Ajker Patrika

নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো নেভেনি তুলার গুদামের আগুন, উঠছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ১১: ৫৭
নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো নেভেনি তুলার গুদামের আগুন, উঠছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি তুলার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি আগুন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ রোববার ভোর থেকে ক্রমশ নিভে এলেও এখনো গুদামের ভেতরের কিছু স্থানে মৃদু আগুন জ্বলার পাশাপাশি উঠছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। আগুন পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল। 

এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় রোববার সকাল ৯টার পর ঘটনাস্থল থেকে চলে গেছেন আগুন নির্বাপণে কাজ করা সেনাবাহিনীর চারটি ইউনিট, নৌবাহিনীর চারটি ও বিমানবাহিনীর দুটি ইউনিট। এরপর চলে গেছে ঘটনাস্থলে আসা বিজিবির চারটি ফায়ার ফাইটার ইউনিট ও সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী দল ইউএসএআর।

এর আগে শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের হিঙ্গুরিপাড়া এলাকার নেমসন ডিপো সংলগ্ন ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেডের তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রথম দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টার পাশাপাশি সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এরপর তারা অগ্নিনির্বাপণ কাজে সহায়তা চেয়ে আগ্রাবাদ ও বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ও বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে অগ্নিনির্বাপণের কাজে যোগ দেয়।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যার পর গুদামের ভেতরে জ্বলা তুলার আগুন আরও বেড়ে যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সহায়তা চান। এরপর রাতে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের পাশাপাশি আগুন নেভাতে যোগ দেয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। পাশাপাশি বিজিবির চারটি ফায়ার ফাইটার ইউনিট ও সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী টিম ইউএসএআর ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে।  

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এসএল গ্রুপের মালিকানাধীন গুদামটি ইউনিটেক্স লিমিটেড ভাড়া নেয়। তাদের নিজস্ব সুতা তৈরির কারখানার জন্য সেখানে অনেক তুলা মজুত করা হয়। 

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল আজকের পত্রিকাকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করে গেছে। রাতে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে কাজ করেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ১০টি ইউনিট। গুদামটির আশপাশে কোনো পুকুর বা জলাশয় না থাকায় অগ্নিনির্বাপণের কাজে শুরু থেকে পানির সংকটে বেগ পেয়েছে তারা। আশপাশের এলাকার পুকুর থেকে পানি সংগ্রহের পর তা ঘটনাস্থলে এনে ছিটিয়েছে। তবে মাঝরাত থেকে আশপাশের পুকুরে পানি না পেয়ে সীতাকুণ্ড পৌর সদর, বাড়বকুণ্ডসহ বিভিন্ন এলাকার পুকুর থেকে পানি সংগ্রহের পর তা দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেছে। 

নুরুল আলম দুলাল আরও বলেন, তাঁরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে গুদামের পাশের নেমসন ডিপোকে আগুন থেকে রক্ষা করেছেন। আগুন পুরোপুরি না নিভলেও তা নিয়ন্ত্রণে আছে। ভেতরে এখন যে আগুন জ্বলছে, তাতে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তা আশপাশে ছড়ানোরও ভয় নেই। দুপুরের মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিভে যাবে। 

আগুন লাগার সঠিক কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নুরুল আলম দুলাল বলেন, স্থানীয়রা ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় তুলার গুদামে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছেন। তবে গুদামে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তার সঠিক কারণ এখনো নির্ণয় করতে পারেননি তাঁরা। তুলার গুদামের পাশাপাশি আগুনে চারটি চায়ের ও খাবারের দোকান পুড়ে গেছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, গুদামের আগুন প্রায় নিভে গেছে। এখন ভেতরে থাকা কিছু তুলায় মৃদু আগুন জ্বলছে, যার কারণে ধোঁয়ার কুণ্ডলী রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট এখনো কাজ করছে। দুপুরের মধ্যে পুরোপুরি নিভে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। রোববার সকালে আগুন নেভাতে ছুটে আসা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ইউনিটগুলো ফিরে গেছে বলেও জানান ইউএনও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেলের চালক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দেওহাটা ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। তবে তিনি গোড়াই সাউথ ইস্ট কারখানার কর্মী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

জানা গেছে, সকাল সোয়া ৭টার দিকে সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে মহাসড়কের ধীরগতির লেন দিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন চালক। মহাসড়কের দেওহাটা ফ্লাইওভারের কাছে পৌঁছালে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা আলোকিত মধুপুর নামে যাত্রীবাহী বাস মহাসড়ক ছেড়ে ধীরগতির লেনে ঢুকে পড়ে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক নিহত হন।

দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন জানান, নিহত ব্যক্তি গোড়াই সাউথ ইস্ট কারখানায় চাকরি করতেন বলে জানতে পেরেছেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভালুকায় সহকর্মীর গুলিতে আনসার সদস্য নিহত, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বজেন্দ্র দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বজেন্দ্র দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক কারখানায় সহকর্মীর গুলিতে বজেন্দ্র বিশ্বাস (৪০) নামের এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৭টায় উপজেলার মেহরাবাড়ি এলাকায় লাবিব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সহকর্মী আনসার সদস্য নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত আনসার সদস্য বজেন্দ্র বিশ্বাস সিলেট সদর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের প্রবিত্র বিশ্বাসের ছেলে। অভিযুক্ত নোমান মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার বালুটুরি বাজার এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে। দুজনই সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানাটিতে ২০ জন আনসার সদস্য কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সময় আনসার সদস্য নোমান মিয়া ও বজেন্দ্র দাস একসঙ্গে বসেছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত নোমান মিয়ার হাতে থাকা শটগান থেকে গুলি বের হলে বজেন্দ্র দাসের বাঁ ঊরুতে গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নড়াইলে দুটি আসনে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

নড়াইল প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩৪
নড়াইল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদ মনোনয়নপত্র জমা দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নড়াইল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদ মনোনয়নপত্র জমা দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ মোট ২৪ জন প্রার্থী গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ডক্টর মোহাম্মদ আবদুল ছালাম জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৪ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে নড়াইল-১ আসনে ১৫ জন প্রার্থী এবং নড়াইল-২ আসনে ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নড়াইল-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মাওলানা মো. ওবায়দুল্লাহ কায়সার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মাওলানা আব্দুল আজিজ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মিলটন মোল্যা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক বি এম নাগিব হোসেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এম সাজ্জাদ হোসেন, সুকেশ সাহা আনন্দসহ ১৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নড়াইল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ড. এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আতাউর রহমান বাচ্চু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা তাজুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ প্রার্থী হিসেবে নূর ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিনসহ ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আচরণবিধি মেনে প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় দেশীয় অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ গ্রেপ্তার ৫

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনায় দেশীয় অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল সোমবার ভোরে নগরীর লবণচরা থানার মতিয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাঁরা পুলিশি হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লবণচরা থানার মতিয়াখালী এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশারের ছেলে ইমন শরীফ, একই এলাকার বাসিন্দা আজিজুলের ছেলে সবুজ সাহা, সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দা হাবিব হাওলাদারের ছেলে ফারুখ হোসেন, পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার কাউখালী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাহরিয়ার এবং জয়কুল এলাকার বাসিন্দা হারুনুর রশিদের ছেলে সজল খান।

জানতে চাইলে লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিনুজ্জামান বলেন, মেজর মাসুকের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী শিপইয়ার্ড এলাকার মতিয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত আসমিদের আটক করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে শটগানের ৬টি গুলি, ২টি বিদেশি মদের বোতল, ২টি ধারলো ছুরি এবং ১১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করে। আসামিরা শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাঁদেরকে পুলিশি হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত