জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালতে ভাঙচুর, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সাইফুল হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষে এই আইনজীবী নিহতের ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার রাতভর যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করেছে। আর সাইফুল হত্যার জেরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এ ছাড়া তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও উদ্বেগ জানিয়েছেন।
গত সোমবার রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় গ্রেপ্তার হন। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। এদিন চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর জেরে আদালত চত্বর ও এর আশপাশে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সময় সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পৃথক তিন মামলা
সাইফুল হত্যাকাণ্ডের জেরে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা, গায়েবানা জানানা, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সাইফুলকে হত্যার পর মঙ্গলবার রাতভর চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছিল। এ ছাড়া গতকাল আরও তিনজনকে আটক করা হয়। এরপর পাঁচজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকি ২৮ জনকে ওই তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে তাঁদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। কারণ, চট্টগ্রামের আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
চট্টগ্রামের এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী হত্যার মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত যে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছি, তাদের মধ্যে ৮ জনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
কয়েকজন চিহ্নিত
সাইফুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চিহ্নিত করেছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং। এ-সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ, ছবি বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য পেয়েছে আজকের পত্রিকা। সূত্র জানিয়েছে, ওই আইনজীবীকে ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আক্রমণ চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সাইফুল চট্টগ্রাম আদালত ভবনের প্রধান প্রবেশপথ দিয়ে বেরিয়ে সড়কের উল্টো দিকে সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছেন। তিনিসহ আরও ১০-১২ জন আইনজীবীকে ধাওয়া দেয় সশস্ত্র দলটি। এ সময় সাইফুল পা পিছলে পড়ে গেলে ধারালো অস্ত্রধারী ১০-১৫ জনের একটি দল প্রথমে তাঁকে পেটায়। এরপর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। পরে আরেক দল কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনের পরিচয় বের করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এলএলবির এক ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ইসকন সমর্থক আইনজীবী, ক্লার্করাও আদালতে সংঘর্ষে জড়ান বলে গোয়েন্দা সংস্থাটি বলছে।
সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
এদিকে সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে জানাতে বলেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে সুয়োমোটো রুল প্রার্থনা করেন। তিনি ইসকন নিষিদ্ধ করা এবং চট্টগ্রাম, দিনাজপুর ও রংপুরে আপাতত ১৪৪ ধারা জারির আরজি জানান।
পরে আদালত থেকে বের হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, একজন আইনজীবী পত্রিকা নিয়ে আদালতের দৃষ্টিতে আনেন, সুয়োমোটো রুল ইস্যু করার জন্য আবেদন করেন। তিনি আরও বলেন, ‘কতটুকু প্রোগ্রেস আছে, বৃহস্পতিবার সকালে আদালত জানাতে বলেছেন। আমি জানাব।’
কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূলের উদ্বেগ
চিন্ময় গ্রেপ্তারের ঘটনায় আগেই উদ্বেগ জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গতকাল এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ ছাড়া ভারত সরকারের প্রতি পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জন্য শুভেন্দুর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এ জন্য পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আইনজীবী সাইফুল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হওয়ার পর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধিত হন। সাইফুলের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায়।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাইফুল ইসলাম আলিফের পিঠে ও ঘাড়ে দুটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতে খুলি ভেঙে গেছে। একটি পাও ভাঙা।
এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে মহানগর হাকিম ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে তোলা হয়।
শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রিজন ভ্যানে ওঠানো হয়। তবে তাঁর অনুসারীরা এ সময় বাধা দিলে প্রিজন ভ্যানটি প্রায় তিন ঘণ্টা সেখানে আটকে থাকে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে বেলা ৩টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তারা এ সময় আদালত এলাকার একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা হত্যা ও সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলাটি হবে কোতোয়ালী থানায়।
আরও খবর পড়ুন:

চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালতে ভাঙচুর, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সাইফুল হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষে এই আইনজীবী নিহতের ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার রাতভর যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করেছে। আর সাইফুল হত্যার জেরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এ ছাড়া তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও উদ্বেগ জানিয়েছেন।
গত সোমবার রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় গ্রেপ্তার হন। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। এদিন চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর জেরে আদালত চত্বর ও এর আশপাশে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সময় সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পৃথক তিন মামলা
সাইফুল হত্যাকাণ্ডের জেরে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা, গায়েবানা জানানা, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সাইফুলকে হত্যার পর মঙ্গলবার রাতভর চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছিল। এ ছাড়া গতকাল আরও তিনজনকে আটক করা হয়। এরপর পাঁচজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকি ২৮ জনকে ওই তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে তাঁদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। কারণ, চট্টগ্রামের আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
চট্টগ্রামের এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী হত্যার মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত যে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছি, তাদের মধ্যে ৮ জনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
কয়েকজন চিহ্নিত
সাইফুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চিহ্নিত করেছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং। এ-সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ, ছবি বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য পেয়েছে আজকের পত্রিকা। সূত্র জানিয়েছে, ওই আইনজীবীকে ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আক্রমণ চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সাইফুল চট্টগ্রাম আদালত ভবনের প্রধান প্রবেশপথ দিয়ে বেরিয়ে সড়কের উল্টো দিকে সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছেন। তিনিসহ আরও ১০-১২ জন আইনজীবীকে ধাওয়া দেয় সশস্ত্র দলটি। এ সময় সাইফুল পা পিছলে পড়ে গেলে ধারালো অস্ত্রধারী ১০-১৫ জনের একটি দল প্রথমে তাঁকে পেটায়। এরপর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। পরে আরেক দল কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনের পরিচয় বের করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এলএলবির এক ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ইসকন সমর্থক আইনজীবী, ক্লার্করাও আদালতে সংঘর্ষে জড়ান বলে গোয়েন্দা সংস্থাটি বলছে।
সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
এদিকে সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে জানাতে বলেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে সুয়োমোটো রুল প্রার্থনা করেন। তিনি ইসকন নিষিদ্ধ করা এবং চট্টগ্রাম, দিনাজপুর ও রংপুরে আপাতত ১৪৪ ধারা জারির আরজি জানান।
পরে আদালত থেকে বের হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, একজন আইনজীবী পত্রিকা নিয়ে আদালতের দৃষ্টিতে আনেন, সুয়োমোটো রুল ইস্যু করার জন্য আবেদন করেন। তিনি আরও বলেন, ‘কতটুকু প্রোগ্রেস আছে, বৃহস্পতিবার সকালে আদালত জানাতে বলেছেন। আমি জানাব।’
কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূলের উদ্বেগ
চিন্ময় গ্রেপ্তারের ঘটনায় আগেই উদ্বেগ জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গতকাল এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ ছাড়া ভারত সরকারের প্রতি পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জন্য শুভেন্দুর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এ জন্য পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আইনজীবী সাইফুল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হওয়ার পর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধিত হন। সাইফুলের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায়।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাইফুল ইসলাম আলিফের পিঠে ও ঘাড়ে দুটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতে খুলি ভেঙে গেছে। একটি পাও ভাঙা।
এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে মহানগর হাকিম ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে তোলা হয়।
শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রিজন ভ্যানে ওঠানো হয়। তবে তাঁর অনুসারীরা এ সময় বাধা দিলে প্রিজন ভ্যানটি প্রায় তিন ঘণ্টা সেখানে আটকে থাকে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে বেলা ৩টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তারা এ সময় আদালত এলাকার একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা হত্যা ও সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলাটি হবে কোতোয়ালী থানায়।
আরও খবর পড়ুন:
জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালতে ভাঙচুর, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সাইফুল হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষে এই আইনজীবী নিহতের ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার রাতভর যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করেছে। আর সাইফুল হত্যার জেরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এ ছাড়া তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও উদ্বেগ জানিয়েছেন।
গত সোমবার রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় গ্রেপ্তার হন। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। এদিন চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর জেরে আদালত চত্বর ও এর আশপাশে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সময় সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পৃথক তিন মামলা
সাইফুল হত্যাকাণ্ডের জেরে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা, গায়েবানা জানানা, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সাইফুলকে হত্যার পর মঙ্গলবার রাতভর চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছিল। এ ছাড়া গতকাল আরও তিনজনকে আটক করা হয়। এরপর পাঁচজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকি ২৮ জনকে ওই তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে তাঁদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। কারণ, চট্টগ্রামের আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
চট্টগ্রামের এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী হত্যার মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত যে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছি, তাদের মধ্যে ৮ জনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
কয়েকজন চিহ্নিত
সাইফুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চিহ্নিত করেছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং। এ-সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ, ছবি বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য পেয়েছে আজকের পত্রিকা। সূত্র জানিয়েছে, ওই আইনজীবীকে ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আক্রমণ চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সাইফুল চট্টগ্রাম আদালত ভবনের প্রধান প্রবেশপথ দিয়ে বেরিয়ে সড়কের উল্টো দিকে সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছেন। তিনিসহ আরও ১০-১২ জন আইনজীবীকে ধাওয়া দেয় সশস্ত্র দলটি। এ সময় সাইফুল পা পিছলে পড়ে গেলে ধারালো অস্ত্রধারী ১০-১৫ জনের একটি দল প্রথমে তাঁকে পেটায়। এরপর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। পরে আরেক দল কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনের পরিচয় বের করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এলএলবির এক ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ইসকন সমর্থক আইনজীবী, ক্লার্করাও আদালতে সংঘর্ষে জড়ান বলে গোয়েন্দা সংস্থাটি বলছে।
সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
এদিকে সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে জানাতে বলেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে সুয়োমোটো রুল প্রার্থনা করেন। তিনি ইসকন নিষিদ্ধ করা এবং চট্টগ্রাম, দিনাজপুর ও রংপুরে আপাতত ১৪৪ ধারা জারির আরজি জানান।
পরে আদালত থেকে বের হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, একজন আইনজীবী পত্রিকা নিয়ে আদালতের দৃষ্টিতে আনেন, সুয়োমোটো রুল ইস্যু করার জন্য আবেদন করেন। তিনি আরও বলেন, ‘কতটুকু প্রোগ্রেস আছে, বৃহস্পতিবার সকালে আদালত জানাতে বলেছেন। আমি জানাব।’
কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূলের উদ্বেগ
চিন্ময় গ্রেপ্তারের ঘটনায় আগেই উদ্বেগ জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গতকাল এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ ছাড়া ভারত সরকারের প্রতি পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জন্য শুভেন্দুর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এ জন্য পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আইনজীবী সাইফুল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হওয়ার পর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধিত হন। সাইফুলের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায়।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাইফুল ইসলাম আলিফের পিঠে ও ঘাড়ে দুটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতে খুলি ভেঙে গেছে। একটি পাও ভাঙা।
এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে মহানগর হাকিম ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে তোলা হয়।
শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রিজন ভ্যানে ওঠানো হয়। তবে তাঁর অনুসারীরা এ সময় বাধা দিলে প্রিজন ভ্যানটি প্রায় তিন ঘণ্টা সেখানে আটকে থাকে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে বেলা ৩টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তারা এ সময় আদালত এলাকার একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা হত্যা ও সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলাটি হবে কোতোয়ালী থানায়।
আরও খবর পড়ুন:

চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালতে ভাঙচুর, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সাইফুল হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষে এই আইনজীবী নিহতের ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার রাতভর যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করেছে। আর সাইফুল হত্যার জেরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এ ছাড়া তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও উদ্বেগ জানিয়েছেন।
গত সোমবার রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় গ্রেপ্তার হন। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। এদিন চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর জেরে আদালত চত্বর ও এর আশপাশে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সময় সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পৃথক তিন মামলা
সাইফুল হত্যাকাণ্ডের জেরে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা, গায়েবানা জানানা, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সাইফুলকে হত্যার পর মঙ্গলবার রাতভর চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছিল। এ ছাড়া গতকাল আরও তিনজনকে আটক করা হয়। এরপর পাঁচজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকি ২৮ জনকে ওই তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে তাঁদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। কারণ, চট্টগ্রামের আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
চট্টগ্রামের এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী হত্যার মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত যে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছি, তাদের মধ্যে ৮ জনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
কয়েকজন চিহ্নিত
সাইফুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চিহ্নিত করেছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং। এ-সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ, ছবি বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য পেয়েছে আজকের পত্রিকা। সূত্র জানিয়েছে, ওই আইনজীবীকে ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আক্রমণ চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সাইফুল চট্টগ্রাম আদালত ভবনের প্রধান প্রবেশপথ দিয়ে বেরিয়ে সড়কের উল্টো দিকে সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছেন। তিনিসহ আরও ১০-১২ জন আইনজীবীকে ধাওয়া দেয় সশস্ত্র দলটি। এ সময় সাইফুল পা পিছলে পড়ে গেলে ধারালো অস্ত্রধারী ১০-১৫ জনের একটি দল প্রথমে তাঁকে পেটায়। এরপর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। পরে আরেক দল কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনের পরিচয় বের করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এলএলবির এক ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ইসকন সমর্থক আইনজীবী, ক্লার্করাও আদালতে সংঘর্ষে জড়ান বলে গোয়েন্দা সংস্থাটি বলছে।
সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
এদিকে সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে জানাতে বলেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে সুয়োমোটো রুল প্রার্থনা করেন। তিনি ইসকন নিষিদ্ধ করা এবং চট্টগ্রাম, দিনাজপুর ও রংপুরে আপাতত ১৪৪ ধারা জারির আরজি জানান।
পরে আদালত থেকে বের হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, একজন আইনজীবী পত্রিকা নিয়ে আদালতের দৃষ্টিতে আনেন, সুয়োমোটো রুল ইস্যু করার জন্য আবেদন করেন। তিনি আরও বলেন, ‘কতটুকু প্রোগ্রেস আছে, বৃহস্পতিবার সকালে আদালত জানাতে বলেছেন। আমি জানাব।’
কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূলের উদ্বেগ
চিন্ময় গ্রেপ্তারের ঘটনায় আগেই উদ্বেগ জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গতকাল এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ ছাড়া ভারত সরকারের প্রতি পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জন্য শুভেন্দুর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এ জন্য পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আইনজীবী সাইফুল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হওয়ার পর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধিত হন। সাইফুলের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায়।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাইফুল ইসলাম আলিফের পিঠে ও ঘাড়ে দুটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতে খুলি ভেঙে গেছে। একটি পাও ভাঙা।
এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে মহানগর হাকিম ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে তোলা হয়।
শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রিজন ভ্যানে ওঠানো হয়। তবে তাঁর অনুসারীরা এ সময় বাধা দিলে প্রিজন ভ্যানটি প্রায় তিন ঘণ্টা সেখানে আটকে থাকে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে বেলা ৩টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তারা এ সময় আদালত এলাকার একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা হত্যা ও সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলাটি হবে কোতোয়ালী থানায়।
আরও খবর পড়ুন:

দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩১ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩১ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৩৮ মিনিট আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালতে ভাঙচুর, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সাইফুল হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন হাইকো
২৭ নভেম্বর ২০২৪
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩১ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩১ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৩৮ মিনিট আগেবীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালতে ভাঙচুর, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সাইফুল হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন হাইকো
২৭ নভেম্বর ২০২৪
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩১ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৩৮ মিনিট আগেকেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।
আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ১৪টি এবং পরে আরও ৬টিসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেসমেন্ট দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কোথাও কোথাও আগুনের ফ্লেম দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
দোকানমালিকেরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ বেড়েছে। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১০ তলা ভবনটির ৮ তলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজী নুর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।
আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ১৪টি এবং পরে আরও ৬টিসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেসমেন্ট দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কোথাও কোথাও আগুনের ফ্লেম দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
দোকানমালিকেরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ বেড়েছে। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১০ তলা ভবনটির ৮ তলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজী নুর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালতে ভাঙচুর, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সাইফুল হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন হাইকো
২৭ নভেম্বর ২০২৪
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩১ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৩৮ মিনিট আগেসিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে জাহিদ ইবনে জামান (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহিদ ইবনে জামান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জুকুরিয়া গ্রামের জামান মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই মাইক্রো বাসটি নিয়ে চালক পালিয়ে যান। তবে ট্রাকটি ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে জাহিদ ইবনে জামান (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহিদ ইবনে জামান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জুকুরিয়া গ্রামের জামান মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানিকগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে মাইক্রো বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায় জাহিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই মাইক্রো বাসটি নিয়ে চালক পালিয়ে যান। তবে ট্রাকটি ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালতে ভাঙচুর, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সাইফুল হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন হাইকো
২৭ নভেম্বর ২০২৪
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩১ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩১ মিনিট আগে