জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ব্যাংক থেকে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) উইল (সম্প্রদান) করে ভারতে চলে গেছে এক ব্যবসায়ী দম্পতি। তাঁরা হলেন নওগাঁর জেএন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোপাল আগরওয়ালা ও চেয়ারম্যান দীপা আগরওয়ালা। ওই দুটি প্রতিষ্ঠানে জমি বন্ধক রেখে এই ঋণ দিয়েছিল বেসরকারি সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা। অনাদায়ি এই ঋণ সুদে-আসলে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরেকটি বেসরকারি ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় এই দুই প্রতিষ্ঠানের নামের হিসাবে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বেশ কিছু সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের একটি অংশ পাচার হয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকে বন্ধক রাখা সম্পত্তি উইল করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি সরাসরি আইনের লঙ্ঘন। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
আইনজীবীরা বলছেন, বন্ধকি সম্পত্তি থেকে ঋণ সমন্বয়ের আইনি অধিকার ব্যাংকের রয়েছে। জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোজাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, ঋণের বিপরীতে রাখা বন্ধকি সম্পত্তি উইল করা বেআইনি। সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫৩(ডি) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংকের লিখিত অনুমতি ছাড়া বন্ধকি সম্পত্তি হস্তান্তরের কোনো সুযোগ নেই। ব্যাংক বন্ধকি সম্পত্তি থেকে ঋণ সমন্বয় করবে, এটিই নিয়ম।
বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ৫ মার্চ গোপাল আগরওয়ালা ও দীপা আগরওয়ালা দম্পতি তাঁদের প্রতিষ্ঠান জেএন ইন্ডাস্ট্রির নামে সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় একটি চলতি হিসাব (নং ১১১-২৮৭) খোলেন। ওই হিসাবে ব্যাংকটির নোয়াখালীর চৌমুহনী ও ফেনী শাখা থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ জমা হয় এবং গ্রাহক পরের কার্যদিবসে ওই টাকা তুলে ফেলেন। একইভাবে ২০১৮ সালের ৩০ মে এবং ১১ জুলাই যথাক্রমে ১৫ লাখ ৬০ হাজার এবং ২৬ লাখ টাকা চেক দিয়ে তোলা হয়। একই বছরের ২ এপ্রিল ওই হিসাবে গ্রাহকের মেয়াদি ঋণ (নং ৭১২-৩২) থেকে ১৫ কোটি টাকা স্থানান্তর করে সেদিনই চারটি চেকের মাধ্যমে টাকা তুলে নেন গ্রাহক। এভাবে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ওই হিসাবে টাকা স্থানান্তর এবং চেক দিয়ে টাকা তোলা হয়। একই প্রতিষ্ঠানের নামে সাউথইস্ট ব্যাংকের ঢাকার শ্যামলী শাখা থেকে ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দলকে ওই ঋণপত্রের বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি ব্যাংকটি। পরিদর্শক দল বিষয়টিকে অসংগতি বলে উল্লেখ করে এবং ঋণপত্রের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে বলে সন্দেহ পোষণ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০১৬ সালের ৯ জুন ৭৫ কোটি টাকা চলতি ঋণের (সিসি) আবেদন করে। সেদিনই শাখা থেকে ওই গ্রাহকের ৬০ কোটি টাকার ওভারড্রাফট ও ১০ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অনুমোদনের জন্য ব্যাংকটির করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশনে পাঠানো হয়। এতে গ্রাহকের নামে থাকা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় ৪০ কোটি টাকার সিসি ও ৫ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অধিগ্রহণের জন্য ৬০ কোটি টাকার ওভারড্রাফটের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণসীমা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। ওই আবেদনের অনুকূলে সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় একই বছরের ২১ জুলাই অভ্যন্তরীণ ঋণসীমাসহ ৫০ কোটি টাকার ওভারড্রাফট ও ১০ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অনুমোদন করে। প্রধান কার্যালয় থেকে ১ সেপ্টেম্বর মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় গ্রাহকের নামে থাকা ৪৫ কোটি টাকার সিসি ও ৮ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এই ঋণের জামানত হিসেবে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গোপাল আগরওয়ালার মালিকানাধীন ৪৩৪ শতাংশ জমি বন্ধকের শর্ত দেওয়া হয়। জরিপ ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সম্পত্তির মোট মূল্য ৬০ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং তাৎক্ষণিক বিক্রয়মূল্য ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জে এন ইন্ডাস্ট্রিজ ও শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের নামে বিভিন্ন সময়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা থেকে আরও ৫৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। তবে এই ব্যবসায়ী দম্পতি ঋণ পরিশোধ না করেই ২০১৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চলে যায়।
সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেএন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের এমডি গোপাল ও চেয়ারম্যান দীপা আগরওয়ালা কৌশলে ব্যাংকে বন্ধকি সম্পত্তি ইসকনের নামে উইল করে দেশত্যাগ করেছেন। বর্তমানে সেই ঋণ খেলাপি এবং সুদাসলসহ অনাদায়ী পাওনা ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এখন সরকার বদলের পর এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই জানে।
জানতে চাইলে সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখার ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘গোপাল আগরওয়ালা দম্পতির প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণ এবং প্রশ্নবিদ্ধ লেনদেনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’ ওই ঋণ খেলাপি কি না এবং স্থিতি কত, জানতে চাইলে তিনি গ্রাহকের সব তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বন্ধকি সম্পত্তি ইসকনকে উইল করে দেওয়ায় কীভাবে এই ঋণ সমন্বয় হবে—জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি।
ওই ঋণের সামগ্রিক বিষয়ে জানতে সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দীন মো. সাদেক হোসাইনকে গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকবার মোবাইলে কল করা হলে ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই প্রতিষ্ঠানের নামে সাউথইস্ট ব্যাংকের শ্যামলী শাখার ২০১৭ সালের ১২ মার্চ নিষ্পত্তি করা ঋণপত্রের বিপরীতে ৬ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলারের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। ট্রাকের রসিদ ও কমার্শিয়াল ইনভয়েসের তথ্য অনুযায়ী, পণ্য সরবরাহকারীর ঠিকানা ভারতের কলকাতা; কিন্তু ঋণপত্রের অর্থ পাঠানো হয় মুম্বাইয়ে।
বিএফআইইউর প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ওভারড্রাফট বা ওডি করে ৪৭ কোটি টাকার পে-অর্ডার (নং ১৬২৭৩২৫) ইস্যু করে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় গোপাল আগরওয়ালা দম্পতির প্রতিষ্ঠানের চলতি ঋণ পরিশোধ করা হয়। ২০১৭ সালের ২ জুলাই গ্রাহকের নামে মেয়াদি ঋণ খুলে ১০ কোটি টাকা দিয়ে ওডি হিসাবের কিছু দায় সমন্বয় করা হয়। ওই ব্যাংকে আগরওয়ালা দম্পতির প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু লেনদেনকে সন্দেহজনক বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
জানতে চাইলে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নওগাঁ শাখার ব্যবস্থাপক মিল্টন গতকাল মোবাইল ফোনে বলেন, সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে তাঁর জানা নেই। তবে ব্যাংকটির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, গোপাল আগরওয়ালা দম্পতির ওই দুই প্রতিষ্ঠানের হিসাব নম্বরে অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়ে বিএফআইইউ নওগাঁ শাখা পরিদর্শন করেছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১২-১৯ সাল পর্যন্ত সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় আগরওয়ালা দম্পতির প্রতিষ্ঠানের হিসাবে মোট জমা ও উত্তোলনের পরিমাণ যথাক্রমে ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ এবং ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ২০২০ সালে বিএফআইইউর পরিদর্শনের সময় ওই হিসাব দীর্ঘ সময় লেনদেনহীন (ডরম্যান্ট) দেখা যায়।

ব্যাংক থেকে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) উইল (সম্প্রদান) করে ভারতে চলে গেছে এক ব্যবসায়ী দম্পতি। তাঁরা হলেন নওগাঁর জেএন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোপাল আগরওয়ালা ও চেয়ারম্যান দীপা আগরওয়ালা। ওই দুটি প্রতিষ্ঠানে জমি বন্ধক রেখে এই ঋণ দিয়েছিল বেসরকারি সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা। অনাদায়ি এই ঋণ সুদে-আসলে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরেকটি বেসরকারি ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় এই দুই প্রতিষ্ঠানের নামের হিসাবে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বেশ কিছু সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের একটি অংশ পাচার হয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকে বন্ধক রাখা সম্পত্তি উইল করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি সরাসরি আইনের লঙ্ঘন। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
আইনজীবীরা বলছেন, বন্ধকি সম্পত্তি থেকে ঋণ সমন্বয়ের আইনি অধিকার ব্যাংকের রয়েছে। জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোজাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, ঋণের বিপরীতে রাখা বন্ধকি সম্পত্তি উইল করা বেআইনি। সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫৩(ডি) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংকের লিখিত অনুমতি ছাড়া বন্ধকি সম্পত্তি হস্তান্তরের কোনো সুযোগ নেই। ব্যাংক বন্ধকি সম্পত্তি থেকে ঋণ সমন্বয় করবে, এটিই নিয়ম।
বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ৫ মার্চ গোপাল আগরওয়ালা ও দীপা আগরওয়ালা দম্পতি তাঁদের প্রতিষ্ঠান জেএন ইন্ডাস্ট্রির নামে সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় একটি চলতি হিসাব (নং ১১১-২৮৭) খোলেন। ওই হিসাবে ব্যাংকটির নোয়াখালীর চৌমুহনী ও ফেনী শাখা থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ জমা হয় এবং গ্রাহক পরের কার্যদিবসে ওই টাকা তুলে ফেলেন। একইভাবে ২০১৮ সালের ৩০ মে এবং ১১ জুলাই যথাক্রমে ১৫ লাখ ৬০ হাজার এবং ২৬ লাখ টাকা চেক দিয়ে তোলা হয়। একই বছরের ২ এপ্রিল ওই হিসাবে গ্রাহকের মেয়াদি ঋণ (নং ৭১২-৩২) থেকে ১৫ কোটি টাকা স্থানান্তর করে সেদিনই চারটি চেকের মাধ্যমে টাকা তুলে নেন গ্রাহক। এভাবে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ওই হিসাবে টাকা স্থানান্তর এবং চেক দিয়ে টাকা তোলা হয়। একই প্রতিষ্ঠানের নামে সাউথইস্ট ব্যাংকের ঢাকার শ্যামলী শাখা থেকে ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দলকে ওই ঋণপত্রের বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি ব্যাংকটি। পরিদর্শক দল বিষয়টিকে অসংগতি বলে উল্লেখ করে এবং ঋণপত্রের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে বলে সন্দেহ পোষণ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০১৬ সালের ৯ জুন ৭৫ কোটি টাকা চলতি ঋণের (সিসি) আবেদন করে। সেদিনই শাখা থেকে ওই গ্রাহকের ৬০ কোটি টাকার ওভারড্রাফট ও ১০ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অনুমোদনের জন্য ব্যাংকটির করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশনে পাঠানো হয়। এতে গ্রাহকের নামে থাকা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় ৪০ কোটি টাকার সিসি ও ৫ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অধিগ্রহণের জন্য ৬০ কোটি টাকার ওভারড্রাফটের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণসীমা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। ওই আবেদনের অনুকূলে সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় একই বছরের ২১ জুলাই অভ্যন্তরীণ ঋণসীমাসহ ৫০ কোটি টাকার ওভারড্রাফট ও ১০ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অনুমোদন করে। প্রধান কার্যালয় থেকে ১ সেপ্টেম্বর মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় গ্রাহকের নামে থাকা ৪৫ কোটি টাকার সিসি ও ৮ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এই ঋণের জামানত হিসেবে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গোপাল আগরওয়ালার মালিকানাধীন ৪৩৪ শতাংশ জমি বন্ধকের শর্ত দেওয়া হয়। জরিপ ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সম্পত্তির মোট মূল্য ৬০ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং তাৎক্ষণিক বিক্রয়মূল্য ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জে এন ইন্ডাস্ট্রিজ ও শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের নামে বিভিন্ন সময়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা থেকে আরও ৫৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। তবে এই ব্যবসায়ী দম্পতি ঋণ পরিশোধ না করেই ২০১৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চলে যায়।
সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেএন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের এমডি গোপাল ও চেয়ারম্যান দীপা আগরওয়ালা কৌশলে ব্যাংকে বন্ধকি সম্পত্তি ইসকনের নামে উইল করে দেশত্যাগ করেছেন। বর্তমানে সেই ঋণ খেলাপি এবং সুদাসলসহ অনাদায়ী পাওনা ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এখন সরকার বদলের পর এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই জানে।
জানতে চাইলে সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখার ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘গোপাল আগরওয়ালা দম্পতির প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণ এবং প্রশ্নবিদ্ধ লেনদেনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’ ওই ঋণ খেলাপি কি না এবং স্থিতি কত, জানতে চাইলে তিনি গ্রাহকের সব তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বন্ধকি সম্পত্তি ইসকনকে উইল করে দেওয়ায় কীভাবে এই ঋণ সমন্বয় হবে—জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি।
ওই ঋণের সামগ্রিক বিষয়ে জানতে সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দীন মো. সাদেক হোসাইনকে গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকবার মোবাইলে কল করা হলে ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই প্রতিষ্ঠানের নামে সাউথইস্ট ব্যাংকের শ্যামলী শাখার ২০১৭ সালের ১২ মার্চ নিষ্পত্তি করা ঋণপত্রের বিপরীতে ৬ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলারের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। ট্রাকের রসিদ ও কমার্শিয়াল ইনভয়েসের তথ্য অনুযায়ী, পণ্য সরবরাহকারীর ঠিকানা ভারতের কলকাতা; কিন্তু ঋণপত্রের অর্থ পাঠানো হয় মুম্বাইয়ে।
বিএফআইইউর প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ওভারড্রাফট বা ওডি করে ৪৭ কোটি টাকার পে-অর্ডার (নং ১৬২৭৩২৫) ইস্যু করে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় গোপাল আগরওয়ালা দম্পতির প্রতিষ্ঠানের চলতি ঋণ পরিশোধ করা হয়। ২০১৭ সালের ২ জুলাই গ্রাহকের নামে মেয়াদি ঋণ খুলে ১০ কোটি টাকা দিয়ে ওডি হিসাবের কিছু দায় সমন্বয় করা হয়। ওই ব্যাংকে আগরওয়ালা দম্পতির প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু লেনদেনকে সন্দেহজনক বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
জানতে চাইলে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নওগাঁ শাখার ব্যবস্থাপক মিল্টন গতকাল মোবাইল ফোনে বলেন, সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে তাঁর জানা নেই। তবে ব্যাংকটির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, গোপাল আগরওয়ালা দম্পতির ওই দুই প্রতিষ্ঠানের হিসাব নম্বরে অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়ে বিএফআইইউ নওগাঁ শাখা পরিদর্শন করেছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১২-১৯ সাল পর্যন্ত সাউথইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখায় আগরওয়ালা দম্পতির প্রতিষ্ঠানের হিসাবে মোট জমা ও উত্তোলনের পরিমাণ যথাক্রমে ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ এবং ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ২০২০ সালে বিএফআইইউর পরিদর্শনের সময় ওই হিসাব দীর্ঘ সময় লেনদেনহীন (ডরম্যান্ট) দেখা যায়।

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেটঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

ব্যাংক থেকে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) উইল (সম্প্রদান) করে ভারতে চলে গেছে এক ব্যবসায়ী দম্পতি। তাঁরা হলেন নওগাঁর জেএন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোপাল আগরওয়ালা ও চেয়ারম্যান দীপা আগরওয়ালা। ওই দুটি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ব্যাংক থেকে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) উইল (সম্প্রদান) করে ভারতে চলে গেছে এক ব্যবসায়ী দম্পতি। তাঁরা হলেন নওগাঁর জেএন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোপাল আগরওয়ালা ও চেয়ারম্যান দীপা আগরওয়ালা। ওই দুটি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

ব্যাংক থেকে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) উইল (সম্প্রদান) করে ভারতে চলে গেছে এক ব্যবসায়ী দম্পতি। তাঁরা হলেন নওগাঁর জেএন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোপাল আগরওয়ালা ও চেয়ারম্যান দীপা আগরওয়ালা। ওই দুটি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ব্যাংক থেকে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) উইল (সম্প্রদান) করে ভারতে চলে গেছে এক ব্যবসায়ী দম্পতি। তাঁরা হলেন নওগাঁর জেএন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোপাল আগরওয়ালা ও চেয়ারম্যান দীপা আগরওয়ালা। ওই দুটি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে