ঠাকুরগাঁওয়ে বান্ধবীদের সহযোগিতায় এক কিশোরীর বাল্যবিবাহ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। এই বাল্যবিবাহ আয়োজন করার অপরাধে কনের বাবাকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সোমবার সকালে তাঁকে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগায় ওই কিশোরীকে ঠাকুরগাঁওয়ের মহিলা পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান।
ইউএনও জানান, গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে শহরের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই ওই বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেন এবং মেয়ের বাবাকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সদস্য নাজমা আক্তার মীম বলেন, ‘রোববার দিবাগত রাত ১২টায় কিশোরীর বিয়ের লগ্ন ছিল। কিন্তু গোপন সূত্রে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে ইউএনও ও পুলিশ নিয়ে কনের বাড়িতে আমরা হাজির হই। এ সময় ইউএনও বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন এবং তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অপরাধে কনের বাবাকে দণ্ড দেন।’
ওই কিশোরী জানায়, স্থানীয় এক রাজমিস্ত্রির সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে তার অমত থাকায় বিষয়টি তার স্কুলের বান্ধবীদের জানায় সে। এ সময় তাদের সহযোগিতায় বিষয়টি মহিলা পরিষদ জানতে পারলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় বিয়ে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে