Ajker Patrika

রামপালে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন

কমেছে জমি, বেকার কৃষক

  • ২৫ বছরে ৫ হাজার একর জমিতে শিল্পকারখানা
  • উন্নয়ন প্রকল্পে অধিগ্রহণ ৩ হাজার একর জমি
  • অনেক কৃষক পাড়ি জমিয়েছেন বড় শহরে
এস. এস শোহান, বাগেরহাট 
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৮: ০৮
বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে রয়েছে ওরিয়ন গ্রুপের সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। এসব প্রকল্পের ফলে একদিকে যেমন কমেছে ফসলি জমি, তেমনি নষ্ট হয়েছে আশপাশের পরিবেশ। সম্প্রতি তোলা।	ছবি: আজকের পত্রিকা
বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে রয়েছে ওরিয়ন গ্রুপের সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। এসব প্রকল্পের ফলে একদিকে যেমন কমেছে ফসলি জমি, তেমনি নষ্ট হয়েছে আশপাশের পরিবেশ। সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের রামপালে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও সরকারের মেগা প্রকল্পের কারণে কমছে কৃষিজমি। গেল ২৫ বছরে অন্তত ৫ হাজার একর ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শিল্প-কলকারখানাসহ নানা ধরনের অবকাঠামো। কৃষিজমির সংকটে কাজের সন্ধানে অনেক কৃষক পাড়ি জমিয়েছেন বড় শহরে। এভাবে শিল্পায়ন ও বসতবাড়ি নির্মাণ চলতে থাকলে শহরে আসার হার বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মধ্যে রামপালে সরকারি উন্নয়নকাজের জন্য জমি অধিগ্রহণের হার বেশি। গেল তিন দশকে এই উপজেলায় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ৮৩৪ একর, খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য ৬৩০ একর, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের জন্য ১৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া রামপাল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, থানা, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার সন্ন্যাসী এলাকায় প্রায় ২০০ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে নৌ পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

এর বাইরে পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে ও পরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার ফয়লা বিমানবন্দর থেকে গোনাইব্রিজ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জমি ক্রয় ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অদূরে ৩৫০ একর জমি ক্রয় করে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে শিল্পগোষ্ঠী ওরিয়ন গ্রুপ। এ ছাড়া ফারুক জুটস মিলস লি., বে-ইস্টার্ন করপোরেশন, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস, ডেল্টা এলপিজি, পেট্রোম্যাক্স অফিসার্স রেসিডেন্স, ৫টি তেলপাম্প, কয়েকটি মাছ ক্রয়-বিক্রয় আড়ত গড়া হয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কৃষিজমিতে বাড়ি ও ছোট ছোট দোকান নির্মাণ করেছেন জমির মালিকেরা। এ ছাড়া পশুর, বগুড়াসহ বিভিন্ন নদ-নদীর ভাঙনে গেল তিন দশকে এই উপজেলার অন্তত ৫০০ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।

তবে রামপাল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, গেল ১৫ বছরে এই উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমেছে ২ হাজার ৫০০ একর। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে রামপাল উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার ৬৬৩ একর। ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৬৬৫ একরে। তবে বাস্তবিক অর্থে এই পরিমাণ আরও বেশি। এভাবে দিনের পর দিন জমি কমার কারণে কৃষিকাজ ও ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল অনেকে এলাকা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বড় শহরে।

উপজেলার রাজনগর এলাকার গুরুদাস মণ্ডল বলেন, ‘এলাকায় একসময় অনেক ধান উৎপাদন হতো, আবার মাছও পাওয়া যেত। কিন্তু ধানি জমি কমতে কমতে এখন অনেকের শুধু বাড়িটুকু আছে। কয়েক বছর আগে আমার প্রতিবেশী তারক দাস পরিবার নিয়ে কাজের আশায় ঢাকা চলে গেছে। মাত্র তিন কাঠা জমি আছে তার বাড়িতে, এতে কি আর সংসার চলে। শুনেছি, ঢাকায় নিজে রিকশা চালায়, বউ মানুষের বাসায় কাজ করে। ছেলে-মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেছে।’ শুধু তারক নন, আশপাশের অনেকে কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়েছে বলে জানান এই বৃদ্ধ।

গৌরম্ভা এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে গেছেন দিনমজুর হুমায়ুন কবির। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে মানুষের ধানখেত ও বাড়িতে আমি কাজ করতাম। কিন্তু বছর দশেক হলো, এলাকায় কাজ খুব কম। কারণ, আগের মতো ধানি জমি নেই। যার কারণে চট্টগ্রামে চলে আসছি। রাজমিস্ত্রির জোগান দিই, ৩০ দিনই কাজ করা যায়। বেতনও ভালো।’

ওরিয়ন সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে জমি বিক্রেতা অমৃত লাল সরকার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘১০ লাখ টাকায় প্রতি বিঘা জমি বিক্রি করেছি। ওই জমিতে অন্তত ৩০০ জন কৃষক ধান চাষ করতেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে ছিল বর্গাচাষি, আবার কেউ কেউ ধানচাষিদের দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তাঁরা মূলত সমস্যায় পড়েছেন।’

কৃষিজমি কমে যাওয়া এবং কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীরা। খুলনা পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক আইনজীবী কুদরাত-ই-খুদা বলেন, ভূমি উন্নয়ন নীতিমালা অনুযায়ী কৃষিজমিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান করা যাবে না। রামপালে যেভাবে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার কৃষিজীবীরা জীবিকা সংকটে পড়বেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবিদ, নগর-পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা সরকারকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বনায়ন, মাছ চাষ ও আবাসিক ব্যবস্থার জন্য আলাদা স্থান নির্বাচনের অনুরোধ করে আসছে। তারপরও সরকারের চোখের সামনে কৃষিজমিতে শিল্পায়ন ও নগরায়ণ হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।

এদিকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান এভাবে ফসলি জমি ক্রয় করলেও বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কিছু করার নেই বলে জানান জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, শিল্প গ্রুপগুলো সরাসরি তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় করে না। তারা প্রথমে স্থানীয় জমির দালালদের মাধ্যমে জমি ক্রয় চুক্তি করেন, পরে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক বা পরিচালকদের বিশ্বস্ত কারও নামে জমিটি দলিল করেন। পরে ওই জমিতে বালু ভরাট ও সাইনবোর্ড দিয়ে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্য উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের চাইলেও কিছু করার নেই।

অন্যদিকে, শিল্প গ্রুপের ক্রয় করা জমিতে বালু ভরাটের জন্য দেদার ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। যার কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বা স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।

রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ‘১৫ বছরে এই উপজেলায় কিছু আবাদযোগ্য জমি কমেছে। তবে উৎপাদন যাতে না কমে, এ জন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের ধান চাষ এবং একই জমিতে বারবার চাষাবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চাষের জমি কমলেও উৎপাদন কমেনি বলে দাবি এই কর্মকর্তার।

পরিবেশ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, ‘শিল্পপ্রতিষ্ঠান করতে হলে দুই ধরনের ছাড়পত্র নিতে হয়। একটি শুরুতে অবস্থানগত ছাড়পত্র, আরেকটি পরিবেশগত ছাড়পত্র। রামপালে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হচ্ছে, তারা যদি পরিবেশের ছাড়পত্র না নেয়, অথবা পরিবেশের ক্ষতি করে, সে ক্ষেত্রে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন ও খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌসী বলেন, ‘সম্প্রতি আমি এই উপজেলায় যোগদান করেছি। বেশির ভাগ জমি আমি যোগদানের আগে হস্তান্তর ও বালু ভরাট হয়েছে। কৃষিজমি রক্ষার যে নীতিমালা রয়েছে, সেখানে উপজেলা প্রশাসনের যতটুকু দায়িত্ব রয়েছে, তা আমরা পালন করব।’ এ ক্ষেত্রে জমির মালিক এবং স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ২২

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ২২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মদন সদর ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।

গুরুতর আহত হাইজুল মিয়া (৪০), আমিরুল ইসলাম (৪০), শফিউল্লাহ (৪২), জসীম মিয়া (৩৮) ও হুমায়ূন কবীরকে (৪৫) উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধনপুর গ্রামের মতিউর রহমানের লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের তাইজুল ইসলামের লোকজনের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এক মাস আগেও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

আজ সকালে পূর্ব বিরোধের জেরে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের ২২ জন আহত হয়েছেন।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নয়ন ঘোষ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মদন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশু কুমার বলেন, ‘ধনপুর গ্রামে জমি-সংক্রান্ত বিরোধে কয়েক দিন আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। আগের ঘটনায় মামলা চলমান। আজ সকালে আবার সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাহজাদপুরের হত্যা মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি   
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উত্তর সাহাপাড়া এলাকা থেকে ওয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে র‍্যাব-১২-এর সদস্যরা অংশ নেন।

গ্রেপ্তার ওয়াজ আলী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া এলাকার মোকছেদ শেখের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সকালে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পোতাজিয়া গ্রামে মো. ওসমান গণি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এতে সাব্বির হোসেনসহ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত সাব্বির হোসেনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

এ ঘটনায় মো. ওসমান গণি বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট আদালত ওই মামলায় ওয়াজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পানছড়ি সীমান্তে ১১টি ভারতীয় গরুসহ আটক ১

পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি 
পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় গরুসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় গরুসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ১১টি ভারতীয় গরুসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ৩ বিজিবি লোগাং জোন অভিযান চালিয়ে গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে আটক করে।

আটক ব্যক্তির নাম রন্তু চাকমা (৩৮)। তিনি পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী শিবচরণ কার্বারিপাড়ার লিফ চরণ চাকমার ছেলে।

বিজিবি সূত্র জানায়, আজ ভোরে ৩ বিজিবির লোগাং বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার আবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টহল দল পানছড়ির হাতিমারা (সেগুনবাগান) এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় গরু ও একটি অবৈধ ওয়াকিটকিসহ এক চোরাকারবারিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে দুপুরে আটক চোরাকারবারি ও গরুগুলো পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ভারতীয় গরুগুলোসহ চোরাকারবারিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাছ লুট ও খেত নষ্টের অভিযোগ

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাছ লুট ও খেত নষ্টের অভিযোগ

বরিশালের মুলাদীতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মাছ লুটের পর পুকুরের বেড়া, জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিন সিকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জমির বিরোধের জেরে একই গ্রামের মামুন আকন ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে মাছ লুট করেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন সিকদার। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে জামাল সিকদার বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরাফাত জাহান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জামাল উদ্দিন সিকদার জানান, তিনি এলাকায় সার ও কীটনাশকের ব্যবসার পাশাপাশি বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ এবং বাড়িসংলগ্ন খেতে তরমুজ, খিরা ও ফুটি চাষ করেছেন। জমির বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মামুন আকনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢোকেন। দুর্বৃত্তরা ২-৩টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং তাঁর পুকুরের প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা পুকুরের বেড়া, খুঁটি ও জাল উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া বাড়িসংলগ্ন তরমুজ, খিরা ও ফুটিখেতের গাছ উপড়ে ফেলে তারা। ওই সময় জামাল উদ্দিন সিকদার ও তাঁর লোকজন বাধা দিতে গেলে তাঁদের হত্যা ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন হামলাকারীরা।

পরে শনিবার দুপুরে জামাল উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে মামুন আকন (৫০), দিদার আকন (৪০), জহিরুল আকন (৩৬), সুরুজ আকন (২৮), জহির রাঢ়ীসহ (৩৫) ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন।

জানতে চাইলে মামুন আকন মাছ লুট ও খেত নষ্টের কথা অস্বীকার করে বলেন, জমি উদ্ধার করতে শুক্রবার রাতে লোকজন নিয়ে মাছ ধরা হয়েছে এবং খেত পরিষ্কার করা হয়েছে।

মুলাদী থানার ওসি আরাফাত জাহান চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীর মাছ লুট ও তরমুজখেত নষ্টের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত