড়ে আছে। 

ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশার আরিফুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যের ব্যাপারে যতটুকু জেনেছি, তিনি পাঁচ-ছয় দিন থেকে খুব চুপচাপ ছিলেন। তাঁর অন্য সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন না। তাঁর ব্যাচমেটদের সঙ্গে কথা বলে এসব জেনেছি।
  
গুলশান থানার ওসি বলেন, মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে গুলি করেছেন। এই ঘটনায় এক পথচারী আহত হয়েছেন। নিহত পুলিশের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, এই ঘটনার পর কূটনৈতিক এলাকাসহ পুরো গুলশানের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে সোয়াট মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কূটনীতিকদের মধ্যে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায়, সে জন্য নিরাপত্তার ব্যাপারে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘটনাটি নিছকই দুজন পুলিশ সদস্যের মধ্যে। পুরো এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনা। তিনি ২০১৮ সালে পুলিশে যোগ দেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত