রামপালে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন
এস. এস শোহান, বাগেরহাট

বাগেরহাটের রামপালে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও সরকারের মেগা প্রকল্পের কারণে কমছে কৃষিজমি। গেল ২৫ বছরে অন্তত ৫ হাজার একর ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শিল্প-কলকারখানাসহ নানা ধরনের অবকাঠামো। কৃষিজমির সংকটে কাজের সন্ধানে অনেক কৃষক পাড়ি জমিয়েছেন বড় শহরে। এভাবে শিল্পায়ন ও বসতবাড়ি নির্মাণ চলতে থাকলে শহরে আসার হার বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মধ্যে রামপালে সরকারি উন্নয়নকাজের জন্য জমি অধিগ্রহণের হার বেশি। গেল তিন দশকে এই উপজেলায় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ৮৩৪ একর, খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য ৬৩০ একর, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের জন্য ১৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া রামপাল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, থানা, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার সন্ন্যাসী এলাকায় প্রায় ২০০ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে নৌ পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
এর বাইরে পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে ও পরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার ফয়লা বিমানবন্দর থেকে গোনাইব্রিজ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জমি ক্রয় ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অদূরে ৩৫০ একর জমি ক্রয় করে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে শিল্পগোষ্ঠী ওরিয়ন গ্রুপ। এ ছাড়া ফারুক জুটস মিলস লি., বে-ইস্টার্ন করপোরেশন, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস, ডেল্টা এলপিজি, পেট্রোম্যাক্স অফিসার্স রেসিডেন্স, ৫টি তেলপাম্প, কয়েকটি মাছ ক্রয়-বিক্রয় আড়ত গড়া হয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কৃষিজমিতে বাড়ি ও ছোট ছোট দোকান নির্মাণ করেছেন জমির মালিকেরা। এ ছাড়া পশুর, বগুড়াসহ বিভিন্ন নদ-নদীর ভাঙনে গেল তিন দশকে এই উপজেলার অন্তত ৫০০ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
তবে রামপাল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, গেল ১৫ বছরে এই উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমেছে ২ হাজার ৫০০ একর। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে রামপাল উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার ৬৬৩ একর। ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৬৬৫ একরে। তবে বাস্তবিক অর্থে এই পরিমাণ আরও বেশি। এভাবে দিনের পর দিন জমি কমার কারণে কৃষিকাজ ও ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল অনেকে এলাকা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বড় শহরে।
উপজেলার রাজনগর এলাকার গুরুদাস মণ্ডল বলেন, ‘এলাকায় একসময় অনেক ধান উৎপাদন হতো, আবার মাছও পাওয়া যেত। কিন্তু ধানি জমি কমতে কমতে এখন অনেকের শুধু বাড়িটুকু আছে। কয়েক বছর আগে আমার প্রতিবেশী তারক দাস পরিবার নিয়ে কাজের আশায় ঢাকা চলে গেছে। মাত্র তিন কাঠা জমি আছে তার বাড়িতে, এতে কি আর সংসার চলে। শুনেছি, ঢাকায় নিজে রিকশা চালায়, বউ মানুষের বাসায় কাজ করে। ছেলে-মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেছে।’ শুধু তারক নন, আশপাশের অনেকে কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়েছে বলে জানান এই বৃদ্ধ।
গৌরম্ভা এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে গেছেন দিনমজুর হুমায়ুন কবির। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে মানুষের ধানখেত ও বাড়িতে আমি কাজ করতাম। কিন্তু বছর দশেক হলো, এলাকায় কাজ খুব কম। কারণ, আগের মতো ধানি জমি নেই। যার কারণে চট্টগ্রামে চলে আসছি। রাজমিস্ত্রির জোগান দিই, ৩০ দিনই কাজ করা যায়। বেতনও ভালো।’
ওরিয়ন সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে জমি বিক্রেতা অমৃত লাল সরকার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘১০ লাখ টাকায় প্রতি বিঘা জমি বিক্রি করেছি। ওই জমিতে অন্তত ৩০০ জন কৃষক ধান চাষ করতেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে ছিল বর্গাচাষি, আবার কেউ কেউ ধানচাষিদের দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তাঁরা মূলত সমস্যায় পড়েছেন।’
কৃষিজমি কমে যাওয়া এবং কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীরা। খুলনা পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক আইনজীবী কুদরাত-ই-খুদা বলেন, ভূমি উন্নয়ন নীতিমালা অনুযায়ী কৃষিজমিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান করা যাবে না। রামপালে যেভাবে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার কৃষিজীবীরা জীবিকা সংকটে পড়বেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবিদ, নগর-পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা সরকারকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বনায়ন, মাছ চাষ ও আবাসিক ব্যবস্থার জন্য আলাদা স্থান নির্বাচনের অনুরোধ করে আসছে। তারপরও সরকারের চোখের সামনে কৃষিজমিতে শিল্পায়ন ও নগরায়ণ হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান এভাবে ফসলি জমি ক্রয় করলেও বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কিছু করার নেই বলে জানান জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, শিল্প গ্রুপগুলো সরাসরি তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় করে না। তারা প্রথমে স্থানীয় জমির দালালদের মাধ্যমে জমি ক্রয় চুক্তি করেন, পরে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক বা পরিচালকদের বিশ্বস্ত কারও নামে জমিটি দলিল করেন। পরে ওই জমিতে বালু ভরাট ও সাইনবোর্ড দিয়ে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্য উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের চাইলেও কিছু করার নেই।
অন্যদিকে, শিল্প গ্রুপের ক্রয় করা জমিতে বালু ভরাটের জন্য দেদার ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। যার কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বা স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ‘১৫ বছরে এই উপজেলায় কিছু আবাদযোগ্য জমি কমেছে। তবে উৎপাদন যাতে না কমে, এ জন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের ধান চাষ এবং একই জমিতে বারবার চাষাবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চাষের জমি কমলেও উৎপাদন কমেনি বলে দাবি এই কর্মকর্তার।
পরিবেশ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, ‘শিল্পপ্রতিষ্ঠান করতে হলে দুই ধরনের ছাড়পত্র নিতে হয়। একটি শুরুতে অবস্থানগত ছাড়পত্র, আরেকটি পরিবেশগত ছাড়পত্র। রামপালে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হচ্ছে, তারা যদি পরিবেশের ছাড়পত্র না নেয়, অথবা পরিবেশের ক্ষতি করে, সে ক্ষেত্রে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন ও খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌসী বলেন, ‘সম্প্রতি আমি এই উপজেলায় যোগদান করেছি। বেশির ভাগ জমি আমি যোগদানের আগে হস্তান্তর ও বালু ভরাট হয়েছে। কৃষিজমি রক্ষার যে নীতিমালা রয়েছে, সেখানে উপজেলা প্রশাসনের যতটুকু দায়িত্ব রয়েছে, তা আমরা পালন করব।’ এ ক্ষেত্রে জমির মালিক এবং স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাগেরহাটের রামপালে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও সরকারের মেগা প্রকল্পের কারণে কমছে কৃষিজমি। গেল ২৫ বছরে অন্তত ৫ হাজার একর ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শিল্প-কলকারখানাসহ নানা ধরনের অবকাঠামো। কৃষিজমির সংকটে কাজের সন্ধানে অনেক কৃষক পাড়ি জমিয়েছেন বড় শহরে। এভাবে শিল্পায়ন ও বসতবাড়ি নির্মাণ চলতে থাকলে শহরে আসার হার বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মধ্যে রামপালে সরকারি উন্নয়নকাজের জন্য জমি অধিগ্রহণের হার বেশি। গেল তিন দশকে এই উপজেলায় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ৮৩৪ একর, খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য ৬৩০ একর, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের জন্য ১৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া রামপাল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, থানা, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার সন্ন্যাসী এলাকায় প্রায় ২০০ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে নৌ পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
এর বাইরে পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে ও পরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার ফয়লা বিমানবন্দর থেকে গোনাইব্রিজ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জমি ক্রয় ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অদূরে ৩৫০ একর জমি ক্রয় করে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে শিল্পগোষ্ঠী ওরিয়ন গ্রুপ। এ ছাড়া ফারুক জুটস মিলস লি., বে-ইস্টার্ন করপোরেশন, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস, ডেল্টা এলপিজি, পেট্রোম্যাক্স অফিসার্স রেসিডেন্স, ৫টি তেলপাম্প, কয়েকটি মাছ ক্রয়-বিক্রয় আড়ত গড়া হয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কৃষিজমিতে বাড়ি ও ছোট ছোট দোকান নির্মাণ করেছেন জমির মালিকেরা। এ ছাড়া পশুর, বগুড়াসহ বিভিন্ন নদ-নদীর ভাঙনে গেল তিন দশকে এই উপজেলার অন্তত ৫০০ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
তবে রামপাল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, গেল ১৫ বছরে এই উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমেছে ২ হাজার ৫০০ একর। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে রামপাল উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার ৬৬৩ একর। ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৬৬৫ একরে। তবে বাস্তবিক অর্থে এই পরিমাণ আরও বেশি। এভাবে দিনের পর দিন জমি কমার কারণে কৃষিকাজ ও ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল অনেকে এলাকা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বড় শহরে।
উপজেলার রাজনগর এলাকার গুরুদাস মণ্ডল বলেন, ‘এলাকায় একসময় অনেক ধান উৎপাদন হতো, আবার মাছও পাওয়া যেত। কিন্তু ধানি জমি কমতে কমতে এখন অনেকের শুধু বাড়িটুকু আছে। কয়েক বছর আগে আমার প্রতিবেশী তারক দাস পরিবার নিয়ে কাজের আশায় ঢাকা চলে গেছে। মাত্র তিন কাঠা জমি আছে তার বাড়িতে, এতে কি আর সংসার চলে। শুনেছি, ঢাকায় নিজে রিকশা চালায়, বউ মানুষের বাসায় কাজ করে। ছেলে-মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেছে।’ শুধু তারক নন, আশপাশের অনেকে কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়েছে বলে জানান এই বৃদ্ধ।
গৌরম্ভা এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে গেছেন দিনমজুর হুমায়ুন কবির। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে মানুষের ধানখেত ও বাড়িতে আমি কাজ করতাম। কিন্তু বছর দশেক হলো, এলাকায় কাজ খুব কম। কারণ, আগের মতো ধানি জমি নেই। যার কারণে চট্টগ্রামে চলে আসছি। রাজমিস্ত্রির জোগান দিই, ৩০ দিনই কাজ করা যায়। বেতনও ভালো।’
ওরিয়ন সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে জমি বিক্রেতা অমৃত লাল সরকার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘১০ লাখ টাকায় প্রতি বিঘা জমি বিক্রি করেছি। ওই জমিতে অন্তত ৩০০ জন কৃষক ধান চাষ করতেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে ছিল বর্গাচাষি, আবার কেউ কেউ ধানচাষিদের দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তাঁরা মূলত সমস্যায় পড়েছেন।’
কৃষিজমি কমে যাওয়া এবং কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীরা। খুলনা পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক আইনজীবী কুদরাত-ই-খুদা বলেন, ভূমি উন্নয়ন নীতিমালা অনুযায়ী কৃষিজমিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান করা যাবে না। রামপালে যেভাবে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার কৃষিজীবীরা জীবিকা সংকটে পড়বেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবিদ, নগর-পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা সরকারকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বনায়ন, মাছ চাষ ও আবাসিক ব্যবস্থার জন্য আলাদা স্থান নির্বাচনের অনুরোধ করে আসছে। তারপরও সরকারের চোখের সামনে কৃষিজমিতে শিল্পায়ন ও নগরায়ণ হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান এভাবে ফসলি জমি ক্রয় করলেও বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কিছু করার নেই বলে জানান জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, শিল্প গ্রুপগুলো সরাসরি তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় করে না। তারা প্রথমে স্থানীয় জমির দালালদের মাধ্যমে জমি ক্রয় চুক্তি করেন, পরে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক বা পরিচালকদের বিশ্বস্ত কারও নামে জমিটি দলিল করেন। পরে ওই জমিতে বালু ভরাট ও সাইনবোর্ড দিয়ে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্য উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের চাইলেও কিছু করার নেই।
অন্যদিকে, শিল্প গ্রুপের ক্রয় করা জমিতে বালু ভরাটের জন্য দেদার ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। যার কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বা স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ‘১৫ বছরে এই উপজেলায় কিছু আবাদযোগ্য জমি কমেছে। তবে উৎপাদন যাতে না কমে, এ জন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের ধান চাষ এবং একই জমিতে বারবার চাষাবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চাষের জমি কমলেও উৎপাদন কমেনি বলে দাবি এই কর্মকর্তার।
পরিবেশ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, ‘শিল্পপ্রতিষ্ঠান করতে হলে দুই ধরনের ছাড়পত্র নিতে হয়। একটি শুরুতে অবস্থানগত ছাড়পত্র, আরেকটি পরিবেশগত ছাড়পত্র। রামপালে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হচ্ছে, তারা যদি পরিবেশের ছাড়পত্র না নেয়, অথবা পরিবেশের ক্ষতি করে, সে ক্ষেত্রে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন ও খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌসী বলেন, ‘সম্প্রতি আমি এই উপজেলায় যোগদান করেছি। বেশির ভাগ জমি আমি যোগদানের আগে হস্তান্তর ও বালু ভরাট হয়েছে। কৃষিজমি রক্ষার যে নীতিমালা রয়েছে, সেখানে উপজেলা প্রশাসনের যতটুকু দায়িত্ব রয়েছে, তা আমরা পালন করব।’ এ ক্ষেত্রে জমির মালিক এবং স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রামপালে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন
এস. এস শোহান, বাগেরহাট

বাগেরহাটের রামপালে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও সরকারের মেগা প্রকল্পের কারণে কমছে কৃষিজমি। গেল ২৫ বছরে অন্তত ৫ হাজার একর ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শিল্প-কলকারখানাসহ নানা ধরনের অবকাঠামো। কৃষিজমির সংকটে কাজের সন্ধানে অনেক কৃষক পাড়ি জমিয়েছেন বড় শহরে। এভাবে শিল্পায়ন ও বসতবাড়ি নির্মাণ চলতে থাকলে শহরে আসার হার বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মধ্যে রামপালে সরকারি উন্নয়নকাজের জন্য জমি অধিগ্রহণের হার বেশি। গেল তিন দশকে এই উপজেলায় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ৮৩৪ একর, খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য ৬৩০ একর, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের জন্য ১৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া রামপাল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, থানা, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার সন্ন্যাসী এলাকায় প্রায় ২০০ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে নৌ পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
এর বাইরে পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে ও পরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার ফয়লা বিমানবন্দর থেকে গোনাইব্রিজ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জমি ক্রয় ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অদূরে ৩৫০ একর জমি ক্রয় করে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে শিল্পগোষ্ঠী ওরিয়ন গ্রুপ। এ ছাড়া ফারুক জুটস মিলস লি., বে-ইস্টার্ন করপোরেশন, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস, ডেল্টা এলপিজি, পেট্রোম্যাক্স অফিসার্স রেসিডেন্স, ৫টি তেলপাম্প, কয়েকটি মাছ ক্রয়-বিক্রয় আড়ত গড়া হয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কৃষিজমিতে বাড়ি ও ছোট ছোট দোকান নির্মাণ করেছেন জমির মালিকেরা। এ ছাড়া পশুর, বগুড়াসহ বিভিন্ন নদ-নদীর ভাঙনে গেল তিন দশকে এই উপজেলার অন্তত ৫০০ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
তবে রামপাল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, গেল ১৫ বছরে এই উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমেছে ২ হাজার ৫০০ একর। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে রামপাল উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার ৬৬৩ একর। ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৬৬৫ একরে। তবে বাস্তবিক অর্থে এই পরিমাণ আরও বেশি। এভাবে দিনের পর দিন জমি কমার কারণে কৃষিকাজ ও ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল অনেকে এলাকা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বড় শহরে।
উপজেলার রাজনগর এলাকার গুরুদাস মণ্ডল বলেন, ‘এলাকায় একসময় অনেক ধান উৎপাদন হতো, আবার মাছও পাওয়া যেত। কিন্তু ধানি জমি কমতে কমতে এখন অনেকের শুধু বাড়িটুকু আছে। কয়েক বছর আগে আমার প্রতিবেশী তারক দাস পরিবার নিয়ে কাজের আশায় ঢাকা চলে গেছে। মাত্র তিন কাঠা জমি আছে তার বাড়িতে, এতে কি আর সংসার চলে। শুনেছি, ঢাকায় নিজে রিকশা চালায়, বউ মানুষের বাসায় কাজ করে। ছেলে-মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেছে।’ শুধু তারক নন, আশপাশের অনেকে কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়েছে বলে জানান এই বৃদ্ধ।
গৌরম্ভা এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে গেছেন দিনমজুর হুমায়ুন কবির। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে মানুষের ধানখেত ও বাড়িতে আমি কাজ করতাম। কিন্তু বছর দশেক হলো, এলাকায় কাজ খুব কম। কারণ, আগের মতো ধানি জমি নেই। যার কারণে চট্টগ্রামে চলে আসছি। রাজমিস্ত্রির জোগান দিই, ৩০ দিনই কাজ করা যায়। বেতনও ভালো।’
ওরিয়ন সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে জমি বিক্রেতা অমৃত লাল সরকার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘১০ লাখ টাকায় প্রতি বিঘা জমি বিক্রি করেছি। ওই জমিতে অন্তত ৩০০ জন কৃষক ধান চাষ করতেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে ছিল বর্গাচাষি, আবার কেউ কেউ ধানচাষিদের দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তাঁরা মূলত সমস্যায় পড়েছেন।’
কৃষিজমি কমে যাওয়া এবং কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীরা। খুলনা পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক আইনজীবী কুদরাত-ই-খুদা বলেন, ভূমি উন্নয়ন নীতিমালা অনুযায়ী কৃষিজমিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান করা যাবে না। রামপালে যেভাবে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার কৃষিজীবীরা জীবিকা সংকটে পড়বেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবিদ, নগর-পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা সরকারকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বনায়ন, মাছ চাষ ও আবাসিক ব্যবস্থার জন্য আলাদা স্থান নির্বাচনের অনুরোধ করে আসছে। তারপরও সরকারের চোখের সামনে কৃষিজমিতে শিল্পায়ন ও নগরায়ণ হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান এভাবে ফসলি জমি ক্রয় করলেও বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কিছু করার নেই বলে জানান জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, শিল্প গ্রুপগুলো সরাসরি তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় করে না। তারা প্রথমে স্থানীয় জমির দালালদের মাধ্যমে জমি ক্রয় চুক্তি করেন, পরে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক বা পরিচালকদের বিশ্বস্ত কারও নামে জমিটি দলিল করেন। পরে ওই জমিতে বালু ভরাট ও সাইনবোর্ড দিয়ে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্য উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের চাইলেও কিছু করার নেই।
অন্যদিকে, শিল্প গ্রুপের ক্রয় করা জমিতে বালু ভরাটের জন্য দেদার ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। যার কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বা স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ‘১৫ বছরে এই উপজেলায় কিছু আবাদযোগ্য জমি কমেছে। তবে উৎপাদন যাতে না কমে, এ জন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের ধান চাষ এবং একই জমিতে বারবার চাষাবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চাষের জমি কমলেও উৎপাদন কমেনি বলে দাবি এই কর্মকর্তার।
পরিবেশ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, ‘শিল্পপ্রতিষ্ঠান করতে হলে দুই ধরনের ছাড়পত্র নিতে হয়। একটি শুরুতে অবস্থানগত ছাড়পত্র, আরেকটি পরিবেশগত ছাড়পত্র। রামপালে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হচ্ছে, তারা যদি পরিবেশের ছাড়পত্র না নেয়, অথবা পরিবেশের ক্ষতি করে, সে ক্ষেত্রে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন ও খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌসী বলেন, ‘সম্প্রতি আমি এই উপজেলায় যোগদান করেছি। বেশির ভাগ জমি আমি যোগদানের আগে হস্তান্তর ও বালু ভরাট হয়েছে। কৃষিজমি রক্ষার যে নীতিমালা রয়েছে, সেখানে উপজেলা প্রশাসনের যতটুকু দায়িত্ব রয়েছে, তা আমরা পালন করব।’ এ ক্ষেত্রে জমির মালিক এবং স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাগেরহাটের রামপালে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও সরকারের মেগা প্রকল্পের কারণে কমছে কৃষিজমি। গেল ২৫ বছরে অন্তত ৫ হাজার একর ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শিল্প-কলকারখানাসহ নানা ধরনের অবকাঠামো। কৃষিজমির সংকটে কাজের সন্ধানে অনেক কৃষক পাড়ি জমিয়েছেন বড় শহরে। এভাবে শিল্পায়ন ও বসতবাড়ি নির্মাণ চলতে থাকলে শহরে আসার হার বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মধ্যে রামপালে সরকারি উন্নয়নকাজের জন্য জমি অধিগ্রহণের হার বেশি। গেল তিন দশকে এই উপজেলায় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ৮৩৪ একর, খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য ৬৩০ একর, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের জন্য ১৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া রামপাল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, থানা, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার সন্ন্যাসী এলাকায় প্রায় ২০০ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে নৌ পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
এর বাইরে পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে ও পরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার ফয়লা বিমানবন্দর থেকে গোনাইব্রিজ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জমি ক্রয় ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অদূরে ৩৫০ একর জমি ক্রয় করে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে শিল্পগোষ্ঠী ওরিয়ন গ্রুপ। এ ছাড়া ফারুক জুটস মিলস লি., বে-ইস্টার্ন করপোরেশন, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস, ডেল্টা এলপিজি, পেট্রোম্যাক্স অফিসার্স রেসিডেন্স, ৫টি তেলপাম্প, কয়েকটি মাছ ক্রয়-বিক্রয় আড়ত গড়া হয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কৃষিজমিতে বাড়ি ও ছোট ছোট দোকান নির্মাণ করেছেন জমির মালিকেরা। এ ছাড়া পশুর, বগুড়াসহ বিভিন্ন নদ-নদীর ভাঙনে গেল তিন দশকে এই উপজেলার অন্তত ৫০০ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
তবে রামপাল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, গেল ১৫ বছরে এই উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমেছে ২ হাজার ৫০০ একর। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে রামপাল উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার ৬৬৩ একর। ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৬৬৫ একরে। তবে বাস্তবিক অর্থে এই পরিমাণ আরও বেশি। এভাবে দিনের পর দিন জমি কমার কারণে কৃষিকাজ ও ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল অনেকে এলাকা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বড় শহরে।
উপজেলার রাজনগর এলাকার গুরুদাস মণ্ডল বলেন, ‘এলাকায় একসময় অনেক ধান উৎপাদন হতো, আবার মাছও পাওয়া যেত। কিন্তু ধানি জমি কমতে কমতে এখন অনেকের শুধু বাড়িটুকু আছে। কয়েক বছর আগে আমার প্রতিবেশী তারক দাস পরিবার নিয়ে কাজের আশায় ঢাকা চলে গেছে। মাত্র তিন কাঠা জমি আছে তার বাড়িতে, এতে কি আর সংসার চলে। শুনেছি, ঢাকায় নিজে রিকশা চালায়, বউ মানুষের বাসায় কাজ করে। ছেলে-মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেছে।’ শুধু তারক নন, আশপাশের অনেকে কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়েছে বলে জানান এই বৃদ্ধ।
গৌরম্ভা এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে গেছেন দিনমজুর হুমায়ুন কবির। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে মানুষের ধানখেত ও বাড়িতে আমি কাজ করতাম। কিন্তু বছর দশেক হলো, এলাকায় কাজ খুব কম। কারণ, আগের মতো ধানি জমি নেই। যার কারণে চট্টগ্রামে চলে আসছি। রাজমিস্ত্রির জোগান দিই, ৩০ দিনই কাজ করা যায়। বেতনও ভালো।’
ওরিয়ন সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে জমি বিক্রেতা অমৃত লাল সরকার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘১০ লাখ টাকায় প্রতি বিঘা জমি বিক্রি করেছি। ওই জমিতে অন্তত ৩০০ জন কৃষক ধান চাষ করতেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে ছিল বর্গাচাষি, আবার কেউ কেউ ধানচাষিদের দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তাঁরা মূলত সমস্যায় পড়েছেন।’
কৃষিজমি কমে যাওয়া এবং কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীরা। খুলনা পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক আইনজীবী কুদরাত-ই-খুদা বলেন, ভূমি উন্নয়ন নীতিমালা অনুযায়ী কৃষিজমিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান করা যাবে না। রামপালে যেভাবে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার কৃষিজীবীরা জীবিকা সংকটে পড়বেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবিদ, নগর-পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা সরকারকে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বনায়ন, মাছ চাষ ও আবাসিক ব্যবস্থার জন্য আলাদা স্থান নির্বাচনের অনুরোধ করে আসছে। তারপরও সরকারের চোখের সামনে কৃষিজমিতে শিল্পায়ন ও নগরায়ণ হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান এভাবে ফসলি জমি ক্রয় করলেও বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কিছু করার নেই বলে জানান জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, শিল্প গ্রুপগুলো সরাসরি তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় করে না। তারা প্রথমে স্থানীয় জমির দালালদের মাধ্যমে জমি ক্রয় চুক্তি করেন, পরে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক বা পরিচালকদের বিশ্বস্ত কারও নামে জমিটি দলিল করেন। পরে ওই জমিতে বালু ভরাট ও সাইনবোর্ড দিয়ে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্য উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের চাইলেও কিছু করার নেই।
অন্যদিকে, শিল্প গ্রুপের ক্রয় করা জমিতে বালু ভরাটের জন্য দেদার ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। যার কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বা স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ‘১৫ বছরে এই উপজেলায় কিছু আবাদযোগ্য জমি কমেছে। তবে উৎপাদন যাতে না কমে, এ জন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের ধান চাষ এবং একই জমিতে বারবার চাষাবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চাষের জমি কমলেও উৎপাদন কমেনি বলে দাবি এই কর্মকর্তার।
পরিবেশ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, ‘শিল্পপ্রতিষ্ঠান করতে হলে দুই ধরনের ছাড়পত্র নিতে হয়। একটি শুরুতে অবস্থানগত ছাড়পত্র, আরেকটি পরিবেশগত ছাড়পত্র। রামপালে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হচ্ছে, তারা যদি পরিবেশের ছাড়পত্র না নেয়, অথবা পরিবেশের ক্ষতি করে, সে ক্ষেত্রে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন ও খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌসী বলেন, ‘সম্প্রতি আমি এই উপজেলায় যোগদান করেছি। বেশির ভাগ জমি আমি যোগদানের আগে হস্তান্তর ও বালু ভরাট হয়েছে। কৃষিজমি রক্ষার যে নীতিমালা রয়েছে, সেখানে উপজেলা প্রশাসনের যতটুকু দায়িত্ব রয়েছে, তা আমরা পালন করব।’ এ ক্ষেত্রে জমির মালিক এবং স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৮ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

বাগেরহাটের রামপালে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও সরকারের মেগা প্রকল্পের কারণে কমছে কৃষিজমি। গেল ২৫ বছরে অন্তত ৫ হাজার একর ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শিল্প-কলকারখানাসহ নানা ধরনের অবকাঠামো।
০৬ জুলাই ২০২৫
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৮ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

বাগেরহাটের রামপালে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও সরকারের মেগা প্রকল্পের কারণে কমছে কৃষিজমি। গেল ২৫ বছরে অন্তত ৫ হাজার একর ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শিল্প-কলকারখানাসহ নানা ধরনের অবকাঠামো।
০৬ জুলাই ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৮ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

বাগেরহাটের রামপালে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও সরকারের মেগা প্রকল্পের কারণে কমছে কৃষিজমি। গেল ২৫ বছরে অন্তত ৫ হাজার একর ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শিল্প-কলকারখানাসহ নানা ধরনের অবকাঠামো।
০৬ জুলাই ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

বাগেরহাটের রামপালে দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও সরকারের মেগা প্রকল্পের কারণে কমছে কৃষিজমি। গেল ২৫ বছরে অন্তত ৫ হাজার একর ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শিল্প-কলকারখানাসহ নানা ধরনের অবকাঠামো।
০৬ জুলাই ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৮ মিনিট আগে