কামরুল হাসান

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন ‘কবরী’, সেটা ১৯৬৪ সালে। এরপর পাহাড়সম জনপ্রিয়তা নিয়ে পাখির মতো উড়তে থাকেন কবরী। এই মিষ্টি মেয়ে ১৯৭৮ সালে এক পীরের আস্তানায় গিয়ে ধর্মান্তরিত হন, সেখানেই বিয়ে করেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের চাচা, ব্যবসায়ী সফিউদ্দীন সারওয়ার বাবুকে। পীরের নাম মজিবর রহমান চিশতি।
সেই পীর যেদিন খুন হলেন, সেদিন সকাল থেকে দুপুর অবধি আমি কবরী সারওয়ারকে মোহাম্মদপুরে পীরের আস্তানায় বসে কাঁদতে দেখেছি। তবে কবরী সারওয়ারের সঙ্গে পীরের এত সুসম্পর্ক বাইরের লোকেরা খুব কমই জানতেন। মজিবর রহমান চিশতি সম্পর্কে প্রচলিত ছিল, তিনি পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পীর।
সাংবাদিকতা জীবনের শুরুতে চলনে-বলনে মহাক্ষমতাধর এই পীর নিয়ে অনেক সত্য-মিথ্যা শুনেছি। এমন পীর দেখে নিজের চোখ জুড়ানোর ইচ্ছেও বার কয়েক উঁকি দিয়েছে মনে। কিন্তু যাব-যাচ্ছি করে শেষমেশ আর যাওয়া হয়নি। যেদিন গেলাম, সেদিন গিয়ে দেখি, দোতলায় বাথরুমের মেঝেতে তাঁর জবাই করা লাশ উপুড় হয়ে পড়ে আছে।
পুলিশের ঢাকা নগর বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) এসএস ছিলেন মো. ইমামুল হোসেন। আমরা ডাকতাম ফিরোজ ভাই বলে। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে অনেক দিন হাইকোর্টে ওকালতিও করেছিলেন। সেই ফিরোজ ভাই ২০০০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ফোন করে ঘুম ভাঙালেন পীর খুনের খবর দিয়ে। তড়িঘড়ি তৈরি হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, উত্তর বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ দলবল নিয়ে আগেই হাজির। সিআইডির একটি দল এসেছে। তারা ঘুরে ঘুরে ‘অপরাধের চিহ্ন’ খুঁজছে।
মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে এখন যেখানে মা ও শিশু হাসপাতাল, তার ঠিক উত্তর দিকের দেয়াল ঘেঁষে যে সড়ক চলে গেছে, তারই নাম শের শাহ সুরি রোড। এই সড়ক ধরে একটু এগোতেই একটি পুরোনো দোতলা বাড়ির নাম ‘বাগদাদি মহল’। এটাই পীর মজিবর রহমানের আস্তানা। বাড়িটি ছিল পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এরশাদের আমলে চিশতি সেটা বরাদ্দ পান। এ বাড়ির নিচতলায় ৪টি এবং ওপরের তলায় ৫টি কক্ষ। নিচতলায় নুরে মদিনা আজমেরী দরবার, ওপরে চিশতির খাসকামরা ও ইবাদতখানা। দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের পদস্থ কর্মকর্তা হুমায়ুন চৌধুরীর স্ত্রী রিজিয়া চৌধুরী। অন্য কক্ষে এতিমখানা ও মাদ্রাসার মালামাল। সরু বারান্দার পাশে চিশতির থাকার ঘর। মেঝেতে ভেলভেটের কার্পেটের ওপর বিঘত-পুরু গদির ধবধবে সাদা বিছানা।
ক্রাইম রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে একটি প্রচলিত সহজ পদ্ধতি হলো, শুরুতেই অকুস্থলের আদ্যোপান্ত পাঠককে জানিয়ে দেওয়া, যাতে পাঠক পরিবেশ-পরিস্থিতিটা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। এ বাড়ির বাসিন্দা মোট তিনজন। চিশতি ছাড়াও দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন রিজিয়া চৌধুরী।
নিচতলায় থাকেন পীরের কাজের ছেলে আলমগীর। তিনতলা থেকে দোতলায় আসার একটিমাত্র সিঁড়ি। সিঁড়ি থেকে চিশতির খাসকামরায় আসতে ৪টি লোহার গেট। অনুমতি ছাড়া বহিরাগত কারও ভেতরে আসা দুঃসাধ্য। সব গেটের চাবি থাকত আলমগীরের কাছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মহসিন উজ্জামান ততক্ষণে আলমগীরকে পাকড়াও করে গাড়িতে বসিয়ে রেখেছেন। ওসির অনুমতি নিয়ে আলমগীরের কাছে জানতে চাইলাম, রাতে কী হয়েছিল? আলমগীর বললেন, বৃহস্পতিবারের বিশেষ প্রার্থনার পর ১৫-১৬ জন লোক খাওয়াদাওয়া করেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পর আসেন চিশতির খালাতো ভাই আমান ও তাঁর বন্ধু এরশাদ। রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে তাঁরা চিশতির সঙ্গে বসে গল্প করতে থাকেন। এসব দেখে তিনি ঘুমাতে যান। সকালে উঠে দেখেন, আমান ও এরশাদ নেই, দরজায় বাইরে থেকে তালা দেওয়া। ভেতরে উঁকি মেরে দেখেন রক্তের দাগ। এরপর রিজিয়া চৌধুরীকে ডাকেন।
রিজিয়া চৌধুরী খুবই শক্ত মানুষ। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না। আমার সামনে পুলিশকে বললেন, এ ঘটনা দেখে তিনি বাইরে গিয়ে সাবেক ব্যাংকার মঞ্জুরুল বারী, ভালুকার তৎকালীন এমপি আবদুল্লাহ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মনসুরকে ফোন করেন। এরপর পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে, বাথরুমের ভেতরে পড়ে আছে জবাই করা মরদেহ।
মজিবর রহমান চিশতির বয়স তখন ৫০-৫২ হবে, তিনি ছিলেন অবিবাহিত। তাঁর বাবা আনিস রহমান জয়পুরহাট জেলার চকবরকত গ্রামের সাধারণ কৃষক। তিন ভাই আর দুই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তাঁর বড় ভাই আফাজ উদ্দিন ১৯৮৫ সালে ক্যানসারে মারা যান। মেজ ভাই শেখ সাদি ১৯৮৭ সালের ৫ জুলাই জয়পুরহাটে জমিজমা নিয়ে বিরোধে খুন হয়। চিশতির দুই বোন রহিমা ও মোমেনা ঢাকায় থাকেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে চিশতির কোনো পারিবারিক সম্পর্ক ছিল না। তিনি একাই মোহাম্মদপুরের আস্তানায় থাকতেন। মোহাম্মদপুরের সেই দরবার ছাড়াও মিরপুর ও ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় তাঁর আরও দুটি বাড়ি ছিল। আর জয়পুরহাটে ছিল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। মিরপুরের বাড়িতে একসময় এরশাদ ও জিনাত অভিসারে যেতেন। ঢাকা সেনানিবাসের একটি বাড়ি নিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিম আপত্তি জানিয়েছিলেন।
এই লেখার শুরুতে আমি পীর মজিবর রহমানকে অত্যন্ত ‘ক্ষমতাধর’ লোক হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম। সেটা এবার বলি। পীর মজিবর রাজশাহী ও নাটোরের দুটি মাদ্রাসায় কয়েক বছর পড়েছিলেন। তবে সেটাও শেষ করতে পারেননি। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে ষাটের দশকে আজমির শরিফে গিয়ে বছরখানেক কাটান। ফিরে এসে নিজের নামের সঙ্গে চিশতি শব্দটি জুড়ে দেন। গ্রামে দরবার খুলে বসেন। স্বাধীনতার পর চলচ্চিত্র পরিচালক ইবনে মিজান একবার সেই আস্তানায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। ফিরে আসার পর সে বছর ইবনে মিজানের একটি ছবি ব্যবসাসফল হয়। এরপর চলচ্চিত্রের লোকজন দলে দলে তাঁর আস্তানায় ভিড় করতে থাকেন। সেই জোয়ারে কবরী সারওয়ারও মুরিদ হন।
এরপর ঢাকায় এসে মজিবর রহমান আস্তানা গাড়েন। ১৯৭৫ সালের দিকে কোতোয়ালির একটি আস্তানা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। শোনা যায়, সে সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর সে কথা ছড়িয়ে পড়লে তিনি ‘কামেল পীর’ খ্যাতি পেয়ে যান। এরপর জিয়াউর রহমানের সরকার ক্ষমতায় এসে তাঁকে মুক্তি দেন। ১৯৯৩ সালে তিনি সাদ্দাম হোসেনের আমন্ত্রণে ইরাক সফরে যান, সেখান থেকে ফেরার পথে ইসরায়েল ভ্রমণ করেন। ইসরায়েল থেকে দেশে ফেরার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে দেশে ঢুকতে না দিয়ে আবার ফেরত পাঠায়। পরে বেশ কিছুদিন বাইরে কাটিয়ে দেশে ফেরেন। ২০০০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আমেরিকা যাওয়ার সময় পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) তাঁর পাসপোর্ট আটক করে। এসবির কাছে খবর ছিল, একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করতে তিনি আমেরিকায় যাচ্ছেন। সেই থেকে তিনি আর বিদেশ যেতে পারেননি।
পীর মজিবর রহমান একবার সাপ্তাহিক বিচিত্রায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তাতে বলেছিলেন, রিয়াজ আহমদ নামের তাঁর এক পাকিস্তানি মুরিদ ছিলেন, যাঁর ভাই জেনারেল ইমতিয়াজ ছিলেন পাকিস্তানি সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান। আইএসআই প্রধানের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর আস্তানায় দাওয়াত করেছিলেন। সেই দাওয়াত কবুল করতে ১৯৮৯ সালের ১ অক্টোবর ৪৩ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরে এসে জয়পুরহাটে তাঁর আস্তানায় যান বেনজির। তিনি সেখানে ১০-১২ মিনিট অবস্থান করেন। শোনা যায়, সে সময় তিনি বেনজিরকে নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন। বেনজির বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার পর মজিবর রীতিমতো ‘তারকা’ পীরে পরিণত হন। দেশের বিভিন্ন সংস্থা, বাহিনী ও সরকারি পদস্থ লোকেরা তাঁর আস্তানায় ভিড় করতে থাকেন। ধানমন্ডিতে সে সময় শের এ খাজা নামে আরেকজন বিখ্যাত হয়ে উঠছিলেন। তিনি একবার আমাকে বলেছিলেন, মজিবর রহমান হলেন ঢাকায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার ‘সেন্টার পয়েন্ট’।
এত কিছু শোনার পর প্রশ্ন উঠতেই পারে, এমন ক্ষমতাধর মানুষ খুন হলেন কী করে, কারাই-বা তাঁকে খুন করল। মজিবর রহমান খুনের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন তাঁর মুরিদ আমানুল্লাহ চৌধুরী। সেই মামলা এখনো সিআইডি তদন্ত করছে। এত বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি। ২০০৬-০৭ এর দিকে আমার সন্দেহ হয়, এই খুনে জেএমবি জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে। কিন্তু জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি ও বাংলা ভাইয়ের জবানবন্দি আমি তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। অন্য অনেক পীর খুনের কথা বললেও তাঁরা কোথাও মজিবর খুনের কথা স্বীকার করেননি।
এখন একটাই আফসোস! যে পীর দুনিয়ার তাবৎ বড় বড় মানুষের ভবিষ্যদ্বাণী করে গেলেন, তিনি শুধু নিজের পরিণতির কথাটাই বুঝতে পারেননি।
আরও পড়ুন:

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন ‘কবরী’, সেটা ১৯৬৪ সালে। এরপর পাহাড়সম জনপ্রিয়তা নিয়ে পাখির মতো উড়তে থাকেন কবরী। এই মিষ্টি মেয়ে ১৯৭৮ সালে এক পীরের আস্তানায় গিয়ে ধর্মান্তরিত হন, সেখানেই বিয়ে করেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের চাচা, ব্যবসায়ী সফিউদ্দীন সারওয়ার বাবুকে। পীরের নাম মজিবর রহমান চিশতি।
সেই পীর যেদিন খুন হলেন, সেদিন সকাল থেকে দুপুর অবধি আমি কবরী সারওয়ারকে মোহাম্মদপুরে পীরের আস্তানায় বসে কাঁদতে দেখেছি। তবে কবরী সারওয়ারের সঙ্গে পীরের এত সুসম্পর্ক বাইরের লোকেরা খুব কমই জানতেন। মজিবর রহমান চিশতি সম্পর্কে প্রচলিত ছিল, তিনি পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পীর।
সাংবাদিকতা জীবনের শুরুতে চলনে-বলনে মহাক্ষমতাধর এই পীর নিয়ে অনেক সত্য-মিথ্যা শুনেছি। এমন পীর দেখে নিজের চোখ জুড়ানোর ইচ্ছেও বার কয়েক উঁকি দিয়েছে মনে। কিন্তু যাব-যাচ্ছি করে শেষমেশ আর যাওয়া হয়নি। যেদিন গেলাম, সেদিন গিয়ে দেখি, দোতলায় বাথরুমের মেঝেতে তাঁর জবাই করা লাশ উপুড় হয়ে পড়ে আছে।
পুলিশের ঢাকা নগর বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) এসএস ছিলেন মো. ইমামুল হোসেন। আমরা ডাকতাম ফিরোজ ভাই বলে। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে অনেক দিন হাইকোর্টে ওকালতিও করেছিলেন। সেই ফিরোজ ভাই ২০০০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে ফোন করে ঘুম ভাঙালেন পীর খুনের খবর দিয়ে। তড়িঘড়ি তৈরি হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, উত্তর বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ দলবল নিয়ে আগেই হাজির। সিআইডির একটি দল এসেছে। তারা ঘুরে ঘুরে ‘অপরাধের চিহ্ন’ খুঁজছে।
মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে এখন যেখানে মা ও শিশু হাসপাতাল, তার ঠিক উত্তর দিকের দেয়াল ঘেঁষে যে সড়ক চলে গেছে, তারই নাম শের শাহ সুরি রোড। এই সড়ক ধরে একটু এগোতেই একটি পুরোনো দোতলা বাড়ির নাম ‘বাগদাদি মহল’। এটাই পীর মজিবর রহমানের আস্তানা। বাড়িটি ছিল পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এরশাদের আমলে চিশতি সেটা বরাদ্দ পান। এ বাড়ির নিচতলায় ৪টি এবং ওপরের তলায় ৫টি কক্ষ। নিচতলায় নুরে মদিনা আজমেরী দরবার, ওপরে চিশতির খাসকামরা ও ইবাদতখানা। দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের পদস্থ কর্মকর্তা হুমায়ুন চৌধুরীর স্ত্রী রিজিয়া চৌধুরী। অন্য কক্ষে এতিমখানা ও মাদ্রাসার মালামাল। সরু বারান্দার পাশে চিশতির থাকার ঘর। মেঝেতে ভেলভেটের কার্পেটের ওপর বিঘত-পুরু গদির ধবধবে সাদা বিছানা।
ক্রাইম রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে একটি প্রচলিত সহজ পদ্ধতি হলো, শুরুতেই অকুস্থলের আদ্যোপান্ত পাঠককে জানিয়ে দেওয়া, যাতে পাঠক পরিবেশ-পরিস্থিতিটা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। এ বাড়ির বাসিন্দা মোট তিনজন। চিশতি ছাড়াও দোতলায় একটি কক্ষে থাকেন রিজিয়া চৌধুরী।
নিচতলায় থাকেন পীরের কাজের ছেলে আলমগীর। তিনতলা থেকে দোতলায় আসার একটিমাত্র সিঁড়ি। সিঁড়ি থেকে চিশতির খাসকামরায় আসতে ৪টি লোহার গেট। অনুমতি ছাড়া বহিরাগত কারও ভেতরে আসা দুঃসাধ্য। সব গেটের চাবি থাকত আলমগীরের কাছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মহসিন উজ্জামান ততক্ষণে আলমগীরকে পাকড়াও করে গাড়িতে বসিয়ে রেখেছেন। ওসির অনুমতি নিয়ে আলমগীরের কাছে জানতে চাইলাম, রাতে কী হয়েছিল? আলমগীর বললেন, বৃহস্পতিবারের বিশেষ প্রার্থনার পর ১৫-১৬ জন লোক খাওয়াদাওয়া করেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পর আসেন চিশতির খালাতো ভাই আমান ও তাঁর বন্ধু এরশাদ। রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে তাঁরা চিশতির সঙ্গে বসে গল্প করতে থাকেন। এসব দেখে তিনি ঘুমাতে যান। সকালে উঠে দেখেন, আমান ও এরশাদ নেই, দরজায় বাইরে থেকে তালা দেওয়া। ভেতরে উঁকি মেরে দেখেন রক্তের দাগ। এরপর রিজিয়া চৌধুরীকে ডাকেন।
রিজিয়া চৌধুরী খুবই শক্ত মানুষ। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না। আমার সামনে পুলিশকে বললেন, এ ঘটনা দেখে তিনি বাইরে গিয়ে সাবেক ব্যাংকার মঞ্জুরুল বারী, ভালুকার তৎকালীন এমপি আবদুল্লাহ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মনসুরকে ফোন করেন। এরপর পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে, বাথরুমের ভেতরে পড়ে আছে জবাই করা মরদেহ।
মজিবর রহমান চিশতির বয়স তখন ৫০-৫২ হবে, তিনি ছিলেন অবিবাহিত। তাঁর বাবা আনিস রহমান জয়পুরহাট জেলার চকবরকত গ্রামের সাধারণ কৃষক। তিন ভাই আর দুই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তাঁর বড় ভাই আফাজ উদ্দিন ১৯৮৫ সালে ক্যানসারে মারা যান। মেজ ভাই শেখ সাদি ১৯৮৭ সালের ৫ জুলাই জয়পুরহাটে জমিজমা নিয়ে বিরোধে খুন হয়। চিশতির দুই বোন রহিমা ও মোমেনা ঢাকায় থাকেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে চিশতির কোনো পারিবারিক সম্পর্ক ছিল না। তিনি একাই মোহাম্মদপুরের আস্তানায় থাকতেন। মোহাম্মদপুরের সেই দরবার ছাড়াও মিরপুর ও ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় তাঁর আরও দুটি বাড়ি ছিল। আর জয়পুরহাটে ছিল কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। মিরপুরের বাড়িতে একসময় এরশাদ ও জিনাত অভিসারে যেতেন। ঢাকা সেনানিবাসের একটি বাড়ি নিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিম আপত্তি জানিয়েছিলেন।
এই লেখার শুরুতে আমি পীর মজিবর রহমানকে অত্যন্ত ‘ক্ষমতাধর’ লোক হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম। সেটা এবার বলি। পীর মজিবর রাজশাহী ও নাটোরের দুটি মাদ্রাসায় কয়েক বছর পড়েছিলেন। তবে সেটাও শেষ করতে পারেননি। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে ষাটের দশকে আজমির শরিফে গিয়ে বছরখানেক কাটান। ফিরে এসে নিজের নামের সঙ্গে চিশতি শব্দটি জুড়ে দেন। গ্রামে দরবার খুলে বসেন। স্বাধীনতার পর চলচ্চিত্র পরিচালক ইবনে মিজান একবার সেই আস্তানায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। ফিরে আসার পর সে বছর ইবনে মিজানের একটি ছবি ব্যবসাসফল হয়। এরপর চলচ্চিত্রের লোকজন দলে দলে তাঁর আস্তানায় ভিড় করতে থাকেন। সেই জোয়ারে কবরী সারওয়ারও মুরিদ হন।
এরপর ঢাকায় এসে মজিবর রহমান আস্তানা গাড়েন। ১৯৭৫ সালের দিকে কোতোয়ালির একটি আস্তানা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। শোনা যায়, সে সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর সে কথা ছড়িয়ে পড়লে তিনি ‘কামেল পীর’ খ্যাতি পেয়ে যান। এরপর জিয়াউর রহমানের সরকার ক্ষমতায় এসে তাঁকে মুক্তি দেন। ১৯৯৩ সালে তিনি সাদ্দাম হোসেনের আমন্ত্রণে ইরাক সফরে যান, সেখান থেকে ফেরার পথে ইসরায়েল ভ্রমণ করেন। ইসরায়েল থেকে দেশে ফেরার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে দেশে ঢুকতে না দিয়ে আবার ফেরত পাঠায়। পরে বেশ কিছুদিন বাইরে কাটিয়ে দেশে ফেরেন। ২০০০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আমেরিকা যাওয়ার সময় পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) তাঁর পাসপোর্ট আটক করে। এসবির কাছে খবর ছিল, একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করতে তিনি আমেরিকায় যাচ্ছেন। সেই থেকে তিনি আর বিদেশ যেতে পারেননি।
পীর মজিবর রহমান একবার সাপ্তাহিক বিচিত্রায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তাতে বলেছিলেন, রিয়াজ আহমদ নামের তাঁর এক পাকিস্তানি মুরিদ ছিলেন, যাঁর ভাই জেনারেল ইমতিয়াজ ছিলেন পাকিস্তানি সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান। আইএসআই প্রধানের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর আস্তানায় দাওয়াত করেছিলেন। সেই দাওয়াত কবুল করতে ১৯৮৯ সালের ১ অক্টোবর ৪৩ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরে এসে জয়পুরহাটে তাঁর আস্তানায় যান বেনজির। তিনি সেখানে ১০-১২ মিনিট অবস্থান করেন। শোনা যায়, সে সময় তিনি বেনজিরকে নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন। বেনজির বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার পর মজিবর রীতিমতো ‘তারকা’ পীরে পরিণত হন। দেশের বিভিন্ন সংস্থা, বাহিনী ও সরকারি পদস্থ লোকেরা তাঁর আস্তানায় ভিড় করতে থাকেন। ধানমন্ডিতে সে সময় শের এ খাজা নামে আরেকজন বিখ্যাত হয়ে উঠছিলেন। তিনি একবার আমাকে বলেছিলেন, মজিবর রহমান হলেন ঢাকায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার ‘সেন্টার পয়েন্ট’।
এত কিছু শোনার পর প্রশ্ন উঠতেই পারে, এমন ক্ষমতাধর মানুষ খুন হলেন কী করে, কারাই-বা তাঁকে খুন করল। মজিবর রহমান খুনের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন তাঁর মুরিদ আমানুল্লাহ চৌধুরী। সেই মামলা এখনো সিআইডি তদন্ত করছে। এত বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি। ২০০৬-০৭ এর দিকে আমার সন্দেহ হয়, এই খুনে জেএমবি জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে। কিন্তু জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি ও বাংলা ভাইয়ের জবানবন্দি আমি তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। অন্য অনেক পীর খুনের কথা বললেও তাঁরা কোথাও মজিবর খুনের কথা স্বীকার করেননি।
এখন একটাই আফসোস! যে পীর দুনিয়ার তাবৎ বড় বড় মানুষের ভবিষ্যদ্বাণী করে গেলেন, তিনি শুধু নিজের পরিণতির কথাটাই বুঝতে পারেননি।
আরও পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমায় জরিনার চরিত্রের জন্য মায়াবী মুখের একজন অভিনেত্রী চাই। সেই অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এলেন মিনা পাল। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। মেয়েটিকে দেখেই নাম বদলে রাখলেন
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে