Ajker Patrika

গাজীপুর-৪ আসন: তাজউদ্দীনের মেয়ে ও ভাগনের মধ্যে লড়াই 

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩: ৫০
গাজীপুর-৪ আসন: তাজউদ্দীনের মেয়ে ও ভাগনের মধ্যে লড়াই 

গাজীপুর-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি। এবারও তিনি পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন সিমিনের ফুপাতো ভাই শিল্পপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা আলম আহমেদ। তবে, দলের মনোনয়ন না পেয়ে করছেন স্বতন্ত্র নির্বাচন। মানে মামাতো বোনের বিপক্ষে লড়বেন তিনি। 

উভয়ে এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে গণসংযোগ ও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আলোচনা ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ এবার প্রার্থী হবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন। 

তাজ পরিবারে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা ১৯৯১ সাল থেকে। সে বছর আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদের সহধর্মিণী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন। তাঁকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির প্রয়াত নেতা ব্রিগে. জেনারেল আ স ম হান্নান শাহ। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জোহরা তাজউদ্দীনের পরিবর্তে মনোনয়ন লাভ করেন তাজউদ্দীন আহমদের ছোট ভাই প্রয়াত আফসার উদ্দীন আহমেদ খান। তিনি আ স ম হান্নান শাহকে হারিয়ে জয়লাভ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

২০০১ সালের নির্বাচনে আফসার উদ্দীন খানের সঙ্গে দলীয় মনোনয়ন লাভের জন্য রাজনীতির মাঠে একেবারেই নতুন মুখ আসেন তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। মনোনয়ন লাভের লড়াইয়ে চাচাকে হারিয়ে দেন সোহেল তাজ। সেই নির্বাচনে সোহেল তাজ আ স ম হান্নান শাহকেও হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। সাড়ে তিন বছরের মাথায় সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদ ত্যাগ করেন। পরে ২০১২ সালে এখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সোহেল তাজের বড় বোন সিমিন হোসেন রিমিকে বেছে নেয় আওয়ামী লীগ। উপনির্বাচনে সিমিন হোসেন রিমি চাচা আফসার উদ্দীন আহমেদ খানকে হারিয়ে জয়লাভ করেন। পরে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে সিমিন হোসেন রিমি বিজয়ী হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রয়াত নেতা আ স ম হান্নান শাহর ছোট ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নানকে হারিয়ে সিমিন হোসেন রিমি আবার বিজয়ী হন। 

আসন্ন নির্বাচনে মামাতো-ফুপাতো ভাইবোন এখন এলাকায় ব্যাপকভাবে আলোচিত। তাঁরা উভয়ে নিজেদের এলাকার ও মানুষের উন্নয়নের জন্য যোগ্য এবং উপযুক্ত বলে মনে করেন। 

আলম আহমেদ বলেন, ‘আমি প্রায় এক যুগ ধরে কাপাসিয়ার প্রতিটি এলাকায়, গ্রামের আনাচে-কানাচে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে অংশ গ্রহণ করেছি। সব জাতীয় দিবসে এবং আওয়ামী লীগের সব দলীয় কর্মসূচি, জাতীয় শোক দিবস, জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী, শেখ রাসেল, শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসসহ সব দিবস কৃষক লীগের পক্ষে পালন করেছি। বিভিন্ন দিবসে আমি কাপাসিয়ায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে গণভোজ, আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে থাকি। কাপাসিয়ার মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাকে যোগ্য বলে মনে করে।’ 

সিমিন হোসেন বলেন, ‘আমি কাপাসিয়ার মানুষের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছি। বাংলাদেশে একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিসেবে কাপাসিয়া স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। গত সাত বছর যাবৎ মাতৃমৃত্যু শূন্য রয়েছে। আমি কাপাসিয়ায় ডায়াবেটিক হাসপাতাল স্থাপন করেছি। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অত্যন্ত পল্লি এলাকায় পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। করোনাকালে আমি মানুষের পাশে থেকেছি। করোনার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন হয়ে গেলে বেসরকারি হাসপাতালে নারী ও শিশুদের বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এমনকি শতাধিক নারীর সিজারের অপারেশন বিনা খরচে করার ব্যবস্থা করেছি। কাপাসিয়ার শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষার প্রসারে বই পড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, দলীয় নেতা-কর্মী এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমার এসব কর্ম অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের ভালোবাসা আমার বিজয়ের চাবিকাঠি।’ 

গাজীপুর-৪ কাপাসিয়া আসনে আটজন মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি। আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা আলম আহমেদ। জাকের পার্টির জুয়েল কবির, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুল হক, জাতীয় পার্টির সামসুদ্দিন খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মাসুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের সারোয়ার ই কায়নাত এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আব্দুর রউফ খান। 

এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৪৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২২টি, বুথ ৬০৪টি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাড়াটে খুনি দিয়ে হকারকে হত্যা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।

গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে হামলা: নিহত শান্তিরক্ষী শামীমের বাড়িতে কান্নার রোল

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।

নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা
শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।

শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’

বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’

স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত