রাবি প্রতিনিধি

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ প্রায় ৭৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ। এতে ঝিমিয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
অন্যদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কোনো নেতা–কর্মী এলেই আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আর সেই চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত শিক্ষার্থীদের একাংশ।
তাঁরা বলছেন, কোনো শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। ছাত্রলীগ এত দিন যা করে এসেছে, সরকার পতনের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই কাজটা শুরু করেছেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশে যেহেতু আইন ও বিচারব্যবস্থা আছে, তাই বিচারবহির্ভূত যেকোনো কর্মকাণ্ডই নিন্দনীয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের এক নেতা তাঁর জিনিসপত্র নিতে এলে তাঁকে আটক করে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁকে মারধরও করা হয়। পরে হল প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের ওই নেতার কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন। পাশাপাশি তাঁকে রাজশাহী ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।
১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে প্রশাসনের সিলগালা কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করার সময় আল আমিন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন তাঁরা। পরে সেনাবাহিনী ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর পরদিন ১৯ আগস্ট গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ্ হল থেকে জিনিসপত্র বাইরে সরানোর সময় ছাত্রলীগের আরও দুজন কর্মীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ কর হয়।
সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাব্বির হোসেন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁকে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান রাফি বলেন, ‘ইতিপূর্বে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ যেমন ভিন্নমতের শিক্ষার্থী কিংবা অন্য কাউকে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করত, এখন একদল শিক্ষার্থী ঠিক সে রকমই কাজ করছে। হলে হলে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের ধরে বেঁধে রাখছে, মারধর করছে—যেটা মোটেও কাম্য নয়। এগুলো নিশ্চিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশে যেহেতু আইন, বিচারব্যবস্থা আছে; সুতরাং যেকোনো বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডই নিন্দনীয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘একজনকে গাছে বেঁধে রাখা—এটা কোনোভাবেই উচিত নয়। ছাত্রলীগের যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের প্রতি আমাদের ধিক্কার, তাদের প্রতি আমাদের ক্ষোভ আছে—এটা সত্য। কিন্তু সবাই তো আর এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছিল না।
অনেকেই ছিল একটা সিট পাওয়ার জন্য, হয়রানি না হওয়ার জন্য। কিন্তু ছাত্রলীগ করত বলে তাকে অপদস্থ করতে হবে—এটা অন্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া একটা শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা, চার-পাঁচটা থাপ্পড় দেওয়ার থেকেও অপমানজনক।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘এই মুহূর্তে হল প্রশাসন বলতে কিছু নেই। প্রক্টরিয়াল বডিও নেই। এখনকার বাস্তবতায়, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীদের উচিত হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়া। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া উচিত না। এটাও ঠিক শিক্ষার্থীদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার একটা প্রতিকার হওয়া দরকার। এটা অবশ্যই আইনগত প্রক্রিয়ায় হতে হবে।’
ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা, অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন। এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তবে তারা যা করেছে তা অনেকটা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’
আরও খবর পড়ুন:

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ প্রায় ৭৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ। এতে ঝিমিয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
অন্যদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কোনো নেতা–কর্মী এলেই আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আর সেই চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত শিক্ষার্থীদের একাংশ।
তাঁরা বলছেন, কোনো শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। ছাত্রলীগ এত দিন যা করে এসেছে, সরকার পতনের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই কাজটা শুরু করেছেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশে যেহেতু আইন ও বিচারব্যবস্থা আছে, তাই বিচারবহির্ভূত যেকোনো কর্মকাণ্ডই নিন্দনীয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের এক নেতা তাঁর জিনিসপত্র নিতে এলে তাঁকে আটক করে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁকে মারধরও করা হয়। পরে হল প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের ওই নেতার কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন। পাশাপাশি তাঁকে রাজশাহী ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।
১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে প্রশাসনের সিলগালা কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করার সময় আল আমিন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন তাঁরা। পরে সেনাবাহিনী ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর পরদিন ১৯ আগস্ট গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ্ হল থেকে জিনিসপত্র বাইরে সরানোর সময় ছাত্রলীগের আরও দুজন কর্মীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ কর হয়।
সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাব্বির হোসেন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁকে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান রাফি বলেন, ‘ইতিপূর্বে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ যেমন ভিন্নমতের শিক্ষার্থী কিংবা অন্য কাউকে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করত, এখন একদল শিক্ষার্থী ঠিক সে রকমই কাজ করছে। হলে হলে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের ধরে বেঁধে রাখছে, মারধর করছে—যেটা মোটেও কাম্য নয়। এগুলো নিশ্চিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশে যেহেতু আইন, বিচারব্যবস্থা আছে; সুতরাং যেকোনো বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডই নিন্দনীয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘একজনকে গাছে বেঁধে রাখা—এটা কোনোভাবেই উচিত নয়। ছাত্রলীগের যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের প্রতি আমাদের ধিক্কার, তাদের প্রতি আমাদের ক্ষোভ আছে—এটা সত্য। কিন্তু সবাই তো আর এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছিল না।
অনেকেই ছিল একটা সিট পাওয়ার জন্য, হয়রানি না হওয়ার জন্য। কিন্তু ছাত্রলীগ করত বলে তাকে অপদস্থ করতে হবে—এটা অন্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া একটা শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা, চার-পাঁচটা থাপ্পড় দেওয়ার থেকেও অপমানজনক।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘এই মুহূর্তে হল প্রশাসন বলতে কিছু নেই। প্রক্টরিয়াল বডিও নেই। এখনকার বাস্তবতায়, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীদের উচিত হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়া। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া উচিত না। এটাও ঠিক শিক্ষার্থীদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার একটা প্রতিকার হওয়া দরকার। এটা অবশ্যই আইনগত প্রক্রিয়ায় হতে হবে।’
ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা, অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন। এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তবে তারা যা করেছে তা অনেকটা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’
আরও খবর পড়ুন:
রাবি প্রতিনিধি

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ প্রায় ৭৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ। এতে ঝিমিয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
অন্যদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কোনো নেতা–কর্মী এলেই আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আর সেই চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত শিক্ষার্থীদের একাংশ।
তাঁরা বলছেন, কোনো শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। ছাত্রলীগ এত দিন যা করে এসেছে, সরকার পতনের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই কাজটা শুরু করেছেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশে যেহেতু আইন ও বিচারব্যবস্থা আছে, তাই বিচারবহির্ভূত যেকোনো কর্মকাণ্ডই নিন্দনীয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের এক নেতা তাঁর জিনিসপত্র নিতে এলে তাঁকে আটক করে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁকে মারধরও করা হয়। পরে হল প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের ওই নেতার কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন। পাশাপাশি তাঁকে রাজশাহী ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।
১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে প্রশাসনের সিলগালা কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করার সময় আল আমিন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন তাঁরা। পরে সেনাবাহিনী ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর পরদিন ১৯ আগস্ট গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ্ হল থেকে জিনিসপত্র বাইরে সরানোর সময় ছাত্রলীগের আরও দুজন কর্মীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ কর হয়।
সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাব্বির হোসেন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁকে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান রাফি বলেন, ‘ইতিপূর্বে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ যেমন ভিন্নমতের শিক্ষার্থী কিংবা অন্য কাউকে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করত, এখন একদল শিক্ষার্থী ঠিক সে রকমই কাজ করছে। হলে হলে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের ধরে বেঁধে রাখছে, মারধর করছে—যেটা মোটেও কাম্য নয়। এগুলো নিশ্চিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশে যেহেতু আইন, বিচারব্যবস্থা আছে; সুতরাং যেকোনো বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডই নিন্দনীয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘একজনকে গাছে বেঁধে রাখা—এটা কোনোভাবেই উচিত নয়। ছাত্রলীগের যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের প্রতি আমাদের ধিক্কার, তাদের প্রতি আমাদের ক্ষোভ আছে—এটা সত্য। কিন্তু সবাই তো আর এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছিল না।
অনেকেই ছিল একটা সিট পাওয়ার জন্য, হয়রানি না হওয়ার জন্য। কিন্তু ছাত্রলীগ করত বলে তাকে অপদস্থ করতে হবে—এটা অন্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া একটা শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা, চার-পাঁচটা থাপ্পড় দেওয়ার থেকেও অপমানজনক।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘এই মুহূর্তে হল প্রশাসন বলতে কিছু নেই। প্রক্টরিয়াল বডিও নেই। এখনকার বাস্তবতায়, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীদের উচিত হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়া। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া উচিত না। এটাও ঠিক শিক্ষার্থীদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার একটা প্রতিকার হওয়া দরকার। এটা অবশ্যই আইনগত প্রক্রিয়ায় হতে হবে।’
ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা, অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন। এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তবে তারা যা করেছে তা অনেকটা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’
আরও খবর পড়ুন:

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ প্রায় ৭৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ। এতে ঝিমিয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
অন্যদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কোনো নেতা–কর্মী এলেই আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আর সেই চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত শিক্ষার্থীদের একাংশ।
তাঁরা বলছেন, কোনো শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। ছাত্রলীগ এত দিন যা করে এসেছে, সরকার পতনের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই কাজটা শুরু করেছেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশে যেহেতু আইন ও বিচারব্যবস্থা আছে, তাই বিচারবহির্ভূত যেকোনো কর্মকাণ্ডই নিন্দনীয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের এক নেতা তাঁর জিনিসপত্র নিতে এলে তাঁকে আটক করে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁকে মারধরও করা হয়। পরে হল প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের ওই নেতার কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন। পাশাপাশি তাঁকে রাজশাহী ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।
১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে প্রশাসনের সিলগালা কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করার সময় আল আমিন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন তাঁরা। পরে সেনাবাহিনী ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর পরদিন ১৯ আগস্ট গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ্ হল থেকে জিনিসপত্র বাইরে সরানোর সময় ছাত্রলীগের আরও দুজন কর্মীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ কর হয়।
সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাব্বির হোসেন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁকে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান রাফি বলেন, ‘ইতিপূর্বে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ যেমন ভিন্নমতের শিক্ষার্থী কিংবা অন্য কাউকে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করত, এখন একদল শিক্ষার্থী ঠিক সে রকমই কাজ করছে। হলে হলে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের ধরে বেঁধে রাখছে, মারধর করছে—যেটা মোটেও কাম্য নয়। এগুলো নিশ্চিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশে যেহেতু আইন, বিচারব্যবস্থা আছে; সুতরাং যেকোনো বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডই নিন্দনীয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘একজনকে গাছে বেঁধে রাখা—এটা কোনোভাবেই উচিত নয়। ছাত্রলীগের যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের প্রতি আমাদের ধিক্কার, তাদের প্রতি আমাদের ক্ষোভ আছে—এটা সত্য। কিন্তু সবাই তো আর এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছিল না।
অনেকেই ছিল একটা সিট পাওয়ার জন্য, হয়রানি না হওয়ার জন্য। কিন্তু ছাত্রলীগ করত বলে তাকে অপদস্থ করতে হবে—এটা অন্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া একটা শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা, চার-পাঁচটা থাপ্পড় দেওয়ার থেকেও অপমানজনক।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘এই মুহূর্তে হল প্রশাসন বলতে কিছু নেই। প্রক্টরিয়াল বডিও নেই। এখনকার বাস্তবতায়, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীদের উচিত হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়া। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া উচিত না। এটাও ঠিক শিক্ষার্থীদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার একটা প্রতিকার হওয়া দরকার। এটা অবশ্যই আইনগত প্রক্রিয়ায় হতে হবে।’
ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা, অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন। এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তবে তারা যা করেছে তা অনেকটা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’
আরও খবর পড়ুন:

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩২ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ প্রায় ৭৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ। এতে ঝিমিয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
৩১ আগস্ট ২০২৪
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ প্রায় ৭৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ। এতে ঝিমিয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
৩১ আগস্ট ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩২ মিনিট আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ প্রায় ৭৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ। এতে ঝিমিয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
৩১ আগস্ট ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩২ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক)।
অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।
র্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যসহ প্রায় ৭৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ। এতে ঝিমিয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
৩১ আগস্ট ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩২ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
২ ঘণ্টা আগে
ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে