
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের দিন ব্যাগেজ বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণের বার ও সিগারেট আনার ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এতে যুক্ত করা হয়েছে। ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে এসব জিনিসপত্র আনার সুবিধা বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।
ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। এক যুগ ধরে বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালায়, বিদেশফেরত একজন যাত্রীর বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার আনার সুবিধা দেওয়া রয়েছে। নতুন বিধিমালায় সেই সুবিধা বহাল থাকছে, তবে এবার স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘স্বর্ণালংকার অর্থ ২২ বা তার চেয়ে কম ক্যারেটের স্বর্ণে তৈরি নকশাখচিত ও পরিধানযোগ্য অলংকার।’ ফলে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণবার গলিয়ে যেনতেনভাবে চুড়ি বানিয়ে আনার সুযোগ আর থাকছে না।
মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি দিতে স্বর্ণালংকারের মধ্যে অলংকারের মতো দেখতে অপরিশোধিত স্বর্ণ (২৪ ক্যারেট) আনার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী।
দেশে প্রতি তোলা স্বর্ণবারের শুল্ক-কর ৪ হাজার টাকা। সে হিসাবে ১০০ গ্রাম বা প্রায় সাড়ে ৮ তোলা স্বর্ণবার দিয়ে বানানো চুড়ির শুল্ক-কর ৩৪ হাজার ২৯৩ টাকা। আগের লাগেজ বিধিমালায় ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার আনায় শুল্ক-কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে, এভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণের বার আনলেও স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা না থাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকত না।
বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন আনার অনুমতির ক্ষেত্রেও নতুন বিধিমালায় একটি বিষয় সুস্পষ্ট করা হয়েছে। আগের নীতিমালায় বিদেশফেরত যাত্রী দুটি মোবাইল ফোন বিনা শুল্কে আনতে পারতেন। ফোন দুটি ব্যবহৃত নাকি নতুন, সেটি বিধিমালায় উল্লেখ ছিল না। তবে নতুন বিধিমালায় সেটি স্পষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাত্রী তিনটি মোবাইল ফোন আনতে পারবেন। এর মধ্যে দুটি ব্যবহৃত ফোন বিনা শুল্কে আনা যাবে। আর সঙ্গে একটি নতুন ফোনও আনা যাবে। তবে এর জন্য শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে।
এ ছাড়া মোবাইল আনা হলে শুল্ক-কর কত হবে, সেটিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ফোনের দাম অনুযায়ী ৫, ১০ ও ২৫ হাজার টাকা শুল্ক-কর নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্যাগেজ বিধিমালার আরেকটি পরিবর্তন হলো, ১২ বছরের কম বয়সী কোনো যাত্রী স্বর্ণবার ও স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবে না। আগের বিধিমালায় এটি সুস্পষ্ট না থাকার কারণে যেকোনো বয়সী যাত্রীই স্বর্ণ আনতে পারতেন।
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, ১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী একজন যাত্রী ৬৫ কেজির ব্যাগেজ শুল্ক-কর ছাড়া খালাস করতে পারবেন। তবে ১২ বছরের কম বয়সীর জন্য এই সুবিধা ৪০ কেজি পর্যন্ত।
বিদেশ থেকে যা যা আনা যাবে
নতুন ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায়, শুল্ক-কর পরিশোধ করে ১২টি পণ্য এবং শুল্ক-কর ছাড়া ২৬ ধরনের পণ্য আনার সুযোগ রয়েছে। আবার বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ১ লিটার মদ (অ্যালকোহল) শুল্ক-কর ছাড়া আনতে পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের সেই সুযোগ নেই।
শুল্ক-কর পরিশোধ করে যে ১২টি পণ্য আনা যাবে
১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার। এর জন্য ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর দিতে হবে।
২০ তোলা রৌপ্যবার
৩০ ইঞ্চি ও তদূর্ধ্ব টেলিভিশন
একটি নতুন সেলফোন
হোম থিয়েটার
রেফ্রিজারেটর
এয়ার কন্ডিশনার (এসি)
ডিশ অ্যানটেনা
ক্যামেরা
ঝাড়বাতি
ডিশওয়াশার
ওয়াশিং মেশিন
ক্লথ ড্রায়ার
এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে এয়ার গান আনা যাবে।
বিনা শুল্কে যে ২৬টি পণ্য আনা যাবে
১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার
২০০ গ্রাম রুপার অলংকার
দুটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন
২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন
ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ
কম্পিউটার স্ক্যানার
প্রিন্টার
ফ্যাক্স মেশিন
ভিডিও ক্যামেরা
ডিজিটাল ক্যামেরা
১৯ ইঞ্চি পর্যন্ত এলসিডি মনিটর
ওভেন
রাইসকুকার
সেলাই মেশিন
সিলিং ফ্যান
এক কার্টন (২০০ শলাকা) সিগারেট
টেলিফোন সেট
টোস্টার, স্যান্ডউইচ মেকার, ব্লেন্ডার, ফুড প্রসেসর, জুসার বা কফি মেকার
টাইপরাইটার
ভিসিআর/ভিসিপি
ক্যাসেট প্লেয়ার
ডিস্কম্যান/ওয়াকম্যান
বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার
সর্বোচ্চ চারটি স্পিকারসহ মিউজিক সেন্টার
১৯ ইঞ্চি এলসিডি কম্পিউটার মনিটর
সর্বোচ্চ ১৫ বর্গমিটার আয়তনের কার্পেট
নতুন ব্যাগেজ নীতিমালা নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে:
বাজেট ২০২৪–২৫ সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের দিন ব্যাগেজ বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণের বার ও সিগারেট আনার ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এতে যুক্ত করা হয়েছে। ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে এসব জিনিসপত্র আনার সুবিধা বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।
ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। এক যুগ ধরে বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালায়, বিদেশফেরত একজন যাত্রীর বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার আনার সুবিধা দেওয়া রয়েছে। নতুন বিধিমালায় সেই সুবিধা বহাল থাকছে, তবে এবার স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘স্বর্ণালংকার অর্থ ২২ বা তার চেয়ে কম ক্যারেটের স্বর্ণে তৈরি নকশাখচিত ও পরিধানযোগ্য অলংকার।’ ফলে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণবার গলিয়ে যেনতেনভাবে চুড়ি বানিয়ে আনার সুযোগ আর থাকছে না।
মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি দিতে স্বর্ণালংকারের মধ্যে অলংকারের মতো দেখতে অপরিশোধিত স্বর্ণ (২৪ ক্যারেট) আনার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী।
দেশে প্রতি তোলা স্বর্ণবারের শুল্ক-কর ৪ হাজার টাকা। সে হিসাবে ১০০ গ্রাম বা প্রায় সাড়ে ৮ তোলা স্বর্ণবার দিয়ে বানানো চুড়ির শুল্ক-কর ৩৪ হাজার ২৯৩ টাকা। আগের লাগেজ বিধিমালায় ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার আনায় শুল্ক-কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে, এভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণের বার আনলেও স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা না থাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকত না।
বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন আনার অনুমতির ক্ষেত্রেও নতুন বিধিমালায় একটি বিষয় সুস্পষ্ট করা হয়েছে। আগের নীতিমালায় বিদেশফেরত যাত্রী দুটি মোবাইল ফোন বিনা শুল্কে আনতে পারতেন। ফোন দুটি ব্যবহৃত নাকি নতুন, সেটি বিধিমালায় উল্লেখ ছিল না। তবে নতুন বিধিমালায় সেটি স্পষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাত্রী তিনটি মোবাইল ফোন আনতে পারবেন। এর মধ্যে দুটি ব্যবহৃত ফোন বিনা শুল্কে আনা যাবে। আর সঙ্গে একটি নতুন ফোনও আনা যাবে। তবে এর জন্য শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে।
এ ছাড়া মোবাইল আনা হলে শুল্ক-কর কত হবে, সেটিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ফোনের দাম অনুযায়ী ৫, ১০ ও ২৫ হাজার টাকা শুল্ক-কর নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্যাগেজ বিধিমালার আরেকটি পরিবর্তন হলো, ১২ বছরের কম বয়সী কোনো যাত্রী স্বর্ণবার ও স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবে না। আগের বিধিমালায় এটি সুস্পষ্ট না থাকার কারণে যেকোনো বয়সী যাত্রীই স্বর্ণ আনতে পারতেন।
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, ১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী একজন যাত্রী ৬৫ কেজির ব্যাগেজ শুল্ক-কর ছাড়া খালাস করতে পারবেন। তবে ১২ বছরের কম বয়সীর জন্য এই সুবিধা ৪০ কেজি পর্যন্ত।
বিদেশ থেকে যা যা আনা যাবে
নতুন ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায়, শুল্ক-কর পরিশোধ করে ১২টি পণ্য এবং শুল্ক-কর ছাড়া ২৬ ধরনের পণ্য আনার সুযোগ রয়েছে। আবার বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ১ লিটার মদ (অ্যালকোহল) শুল্ক-কর ছাড়া আনতে পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের সেই সুযোগ নেই।
শুল্ক-কর পরিশোধ করে যে ১২টি পণ্য আনা যাবে
১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার। এর জন্য ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর দিতে হবে।
২০ তোলা রৌপ্যবার
৩০ ইঞ্চি ও তদূর্ধ্ব টেলিভিশন
একটি নতুন সেলফোন
হোম থিয়েটার
রেফ্রিজারেটর
এয়ার কন্ডিশনার (এসি)
ডিশ অ্যানটেনা
ক্যামেরা
ঝাড়বাতি
ডিশওয়াশার
ওয়াশিং মেশিন
ক্লথ ড্রায়ার
এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে এয়ার গান আনা যাবে।
বিনা শুল্কে যে ২৬টি পণ্য আনা যাবে
১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার
২০০ গ্রাম রুপার অলংকার
দুটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন
২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন
ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ
কম্পিউটার স্ক্যানার
প্রিন্টার
ফ্যাক্স মেশিন
ভিডিও ক্যামেরা
ডিজিটাল ক্যামেরা
১৯ ইঞ্চি পর্যন্ত এলসিডি মনিটর
ওভেন
রাইসকুকার
সেলাই মেশিন
সিলিং ফ্যান
এক কার্টন (২০০ শলাকা) সিগারেট
টেলিফোন সেট
টোস্টার, স্যান্ডউইচ মেকার, ব্লেন্ডার, ফুড প্রসেসর, জুসার বা কফি মেকার
টাইপরাইটার
ভিসিআর/ভিসিপি
ক্যাসেট প্লেয়ার
ডিস্কম্যান/ওয়াকম্যান
বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার
সর্বোচ্চ চারটি স্পিকারসহ মিউজিক সেন্টার
১৯ ইঞ্চি এলসিডি কম্পিউটার মনিটর
সর্বোচ্চ ১৫ বর্গমিটার আয়তনের কার্পেট
নতুন ব্যাগেজ নীতিমালা নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে:
বাজেট ২০২৪–২৫ সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের দিন ব্যাগেজ বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণের বার ও সিগারেট আনার ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এতে যুক্ত করা হয়েছে। ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে এসব জিনিসপত্র আনার সুবিধা বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।
ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। এক যুগ ধরে বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালায়, বিদেশফেরত একজন যাত্রীর বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার আনার সুবিধা দেওয়া রয়েছে। নতুন বিধিমালায় সেই সুবিধা বহাল থাকছে, তবে এবার স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘স্বর্ণালংকার অর্থ ২২ বা তার চেয়ে কম ক্যারেটের স্বর্ণে তৈরি নকশাখচিত ও পরিধানযোগ্য অলংকার।’ ফলে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণবার গলিয়ে যেনতেনভাবে চুড়ি বানিয়ে আনার সুযোগ আর থাকছে না।
মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি দিতে স্বর্ণালংকারের মধ্যে অলংকারের মতো দেখতে অপরিশোধিত স্বর্ণ (২৪ ক্যারেট) আনার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী।
দেশে প্রতি তোলা স্বর্ণবারের শুল্ক-কর ৪ হাজার টাকা। সে হিসাবে ১০০ গ্রাম বা প্রায় সাড়ে ৮ তোলা স্বর্ণবার দিয়ে বানানো চুড়ির শুল্ক-কর ৩৪ হাজার ২৯৩ টাকা। আগের লাগেজ বিধিমালায় ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার আনায় শুল্ক-কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে, এভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণের বার আনলেও স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা না থাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকত না।
বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন আনার অনুমতির ক্ষেত্রেও নতুন বিধিমালায় একটি বিষয় সুস্পষ্ট করা হয়েছে। আগের নীতিমালায় বিদেশফেরত যাত্রী দুটি মোবাইল ফোন বিনা শুল্কে আনতে পারতেন। ফোন দুটি ব্যবহৃত নাকি নতুন, সেটি বিধিমালায় উল্লেখ ছিল না। তবে নতুন বিধিমালায় সেটি স্পষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাত্রী তিনটি মোবাইল ফোন আনতে পারবেন। এর মধ্যে দুটি ব্যবহৃত ফোন বিনা শুল্কে আনা যাবে। আর সঙ্গে একটি নতুন ফোনও আনা যাবে। তবে এর জন্য শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে।
এ ছাড়া মোবাইল আনা হলে শুল্ক-কর কত হবে, সেটিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ফোনের দাম অনুযায়ী ৫, ১০ ও ২৫ হাজার টাকা শুল্ক-কর নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্যাগেজ বিধিমালার আরেকটি পরিবর্তন হলো, ১২ বছরের কম বয়সী কোনো যাত্রী স্বর্ণবার ও স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবে না। আগের বিধিমালায় এটি সুস্পষ্ট না থাকার কারণে যেকোনো বয়সী যাত্রীই স্বর্ণ আনতে পারতেন।
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, ১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী একজন যাত্রী ৬৫ কেজির ব্যাগেজ শুল্ক-কর ছাড়া খালাস করতে পারবেন। তবে ১২ বছরের কম বয়সীর জন্য এই সুবিধা ৪০ কেজি পর্যন্ত।
বিদেশ থেকে যা যা আনা যাবে
নতুন ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায়, শুল্ক-কর পরিশোধ করে ১২টি পণ্য এবং শুল্ক-কর ছাড়া ২৬ ধরনের পণ্য আনার সুযোগ রয়েছে। আবার বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ১ লিটার মদ (অ্যালকোহল) শুল্ক-কর ছাড়া আনতে পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের সেই সুযোগ নেই।
শুল্ক-কর পরিশোধ করে যে ১২টি পণ্য আনা যাবে
১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার। এর জন্য ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর দিতে হবে।
২০ তোলা রৌপ্যবার
৩০ ইঞ্চি ও তদূর্ধ্ব টেলিভিশন
একটি নতুন সেলফোন
হোম থিয়েটার
রেফ্রিজারেটর
এয়ার কন্ডিশনার (এসি)
ডিশ অ্যানটেনা
ক্যামেরা
ঝাড়বাতি
ডিশওয়াশার
ওয়াশিং মেশিন
ক্লথ ড্রায়ার
এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে এয়ার গান আনা যাবে।
বিনা শুল্কে যে ২৬টি পণ্য আনা যাবে
১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার
২০০ গ্রাম রুপার অলংকার
দুটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন
২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন
ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ
কম্পিউটার স্ক্যানার
প্রিন্টার
ফ্যাক্স মেশিন
ভিডিও ক্যামেরা
ডিজিটাল ক্যামেরা
১৯ ইঞ্চি পর্যন্ত এলসিডি মনিটর
ওভেন
রাইসকুকার
সেলাই মেশিন
সিলিং ফ্যান
এক কার্টন (২০০ শলাকা) সিগারেট
টেলিফোন সেট
টোস্টার, স্যান্ডউইচ মেকার, ব্লেন্ডার, ফুড প্রসেসর, জুসার বা কফি মেকার
টাইপরাইটার
ভিসিআর/ভিসিপি
ক্যাসেট প্লেয়ার
ডিস্কম্যান/ওয়াকম্যান
বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার
সর্বোচ্চ চারটি স্পিকারসহ মিউজিক সেন্টার
১৯ ইঞ্চি এলসিডি কম্পিউটার মনিটর
সর্বোচ্চ ১৫ বর্গমিটার আয়তনের কার্পেট
নতুন ব্যাগেজ নীতিমালা নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে:
বাজেট ২০২৪–২৫ সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের দিন ব্যাগেজ বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণের বার ও সিগারেট আনার ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এতে যুক্ত করা হয়েছে। ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে এসব জিনিসপত্র আনার সুবিধা বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।
ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। এক যুগ ধরে বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালায়, বিদেশফেরত একজন যাত্রীর বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার আনার সুবিধা দেওয়া রয়েছে। নতুন বিধিমালায় সেই সুবিধা বহাল থাকছে, তবে এবার স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘স্বর্ণালংকার অর্থ ২২ বা তার চেয়ে কম ক্যারেটের স্বর্ণে তৈরি নকশাখচিত ও পরিধানযোগ্য অলংকার।’ ফলে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণবার গলিয়ে যেনতেনভাবে চুড়ি বানিয়ে আনার সুযোগ আর থাকছে না।
মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি দিতে স্বর্ণালংকারের মধ্যে অলংকারের মতো দেখতে অপরিশোধিত স্বর্ণ (২৪ ক্যারেট) আনার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাগেজ বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী।
দেশে প্রতি তোলা স্বর্ণবারের শুল্ক-কর ৪ হাজার টাকা। সে হিসাবে ১০০ গ্রাম বা প্রায় সাড়ে ৮ তোলা স্বর্ণবার দিয়ে বানানো চুড়ির শুল্ক-কর ৩৪ হাজার ২৯৩ টাকা। আগের লাগেজ বিধিমালায় ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার আনায় শুল্ক-কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে, এভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণের বার আনলেও স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা না থাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকত না।
বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন আনার অনুমতির ক্ষেত্রেও নতুন বিধিমালায় একটি বিষয় সুস্পষ্ট করা হয়েছে। আগের নীতিমালায় বিদেশফেরত যাত্রী দুটি মোবাইল ফোন বিনা শুল্কে আনতে পারতেন। ফোন দুটি ব্যবহৃত নাকি নতুন, সেটি বিধিমালায় উল্লেখ ছিল না। তবে নতুন বিধিমালায় সেটি স্পষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাত্রী তিনটি মোবাইল ফোন আনতে পারবেন। এর মধ্যে দুটি ব্যবহৃত ফোন বিনা শুল্কে আনা যাবে। আর সঙ্গে একটি নতুন ফোনও আনা যাবে। তবে এর জন্য শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে।
এ ছাড়া মোবাইল আনা হলে শুল্ক-কর কত হবে, সেটিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ফোনের দাম অনুযায়ী ৫, ১০ ও ২৫ হাজার টাকা শুল্ক-কর নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্যাগেজ বিধিমালার আরেকটি পরিবর্তন হলো, ১২ বছরের কম বয়সী কোনো যাত্রী স্বর্ণবার ও স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবে না। আগের বিধিমালায় এটি সুস্পষ্ট না থাকার কারণে যেকোনো বয়সী যাত্রীই স্বর্ণ আনতে পারতেন।
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, ১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী একজন যাত্রী ৬৫ কেজির ব্যাগেজ শুল্ক-কর ছাড়া খালাস করতে পারবেন। তবে ১২ বছরের কম বয়সীর জন্য এই সুবিধা ৪০ কেজি পর্যন্ত।
বিদেশ থেকে যা যা আনা যাবে
নতুন ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায়, শুল্ক-কর পরিশোধ করে ১২টি পণ্য এবং শুল্ক-কর ছাড়া ২৬ ধরনের পণ্য আনার সুযোগ রয়েছে। আবার বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ১ লিটার মদ (অ্যালকোহল) শুল্ক-কর ছাড়া আনতে পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের সেই সুযোগ নেই।
শুল্ক-কর পরিশোধ করে যে ১২টি পণ্য আনা যাবে
১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার। এর জন্য ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর দিতে হবে।
২০ তোলা রৌপ্যবার
৩০ ইঞ্চি ও তদূর্ধ্ব টেলিভিশন
একটি নতুন সেলফোন
হোম থিয়েটার
রেফ্রিজারেটর
এয়ার কন্ডিশনার (এসি)
ডিশ অ্যানটেনা
ক্যামেরা
ঝাড়বাতি
ডিশওয়াশার
ওয়াশিং মেশিন
ক্লথ ড্রায়ার
এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে এয়ার গান আনা যাবে।
বিনা শুল্কে যে ২৬টি পণ্য আনা যাবে
১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার
২০০ গ্রাম রুপার অলংকার
দুটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন
২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন
ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ
কম্পিউটার স্ক্যানার
প্রিন্টার
ফ্যাক্স মেশিন
ভিডিও ক্যামেরা
ডিজিটাল ক্যামেরা
১৯ ইঞ্চি পর্যন্ত এলসিডি মনিটর
ওভেন
রাইসকুকার
সেলাই মেশিন
সিলিং ফ্যান
এক কার্টন (২০০ শলাকা) সিগারেট
টেলিফোন সেট
টোস্টার, স্যান্ডউইচ মেকার, ব্লেন্ডার, ফুড প্রসেসর, জুসার বা কফি মেকার
টাইপরাইটার
ভিসিআর/ভিসিপি
ক্যাসেট প্লেয়ার
ডিস্কম্যান/ওয়াকম্যান
বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার
সর্বোচ্চ চারটি স্পিকারসহ মিউজিক সেন্টার
১৯ ইঞ্চি এলসিডি কম্পিউটার মনিটর
সর্বোচ্চ ১৫ বর্গমিটার আয়তনের কার্পেট
নতুন ব্যাগেজ নীতিমালা নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে:
বাজেট ২০২৪–২৫ সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের দিন ব্যাগেজ বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণের বার ও সিগারেট আনার ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এতে যুক্ত করা হয়েছে। ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে এসব জিনিসপত্র আনার সুবি
০৮ জুন ২০২৪
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের দিন ব্যাগেজ বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণের বার ও সিগারেট আনার ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এতে যুক্ত করা হয়েছে। ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে এসব জিনিসপত্র আনার সুবি
০৮ জুন ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের দিন ব্যাগেজ বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণের বার ও সিগারেট আনার ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এতে যুক্ত করা হয়েছে। ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে এসব জিনিসপত্র আনার সুবি
০৮ জুন ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের দিন ব্যাগেজ বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণের বার ও সিগারেট আনার ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা এতে যুক্ত করা হয়েছে। ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে এসব জিনিসপত্র আনার সুবি
০৮ জুন ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে