ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ভারতের কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক হয়েছেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা সাইদুল করিম (মিন্টু)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র।
সাইদুল করিমকে আটকের পর ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বহু নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু কেন তিনি আটক হলেন এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তাঁরা বলছেন, তাঁকে ঢাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা কিছু বলবেন না।
এদিকে আজ বুধবার ডিবি প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেছেন, আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্যই আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পারলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কে এই মিন্টু
সাইদুল করিম মিন্টু হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের মৃত রুহুল কুদ্দুস ও আঙ্গুরা বেগমের সন্তান। ওই গ্রামেই ১৯৬৪ সালের ২ জুন তাঁর জন্ম। তবে বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর ক্যাসেল ব্রিজ সংলগ্ন ইন্দিরা সড়কের বিলাসবহুল বাড়িতে স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার ও দুই পুত্র এবং এক পুত্রবধূকে নিয়ে বসবাস করেন।
স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার স্থানীয় একটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। সাইদুল করিম সেই পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি।
সাইদুল করিম বর্তমানে চেম্বার অব কমার্স এবং দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতিতে উত্থান যেভাবে
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাইদুল করিম মিন্টুর বাবার আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো ছিল না। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হলে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন জালাল–জাহাঙ্গীর। সেই গ্রুপের এক নেতা ছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। ১৯৮৫ সালের দিকে ঝিনাইদহ জেলা কমিটিতে সভাপতি হন জেলার মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদকের পদ পান সাইদুল করিম মিন্টু। এই কমিটির মাধ্যমেই মিন্টু রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
তবে কাঙ্ক্ষিত অবস্থান গড়তে না পেরে ৮০–এর দশকের গোড়ার দিকে ঢাকায় গিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি শুরু করেন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন।
পরে আবার ঝিনাইদহ ফিরে যান মিন্টু। ১৯৯৩–৯৪ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক হন। আওয়ামী লীগের কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগ–যুবলীগ–ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন।
১৯৯৭ সালে সক্রিয় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে, তাঁদের রাজনৈতিক ভাবে পুনর্বাসন করে জেলা আওয়ামী লীগের হাত শক্তিশালী করেন। ফলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় গড়ে ওঠে তাঁর।
১৯৯৯–২০০০ সালে জেলার সব সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে শ্রমিক লীগ গঠনে উদ্যোগী হন মিন্টু। এ সময় জেলা শ্রমিক লীগকে সক্রিয় করে তোলেন।
২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন মিন্টু। ২০০৯ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। সেখান থেকে ভোটার স্থানান্তর করে ২০১০ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন।
পৌর মেয়র হওয়ার পর মিন্টকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনীতি যেমন প্রভাব–প্রতিপত্তি বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে সমান তালে বাড়তে থাকে সম্পত্তি। দ্রুতই কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে যান।
এর মধ্যে সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন ও সুরাট ইউনিয়নের সঙ্গে পৌরসভার সীমানা জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ১১ বছর পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ থাকে। সেই সুবাদে টানা এক যুগ অপ্রতিদ্বন্দ্বী পৌর মেয়র থেকে যান সাইদুল করিম মিন্টু।
বিনা ভোটের দীর্ঘদিন মেয়র থাকাকালে মিন্টু বিভিন্ন সালিস বৈঠকের বিচার, পৌরসভার নানা প্রকল্প, শহরের হাটের দোকান বেচা–কেনা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু করেন ঠিকাদারি ব্যবসা। জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে।
এ ছাড়া শহরের ট–বাজার সংলগ্ন জেলা বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের জায়গা কিনে সেখানে গড়ে তোলেন ৬ তলা বিশিষ্ট মার্কেট। সেটি পরে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে শোনা যায়। পৌর এলাকার মহিষাকুণ্ডুতে রয়েছে তাঁর বাগানবাড়ি। অবশ্য সেখানে কিছু বসার জায়গা এবং একটি টিনশেড ছোট ঘর ছাড়া কিছু নেই। সেখান প্রায় এক বছর হলো যান না সাইদুল করিম মিন্টু। বর্তমানে ঠিকাদারির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন তিনি।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু ঝিনাইদহ–২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান। কিন্তু নিজের পছন্দের প্রার্থী না হওয়ায় সাইদুল করিম মিন্টু তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে অবশ্য সেই বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছেন।
২০১৪ সালের মার্চের দিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ইজারা সংক্রান্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকার দ্বন্দ্বে খুন হন তৎকালীন জেলা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার বিশ্বাস। ওই রাতে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সকালে চাকলাপাড়া এলাকার ব্রিজের পাশে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই হত্যাকাণ্ডে সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সেই সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
২০১৫ সালে ২৫ মার্চ জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মিন্টু। এরপর থেকে সে পদেই রয়ে গেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে মিন্টুর বিরুদ্ধে দুটি মামলার বিচার চলমান। এর মধ্যে একটি পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন মশক নিধন, গাড়ি মেরামত, রাস্তা পরিষ্কারসহ অন্যান্য প্রকল্পের বিলের চেকে মূল টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত সংখ্যা বসিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা। জালিয়াতি করে ৩৮টি চেকের মাধ্যমে প্রায় ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি মামলাটি করে ঝিনাইদহ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়। মামলায় সাইদুল করিম মিন্টুসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
এ ছাড়া সদর থানায় ২০১৫ সালের ১ জুলাই ৩০২ ধারায় করা একটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন।
গত সংসদ নির্বাচনের আগে কালীগঞ্জের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। আনারের বিরুদ্ধে একাধিকবার বক্তব্যও দিয়েছেন।
ঝিনাইদহ–৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মিন্টু নিজেও। তবে শেষ পর্যন্ত ঝিনাইদহ–২ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাননি। ফলে নির্বাচনে অনেকটা নীরব ছিলেন।
গত পৌর, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান ছিল মিন্টুর। এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হন। সেসময় সরাসরি মিছিল মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন না মিন্টু। তবে বিরোধী পক্ষে অবস্থানের কারণে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কিছু বিভক্তিও দেখা দেয়।
বিশেষ করে গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বেশ ক্ষিপ্ত হন মিন্টু। সেসময় ঝিনাইদহ–২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং ঝিনাইদহ–৪ আসনের প্রার্থী আনারের বিপক্ষে গোপনে কাজ করেন। ঝিনাইদহ–২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়। তবে নির্বাচনের পর আনারের বিরুদ্ধে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন মিন্টু।
এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বাস বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম দুলালের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সাইদুল করিম মিন্টুর কাজই হচ্ছে বিরোধিতা করা। জেলা আওয়ামী লীগ যাকে সমর্থন করে তিনি তাঁর বিপক্ষে যায়। সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার এবং ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে কাজ করেছেন। এটা নিজের স্বার্থসিদ্ধি ও প্রতিহিংসা পরায়ণতার কারণেই করে থাকেন। সে সব সময় দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টিতে ব্যস্ত থাকেন, সভা–সমাবেশে নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দেন। এতে অনেকেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ।’

ভারতের কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক হয়েছেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা সাইদুল করিম (মিন্টু)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র।
সাইদুল করিমকে আটকের পর ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বহু নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু কেন তিনি আটক হলেন এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তাঁরা বলছেন, তাঁকে ঢাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা কিছু বলবেন না।
এদিকে আজ বুধবার ডিবি প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেছেন, আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্যই আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পারলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কে এই মিন্টু
সাইদুল করিম মিন্টু হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের মৃত রুহুল কুদ্দুস ও আঙ্গুরা বেগমের সন্তান। ওই গ্রামেই ১৯৬৪ সালের ২ জুন তাঁর জন্ম। তবে বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর ক্যাসেল ব্রিজ সংলগ্ন ইন্দিরা সড়কের বিলাসবহুল বাড়িতে স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার ও দুই পুত্র এবং এক পুত্রবধূকে নিয়ে বসবাস করেন।
স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার স্থানীয় একটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। সাইদুল করিম সেই পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি।
সাইদুল করিম বর্তমানে চেম্বার অব কমার্স এবং দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতিতে উত্থান যেভাবে
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাইদুল করিম মিন্টুর বাবার আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো ছিল না। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হলে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন জালাল–জাহাঙ্গীর। সেই গ্রুপের এক নেতা ছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। ১৯৮৫ সালের দিকে ঝিনাইদহ জেলা কমিটিতে সভাপতি হন জেলার মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদকের পদ পান সাইদুল করিম মিন্টু। এই কমিটির মাধ্যমেই মিন্টু রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
তবে কাঙ্ক্ষিত অবস্থান গড়তে না পেরে ৮০–এর দশকের গোড়ার দিকে ঢাকায় গিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি শুরু করেন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন।
পরে আবার ঝিনাইদহ ফিরে যান মিন্টু। ১৯৯৩–৯৪ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক হন। আওয়ামী লীগের কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগ–যুবলীগ–ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন।
১৯৯৭ সালে সক্রিয় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে, তাঁদের রাজনৈতিক ভাবে পুনর্বাসন করে জেলা আওয়ামী লীগের হাত শক্তিশালী করেন। ফলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় গড়ে ওঠে তাঁর।
১৯৯৯–২০০০ সালে জেলার সব সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে শ্রমিক লীগ গঠনে উদ্যোগী হন মিন্টু। এ সময় জেলা শ্রমিক লীগকে সক্রিয় করে তোলেন।
২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন মিন্টু। ২০০৯ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। সেখান থেকে ভোটার স্থানান্তর করে ২০১০ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন।
পৌর মেয়র হওয়ার পর মিন্টকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনীতি যেমন প্রভাব–প্রতিপত্তি বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে সমান তালে বাড়তে থাকে সম্পত্তি। দ্রুতই কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে যান।
এর মধ্যে সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন ও সুরাট ইউনিয়নের সঙ্গে পৌরসভার সীমানা জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ১১ বছর পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ থাকে। সেই সুবাদে টানা এক যুগ অপ্রতিদ্বন্দ্বী পৌর মেয়র থেকে যান সাইদুল করিম মিন্টু।
বিনা ভোটের দীর্ঘদিন মেয়র থাকাকালে মিন্টু বিভিন্ন সালিস বৈঠকের বিচার, পৌরসভার নানা প্রকল্প, শহরের হাটের দোকান বেচা–কেনা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু করেন ঠিকাদারি ব্যবসা। জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে।
এ ছাড়া শহরের ট–বাজার সংলগ্ন জেলা বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের জায়গা কিনে সেখানে গড়ে তোলেন ৬ তলা বিশিষ্ট মার্কেট। সেটি পরে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে শোনা যায়। পৌর এলাকার মহিষাকুণ্ডুতে রয়েছে তাঁর বাগানবাড়ি। অবশ্য সেখানে কিছু বসার জায়গা এবং একটি টিনশেড ছোট ঘর ছাড়া কিছু নেই। সেখান প্রায় এক বছর হলো যান না সাইদুল করিম মিন্টু। বর্তমানে ঠিকাদারির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন তিনি।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু ঝিনাইদহ–২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান। কিন্তু নিজের পছন্দের প্রার্থী না হওয়ায় সাইদুল করিম মিন্টু তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে অবশ্য সেই বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছেন।
২০১৪ সালের মার্চের দিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ইজারা সংক্রান্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকার দ্বন্দ্বে খুন হন তৎকালীন জেলা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার বিশ্বাস। ওই রাতে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সকালে চাকলাপাড়া এলাকার ব্রিজের পাশে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই হত্যাকাণ্ডে সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সেই সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
২০১৫ সালে ২৫ মার্চ জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মিন্টু। এরপর থেকে সে পদেই রয়ে গেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে মিন্টুর বিরুদ্ধে দুটি মামলার বিচার চলমান। এর মধ্যে একটি পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন মশক নিধন, গাড়ি মেরামত, রাস্তা পরিষ্কারসহ অন্যান্য প্রকল্পের বিলের চেকে মূল টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত সংখ্যা বসিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা। জালিয়াতি করে ৩৮টি চেকের মাধ্যমে প্রায় ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি মামলাটি করে ঝিনাইদহ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়। মামলায় সাইদুল করিম মিন্টুসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
এ ছাড়া সদর থানায় ২০১৫ সালের ১ জুলাই ৩০২ ধারায় করা একটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন।
গত সংসদ নির্বাচনের আগে কালীগঞ্জের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। আনারের বিরুদ্ধে একাধিকবার বক্তব্যও দিয়েছেন।
ঝিনাইদহ–৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মিন্টু নিজেও। তবে শেষ পর্যন্ত ঝিনাইদহ–২ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাননি। ফলে নির্বাচনে অনেকটা নীরব ছিলেন।
গত পৌর, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান ছিল মিন্টুর। এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হন। সেসময় সরাসরি মিছিল মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন না মিন্টু। তবে বিরোধী পক্ষে অবস্থানের কারণে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কিছু বিভক্তিও দেখা দেয়।
বিশেষ করে গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বেশ ক্ষিপ্ত হন মিন্টু। সেসময় ঝিনাইদহ–২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং ঝিনাইদহ–৪ আসনের প্রার্থী আনারের বিপক্ষে গোপনে কাজ করেন। ঝিনাইদহ–২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়। তবে নির্বাচনের পর আনারের বিরুদ্ধে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন মিন্টু।
এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বাস বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম দুলালের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সাইদুল করিম মিন্টুর কাজই হচ্ছে বিরোধিতা করা। জেলা আওয়ামী লীগ যাকে সমর্থন করে তিনি তাঁর বিপক্ষে যায়। সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার এবং ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে কাজ করেছেন। এটা নিজের স্বার্থসিদ্ধি ও প্রতিহিংসা পরায়ণতার কারণেই করে থাকেন। সে সব সময় দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টিতে ব্যস্ত থাকেন, সভা–সমাবেশে নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দেন। এতে অনেকেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ।’
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ভারতের কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক হয়েছেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা সাইদুল করিম (মিন্টু)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র।
সাইদুল করিমকে আটকের পর ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বহু নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু কেন তিনি আটক হলেন এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তাঁরা বলছেন, তাঁকে ঢাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা কিছু বলবেন না।
এদিকে আজ বুধবার ডিবি প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেছেন, আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্যই আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পারলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কে এই মিন্টু
সাইদুল করিম মিন্টু হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের মৃত রুহুল কুদ্দুস ও আঙ্গুরা বেগমের সন্তান। ওই গ্রামেই ১৯৬৪ সালের ২ জুন তাঁর জন্ম। তবে বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর ক্যাসেল ব্রিজ সংলগ্ন ইন্দিরা সড়কের বিলাসবহুল বাড়িতে স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার ও দুই পুত্র এবং এক পুত্রবধূকে নিয়ে বসবাস করেন।
স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার স্থানীয় একটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। সাইদুল করিম সেই পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি।
সাইদুল করিম বর্তমানে চেম্বার অব কমার্স এবং দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতিতে উত্থান যেভাবে
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাইদুল করিম মিন্টুর বাবার আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো ছিল না। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হলে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন জালাল–জাহাঙ্গীর। সেই গ্রুপের এক নেতা ছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। ১৯৮৫ সালের দিকে ঝিনাইদহ জেলা কমিটিতে সভাপতি হন জেলার মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদকের পদ পান সাইদুল করিম মিন্টু। এই কমিটির মাধ্যমেই মিন্টু রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
তবে কাঙ্ক্ষিত অবস্থান গড়তে না পেরে ৮০–এর দশকের গোড়ার দিকে ঢাকায় গিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি শুরু করেন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন।
পরে আবার ঝিনাইদহ ফিরে যান মিন্টু। ১৯৯৩–৯৪ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক হন। আওয়ামী লীগের কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগ–যুবলীগ–ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন।
১৯৯৭ সালে সক্রিয় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে, তাঁদের রাজনৈতিক ভাবে পুনর্বাসন করে জেলা আওয়ামী লীগের হাত শক্তিশালী করেন। ফলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় গড়ে ওঠে তাঁর।
১৯৯৯–২০০০ সালে জেলার সব সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে শ্রমিক লীগ গঠনে উদ্যোগী হন মিন্টু। এ সময় জেলা শ্রমিক লীগকে সক্রিয় করে তোলেন।
২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন মিন্টু। ২০০৯ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। সেখান থেকে ভোটার স্থানান্তর করে ২০১০ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন।
পৌর মেয়র হওয়ার পর মিন্টকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনীতি যেমন প্রভাব–প্রতিপত্তি বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে সমান তালে বাড়তে থাকে সম্পত্তি। দ্রুতই কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে যান।
এর মধ্যে সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন ও সুরাট ইউনিয়নের সঙ্গে পৌরসভার সীমানা জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ১১ বছর পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ থাকে। সেই সুবাদে টানা এক যুগ অপ্রতিদ্বন্দ্বী পৌর মেয়র থেকে যান সাইদুল করিম মিন্টু।
বিনা ভোটের দীর্ঘদিন মেয়র থাকাকালে মিন্টু বিভিন্ন সালিস বৈঠকের বিচার, পৌরসভার নানা প্রকল্প, শহরের হাটের দোকান বেচা–কেনা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু করেন ঠিকাদারি ব্যবসা। জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে।
এ ছাড়া শহরের ট–বাজার সংলগ্ন জেলা বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের জায়গা কিনে সেখানে গড়ে তোলেন ৬ তলা বিশিষ্ট মার্কেট। সেটি পরে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে শোনা যায়। পৌর এলাকার মহিষাকুণ্ডুতে রয়েছে তাঁর বাগানবাড়ি। অবশ্য সেখানে কিছু বসার জায়গা এবং একটি টিনশেড ছোট ঘর ছাড়া কিছু নেই। সেখান প্রায় এক বছর হলো যান না সাইদুল করিম মিন্টু। বর্তমানে ঠিকাদারির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন তিনি।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু ঝিনাইদহ–২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান। কিন্তু নিজের পছন্দের প্রার্থী না হওয়ায় সাইদুল করিম মিন্টু তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে অবশ্য সেই বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছেন।
২০১৪ সালের মার্চের দিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ইজারা সংক্রান্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকার দ্বন্দ্বে খুন হন তৎকালীন জেলা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার বিশ্বাস। ওই রাতে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সকালে চাকলাপাড়া এলাকার ব্রিজের পাশে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই হত্যাকাণ্ডে সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সেই সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
২০১৫ সালে ২৫ মার্চ জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মিন্টু। এরপর থেকে সে পদেই রয়ে গেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে মিন্টুর বিরুদ্ধে দুটি মামলার বিচার চলমান। এর মধ্যে একটি পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন মশক নিধন, গাড়ি মেরামত, রাস্তা পরিষ্কারসহ অন্যান্য প্রকল্পের বিলের চেকে মূল টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত সংখ্যা বসিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা। জালিয়াতি করে ৩৮টি চেকের মাধ্যমে প্রায় ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি মামলাটি করে ঝিনাইদহ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়। মামলায় সাইদুল করিম মিন্টুসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
এ ছাড়া সদর থানায় ২০১৫ সালের ১ জুলাই ৩০২ ধারায় করা একটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন।
গত সংসদ নির্বাচনের আগে কালীগঞ্জের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। আনারের বিরুদ্ধে একাধিকবার বক্তব্যও দিয়েছেন।
ঝিনাইদহ–৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মিন্টু নিজেও। তবে শেষ পর্যন্ত ঝিনাইদহ–২ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাননি। ফলে নির্বাচনে অনেকটা নীরব ছিলেন।
গত পৌর, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান ছিল মিন্টুর। এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হন। সেসময় সরাসরি মিছিল মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন না মিন্টু। তবে বিরোধী পক্ষে অবস্থানের কারণে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কিছু বিভক্তিও দেখা দেয়।
বিশেষ করে গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বেশ ক্ষিপ্ত হন মিন্টু। সেসময় ঝিনাইদহ–২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং ঝিনাইদহ–৪ আসনের প্রার্থী আনারের বিপক্ষে গোপনে কাজ করেন। ঝিনাইদহ–২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়। তবে নির্বাচনের পর আনারের বিরুদ্ধে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন মিন্টু।
এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বাস বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম দুলালের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সাইদুল করিম মিন্টুর কাজই হচ্ছে বিরোধিতা করা। জেলা আওয়ামী লীগ যাকে সমর্থন করে তিনি তাঁর বিপক্ষে যায়। সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার এবং ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে কাজ করেছেন। এটা নিজের স্বার্থসিদ্ধি ও প্রতিহিংসা পরায়ণতার কারণেই করে থাকেন। সে সব সময় দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টিতে ব্যস্ত থাকেন, সভা–সমাবেশে নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দেন। এতে অনেকেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ।’

ভারতের কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক হয়েছেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা সাইদুল করিম (মিন্টু)। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র।
সাইদুল করিমকে আটকের পর ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বহু নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু কেন তিনি আটক হলেন এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তাঁরা বলছেন, তাঁকে ঢাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা কিছু বলবেন না।
এদিকে আজ বুধবার ডিবি প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেছেন, আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্যই আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পারলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কে এই মিন্টু
সাইদুল করিম মিন্টু হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের মৃত রুহুল কুদ্দুস ও আঙ্গুরা বেগমের সন্তান। ওই গ্রামেই ১৯৬৪ সালের ২ জুন তাঁর জন্ম। তবে বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর ক্যাসেল ব্রিজ সংলগ্ন ইন্দিরা সড়কের বিলাসবহুল বাড়িতে স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার ও দুই পুত্র এবং এক পুত্রবধূকে নিয়ে বসবাস করেন।
স্ত্রী আর্মিজা শিরিন আক্তার স্থানীয় একটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। সাইদুল করিম সেই পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি।
সাইদুল করিম বর্তমানে চেম্বার অব কমার্স এবং দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতিতে উত্থান যেভাবে
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাইদুল করিম মিন্টুর বাবার আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো ছিল না। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হলে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন জালাল–জাহাঙ্গীর। সেই গ্রুপের এক নেতা ছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। ১৯৮৫ সালের দিকে ঝিনাইদহ জেলা কমিটিতে সভাপতি হন জেলার মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদকের পদ পান সাইদুল করিম মিন্টু। এই কমিটির মাধ্যমেই মিন্টু রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
তবে কাঙ্ক্ষিত অবস্থান গড়তে না পেরে ৮০–এর দশকের গোড়ার দিকে ঢাকায় গিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি শুরু করেন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন।
পরে আবার ঝিনাইদহ ফিরে যান মিন্টু। ১৯৯৩–৯৪ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক হন। আওয়ামী লীগের কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগ–যুবলীগ–ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন।
১৯৯৭ সালে সক্রিয় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে, তাঁদের রাজনৈতিক ভাবে পুনর্বাসন করে জেলা আওয়ামী লীগের হাত শক্তিশালী করেন। ফলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় গড়ে ওঠে তাঁর।
১৯৯৯–২০০০ সালে জেলার সব সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে শ্রমিক লীগ গঠনে উদ্যোগী হন মিন্টু। এ সময় জেলা শ্রমিক লীগকে সক্রিয় করে তোলেন।
২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হন মিন্টু। ২০০৯ সালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। সেখান থেকে ভোটার স্থানান্তর করে ২০১০ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন।
পৌর মেয়র হওয়ার পর মিন্টকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনীতি যেমন প্রভাব–প্রতিপত্তি বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে সমান তালে বাড়তে থাকে সম্পত্তি। দ্রুতই কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে যান।
এর মধ্যে সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন ও সুরাট ইউনিয়নের সঙ্গে পৌরসভার সীমানা জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ১১ বছর পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ থাকে। সেই সুবাদে টানা এক যুগ অপ্রতিদ্বন্দ্বী পৌর মেয়র থেকে যান সাইদুল করিম মিন্টু।
বিনা ভোটের দীর্ঘদিন মেয়র থাকাকালে মিন্টু বিভিন্ন সালিস বৈঠকের বিচার, পৌরসভার নানা প্রকল্প, শহরের হাটের দোকান বেচা–কেনা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু করেন ঠিকাদারি ব্যবসা। জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে।
এ ছাড়া শহরের ট–বাজার সংলগ্ন জেলা বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের জায়গা কিনে সেখানে গড়ে তোলেন ৬ তলা বিশিষ্ট মার্কেট। সেটি পরে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে শোনা যায়। পৌর এলাকার মহিষাকুণ্ডুতে রয়েছে তাঁর বাগানবাড়ি। অবশ্য সেখানে কিছু বসার জায়গা এবং একটি টিনশেড ছোট ঘর ছাড়া কিছু নেই। সেখান প্রায় এক বছর হলো যান না সাইদুল করিম মিন্টু। বর্তমানে ঠিকাদারির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন তিনি।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু ঝিনাইদহ–২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান। কিন্তু নিজের পছন্দের প্রার্থী না হওয়ায় সাইদুল করিম মিন্টু তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে অবশ্য সেই বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছেন।
২০১৪ সালের মার্চের দিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ইজারা সংক্রান্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকার দ্বন্দ্বে খুন হন তৎকালীন জেলা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার বিশ্বাস। ওই রাতে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সকালে চাকলাপাড়া এলাকার ব্রিজের পাশে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই হত্যাকাণ্ডে সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সেই সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
২০১৫ সালে ২৫ মার্চ জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মিন্টু। এরপর থেকে সে পদেই রয়ে গেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে মিন্টুর বিরুদ্ধে দুটি মামলার বিচার চলমান। এর মধ্যে একটি পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন মশক নিধন, গাড়ি মেরামত, রাস্তা পরিষ্কারসহ অন্যান্য প্রকল্পের বিলের চেকে মূল টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত সংখ্যা বসিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা। জালিয়াতি করে ৩৮টি চেকের মাধ্যমে প্রায় ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি মামলাটি করে ঝিনাইদহ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়। মামলায় সাইদুল করিম মিন্টুসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
এ ছাড়া সদর থানায় ২০১৫ সালের ১ জুলাই ৩০২ ধারায় করা একটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন।
গত সংসদ নির্বাচনের আগে কালীগঞ্জের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সাইদুল করিম মিন্টু। আনারের বিরুদ্ধে একাধিকবার বক্তব্যও দিয়েছেন।
ঝিনাইদহ–৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মিন্টু নিজেও। তবে শেষ পর্যন্ত ঝিনাইদহ–২ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাননি। ফলে নির্বাচনে অনেকটা নীরব ছিলেন।
গত পৌর, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান ছিল মিন্টুর। এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হন। সেসময় সরাসরি মিছিল মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন না মিন্টু। তবে বিরোধী পক্ষে অবস্থানের কারণে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কিছু বিভক্তিও দেখা দেয়।
বিশেষ করে গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বেশ ক্ষিপ্ত হন মিন্টু। সেসময় ঝিনাইদহ–২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং ঝিনাইদহ–৪ আসনের প্রার্থী আনারের বিপক্ষে গোপনে কাজ করেন। ঝিনাইদহ–২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়। তবে নির্বাচনের পর আনারের বিরুদ্ধে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন মিন্টু।
এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বাস বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম দুলালের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সাইদুল করিম মিন্টুর কাজই হচ্ছে বিরোধিতা করা। জেলা আওয়ামী লীগ যাকে সমর্থন করে তিনি তাঁর বিপক্ষে যায়। সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার এবং ঝিনাইদহ–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের বিপক্ষে কাজ করেছেন। এটা নিজের স্বার্থসিদ্ধি ও প্রতিহিংসা পরায়ণতার কারণেই করে থাকেন। সে সব সময় দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টিতে ব্যস্ত থাকেন, সভা–সমাবেশে নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দেন। এতে অনেকেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
১৩ জুন ২০২৪
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
১৩ জুন ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
১৩ জুন ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা সাইদুল করিমের শুরু ছাত্রলীগের হাত ধরে। রাজনীতিতে বেশ দ্রুতই উন্নতি করেছেন তিনি। রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছাত্রলীগকেই।
১৩ জুন ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে