Ajker Patrika

কূটনৈতিকপাড়ায় পুলিশ সদস্য নিহত: উন্মাদের মতো ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন কনস্টেবল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪, ১৯: ৪১
কূটনৈতিকপাড়ায় পুলিশ সদস্য নিহত: উন্মাদের মতো ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন কনস্টেবল

রাজধানীর গুলশানে কূটনৈতিকপাড়ায় এক পুলিশ সদস্যের গুলিতে আরেক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ সময় জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। 

শনিবার (৮ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। আর যিনি গুলি করেছেন তাঁর নাম কাওসার আলী। তিনিও পুলিশের কনস্টেবল।

রাতে পদস্থ এক পুলিশ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, কূটনৈতিকপাড়ায় দায়িত্ব পালনের জন্য কিছুদিন আগে পুলিশ সদস্যদের ব্রাজিল থেকে আনা এসএমটি সাবমেশিনগান দেওয়া হয়েছে। এই অস্ত্র দিয়ে মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি করা যায়। দায়িত্বরত কনস্টেবলের হাতে সেই অস্ত্র ছিল। সহকর্মীকে লক্ষ্য করে তিনি সেই অস্ত্র দিয়ে ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন।

ডিএমপি কমিশনার কমিশনার হাবিবুর রহমান রাতে আজকের পত্রিকা’কে বলেন, যে পুলিশ সদস্য গুলি করেছেন তাঁকে আটক করে গুলশান থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার ব্যাপারে এখনও তাঁরা পরিষ্কার নন। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি মনে করছেন, কোনো মানসিক চাপের কারণেই হয়তো ওই কনস্টেবল এ ধরনের আচরণ করেছেন।
  
ঘটনার পর রাতেই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৃতদেহটি পড়ে আছে বারিধারার দূতাবাস সড়কের ফিলিস্তিন দূতাবাসের গার্ডরুমের পাশের ফুটপাত ঘেঁষে রাস্তার ওপরে। ঘটনাস্থলের খুব কাছে রয়েছে যুক্তরাজ্য, জাপান ও চীন দূতাবাস। ঘটনাস্থলটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের সদস্যরাও চারদিকে ঘিরে আছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থতি হয়েছেন।

ঘটনাস্থলের কাছে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য আজকের পত্রিকা বলেন, তিনি এসে দেখেন, এক পুলিশ সদস্য উন্মাদের মতো আচরণ করছেন। পাশে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃতদেহ পড়ে আছে। পাশে একটি অস্ত্র পড়ে আছে। কয়েকটি গুলির খোসা ছড়িয়ে আছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক পুলিশ সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তখন পুলিশের আরেক সদস্য বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পথচারীরা সামনে এগোতে চাইলেই এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন তিনি। ফলে আতঙ্কে মুহূর্তের মধ্যে এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ডিউটিরত মনিরুল ও কাওসারের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কাওসার মনিরুলকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মনিরুল প্রাণ হারান এবং একজন পথচারী আহত হন। আহত পথচারীর বাইসাইকেল ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে।

মনিরুলকে গুলি করার পর কাওসার দিগ্-বিদিক অস্ত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকেন। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাঁকে নিরস্ত্র করে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল –মামুন জানান, ওই পুলিশ সদস্য এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ রাউন্ড চাইনিজ গুলিসহ আরও কিছু গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যকে নিরস্ত্র করে গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালক আহত হয়েছেন। তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন পুলিশকে জানান, তিনি সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন এক পুলিশ সদস্য আহত হয়ে পড়ে আছেন। তিনি এর কারণ জানতে এগিয়ে গেলে সেখানে থাকা কনস্টেবল তাঁকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন। সেই গুলিতে তিনি আহত হন। 

প্রত্যক্ষদর্শী এক আনসার ব্যাটেলিয়ন সদস্য বলেন, দেখি, এক পুলিশ সদস্য উন্মাদের মতো আচরণ করছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের পায়ের ওপর রাখা তাঁর রাইফেল। একটু দূরেই যে অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে, সেটি মাঝ রাস্তায় পড়ে আছে। 

ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশার আরিফুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যের ব্যাপারে যতটুকু জেনেছি, তিনি পাঁচ-ছয় দিন থেকে খুব চুপচাপ ছিলেন। তাঁর অন্য সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন না। তাঁর ব্যাচমেটদের সঙ্গে কথা বলে এসব জেনেছি।
  
গুলশান থানার ওসি বলেন, মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে গুলি করেছেন। এই ঘটনায় এক পথচারী আহত হয়েছেন। নিহত পুলিশের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, এই ঘটনার পর কূটনৈতিক এলাকাসহ পুরো গুলশানের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে সোয়াট মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কূটনীতিকদের মধ্যে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায়, সে জন্য নিরাপত্তার ব্যাপারে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘটনাটি নিছকই দুজন পুলিশ সদস্যের মধ্যে। পুরো এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনা। তিনি ২০১৮ সালে পুলিশে যোগ দেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকবে ‘স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন’, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে চুক্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিস

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর আশপাশ এলাকায় অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অভ্যন্তরে একটি ‘স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন’ স্থাপন করা হবে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে জনবল, গাড়ি-পাম্প ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ মোতায়েন থাকবেন। এর ফলে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এইচআরডি-১ এর যুগ্ম পরিচালক মো. রিয়াদ ফারজান্দ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: মো. নিয়ামুল কবির, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. ফারুক হাওলাদার, পরিচালক (সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট) ; মো. জবদুল ইসলাম, পরিচালক (এইচআরডি-১)।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; মো. মামুনুর রশিদ, উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; কাজী নজমুজ্জামান, সহকারী পরিচালক।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানিয়েছে, এই উদ্যোগের ফলে রাষ্ট্রীয় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুসংহত হলো। বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকা হিসেবে পরিচিত মতিঝিলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় এই স্যাটেলাইট স্টেশনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্ক, বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্ক, বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

কিশোরগঞ্জের ইটনায় মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় আলগাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব আলী (৬৮) সদর ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে আফজাল মিয়ার খামারে ১৩৫ কেজি ধরে মুরগি বিক্রি করা হবে, এমন ঘোষণা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। সেই খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আইয়ুব আলী মুরগি কিনতে খামারে যান। সকাল থেকেই সেখানে মানুষের ভিড় জমে।

এ সময় সিরিয়াল নিয়ে আইয়ুব আলীর সঙ্গে একই এলাকার মুজিবুর রহমানের তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তর্কের একপর্যায়ে মুজিবুর রহমান ও তাঁর ছেলেরা আইয়ুব আলীর ওপর হামলা চালিয়ে কিল-ঘুষি ও মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আইয়ুব আলীকে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পরিবারের সদস্য বাহার উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সিরিয়াল নিয়ে তর্কের জেরে মুজিবুর রহমানের ছেলে সাব্বিরসহ তিন-চারজন মিলে আইয়ুব আলীকে মারধর করে হত্যা করেছে।

ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. কাওসার আহমেদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আইয়ুব আলীর মৃত্যু হয়েছে।

ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় পুলিশের সোর্স সন্দেহে বাড়ি থেকে ডেকে যুবকের দুই হাতের কবজি কর্তন

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় পুলিশের সোর্স সন্দেহে বাড়ি থেকে ডেকে যুবকের দুই হাতের কবজি কর্তন

খুলনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আক্তার হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা থানার দারোগার ভিটায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত আক্তার হোসেন গল্লামারি এলাকার বাসিন্দা চাঁদ আলী মোল্লার ছেলে। বড় বাজার এলাকার একটি হোটেলে তিনি কাজ করেন। বর্তমানে আক্তার হোসেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত আক্তার হোসেন বলেন, ‘সকালে বাড়িতে ছিলাম। ওই সময়ে ভাগনে শাহেদের বন্ধুরা আমাকে ডেকে বটিয়াঘাটা থানাধীন দারোগার ভিটায় নিয়ে যায়। সেখানে কিছু বুঝে ওঠার আগে চার-পাঁচজন লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার দুই হাতে কোপাতে থাকে। আমার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

জানতে চাইলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অর্থোপেডিকস বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট বাপ্পা রাজ বলেন, ‘ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রোগীর বাঁ ও ডান হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বাঁ হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’

বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ রকম ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্বৃত্তরা আক্তার হোসেনের পূর্বপরিচিত। সকালে তাকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে ডেকে দারোগার ভিটা আলীনগরে একটি বিলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তার দুই হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে চারজন উপস্থিত ছিল। সন্ত্রাসীদের ধারণা ছিল, আক্তার হোসেন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে এবং সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পুলিশের কাছে তথ্য প্রদান করে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশেষ ট্রেনের দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের রেলপথ অবরোধ, ছেড়ে যায়নি লালমনি এক্সপ্রেস

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
আজ সকালে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় যেতে বিশেষ ট্রেনের দাবিতে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।

আজ সকালে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে তাঁরা ট্রেনটির ইঞ্জিনের সামনে শুয়ে পড়েন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। এ উপলক্ষে তাঁকে স্বাগত জানাতে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ১৯ ডিসেম্বর লালমনিরহাট-ঢাকা রুটে একটি ভাড়াভিত্তিক বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ চেয়ে রেলভবনে আবেদন করে জেলা বিএনপি। তবে সোমবার রাতে রেলভবন থেকে জানানো হয়, বিশেষ ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।

এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ সকালে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে লালমনি এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বেলা দেড়টা পর্যন্ত ট্রেনটি স্টেশনেই আটকে থাকে। এতে ঢাকাগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

লালমনিরহাট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনিচ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিশেষ ট্রেন চেয়ে আবেদন করা হলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের জন্য বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া না হবে, ততক্ষণ অবরোধ কর্মসূচি চলবে।’

লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার বলেন, রেলপথ অবরোধের কারণে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোর্শেদ আলম জানান, ট্রেনটি ছেড়ে যেতে না পারায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। অবরোধ না উঠলে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা কামালের সরকারি নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত