Ajker Patrika

‘তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু, দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ’

বাগেরহাট প্রতিনিধি
সায়মন শমিত জিয়ন । ছবি: সংগৃহীত
সায়মন শমিত জিয়ন । ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ছাত্রশক্তি বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক সায়মন শমিত জিয়নকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়নের বাড়ির গেটে রেখা যাওয়া একটি চিরকুটে এই হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় পরদিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।

এদিকে আজ রোববার হুমকির চিরকুটটি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শেখ বাদশা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

জানতে চাইলে সায়মন শমিত জিয়ন বলেন, ২৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১টা ২৫ মিনিটে প্রতিদিনের মতো বাড়িতে ফেরার সময় তিনি বাড়ির মূল গেটের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা একটি চিরকুট দেখতে পান। কাগজটি খুলে দেখতে পান, সেখানে লেখা ছিল—‘সায়মন জিয়ন। তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু। দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ। জুলাই... জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’

চিরকুটের ভাষা ও হুমকির ধরন দেখে তাঁর ধারণা, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

সায়মন শমিত জিয়ন বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ে রাজপথে ছিলাম, গুলির মুখোমুখি হয়েই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন করেছি। এসব হুমকি-ধমকিতে আমরা ভয় পাই না। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। দেশের জন্য আমরা যে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও যে কাজ করব, তা অব্যাহত থাকবে।

‘কিছুদিন আগে জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি ভাইকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আজ জাতির কাছে একজন শহীদ। তিনি জুলাইকে ধারণ করেই শহীদ হয়েছেন, জুলাইকে বিক্রি করেননি। আমরাও সেই পথেই হাঁটতে চাই।’

সায়মন শমিত জিয়ন আরও বলেন, ‘হুমকির বিষয়টি আমি কিছু মনে না করলেও পরিবারের সবাই খুবই আতঙ্কে আছে।’

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিরকুটের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কার আরোহী যুবদল নেতা নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
নিহত আজম সোহেল। ছবি: সংগৃহীত
নিহত আজম সোহেল। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাইভেট কার আরোহী আজম সোহেল (৪০) নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে নগরের পতেঙ্গা থানাধীন চরপাড়া এলাকার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আজম সোহেল ইপিজেড থানা যুবদলের সদস্যসচিব এবং বন্দরটিলা এলাকার জাহাঙ্গীর সওদাগরের ছেলে।

ঘটনার বিষয়ে রোববার পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা আহমেদ জানান, রাতে সম্ভবত তিনি (সোহেল) পতেঙ্গা সি-বিচ এলাকা থেকে প্রাইভেট কার চালিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় কাঠগড় এলাকায় একটি চলন্ত লরির পেছনে ধাক্কা দেয় প্রাইভেট কারটি। এতে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে জিইসি মোড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরে সোহেলের লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাংনীতে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে জামায়াতের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা। তবে পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপির দাবি, জামায়াতের লোকজনের হামলায় তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছে।

জামায়াতের ভাষ্যমতে, হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন গাংনী উপজেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন বাবলু (৫৫), সারবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম রুবেল (৩৩), ভাটপাড়া ইউনিট বায়তুল মাল সম্পাদক সৌরভ হোসেন (৬৫) ও তাঁর ছেলে শিশির হোসেন (২৮)।

আলাউদ্দিন বাবলু ও সৌরভ হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  

আহত ব্যক্তিরা বলছেন, রোববার সকালে জামায়াতে ইসলামের স্থানীয় কয়েকজন নারী কর্মী ইয়ানতের টাকা উত্তোলন-সংক্রান্ত বিষয়ে দোকানমালিক সৌরভ হোসেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই সময় সেখানে স্থানীয় বিএনপির কর্মী জামাল ইয়ানত ও ভোট প্রসঙ্গ তুললে উভয় পক্ষ তর্কে জড়িয়ে যায়। পরে সৌরভ হোসেন ও তাঁর ছেলে শিশিরকে কয়েকজন বিএনপির কর্মী মারধর করেন। সৌরভ বিষয়টি জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের জানালে দলের কয়েকজন সেখানে আসেন। তখন বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাংনী উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। এতে আমাদের চারজন আহত হন। তাঁরা (হামলাকারী) নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।’

তবে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, এখানে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। জামায়াতে ইসলামের লোকজন অতিরঞ্জিত করে বলছে। জামায়াতে ইসলামের লোকজনই আমাদের বিএনপির কর্মীর ওপর হামলা করেছে। এতে কয়েকজন আহত হন।’

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামিনে বেরিয়ে হত্যা মামলার বাদীর ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জখম হওয়া সজীব। ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জখম হওয়া সজীব। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে বাদীর ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম সজীব। তিনি উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের জিয়াউর রহমান ও সেতেরা বেগমের ছেলে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিবরণীতে সজীবের মা সেতেরা বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর সাত বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারকে প্রতিবেশী শুক্কুর আলীর পরিবার হত্যা করে লাশ গুম করে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ জুলাই তিনি সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আজ রোববার দুপুরে ইসলামপুরে আনন্দ শিপইয়ার্ড এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সজীবকে পরিকল্পিতভাবে শুক্কুর আলী ও তাঁর ছেলেসহ কয়েকজন পথরোধ করে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে সজীবকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন তাঁরা। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহিববুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাঁচবিবি সীমান্তে ফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা বিএসএফের, উত্তেজনা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে কাজ বন্ধ রাখা হয়।

এ ঘটনায় আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যরা টহল জোরদার করে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার থেকে পাঁচবিবি উপজেলার কয়া বিওপির আওতাধীন পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে ২৮১ নম্বর মেইন পিলারের সাবপিলার ৪৭, ৪৮ ও ৪৯ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায় বিএসএফ। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে এলে তাঁরা দ্রুত বিজিবিকে জানান। খবর পেয়ে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ কয়া ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএসএফকে কাজ বন্ধ করতে বাধা দেন। এ সময় বিজিবির কঠোর অবস্থানের মুখে বিএসএফ সদস্যরা নির্মাণকাজ বন্ধ করে সরে যান।

ঘটনার পরদিন আজ রোববার এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একটি পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হলেও সকালে আবারও ওই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে ধরঞ্জি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক দুই সদস্য আব্দুল গণি ও কবির হোসেন জানান, গতকাল কয়া বিওপির আওতাধীন পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায় বিএসএফ। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানতে পেরে তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে বিএসএফ বেড়া নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে।

বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর আগেও একই এলাকায় পরপর দুবার বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায়। তবে বিজিবির হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত