কামরুল হাসান

ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা। ফুলের মতো দেখতে মেয়েটির ডাকনামও ফুল। একদিন সেই মেয়েটিই খুন হয়ে গেল। শুধু খুন নয়, ধর্ষণের পরে খুন। খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে দেখলাম, শোবার ঘরের খাটের ওপরে ঝরা বকুলের মতো পড়ে আছে মেয়েটি। পাশে সিরাজ ভাই বসে কাঁদছেন।
ডিআইটি সড়ক ধরে মৌচাক বা মালিবাগ থেকে রামপুরা টিভি স্টেশনের দিকে যেতে চৌধুরীপাড়ার আবুল হোটেলের পরই হাজীপাড়া। করাতকল পেরিয়ে বাঁয়ে পশ্চিম দিকে একটি ঢালু পথ নেমে গেছে। সেই পথমুখের ৩ নম্বর বাড়িটিই ঘটনাস্থল। ২০০০ সালের ১ জুলাই সকালে আমি যখন অকুস্থলে পৌঁছালাম, ততক্ষণে পুলিশ এসে গেছে। ডিবির কর্মকর্তারা সবকিছু তন্নতন্ন করে খুঁজছেন। তখনকার ডিসি ডিবি মুহাম্মদ আবদুল হান্নান বিদেশে ছিলেন, দায়িত্বে ছিলেন শহিদুল ইসলাম। কয়েক বছর আগে এই কর্মকর্তা বিদেশে মারা যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই তরুণ এসি রুহুল আমিন ও তৌফিক মাহবুব চৌধুরী। তাঁরা দুজনই এখন ডিআইজি।
খুনি কীভাবে এই বাড়িতে ঢুকল, তা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি নিহত হওয়ার পর তাঁদের ফ্ল্যাটে যেমন একটি জানালা কাটা ছিল; ঠিক সে রকমই জানালার একটি অংশ কাটা ছিল ফুলের ঘরে। পুরো বাড়িতে আর কোনো কিছু খোয়া যায়নি, শুধু ফুলের শোবার ঘরের জানালার গ্রিল কাটা। প্রথম দেখায় সবাই ধরে নিয়েছিলেন, সেই কাটা জানালা দিয়েই খুনিরা ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। এরপর একই পথ দিয়ে পালিয়ে গেছে। বাড়ির প্রতিটি ঘরে মানুষ, কিন্তু তাদের কেউ কিছু টের পাননি।
এভাবে কয়েক দিন তদন্ত চলে। তথ্য মোটাতাজা হতে থাকে। গোয়েন্দারা একমত হন, খুনিরা এই বাড়ির ভেতরেই ছিল। তাঁরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠল, এত লোক থাকতে খুনিরা কেন এই কলেজপড়ুয়া মেয়েকে মারতে যাবে? ধীরে ধীরে সেটাও পরিষ্কার হয়। হাজীপাড়ার সেই বাড়িই ছিল হত্যাকাণ্ডের কারণ। বিরোধ এই সম্পদ নিয়ে।
পাঁচ রুমের একতলা এই বাড়ির মালিক ছিলেন ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এম এ সামাদ। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় জমির দলিল করেন পিতার নামে। পরে তাঁর বাবা দানপত্র অনুযায়ী তাঁকে আবার ফিরিয়ে দেন। এম এ সামাদের সঙ্গে এই বাড়িতে থাকতেন তাঁর সৎভাই এম এ কাদের। কয়েক বছর পর কাদের বিয়ে করেন, বউ নিয়ে আলাদা বাসা নেন। ১৯৯২ সালে গৃহকর্তা সামাদের স্ত্রী মারা যান। তখন একদিন কাদের এই বাড়িতে এসে একটি কক্ষ দখল করে থাকতে শুরু করেন। সামাদের ছেলে এতে বাধা দেন। তাঁদের শায়েস্তা করতে মামলা দিয়ে ভাই ও তাঁর ছেলেদের কারাগারে পাঠান কাদের। ’৯৫ সালে সামাদও মারা যান।
সামাদের পুত্ররা বাড়িটি ভাড়া দিয়ে আমেরিকায় চলে যান। কিন্তু কাদের ভাড়াটেদের ওপর নির্যাতন শুরু করেন। এরপর সামাদের ছেলেরা কাদেরের হাত থেকে বাড়িটি বাঁচাতে তাঁদের খালু পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে থাকতে দেন। সিরাজুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে গফরগাঁও থেকে বদলি হয়ে এই বাড়িতে ওঠেন।
বাড়িতে মোট পাঁচটি কক্ষের দুটিতে থাকতেন এএসপি সিরাজুল, তাঁর স্ত্রী আর একমাত্র মেয়ে ফুল। অন্য কক্ষগুলোতে থাকত কাদেরের পরিবার ও তাঁর শ্যালিকা হেনা। এক বাড়িতে দুই পরিবারের থাকা নিয়ে প্রায়ই ঠোকাঠুকি হতো। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে কথাবার্তাও বন্ধ হয়ে যায়।
কাদের ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক। এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। হাজীপাড়ার বাড়িতে কাদেরের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রুনু কাদের, দুই মেয়ে হৃদি ও আঁচল এবং শ্যালিকা হেনা থাকতেন। ঘটনার দিন রাতে কাদেরের দুই শ্যালক ও অন্য তিন যুবক অনেক রাত পর্যন্ত এ বাড়িতেই ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের সন্দেহ চলে যায় কাদেরের দিকে। পুলিশ এ বাড়ির গৃহকর্মী সুফিয়া ও প্রতিবেশী মিন্টুকেও আটক করে। তাঁদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়, বাড়ি দখল করতে ভাড়াটে লোক দিয়ে কাদেরই মেয়েটিকে খুন করিয়েছেন। কাদের ও তাঁর স্ত্রীকে দফায় দফায় রিমান্ডে এনে জেরা করা হয়। তাঁরা কেউই শেষ পর্যন্ত খুনের কথা স্বীকার করেননি।
ফুলের মা লায়লা ইসলাম ঘটনার পরদিন রমনা থানায় একটি মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় প্রথমে কারও নাম উল্লেখ করেননি। পরে একটি সম্পূরক অভিযোগ দাখিল করেন। তাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা এম এ কাদের, তাঁর স্ত্রী রুনু কাদের, শ্যালক মো. শওকত আহমেদ ও কবির আহমেদের নাম উল্লেখ করেন। ২০০১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়। তাতে কাদেরের শ্যালিকা কানিজ ফাতেমা, গৃহকর্মী সুফিয়াসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০৩ সালের ৩০ জুন এ মামলার রায় হয়। তাতে কাদের, শওকত ও কবিরকে মৃত্যুদণ্ড এবং রুনু কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যরা খালাস পান।
এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের করা আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন) ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয়। ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি সেই রায় হয়। হাইকোর্ট কাদের ও তাঁর স্ত্রী রুনু কাদেরের সাজা বহাল রেখে শওকত ও কবিরকে খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এবং দণ্ডিত ব্যক্তিরা পৃথক আপিল করেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত সেই রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এম এ কাদের এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া তাঁর স্ত্রী রুনু কাদেরকে খালাস দিয়ে দেন। ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর সেই রায় হয়। রায়ে আদালত বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু রায়ের সেই কপি উচ্চ আদালত থেকে কারাগারে পৌঁছানোর আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর কাদের মারা যান।
যেদিন আপিলের রায় ঘোষণা করা হয়েছিল, সেদিন ফুলের মা লায়লা ইসলামের একটি প্রতিক্রিয়া নিয়েছিলাম। তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, এখন মনে হচ্ছে, ফুল নামে আদৌ কেউ জন্মগ্রহণই করেনি। এ নামে কেউ ছিল না, কেউ খুনও হয়নি। বিচারের নামে এত দিন যা হলো, সব নাটক। আপিল আদালত ছিল সেই নাটকের শেষ দৃশ্য।
লায়লা ইসলামের এ কথার আমি কোনো জবাব দিতে পারিনি।
আরও পড়ুন:

ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা। ফুলের মতো দেখতে মেয়েটির ডাকনামও ফুল। একদিন সেই মেয়েটিই খুন হয়ে গেল। শুধু খুন নয়, ধর্ষণের পরে খুন। খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে দেখলাম, শোবার ঘরের খাটের ওপরে ঝরা বকুলের মতো পড়ে আছে মেয়েটি। পাশে সিরাজ ভাই বসে কাঁদছেন।
ডিআইটি সড়ক ধরে মৌচাক বা মালিবাগ থেকে রামপুরা টিভি স্টেশনের দিকে যেতে চৌধুরীপাড়ার আবুল হোটেলের পরই হাজীপাড়া। করাতকল পেরিয়ে বাঁয়ে পশ্চিম দিকে একটি ঢালু পথ নেমে গেছে। সেই পথমুখের ৩ নম্বর বাড়িটিই ঘটনাস্থল। ২০০০ সালের ১ জুলাই সকালে আমি যখন অকুস্থলে পৌঁছালাম, ততক্ষণে পুলিশ এসে গেছে। ডিবির কর্মকর্তারা সবকিছু তন্নতন্ন করে খুঁজছেন। তখনকার ডিসি ডিবি মুহাম্মদ আবদুল হান্নান বিদেশে ছিলেন, দায়িত্বে ছিলেন শহিদুল ইসলাম। কয়েক বছর আগে এই কর্মকর্তা বিদেশে মারা যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই তরুণ এসি রুহুল আমিন ও তৌফিক মাহবুব চৌধুরী। তাঁরা দুজনই এখন ডিআইজি।
খুনি কীভাবে এই বাড়িতে ঢুকল, তা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি নিহত হওয়ার পর তাঁদের ফ্ল্যাটে যেমন একটি জানালা কাটা ছিল; ঠিক সে রকমই জানালার একটি অংশ কাটা ছিল ফুলের ঘরে। পুরো বাড়িতে আর কোনো কিছু খোয়া যায়নি, শুধু ফুলের শোবার ঘরের জানালার গ্রিল কাটা। প্রথম দেখায় সবাই ধরে নিয়েছিলেন, সেই কাটা জানালা দিয়েই খুনিরা ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। এরপর একই পথ দিয়ে পালিয়ে গেছে। বাড়ির প্রতিটি ঘরে মানুষ, কিন্তু তাদের কেউ কিছু টের পাননি।
এভাবে কয়েক দিন তদন্ত চলে। তথ্য মোটাতাজা হতে থাকে। গোয়েন্দারা একমত হন, খুনিরা এই বাড়ির ভেতরেই ছিল। তাঁরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠল, এত লোক থাকতে খুনিরা কেন এই কলেজপড়ুয়া মেয়েকে মারতে যাবে? ধীরে ধীরে সেটাও পরিষ্কার হয়। হাজীপাড়ার সেই বাড়িই ছিল হত্যাকাণ্ডের কারণ। বিরোধ এই সম্পদ নিয়ে।
পাঁচ রুমের একতলা এই বাড়ির মালিক ছিলেন ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এম এ সামাদ। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় জমির দলিল করেন পিতার নামে। পরে তাঁর বাবা দানপত্র অনুযায়ী তাঁকে আবার ফিরিয়ে দেন। এম এ সামাদের সঙ্গে এই বাড়িতে থাকতেন তাঁর সৎভাই এম এ কাদের। কয়েক বছর পর কাদের বিয়ে করেন, বউ নিয়ে আলাদা বাসা নেন। ১৯৯২ সালে গৃহকর্তা সামাদের স্ত্রী মারা যান। তখন একদিন কাদের এই বাড়িতে এসে একটি কক্ষ দখল করে থাকতে শুরু করেন। সামাদের ছেলে এতে বাধা দেন। তাঁদের শায়েস্তা করতে মামলা দিয়ে ভাই ও তাঁর ছেলেদের কারাগারে পাঠান কাদের। ’৯৫ সালে সামাদও মারা যান।
সামাদের পুত্ররা বাড়িটি ভাড়া দিয়ে আমেরিকায় চলে যান। কিন্তু কাদের ভাড়াটেদের ওপর নির্যাতন শুরু করেন। এরপর সামাদের ছেলেরা কাদেরের হাত থেকে বাড়িটি বাঁচাতে তাঁদের খালু পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে থাকতে দেন। সিরাজুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে গফরগাঁও থেকে বদলি হয়ে এই বাড়িতে ওঠেন।
বাড়িতে মোট পাঁচটি কক্ষের দুটিতে থাকতেন এএসপি সিরাজুল, তাঁর স্ত্রী আর একমাত্র মেয়ে ফুল। অন্য কক্ষগুলোতে থাকত কাদেরের পরিবার ও তাঁর শ্যালিকা হেনা। এক বাড়িতে দুই পরিবারের থাকা নিয়ে প্রায়ই ঠোকাঠুকি হতো। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে কথাবার্তাও বন্ধ হয়ে যায়।
কাদের ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক। এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। হাজীপাড়ার বাড়িতে কাদেরের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রুনু কাদের, দুই মেয়ে হৃদি ও আঁচল এবং শ্যালিকা হেনা থাকতেন। ঘটনার দিন রাতে কাদেরের দুই শ্যালক ও অন্য তিন যুবক অনেক রাত পর্যন্ত এ বাড়িতেই ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের সন্দেহ চলে যায় কাদেরের দিকে। পুলিশ এ বাড়ির গৃহকর্মী সুফিয়া ও প্রতিবেশী মিন্টুকেও আটক করে। তাঁদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়, বাড়ি দখল করতে ভাড়াটে লোক দিয়ে কাদেরই মেয়েটিকে খুন করিয়েছেন। কাদের ও তাঁর স্ত্রীকে দফায় দফায় রিমান্ডে এনে জেরা করা হয়। তাঁরা কেউই শেষ পর্যন্ত খুনের কথা স্বীকার করেননি।
ফুলের মা লায়লা ইসলাম ঘটনার পরদিন রমনা থানায় একটি মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় প্রথমে কারও নাম উল্লেখ করেননি। পরে একটি সম্পূরক অভিযোগ দাখিল করেন। তাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা এম এ কাদের, তাঁর স্ত্রী রুনু কাদের, শ্যালক মো. শওকত আহমেদ ও কবির আহমেদের নাম উল্লেখ করেন। ২০০১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়। তাতে কাদেরের শ্যালিকা কানিজ ফাতেমা, গৃহকর্মী সুফিয়াসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০৩ সালের ৩০ জুন এ মামলার রায় হয়। তাতে কাদের, শওকত ও কবিরকে মৃত্যুদণ্ড এবং রুনু কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যরা খালাস পান।
এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের করা আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন) ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয়। ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি সেই রায় হয়। হাইকোর্ট কাদের ও তাঁর স্ত্রী রুনু কাদেরের সাজা বহাল রেখে শওকত ও কবিরকে খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এবং দণ্ডিত ব্যক্তিরা পৃথক আপিল করেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত সেই রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এম এ কাদের এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া তাঁর স্ত্রী রুনু কাদেরকে খালাস দিয়ে দেন। ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর সেই রায় হয়। রায়ে আদালত বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু রায়ের সেই কপি উচ্চ আদালত থেকে কারাগারে পৌঁছানোর আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর কাদের মারা যান।
যেদিন আপিলের রায় ঘোষণা করা হয়েছিল, সেদিন ফুলের মা লায়লা ইসলামের একটি প্রতিক্রিয়া নিয়েছিলাম। তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, এখন মনে হচ্ছে, ফুল নামে আদৌ কেউ জন্মগ্রহণই করেনি। এ নামে কেউ ছিল না, কেউ খুনও হয়নি। বিচারের নামে এত দিন যা হলো, সব নাটক। আপিল আদালত ছিল সেই নাটকের শেষ দৃশ্য।
লায়লা ইসলামের এ কথার আমি কোনো জবাব দিতে পারিনি।
আরও পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা
২৭ আগস্ট ২০২২
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা
২৭ আগস্ট ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা
২৭ আগস্ট ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ডেমরা থানার ওসি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আমরা ডাকতাম সিরাজ ভাই। আড্ডাবাজ আর কিছুটা বোহিমিয়ান। এএসপি হয়ে অবসর নিয়ে পশ্চিম হাজীপাড়ায় এক ভায়রার বাসায় উঠলেন। সঙ্গে স্ত্রী আর কলেজপড়ুয়া একমাত্র মেয়ে রুশদানিয়া ইসলাম বুশরা
২৭ আগস্ট ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে