Ajker Patrika

চট্টগ্রামে জাল দলিল দিয়ে ঋণ উত্তোলন, দুদকের মামলা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে জাল দলিল দিয়ে ঋণ উত্তোলন, দুদকের মামলা

জাল দলিল দিয়ে ঋণ উত্তোলনের অভিযোগে বেসরকারি এনজিও সংস্থা ‘নওজোয়ানে’র প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ ইমাম হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া বন্ধকদাতা আর জাল দলিল দেখিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ রোববার দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হামেদ রেজা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ইমাম হোসেন চৌধুরীর পাশাপাশি ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মুরাদপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক কে এম এজাজ ও সাবেক ঋণ কর্মকর্তা কৌশিক রায় চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, ‘দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তে নতুন কোনো তথ্য বা ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’

এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে নওজোয়ান ডাচ্-বাংলা ব্যাংক থেকে পাঁচ কোটি টাকা ঋণের আবেদন করে। জামানত হিসেবে সদস্য ফরিদুল হাসানের নামে একটি জমি বন্ধক দেখানো হয়। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়—ঋণের বিপরীতে যাকে ‘ফরিদুল হাসান’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে তিনি প্রকৃত মালিক নন; নকল কাগজপত্র ব্যবহার করে ভুয়া ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে ছিলেন। ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরেজমিন যাচাই না করে ওই জাল দলিলকে বৈধ হিসেবে গ্রহণ করেন এবং ঋণ অনুমোদিত হয়।

তবে নওজোয়ানকে ঘিরে জালিয়াতির অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। ক্ষুদ্রঋণের নামে সরকারি-বেসরকারি পাঁচ ব্যাংক থেকে নেওয়া সংস্থাটির কাছে প্রায় ২০ কোটি টাকা আটকে আছে।

এর মধ্যে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ৩ কোটি ৩৫ লাখ, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ৩ কোটি ২৬ লাখ, ওয়ান ব্যাংক নানুপুর শাখার আড়াই কোটি, বেসিক ব্যাংক জুবিলি রোড শাখার দুই কোটি এবং পূবালী ব্যাংক পটিয়া শাখার প্রায় তিন কোটি টাকা।

২০১১ সাল থেকে এনজিও–এমএফআই লিংকেজ কর্মসূচির আওতায় মাঠপর্যায়ের কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিতরণের জন্য এসব ঋণ নেয় নওজোয়ান। প্রথম দিকে ঋণ বিতরণ ও আদায় ঠিকঠাক চললেও পরবর্তী সময়ে ঋণের টাকা মাঠে না পাঠিয়ে জমি ও ব্যক্তিগত ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।

২০১৫ সালের একই জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৭ সালে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কাছে লিখিতভাবে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন প্রধান নির্বাহী ইমাম হোসেন। তবুও সেই পাওনা এখনো পরিশোধ হয়নি। তিনি ৭ নভেম্বর ওয়ান ব্যাংকের দায়ের করা অর্থঋণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ