মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএসের চাল মেলেনি। আজ মঙ্গলবার সকালে সাটুরিয়া বাজারের ডিলার রঘুনাথ সাহার বিক্রয় কেন্দ্রে চাল না পেয়ে অনেকে বাড়ি ফিরে যান।
জানা গেছে, সপ্তাহের রবি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে সুলভ মূল্যে ওএমএসের চাল বিক্রি করা হয়। তবে বেলা ১১টার মধ্যেই চাল বিতরণ শেষ হয়ে যায়। লাইনে দাঁড়ানো প্রথম ২০০ জনকে এই চাল দেওয়া হয়। এর পরের কেউ চাল পান না। তাঁদের সবাইকে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়।
চাল না পাওয়া হালিমা বেগম (৫০) বলেন, ‘চাল দেবে না, আগে বললেই হতো। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। শেষে ডিলারের লোকজন বলে যে, চাল শেষ হয়ে গেছে। গরিবদের নিয়ে কেন এমন করা হয়?’
ষাটোর্ধ্ব সামসুল ইসলাম বলেন, ‘একটু কম দামে চাল পাওয়ার আশায় সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত চাল পেলাম না।’
সাটুরিয়া বাজারের ডিলার রঘুনাথ সাহা বলেন, ‘সরকারিভাবে আমি এক টন চাল বরাদ্দ পাই। তা প্রতিজনকে পাঁচ কেজি করে ২০০ জনকে দিতে পারি। চাল কম থাকায় লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে চাল পাচ্ছেন না।’
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় দুটি ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ওএমএসের দুই টন চাল নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কেউ চাল পেয়ে না থাকলে এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে