Ajker Patrika

গাংনী হাসপাতালে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সরঞ্জাম, রোগীরা ছুটছেন ক্লিনিকে

রাকিবুল ইসলাম (গাংনী) মেহেরপুর
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৬: ২৪
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধুলাবালিতে ঢেকে পড়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। কোথাও কোথাও ধরেছে মরিচাও। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধুলাবালিতে ঢেকে পড়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। কোথাও কোথাও ধরেছে মরিচাও। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক ও জনবল-সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার ও এক্স-রে কার্যক্রম। এতে ব্যবহার না হওয়ায় কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জামে জমছে ধুলাবালি, কোথাও কোথাও ধরেছে মরিচাও। সরঞ্জাম থাকলেও চিকিৎসাসেবা না মেলায় ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। বাধ্য হয়ে তারা চড়া খরচে ছুটছে বেসরকারি ক্লিনিকে। বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগীদের বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়। দীর্ঘদিন এক্স-রে মেশিন ও অপারেশন বন্ধ থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গাংনী উপজেলার মানুষ।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে ১৯৬৩ সালে ৩১ শয্যার এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৬ সালে এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় এবং ২০১৭ সাল থেকে নতুন ভবনে কার্যক্রম চালু হয়। কিন্তু বর্তমানে চার লাখেরও বেশি মানুষের সেবা দিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এক্স-রে মেশিন ও অপারেশন থিয়েটার থাকলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান না থাকায় সেগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অচল। ফলে মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাগর আহমেদ বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু জানলাম এখানে অপারেশন হয় না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে নিতে হয়েছে। সেখানে বেশি খরচ পড়েছে। যদি সরকারি হাসপাতালে সেবা পাওয়া যেত, তাহলে অনেকেই উপকৃত হতেন।’

সাবিনা খাতুন নামে একজন বলেন, ‘আমি সিজার করিয়েছি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। সরকারি হাসপাতালে হলে খরচ কম হতো। আমাদের মতো অসহায়দের জন্য সরকারি হাসপাতালই ভরসা, কিন্তু সেটা এখন বন্ধ হয়ে আছে।’

চিকিৎসা নিতে আসা আঁখি খাতুন বলেন, ‘সরঞ্জামগুলো দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। সবকিছুর ওপরে ধুলাবালি জমে গেছে। অনেক যন্ত্রপাতিতে মরিচাও ধরেছে। এভাবে পড়ে থাকলে একসময় একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে।’

স্থানীয় বাসিন্দা কাজল আহমেদ বলেন, ‘সরকারি এত দামি চিকিৎসা সরঞ্জাম ধ্বংস হচ্ছে, অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। এটা বড় রকমের অবহেলা।’

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সূত্র জানায়, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট পদ রয়েছে ১০৭টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৬৫ জন। শূন্য রয়েছে ৪২টি পদ। চিকিৎসক পদ রয়েছে ২১টি, আছে ৮ জন। নার্সের পদ রয়েছে ৩০টি, আছে ২৯ জন, শূন্য রয়েছে একটি। ওয়ার্ড বয় তিনজনের মধ্যে আছেন একজন। ফার্মাসিস্ট মোট চারজন, আছে দুজন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঁচজনের মধ্যে আছে একজন। পিয়ন চারজনের মধ্যে আছে একজন। অফিস সহকারী তিনজনের একজনও নেই। নিরাপত্তাকর্মী দুজনের একজনও নেই। ওয়ার্ড বয় তিনজনের মধ্যে আছে একজন। এক্স-রে টেকনিশিয়ান একজন থাকার কথা, কিন্তু নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধুলাবালিতে ঢেকে পড়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। কোথাও কোথাও ধরেছে মরিচাও। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধুলাবালিতে ঢেকে পড়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। কোথাও কোথাও ধরেছে মরিচাও। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল আজিজ বলেন, ‘দীর্ঘদিন অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জারি ডাক্তার না থাকায় অপারেশন হচ্ছে না। ডাক্তারসহ যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধান হলে আমরা অতি দ্রুত অপারেশন শুরু করতে পারব। আমাদের সমস্যাগুলো অতি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক্স-রে মেশিন যিনি চালাতেন, তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে অবসরে গেছেন। তার পর থেকেই এক্স-রে বন্ধ আছে। আশা করছি অতি দ্রুত সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’

আরো পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ২২

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ২২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মদন সদর ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।

গুরুতর আহত হাইজুল মিয়া (৪০), আমিরুল ইসলাম (৪০), শফিউল্লাহ (৪২), জসীম মিয়া (৩৮) ও হুমায়ূন কবীরকে (৪৫) উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধনপুর গ্রামের মতিউর রহমানের লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের তাইজুল ইসলামের লোকজনের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এক মাস আগেও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

আজ সকালে পূর্ব বিরোধের জেরে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের ২২ জন আহত হয়েছেন।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নয়ন ঘোষ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মদন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশু কুমার বলেন, ‘ধনপুর গ্রামে জমি-সংক্রান্ত বিরোধে কয়েক দিন আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। আগের ঘটনায় মামলা চলমান। আজ সকালে আবার সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাহজাদপুরের হত্যা মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি   
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া এলাকা থেকে ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে র‍্যাব-১২-এর সদস্যরা অংশ নেন।

গ্রেপ্তার ওয়াজ আলী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া এলাকার মোকছেদ শেখের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সকালে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পোতাজিয়া গ্রামে মো. ওসমান গণি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এতে সাব্বির হোসেনসহ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত সাব্বির হোসেনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

এ ঘটনায় মো. ওসমান গণি বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট আদালত ওই মামলায় ওয়াজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পানছড়ি সীমান্তে ১১টি ভারতীয় গরুসহ আটক ১

পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি 
পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় গরুসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় গরুসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ১১টি ভারতীয় গরুসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ৩ বিজিবি লোগাং জোন অভিযান চালিয়ে গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে আটক করে।

আটক ব্যক্তির নাম রন্তু চাকমা (৩৮)। তিনি পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী শিবচরণ কার্বারিপাড়ার লিফ চরণ চাকমার ছেলে।

বিজিবি সূত্র জানায়, আজ ভোরে ৩ বিজিবির লোগাং বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার আবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টহল দল পানছড়ির হাতিমারা (সেগুনবাগান) এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় গরু ও একটি অবৈধ ওয়াকিটকিসহ এক চোরাকারবারিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে দুপুরে আটক চোরাকারবারি ও গরুগুলো পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ভারতীয় গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাছ লুট ও খেত নষ্টের অভিযোগ

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাছ লুট ও খেত নষ্টের অভিযোগ

বরিশালের মুলাদীতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মাছ লুটের পর পুকুরের বেড়া, জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিন সিকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জমির বিরোধের জেরে একই গ্রামের মামুন আকন ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে মাছ লুট করেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন সিকদার। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে জামাল সিকদার বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরাফাত জাহান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জামাল উদ্দিন সিকদার জানান, তিনি এলাকায় সার ও কীটনাশকের ব্যবসার পাশাপাশি বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ এবং বাড়িসংলগ্ন খেতে তরমুজ, খিরা ও ফুটি চাষ করেছেন। জমির বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মামুন আকনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢোকেন। দুর্বৃত্তরা ২-৩টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং তাঁর পুকুরের প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা পুকুরের বেড়া, খুঁটি ও জাল উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া বাড়িসংলগ্ন তরমুজ, খিরা ও ফুটিখেতের গাছ উপড়ে ফেলে তারা। ওই সময় জামাল উদ্দিন সিকদার ও তাঁর লোকজন বাধা দিতে গেলে তাঁদের হত্যা ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন হামলাকারীরা।

পরে শনিবার দুপুরে জামাল উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে মামুন আকন (৫০), দিদার আকন (৪০), জহিরুল আকন (৩৬), সুরুজ আকন (২৮), জহির রাঢ়ীসহ (৩৫) ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন।

জানতে চাইলে মামুন আকন মাছ লুট ও খেত নষ্টের কথা অস্বীকার করে বলেন, জমি উদ্ধার করতে শুক্রবার রাতে লোকজন নিয়ে মাছ ধরা হয়েছে এবং খেত পরিষ্কার করা হয়েছে।

মুলাদী থানার ওসি আরাফাত জাহান চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীর মাছ লুট ও তরমুজখেত নষ্টের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত