
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৪টি ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা কিংবা ভেঙে ফেলতে দেড় বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।

বরিশাল নগরের ৩৫টি ভবনকে এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। তবে দীর্ঘ এ সময়ে মাত্র তিনটি ভবন অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ৩২টি এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভবনগুলোয় বাস করছেন ৫ শতাধিক বাসিন্দা।

আজকের (শুক্রবার) ভূমিকম্প হঠাৎ করেই ঝুঁকি জানান দিয়েছে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে আমরা অনেক আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৩৪ বছরই বলা হচ্ছে, একটা ভয়ংকর ভূমিকম্প অত্যাসন্ন। কারণ বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিন টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে।

ভূমিকম্পে বিশ্বের যেসব নগরী অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তার একটি হলো ঢাকা। কিন্তু ঝুঁকি নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেই। বিশেষজ্ঞরা অনেক বছর ধরেই বলে আসছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণে দিনে দিনে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে এই নগরী। শক্তিশালী ভূমিকম্পে যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে ঢাকার অসংখ্য ভবন।