Ajker Patrika

শিক্ষিকাকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষককে মারপিটের অভিযোগ ছাত্রদল ও যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২: ৫৬
অভিযুক্ত ছাত্রদল ও যুবদল নেতা। ছবি সংগৃহীত
অভিযুক্ত ছাত্রদল ও যুবদল নেতা। ছবি সংগৃহীত

নেত্রকোনার আটপাড়ায় সহকারী শিক্ষিকাকে শোকজ করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম কয়েক দিন আগে যথাসময়ে স্কুলে উপস্থিত না হওয়ায় সহকারী শিক্ষক রুবি আক্তারকে শোকজ করেন। এই শোকজপত্র শিক্ষিকা রুবি আক্তার বাড়িতে নিলে তাঁর স্বামী কামাল কাগজটি দেখে বিষয়টি যুবদল নেতা হাফিজুর রহমান মিস্টারকে জানান।

পরে বুধবার দুপুর ১টার দিকে যুবদল নেতা হাফিজুর রহমান মিস্টার ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মুন্না খান শাহীন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে প্রথমে ‘নারীদের ইভটিজিং’ করার অভিযোগে হেনস্তা করেন। একপর্যায়ে শাহীন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। প্রধান শিক্ষক উক্ত ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে বাধা দিয়ে তাঁর পাঞ্জাবির কলার ধরে বাইরে নিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর আলম।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী তাসলিমা কোহেন (সহকারী শিক্ষক, ছয়াশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই ঘটনার জন্য সহকারী শিক্ষক রুবি আক্তারকে চড় মারেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক রুবি আক্তার নিয়মিত স্কুলে দেরি করে আসছিলেন বলে তাঁকে নিয়ম মাফিক শোকজ করা হয়। এটা কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়, পুরোপুরি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাপার। বুধবার স্কুল চলাকালীন হঠাৎ হাফিজুর রহমান মিস্টার ও মুন্না খান শাহীন স্কুলে এসে আমাকে উল্টো ‘নারী শিক্ষকদের ইভটিজিং’-এর মতো মিথ্যা অভিযোগে অপমান করে। আমি যখন বিষয়টি ভিডিও করতে চেয়েছিলাম, তখন তারা আমাকে কলার ধরে বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মুন্না খান শাহীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অপর অভিযুক্ত যুবদল নেতা হাফিজুর রহমান মিস্টার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রুবি আক্তার আমার চাচি। প্রধান শিক্ষক বেশ কিছুদিন ধরে তাঁকে অশালীন প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। আমি এ বিষয়ে জানতে গিয়েছিলাম। তিনি উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। বরং এর আগেও ওই শিক্ষক অন্য এক নারী সহকর্মীকেও কুপ্রস্তাব দিয়ে হয়রানি করেছিলেন, যা পরে মীমাংসা করে দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ মুকুল বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের পাঞ্জাবি ছেঁড়া অবস্থায় দেখেছি। মারধরের ব্যাপারে নিশ্চিত না হলেও শিক্ষক রুবিকে শোকজ করা হয়েছিল, সেটি জানি। তবে কোনো নারী শিক্ষক আমার কাছে শ্লীলতাহানির বা কুপ্রস্তাবের লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেননি।”

আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শুনেছি, প্রধান শিক্ষককে দুই ব্যক্তি মারধর করেছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবির ৬ ডিনের পদত্যাগ দাবি: ভিসি, প্রো-ভিসির দপ্তরে তালার পর সভা, সিদ্ধান্ত রাতে

প্রতিনিধি রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ছয় ডিনের পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ সব দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সভা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে তালাবদ্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ এ সভায় বসেন।

তবে রাতে আরও একটি সভা হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছি, তারা তাদের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সেখানে সকলের সম্মতিতে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে ৭টার দিকে আরেকটা সভা ডাকা হয়েছে।’

সূত্রে জানা গেছে, সময়সীমা অনুযায়ী ১৭ ডিসেম্বর ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ ও উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীবের সিদ্ধান্তে তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে তাঁদের পদত্যাগের দাবি তোলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার।

সকাল ১০টার দিকে এই দাবিতে ডিনস কমপ্লেক্সে যায় শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত ওই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। যদিও এ দিন ডিনদের কেউ বিভাগের ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন না।

বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন।

একপর্যায়ে উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান এবং তালা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘এটা কি নতুন বাংলাদেশ! আমরা কি আন্দোলন করিনি, শুধু তোমরাই করেছ? কী পেয়েছ?’

প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ থাকার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে খুলে দেওয়া হয়। পরে উপাচার্য কনফারেন্স কক্ষে এক সভায় বসেন তাঁরা।

সভায় রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আপনারা আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। আমরা প্রতিদিন তালা দিতে আসতে পারব না। আপনারা যেটাকে মব বলেন, অবশ্যই এটা আমাদের কাছে আন্দোলন। ‎ডিনদের তো অপসারণ করতেই হবে। এই ১৭ তারিখের পর দায়িত্বে বহাল থাকার সাহস তারা প্রশাসন থেকেই পেয়েছে।’

‎উপ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন (শিক্ষা) বলেন, ‘তাদের এখনো দায়িত্বে রাখা হয়েছে, কারণ, সমাবর্তনের কারণে আমরা নির্বাচন করতে পারি নাই। আবার একই সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষাও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিষয়টা এত দূর না নিয়ে আসলেও পারত। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আগেই ডেকেছি, সুতরাং, সিদ্ধান্ত হয়েই আছে তাদের বিষয়ে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‎উপ-উপাচার্য বলেন, ‘তোমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সুতরাং, দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। তোমাদের শব্দ চয়ন ও কার্যক্রমও তেমন হওয়া উচিত।’

উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দিন (প্রশাসন) বলেন, ‘বিপ্লবীদের ঐক্য জাতির জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসবে, একইভাবে বিপ্লবীদের বিভাজন জাতিকে অনিরাপদ করে তুলবে। আমাদের ক্যাম্পাসের বিপ্লবীরাও নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও আমরা দেখেছি, নির্বাচন না হওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা সময় শেষের পরেও দায়িত্বে পূর্ণ বহাল ছিল। এটা অনেক আগে থেকেই ঘটে আসছে। আমাদেরও ব্যর্থতা আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উদীচীতে হামলা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর তোপখানায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর তোপখানায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে সংগঠনটির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে একদল বিক্ষুব্ধ মানুষ। বিক্ষোভের মধ্যে ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। পরদিন শুক্রবার রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালকে পালাতে সাহায্যকারী দুজন ফের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফ দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। দুই ব্যক্তি হলেন সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।

আজ বিকেলে সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর দুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে দুজনকে আটক করেছিল ডিবি পুলিশ।

১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে। সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান হাদি।

১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, বৃদ্ধ নিহত

শেরপুর প্রতিনিধি 
সংঘর্ষে দুটি মোটরসাইকেল ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষে দুটি মোটরসাইকেল ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকার ঝিনাইগাতী-গজনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু বক্কর রাংটিয়া এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন তিনি। আহত ব্যক্তিরা হচ্ছে সিফাত (২০), কবিতা খাতুন (১৫) ও সিনহা খাতুন (১০)। তারা মোটরসাইকেল দুটির আরোহী ছিল। আহত ব্যক্তিদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে দুই দিক থেকে আসা দুটি মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বক্করকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। দুর্ঘটনার পরপরই অন্য মোটরসাইকেলের চালক সিজন (২১) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত