কামরুল হাসান

অনেক দিন রিপোর্টিং করার সুবাদে রাজধানীর পথঘাট আমার কাছে হাতের রেখার মতো। অচেনা কোনো এলাকা নেই। মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের উল্টো দিকে ১ নম্বর সড়কের মুখের তিনতলা বাড়িটি চিনতেও কোনো অসুবিধা হলো না। এই বাড়িতেই থাকেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী এ এফ এম মহিতুল ইসলাম। একজনকে তাঁর নাম বলতেই ডান হাতের তর্জনী উঁচিয়ে বললেন, ওই দেখেন তিনি বসে আছেন। বাড়ির সামনে একটি বাগান, তার ভেতরে জনা কয়েক পুলিশ নিয়ে বসে আছেন তিনি।
আমি তাঁর পাশে গিয়ে পরিচয় দিতেই হাতের ইশারা দিয়ে চেয়ারে বসতে বললেন। কথা বলার উপায় নেই, অনর্গল তাঁর ফোন বেজে চলেছে। কোনোটা নিজে ধরছেন, কোনোটা পাশের কাউকে দিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে একটি শিশু এসে এটা-সেটা বলছে। পুলিশের এক সদস্য বললেন, ‘স্যার, কাল অনেক কাজ। টিভি রেকর্ডিং, বঙ্গবন্ধু ভবনে যেতে হবে।’ তিনি তাঁকে হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়ে আমাকে বললেন, বলেন কী জানতে চান।
প্রথমে জানতে চাইলাম, আপনি কি এখানেই থাকেন? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, বাড়ির নিচতলায় স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকি।’ তিনি হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ওমা... ১২টা বেজে গেছে! আমি ভাই ডায়াবেটিসের রোগী, তাড়াতাড়ি উঠতে হবে।’
মহিতুল ইসলামের সঙ্গে আমার এই কথোপকথন ২০০৯ সালের ১৮ নভেম্বর সকালে। এর পরদিন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায় উপলক্ষে বাদীর সঙ্গে কথা বলার অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে এসেছি। কিন্তু মহিতুল ইসলামকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি থাকতেন অনেকটা আত্মগোপনে। মামলার রায়ের দিন যত কাছে আসছিল, নিজের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁর শঙ্কা তত বাড়ছিল।
কথায় কথায় আমাকে বললেন, ‘১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা করার পর থেকে পুলিশের পাহারায় ছিলাম। প্রথম চার বছর বাড়িতে পুলিশ ছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর পুলিশ তুলে নেওয়া হয়। এরপর শুরু হলো নানা অত্যাচার। অধিকাংশ দিন বাড়িতে থাকতাম না। রাতে ঢিল পড়ত বাড়িতে। আমার জীবন ছিল ফেরারি আসামির মতো। অচেনা লোকজন খুঁজতে আসত। ফোনে ভয়ভীতি দেখাত। ভয়ে থানা-পুলিশের ধারেকাছেও যেতাম না। বাড়ির সামনে ফুলের টব ছিল, একদিন কে বা কারা সেটা নিয়ে গেল। একটা পোষা ছাগল ছিল, সেটাও লুট হলো। একেকবার মনে হতো আর বাঁচতে পারব না, কিন্তু সাহস হারাইনি। বুকে পাথর চেপে সময় পার করেছি।’
মহিতুল ইসলামের আদিবাস ছিল যশোরে। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ ফজলুল হক মনি, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ ও সিরাজুল আলম খানের উদ্যোগে যে মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়েছিল, তিনি ছিলেন সেই বাহিনীর সদস্য। যুদ্ধের পরে ’৭২ সালে ঢাকায় এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর হাতে অস্ত্র জমা দিতে। তার আগে এসএসসি পাস করেন। তখন মুখ্য সচিব ছিলেন রুহুল কুদ্দুস। তিনি চাকরির প্রস্তাব দিলে রাজি হয়ে যান। তিন-চার দিনের মধ্যে চাকরি হয় শাখা সহকারী হিসেবে। এর মধ্যে একদিন মুখ্য সচিবের অফিস থেকে একটি ফাইল নিয়ে যান ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। প্রথম দেখায় তাঁকে পছন্দ করেন বঙ্গবন্ধু, সেদিনই তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ জুটে যায়। সেই থেকে তিনি হয়ে যান জাতির জনকের ব্যক্তিগত সহকারী।
জানতে চাইলাম, আপনি কী কাজ করতেন? তিনি বললেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাড়ির নিচতলায় অফিস ছিল, আমার কাজ ছিল রাষ্ট্রপতির পক্ষে ফোন ধরা আর প্রটোকল রক্ষা করা।’ ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ রাতের কথা তুলতেই মহিতুল বললেন, “সেদিন রাতে বাসার মিস্ত্রি মতিন আমাকে ঘুম থেকে জাগায়। বলে, প্রেসিডেন্ট আমাকে ডাকছেন। সেরনিয়াবাতের বাসায় আক্রমণ হয়েছে, পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ফোন করতে হবে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু নিজেই নিচে নেমে আসেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ ফোনটি আমিই ধরিয়ে দিয়েছিলাম। না, সেই ফোনে কেউ আর সাড়া দেয়নি। বঙ্গবন্ধু আমার হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট বলছি, আমার বাড়ির সামনে গুলি হচ্ছে, তোমরা দেখো।’ এরপর তিনি ওপরে চলে যান।” তিনি বলেই যাচ্ছেন, “ততক্ষণে ৩২ নম্বরের আশপাশে গুলি শুরু হয়েছে। একপর্যায়ে শেখ কামাল নিচে নামেন। তিনি নামতে না নামতেই কয়েকজন ঘাতক বাড়ির ভেতরে ঢোকে। তারা কামালকে হাত উঁচিয়ে থাকতে বলে। ব্রাশফায়ারে আমার সামনেই নিথর হয়ে যায় শেখ কামালের শরীর। ওই গুলিতে আমি, ডিএসপি নুরুল ইসলাম ও এসবির এক দারোগা আহত হই। আমরা পালাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। ঘাতকেরা আমাদের চুল ধরে টেনে লাইনে দাঁড় করায়। একপর্যায়ে ওপর থেকে বঙ্গবন্ধুর গলা শোনা যায়। তিনি চিৎকার করে বলছেন, ‘তোরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস?’ সঙ্গে সঙ্গে গুলির আওয়াজ। লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। রাসেল দৌড়ে এসে এ অবস্থায় আমাকে জড়িয়ে ধরে। সে ভয়ে ভয়ে বলে, ‘ভাইয়া, ওরা আমাকে মারবে না তো।’ আমি তাকে অভয় দিই। এ সময় একজন ঘাতক তাকে জোর করে আমার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ভবনের গেটের পুলিশ বক্সে নিয়ে বসিয়ে রাখে। একজন ঘাতক মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছি বলে ওপরে নিয়ে তাকে গুলি করে।”
তারপর কী হলো? প্রশ্ন করতেই মহিতুল বললেন, ‘সকাল ১০টা পর্যন্ত আমরা সবাই ৩২ নম্বরে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পা থেকে তখনো রক্ত ঝরছিল। এরপর আর্মির গাড়িতে করে আমাদের ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। সেখানে পাহারায় চিকিৎসা চলছিল। তিন দিন থাকার পর ফাঁক বুঝে পালিয়ে যশোরে চলে যাই। ছয় দিন পর যশোর থেকে সেনাবাহিনী আমাকে ঢাকায় ধরে আনে। গণভবনে তখন তদন্ত কমিশন কাজ করছিল। তারা আমাকে আটক করে জেরা করে।’
জানতে চাইলাম, আপনি কি ঘাতকদের নাম কমিশনের কাছে বলেছিলেন? তিনি বললেন, ‘না বলিনি। আমার মনে হয়েছিল এদের সবকিছু সাজানো, লোক দেখানো। এ কারণে তাদের জেরার জবাবে আমি কিছুই বলিনি। তখন খন্দকার মোশতাকের মুখ্য সচিব শাহরিয়ার জেড এ ইকবাল আমাকে বাঁচিয়েছিলেন। পরে আমি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেছি। ২০০১ সালের ১ এপ্রিল বিএনপি সরকার আমাকে চাকরিচ্যুত করে।’
আগে কখনো মামলা করতে চেয়েছিলেন—প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে ত্বরিত জবাব দিলেন মহিতুল। বললেন, “’৭৬ সালের ২৩ অক্টোবর একবার চেষ্টা করেছিলাম। সরকারের অনুমতি ছাড়া লালবাগ থানায় গিয়েছিলাম মামলা করতে। এজাহারের বিবরণ শুনে ডিউটি অফিসার গালে এক চড় কষিয়ে বললেন, ‘তুইও মরবি, আমাদেরও মারবি।’ এরপর অপেক্ষায় ছিলাম, ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর মামলা করলাম ধানমন্ডি থানায়।”
মহিতুল বলছিলেন, ‘ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না, এটা হতে পারে না। আমি মনে করেছিলাম, যত দিন বেঁচে আছি, আমার পক্ষে যা করার করে যাব। কিছুটা হলেও বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঋণ শোধ করতে পারব। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ঘাতকদের সাজা কার্যকর দেখে যেতে পারলে আমি মরেও শান্তি পাব।’
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় হয়েছে, আসামিদের সাজাও কার্যকর হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট তিনি মারা যান।
আর মাত্র এক দিন পরেই ১৫ আগস্টের সেই কালরাত। শোকাবহ এই দিনে অকুতোভয় মানুষটির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
আরও পড়ুন:

অনেক দিন রিপোর্টিং করার সুবাদে রাজধানীর পথঘাট আমার কাছে হাতের রেখার মতো। অচেনা কোনো এলাকা নেই। মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের উল্টো দিকে ১ নম্বর সড়কের মুখের তিনতলা বাড়িটি চিনতেও কোনো অসুবিধা হলো না। এই বাড়িতেই থাকেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী এ এফ এম মহিতুল ইসলাম। একজনকে তাঁর নাম বলতেই ডান হাতের তর্জনী উঁচিয়ে বললেন, ওই দেখেন তিনি বসে আছেন। বাড়ির সামনে একটি বাগান, তার ভেতরে জনা কয়েক পুলিশ নিয়ে বসে আছেন তিনি।
আমি তাঁর পাশে গিয়ে পরিচয় দিতেই হাতের ইশারা দিয়ে চেয়ারে বসতে বললেন। কথা বলার উপায় নেই, অনর্গল তাঁর ফোন বেজে চলেছে। কোনোটা নিজে ধরছেন, কোনোটা পাশের কাউকে দিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে একটি শিশু এসে এটা-সেটা বলছে। পুলিশের এক সদস্য বললেন, ‘স্যার, কাল অনেক কাজ। টিভি রেকর্ডিং, বঙ্গবন্ধু ভবনে যেতে হবে।’ তিনি তাঁকে হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়ে আমাকে বললেন, বলেন কী জানতে চান।
প্রথমে জানতে চাইলাম, আপনি কি এখানেই থাকেন? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, বাড়ির নিচতলায় স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকি।’ তিনি হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ওমা... ১২টা বেজে গেছে! আমি ভাই ডায়াবেটিসের রোগী, তাড়াতাড়ি উঠতে হবে।’
মহিতুল ইসলামের সঙ্গে আমার এই কথোপকথন ২০০৯ সালের ১৮ নভেম্বর সকালে। এর পরদিন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায় উপলক্ষে বাদীর সঙ্গে কথা বলার অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে এসেছি। কিন্তু মহিতুল ইসলামকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি থাকতেন অনেকটা আত্মগোপনে। মামলার রায়ের দিন যত কাছে আসছিল, নিজের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁর শঙ্কা তত বাড়ছিল।
কথায় কথায় আমাকে বললেন, ‘১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা করার পর থেকে পুলিশের পাহারায় ছিলাম। প্রথম চার বছর বাড়িতে পুলিশ ছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর পুলিশ তুলে নেওয়া হয়। এরপর শুরু হলো নানা অত্যাচার। অধিকাংশ দিন বাড়িতে থাকতাম না। রাতে ঢিল পড়ত বাড়িতে। আমার জীবন ছিল ফেরারি আসামির মতো। অচেনা লোকজন খুঁজতে আসত। ফোনে ভয়ভীতি দেখাত। ভয়ে থানা-পুলিশের ধারেকাছেও যেতাম না। বাড়ির সামনে ফুলের টব ছিল, একদিন কে বা কারা সেটা নিয়ে গেল। একটা পোষা ছাগল ছিল, সেটাও লুট হলো। একেকবার মনে হতো আর বাঁচতে পারব না, কিন্তু সাহস হারাইনি। বুকে পাথর চেপে সময় পার করেছি।’
মহিতুল ইসলামের আদিবাস ছিল যশোরে। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ ফজলুল হক মনি, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ ও সিরাজুল আলম খানের উদ্যোগে যে মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়েছিল, তিনি ছিলেন সেই বাহিনীর সদস্য। যুদ্ধের পরে ’৭২ সালে ঢাকায় এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর হাতে অস্ত্র জমা দিতে। তার আগে এসএসসি পাস করেন। তখন মুখ্য সচিব ছিলেন রুহুল কুদ্দুস। তিনি চাকরির প্রস্তাব দিলে রাজি হয়ে যান। তিন-চার দিনের মধ্যে চাকরি হয় শাখা সহকারী হিসেবে। এর মধ্যে একদিন মুখ্য সচিবের অফিস থেকে একটি ফাইল নিয়ে যান ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। প্রথম দেখায় তাঁকে পছন্দ করেন বঙ্গবন্ধু, সেদিনই তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ জুটে যায়। সেই থেকে তিনি হয়ে যান জাতির জনকের ব্যক্তিগত সহকারী।
জানতে চাইলাম, আপনি কী কাজ করতেন? তিনি বললেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাড়ির নিচতলায় অফিস ছিল, আমার কাজ ছিল রাষ্ট্রপতির পক্ষে ফোন ধরা আর প্রটোকল রক্ষা করা।’ ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ রাতের কথা তুলতেই মহিতুল বললেন, “সেদিন রাতে বাসার মিস্ত্রি মতিন আমাকে ঘুম থেকে জাগায়। বলে, প্রেসিডেন্ট আমাকে ডাকছেন। সেরনিয়াবাতের বাসায় আক্রমণ হয়েছে, পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ফোন করতে হবে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু নিজেই নিচে নেমে আসেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ ফোনটি আমিই ধরিয়ে দিয়েছিলাম। না, সেই ফোনে কেউ আর সাড়া দেয়নি। বঙ্গবন্ধু আমার হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট বলছি, আমার বাড়ির সামনে গুলি হচ্ছে, তোমরা দেখো।’ এরপর তিনি ওপরে চলে যান।” তিনি বলেই যাচ্ছেন, “ততক্ষণে ৩২ নম্বরের আশপাশে গুলি শুরু হয়েছে। একপর্যায়ে শেখ কামাল নিচে নামেন। তিনি নামতে না নামতেই কয়েকজন ঘাতক বাড়ির ভেতরে ঢোকে। তারা কামালকে হাত উঁচিয়ে থাকতে বলে। ব্রাশফায়ারে আমার সামনেই নিথর হয়ে যায় শেখ কামালের শরীর। ওই গুলিতে আমি, ডিএসপি নুরুল ইসলাম ও এসবির এক দারোগা আহত হই। আমরা পালাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। ঘাতকেরা আমাদের চুল ধরে টেনে লাইনে দাঁড় করায়। একপর্যায়ে ওপর থেকে বঙ্গবন্ধুর গলা শোনা যায়। তিনি চিৎকার করে বলছেন, ‘তোরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস?’ সঙ্গে সঙ্গে গুলির আওয়াজ। লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। রাসেল দৌড়ে এসে এ অবস্থায় আমাকে জড়িয়ে ধরে। সে ভয়ে ভয়ে বলে, ‘ভাইয়া, ওরা আমাকে মারবে না তো।’ আমি তাকে অভয় দিই। এ সময় একজন ঘাতক তাকে জোর করে আমার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ভবনের গেটের পুলিশ বক্সে নিয়ে বসিয়ে রাখে। একজন ঘাতক মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছি বলে ওপরে নিয়ে তাকে গুলি করে।”
তারপর কী হলো? প্রশ্ন করতেই মহিতুল বললেন, ‘সকাল ১০টা পর্যন্ত আমরা সবাই ৩২ নম্বরে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পা থেকে তখনো রক্ত ঝরছিল। এরপর আর্মির গাড়িতে করে আমাদের ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। সেখানে পাহারায় চিকিৎসা চলছিল। তিন দিন থাকার পর ফাঁক বুঝে পালিয়ে যশোরে চলে যাই। ছয় দিন পর যশোর থেকে সেনাবাহিনী আমাকে ঢাকায় ধরে আনে। গণভবনে তখন তদন্ত কমিশন কাজ করছিল। তারা আমাকে আটক করে জেরা করে।’
জানতে চাইলাম, আপনি কি ঘাতকদের নাম কমিশনের কাছে বলেছিলেন? তিনি বললেন, ‘না বলিনি। আমার মনে হয়েছিল এদের সবকিছু সাজানো, লোক দেখানো। এ কারণে তাদের জেরার জবাবে আমি কিছুই বলিনি। তখন খন্দকার মোশতাকের মুখ্য সচিব শাহরিয়ার জেড এ ইকবাল আমাকে বাঁচিয়েছিলেন। পরে আমি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেছি। ২০০১ সালের ১ এপ্রিল বিএনপি সরকার আমাকে চাকরিচ্যুত করে।’
আগে কখনো মামলা করতে চেয়েছিলেন—প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে ত্বরিত জবাব দিলেন মহিতুল। বললেন, “’৭৬ সালের ২৩ অক্টোবর একবার চেষ্টা করেছিলাম। সরকারের অনুমতি ছাড়া লালবাগ থানায় গিয়েছিলাম মামলা করতে। এজাহারের বিবরণ শুনে ডিউটি অফিসার গালে এক চড় কষিয়ে বললেন, ‘তুইও মরবি, আমাদেরও মারবি।’ এরপর অপেক্ষায় ছিলাম, ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর মামলা করলাম ধানমন্ডি থানায়।”
মহিতুল বলছিলেন, ‘ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না, এটা হতে পারে না। আমি মনে করেছিলাম, যত দিন বেঁচে আছি, আমার পক্ষে যা করার করে যাব। কিছুটা হলেও বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঋণ শোধ করতে পারব। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ঘাতকদের সাজা কার্যকর দেখে যেতে পারলে আমি মরেও শান্তি পাব।’
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় হয়েছে, আসামিদের সাজাও কার্যকর হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট তিনি মারা যান।
আর মাত্র এক দিন পরেই ১৫ আগস্টের সেই কালরাত। শোকাবহ এই দিনে অকুতোভয় মানুষটির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
আরও পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

অনেক দিন রিপোর্টিং করার সুবাদে রাজধানীর পথঘাট আমার কাছে হাতের রেখার মতো। অচেনা কোনো এলাকা নেই। মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের উল্টো দিকে ১ নম্বর সড়কের মুখের তিনতলা বাড়িটি চিনতেও কোনো অসুবিধা
১৩ আগস্ট ২০২২
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অনেক দিন রিপোর্টিং করার সুবাদে রাজধানীর পথঘাট আমার কাছে হাতের রেখার মতো। অচেনা কোনো এলাকা নেই। মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের উল্টো দিকে ১ নম্বর সড়কের মুখের তিনতলা বাড়িটি চিনতেও কোনো অসুবিধা
১৩ আগস্ট ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অনেক দিন রিপোর্টিং করার সুবাদে রাজধানীর পথঘাট আমার কাছে হাতের রেখার মতো। অচেনা কোনো এলাকা নেই। মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের উল্টো দিকে ১ নম্বর সড়কের মুখের তিনতলা বাড়িটি চিনতেও কোনো অসুবিধা
১৩ আগস্ট ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অনেক দিন রিপোর্টিং করার সুবাদে রাজধানীর পথঘাট আমার কাছে হাতের রেখার মতো। অচেনা কোনো এলাকা নেই। মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের উল্টো দিকে ১ নম্বর সড়কের মুখের তিনতলা বাড়িটি চিনতেও কোনো অসুবিধা
১৩ আগস্ট ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে