Ajker Patrika

টিকা পেয়ে খুশি পাহাড়িরা

আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২১, ১১: ৪১
টিকা পেয়ে খুশি পাহাড়িরা

আবহাওয়া খানিকটা বিরূপ থাকলেও পার্বত্য তিন জেলায় গতকাল শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকাপ্রত্যাশীরা ভিড় করেন। ভোগান্তি ছাড়া টিকা নিতে পেরে খুশি তাঁরা। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীদের পাশাপাশি যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্যরা সেবা দিয়েছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর–

খাগড়াছড়ি: জেলার ৯ উপজেলার ৩৮ ইউনিয়ন ও ৩ পৌরসভায় একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে জেলায় ২৪ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে রেজিস্ট্রেশন ও টিকা গ্রহণ করতে দেখা গেছে প্রত্যাশীদের। কেন্দ্রভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত টিকাপ্রত্যাশী থাকায় অনেকে না পেয়ে ফিরে গেছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিল না।

সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ জানান, দুর্গম এলাকার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে হেলিকপ্টারে টিকা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান তিনি।

লক্ষ্মীছড়ি: উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ৬০০ করে মোট ১ হাজার ৮০০ টিকা দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী সাইফুল আলম জানান, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে এই কার্যক্রম পৌঁছানোর কারণে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যাও বেড়েছে।

দীঘিনালা: উপজেলার পাঁচটি ইউপিতে ১৫টি বুথের মধ্যে টিকা দেওয়া হয়। আগের দিন শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. তনয় তালুকদার সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, উপজেলায় ৩ হাজার লোককে টিকা দেওয়া হবে।

মাটিরাঙ্গা: উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সাতটি কেন্দ্রের ২১টি বুথে ৪ হাজার ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান ও তদারক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এদিন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হেদায়েত উল্লা টিকাকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।

মহালছড়ি: উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ১০টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ধনিষ্ঠা চাকমা বলেন, প্রতি ইউনিয়নে ৬০০ করে মোট ৩ হাজার জনকে টিকা প্রদান করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন দুর্গম হওয়ায় লোকজন আসতে না পারায় ৬০০ জনকে টিকা প্রয়োগ সম্ভব হবে না।

পানছড়ি: উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের পাঁচ কেন্দ্রে সকালে টিকাদান শুরু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাবিষয়ক কর্মকর্তা ডাক্তার অনুতোষ চাকমা জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বৃষ্টির কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে লোকজন আসতে পারেনি।

মানিকছড়ি: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পাঁচটি কেন্দ্রে সকাল থেকে টিকা–গ্রহীতার ভিড়ে দেখা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা জানান, ইউপির চার কেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ৪০০ জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়েছেন ৩৪২ জন।

রামগড়: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় রামগড়ের দুটি ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নে টিকা দেওয়া হয়। তিনটি কেন্দ্রে ১ হাজার ৮০০ জনকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছিল রামগড় উপজেলা প্রশাসন।

বিলাইছড়িতে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু।

গুইমারা: উপজেলার জালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে টিকাদান উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তুষার আহমেদ। এদিন তিনটি ইউনিয়নে ১ হাজার ৮০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি): উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়নের আটটি কেন্দ্রে সকাল থেকে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম দিন বাঘাইছড়িতে টিকার ৪ হাজার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিশলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলাম। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার আহম্মেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কাপ্তাই: উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০ জন করে সর্বমোট ৩ হাজার ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনার ফোকাল পারসন ডা. ওমর ফারুক রনি। সকালে কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন ইউএনও মুনতাসির জাহান ও উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুল হক।

বরকল: উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে টিকা দেওয়া হয়েছে। সকালে পাঁচ কেন্দ্রে ৩ হাজার ব্যক্তিকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। অপরদিকে বরকল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৬০ জনকে ডোজ প্রদান করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মংক্যছিং সাগর কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন বলে জানান।

বিলাইছড়ি: উপজেলার সদর ইউপি প্রাঙ্গণে তিনটি বুথে টিকা প্রদান করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ছাড়া কেংড়াছড়ি ও ফারুয়া ইউনিয়নে এ টিকা দেওয়া হয়। মোট ১ হাজার ৮০০ জনকে টিকার দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে দুর্গম হওয়ায় বড়থলি ইউনিয়নে টিকা কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।

রাজস্থলী: উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুইহ্লা অং মারমা জানান, প্রতি ইউনিয়নে ৬০০ জন করে তিনটি ইউনিয়নে সর্বমোট ১ হাজার ৮০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়।

লংগদু: উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সিতটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অরবিন্দ চাকমা জানান, প্রথম দিনে লংগদুতে ৪ হাজার ২০০ টিকার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সাতটি কেন্দ্রে ১৮ স্বাস্থ্য সহকারীসহ রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা কাজ করেন।

থানচি (বান্দরবান) : উপজেলার ছয়টি কেন্দ্রে ১৮টি বুথে সকাল থেকে টিকা দেওয়া হয়। এদিন ১ হাজার ২০০ ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সদর ইউনিয়নের সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে বুথ উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা।

নাইক্ষ্যংছড়ি: সীমান্ত জনপদ নাইক্ষ্যংছড়ির পাঁচ ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি করে বুথ ছিল। প্রতিটি বুথে ২০০ টিকা দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ইউএনও সালমা ফেরদৌস ও উপজেলা হাসপাতালের প্রধান (টিএইচ) ডা. এ জেট এম ছলিম।

আলীকদম: উপজেলার চিরটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৪০০ ব্যক্তিকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে। এ সময় টিকাকেন্দ্রগুলোতে বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। সকালে আলীকদম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ইউএনও মো. সায়েদ ইকবাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত