কামরুল হাসান

আমার অবস্থা তখন জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো, ‘অতিদূর সমুদ্রের ’পর হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা’। দিনভর তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনো কূলকিনারা করতে পারছি না। স্থানীয় লোকজন আমাকে সাহায্য না করে উল্টো সন্দেহ করতে শুরু করেছে। এ রকম অবস্থায় তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, তাতে সমূহ আশঙ্কা থাকে। একবার ভাবছি ফিরে যাব। এভাবে ফিরে যাওয়াকে বলে ‘রণে ভঙ্গ দেওয়া’, মানে পরাজিত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানো। কিন্তু আমার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। শেষমেশ চন্দ্রবিন্দুর ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’ গাইতে গাইতে রাজ্যের ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঢাকায় ফিরে এলাম।
পরদিন সিআইডির এএসপি মোহাম্মদ মুসলিমকে (বর্তমানে চট্টগ্রাম সিআইডির প্রধান) পুরো ঘটনা খুলে বলতেই তিনি মৃদৃ ভর্ৎসনা করে বললেন, একলা গেলেন কেন, আপনার কি মাথা খারাপ! মুসলিমের কথা শুনেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমার ধারণা ছিল, খুব সহজেই সবকিছু জানতে পারব। কিন্তু গিয়ে দেখলাম, পুলিশি অভিযানের কারণে সবাই সেখানে সতর্ক। অচেনা লোক দেখলেই সন্দেহ করছে।
যে গ্রামের কথা বলছি, তার নাম মিজমিজি। আলোঝলমলে রাজধানীর অদূরে তখন এক অজগাঁ। ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে কয়েক মাইল গেলেই শেষ হয়ে যায় মহানগরীর সীমানা। এর প্রান্তসীমার গ্রামই মিজমিজি। জেলার তালিকায় পড়েছে নারায়ণগঞ্জে। পুলিশ প্রশাসনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা। পাশেই একসময় ছিল দেশের বৃহত্তম আদমজী পাটকল। নদীশিকস্তি এই গ্রামের মাঝ দিয়ে একসময় অনেক নদী প্রবহমান ছিল। যখন গেলাম, দেখলাম নদী আর নেই; শুকিয়ে মরা খাল হয়ে পড়ে আছে। গ্রামটি আরেকটি কারণে বিখ্যাত, শহীদ সাংবাদিকের কন্যা শারমিন রীমা খুন হয়েছিলেন এই গ্রামের রাস্তায়।
দুই দিন আগে সিআইডির এএসপি মুসলিমের টিম এই গ্রাম থেকে কয়েকটি শিশুকে উদ্ধার করে, সঙ্গে কয়েকজন নারী-পুরুষ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারেন, দুবাইয়ে উটের দৌড়ে ব্যবহার করা শিশুদের পাচার করা হয় এই গ্রাম থেকে। এখানে একটি শক্তিশালী চক্র আছে, যারা শত শত মাকে প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের কোলের শিশুকে পাচারকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে।
মুসলিম আমাকে বলেছিলেন, এটা একটি আজব গ্রাম, অদ্ভুত এখানকার মা-বাবা। গ্রামের প্রায় ঘরেই আছে উটের জকি। পিতামাতার আয়ের স্বপ্নপূরণে সেই গ্রামের শিশুদের পাঠানো হয়েছে সুদূর মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতে। সেখানে উটের দৌড়ের জুয়ায় জকি হতে গিয়ে কেউ কেউ অকালে প্রাণ হারিয়েছে, কেউবা চিরতরে পঙ্গু হয়েছে। কেউ ফিরে এসেছে আঁতকে ওঠার মতো স্মৃতি নিয়ে। আবার দু-একজন আছে, যারা প্রচুর টাকা কামিয়ে মা-বাবার স্বপ্নপূরণে সক্ষম হয়েছে।
প্রথম দিন আমি একাই সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু গ্রামের লোক আমাকে বিশ্বাস করেনি। মুসলিম আমাকে বলেছিলেন তাঁদের লোকের সঙ্গে যেতে। কিন্তু পুলিশের লোকদের সঙ্গে গেলে যা পাওয়া যাবে, তা দিয়ে ভালো কোনো প্রতিবেদন হবে না। তাই একাই গেলাম। ফিরে আসার পর আমার মাথায় এল খলিলের কথা।
জনকণ্ঠের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান। প্রথমে ভেবেছিলাম, খলিল এলাকার ছেলে, তাঁকে বাদ দিয়ে নিজের মতো করে অনুসন্ধান করব। কিন্তু হালে পানি না পেয়ে শেষ পর্যন্ত খলিলের দ্বারস্থ হলাম। তিনি আমাকে পথের দিশা দিলেন। তাঁর সাহায্য নিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলাম। যত কথা বলি তত বিস্মিত হই।
এই গ্রামের তরুণ ঠিকাদার ফজলুল হক আমাকে বললেন, একসময় এই গ্রামের মানুষের কাজই ছিল আদমজী পাটকলকেন্দ্রিক নানা ধরনের ব্যবসা করা। এরপর আদমজীতে ধস নামতে শুরু করলে অনেক লোক বেকার হয়ে পড়েন। বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য শুরু হয় বিদেশ যাওয়া। অনেকে ঢাকার ট্রাভেল এজেন্টদের দালালের হাত ধরে বিদেশ যেতে থাকেন। গ্রামে গড়ে ওঠে আদম পাচারের দালাল চক্র। একপর্যায়ে শুরু হয় উটের জকি পাচার। গ্রামে প্রথম এই কারবারের সূচনা করেন মোতালেব নামের এক প্রকৌশলী। তিনি একসময় আদমজীতে চাকরি করতেন। চাকরি চলে যাওয়ার পর ট্রাভেল ব্যবসার নামে দুবাই, সৌদি আরবে লোক পাঠাতে শুরু করেন। সেই লোক পাঠানোর সঙ্গে তিনি কয়েকটি শিশুকে দুবাই পাঠান। অল্প দিনেই এটি যে লাভজনক, সে খবর গ্রামে তা রটে যায়। এরপর অনেকে এই কারবারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে সেখানে একটা চক্র গড়ে ওঠে। এদের কেউ মুদিদোকানি, কেউ পাইকারি ফড়িয়া আবার কেউ বেকার। শুরু হয় গ্রামের দরিদ্র মানুষকে দ্রুত বড় লোক হওয়ার লোভ দেখানো। সেই লোভে অনেক মা-বাবা তাঁদের বাচ্চাদের তুলে দেন চক্রের হাতে।
আমি সেখানে খোঁজ করতে গিয়ে অনেককে পেয়েছিলামও। যেমন সর্দারপাড়ার জহির আহমেদের পুত্র মহিউদ্দিন। তাকে পাচার করেছিল এলাকার আলাউদ্দিন নামের এক যুবক। কয়েক বছর পর ফিরে এসেছিল জহির। দুবাই যাওয়ার সুবাদে তার পরিবার উঠে যায় পাকা বাড়িতে। মহিউদ্দিনের মতো আরেকজন আজিবপুরের সুবেদ আলীর ছেলে হোসেন তখন মিজমিজির বেতিমোহন স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত। সাত-আট বছর আগে তাকে পাঠানো হয়েছিল উটের জকি হিসেবে।
গ্রামের আরেক পিতা নূর মোহাম্মদ আব্দুলের পুলপাড়ে বাড়ি। তাঁর দুই সন্তান শাহাবুদ্দিন ও মহিউদ্দিন। এই দুই সন্তানকে নিয়ে নূর মোহাম্মদ দুবাই গিয়েছিলেন। নিজের সন্তানকে লাগিয়েছিলেন জকির কাজে। একদিন উটের পিঠ থেকে পড়ে এক ছেলে মারা যায়। আমি নূর মোহাম্মদের স্ত্রী জমিলার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। জমিলা বলেছিলেন, আমার ছেলে গেছে, কিন্তু ভাগ্য তো ফিরেছে। এখন তাঁদের অনেক আয়-রোজগার। বাড়িও পাকা হয়েছে। নূর মোহাম্মদ বঙ্গবাজারে টুপির কারবার করেন। তাঁর ছেলে শাহাবুদিন তখন কলেজে পড়ত। সে আমাকে বলেছিল, সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো তাকে তাড়া করে ফেরে।
সে সময় ওই গ্রামের লোকদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছিল, মিজমিজি থেকে উটের জকি হিসেবে শিশু পাচারের ঘটনা সেখানে ওপেন সিক্রেট। গ্রামের সাধারণ মানুষ যেমন জানে বিষয়টি, তেমনি জানেন পুলিশ-প্রশাসনসহ স্থানীয় কর্মকর্তারা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তখন ওসি ছিলেন ইসমাইল হোসেন খন্দকার। তিনি বলেছিলেন, কিছুই জানেন না। নারায়ণগঞ্জের এসপি ছিলেন শফিকুল ইসলাম। তিনিও একই সুরে কথা বললেন। কিন্তু আমি মাত্র তিন দিনে সে গ্রাম থেকে দুই শতাধিক শিশু পাচারের তথ্য পেয়েছিলাম।
গ্রামের অনেকে আমাকে বলেছিলেন, চিটাগাং রোডের দুই কসাই চান মিয়া আর কুব্বতের স্ত্রীরাও দুবাইতে থাকেন। প্রতিবছর তাঁরা দেশে এসে একটি করে বাচ্চা নিয়ে যান। পুলপাড়ের বেগমের ছেলে গ্রামে বসে এ কাজ করেন। গ্রামের আরেকজন ইসমাইলের ভাই নাসির দুটি বাচ্চা নিয়ে দুবাই যান। একটি বাচ্চা ফেরত এসেছে, অন্যটি এখনো আসেনি। পাচার হওয়া অনেক বাচ্চার মতো সেই বাচ্চাও উটের পায়ের তলায় পড়ে মারা যায়।
পাচারকারী চক্রের সদস্য আলিম মুনশির দুই ছেলে ইবরা ও হোসেন এমন একটি মরা বাচ্চা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। পরে এ নিয়ে গ্রামে সালিস হয়। এরপর তিন লাখ টাকায় মিটমাট হয়ে যায়। গ্রাম থেকে পাচার হওয়া আরেক শিশু নাজমুল উটের দৌড়ের সময় পড়ে গিয়ে আহত হলে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
তখনকার পিজি হাসপাতালে শিশুটি মারা যায় ২০০১ সালের ১১ এপ্রিল। শিশু পাচার নিয়ে আমার সিরিজ প্রতিবেদনটি ছাপা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের ২০ মে থেকে। এই প্রতিবেদন করতে গিয়ে মানুষের যে ভয়াবহ রূপ দেখেছি, তা আমাকে ব্যথিত করেছিল।
শিশু নাজমুল মারা যাওয়ার পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের হিউম্যান রাইটস মনিটরিং সেলের আইনজীবী দিলরুবা আফতাবী ও ইসরাত ফাতেমা একটি মামলাও করেন আদালতে। প্রথম প্রথম সবকিছু ভালোই চলছিল। একদিন ফলোআপ করতে গিয়ে শুনি, দিলরুবার মন খারাপ। নাজমুলের মা নাজমা আর মামলা চালাতে চান না। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সব মিটমাট করে ফেলেছেন। এরপর পাচারকারীদের পরামর্শে নাজমুলের মা অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। দিলরুবা একটি টানা নিশ্বাস ছেড়ে বললেন, দারিদ্র্য, লোভ ও হুমকির কাছে হার মেনে গেল মাতৃস্নেহ। আমাদের জীবন বোধ হয় এ রকমই ভাই।
দিলরুবার কথায় আমারও খুব মন খারাপ হলো। তাঁর কথার কোনো জবাব না দিয়েই ফিরে এলাম।
আরও পড়ুন:

আমার অবস্থা তখন জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো, ‘অতিদূর সমুদ্রের ’পর হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা’। দিনভর তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনো কূলকিনারা করতে পারছি না। স্থানীয় লোকজন আমাকে সাহায্য না করে উল্টো সন্দেহ করতে শুরু করেছে। এ রকম অবস্থায় তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, তাতে সমূহ আশঙ্কা থাকে। একবার ভাবছি ফিরে যাব। এভাবে ফিরে যাওয়াকে বলে ‘রণে ভঙ্গ দেওয়া’, মানে পরাজিত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানো। কিন্তু আমার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। শেষমেশ চন্দ্রবিন্দুর ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’ গাইতে গাইতে রাজ্যের ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঢাকায় ফিরে এলাম।
পরদিন সিআইডির এএসপি মোহাম্মদ মুসলিমকে (বর্তমানে চট্টগ্রাম সিআইডির প্রধান) পুরো ঘটনা খুলে বলতেই তিনি মৃদৃ ভর্ৎসনা করে বললেন, একলা গেলেন কেন, আপনার কি মাথা খারাপ! মুসলিমের কথা শুনেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমার ধারণা ছিল, খুব সহজেই সবকিছু জানতে পারব। কিন্তু গিয়ে দেখলাম, পুলিশি অভিযানের কারণে সবাই সেখানে সতর্ক। অচেনা লোক দেখলেই সন্দেহ করছে।
যে গ্রামের কথা বলছি, তার নাম মিজমিজি। আলোঝলমলে রাজধানীর অদূরে তখন এক অজগাঁ। ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে কয়েক মাইল গেলেই শেষ হয়ে যায় মহানগরীর সীমানা। এর প্রান্তসীমার গ্রামই মিজমিজি। জেলার তালিকায় পড়েছে নারায়ণগঞ্জে। পুলিশ প্রশাসনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা। পাশেই একসময় ছিল দেশের বৃহত্তম আদমজী পাটকল। নদীশিকস্তি এই গ্রামের মাঝ দিয়ে একসময় অনেক নদী প্রবহমান ছিল। যখন গেলাম, দেখলাম নদী আর নেই; শুকিয়ে মরা খাল হয়ে পড়ে আছে। গ্রামটি আরেকটি কারণে বিখ্যাত, শহীদ সাংবাদিকের কন্যা শারমিন রীমা খুন হয়েছিলেন এই গ্রামের রাস্তায়।
দুই দিন আগে সিআইডির এএসপি মুসলিমের টিম এই গ্রাম থেকে কয়েকটি শিশুকে উদ্ধার করে, সঙ্গে কয়েকজন নারী-পুরুষ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারেন, দুবাইয়ে উটের দৌড়ে ব্যবহার করা শিশুদের পাচার করা হয় এই গ্রাম থেকে। এখানে একটি শক্তিশালী চক্র আছে, যারা শত শত মাকে প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের কোলের শিশুকে পাচারকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে।
মুসলিম আমাকে বলেছিলেন, এটা একটি আজব গ্রাম, অদ্ভুত এখানকার মা-বাবা। গ্রামের প্রায় ঘরেই আছে উটের জকি। পিতামাতার আয়ের স্বপ্নপূরণে সেই গ্রামের শিশুদের পাঠানো হয়েছে সুদূর মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতে। সেখানে উটের দৌড়ের জুয়ায় জকি হতে গিয়ে কেউ কেউ অকালে প্রাণ হারিয়েছে, কেউবা চিরতরে পঙ্গু হয়েছে। কেউ ফিরে এসেছে আঁতকে ওঠার মতো স্মৃতি নিয়ে। আবার দু-একজন আছে, যারা প্রচুর টাকা কামিয়ে মা-বাবার স্বপ্নপূরণে সক্ষম হয়েছে।
প্রথম দিন আমি একাই সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু গ্রামের লোক আমাকে বিশ্বাস করেনি। মুসলিম আমাকে বলেছিলেন তাঁদের লোকের সঙ্গে যেতে। কিন্তু পুলিশের লোকদের সঙ্গে গেলে যা পাওয়া যাবে, তা দিয়ে ভালো কোনো প্রতিবেদন হবে না। তাই একাই গেলাম। ফিরে আসার পর আমার মাথায় এল খলিলের কথা।
জনকণ্ঠের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান। প্রথমে ভেবেছিলাম, খলিল এলাকার ছেলে, তাঁকে বাদ দিয়ে নিজের মতো করে অনুসন্ধান করব। কিন্তু হালে পানি না পেয়ে শেষ পর্যন্ত খলিলের দ্বারস্থ হলাম। তিনি আমাকে পথের দিশা দিলেন। তাঁর সাহায্য নিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলাম। যত কথা বলি তত বিস্মিত হই।
এই গ্রামের তরুণ ঠিকাদার ফজলুল হক আমাকে বললেন, একসময় এই গ্রামের মানুষের কাজই ছিল আদমজী পাটকলকেন্দ্রিক নানা ধরনের ব্যবসা করা। এরপর আদমজীতে ধস নামতে শুরু করলে অনেক লোক বেকার হয়ে পড়েন। বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য শুরু হয় বিদেশ যাওয়া। অনেকে ঢাকার ট্রাভেল এজেন্টদের দালালের হাত ধরে বিদেশ যেতে থাকেন। গ্রামে গড়ে ওঠে আদম পাচারের দালাল চক্র। একপর্যায়ে শুরু হয় উটের জকি পাচার। গ্রামে প্রথম এই কারবারের সূচনা করেন মোতালেব নামের এক প্রকৌশলী। তিনি একসময় আদমজীতে চাকরি করতেন। চাকরি চলে যাওয়ার পর ট্রাভেল ব্যবসার নামে দুবাই, সৌদি আরবে লোক পাঠাতে শুরু করেন। সেই লোক পাঠানোর সঙ্গে তিনি কয়েকটি শিশুকে দুবাই পাঠান। অল্প দিনেই এটি যে লাভজনক, সে খবর গ্রামে তা রটে যায়। এরপর অনেকে এই কারবারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে সেখানে একটা চক্র গড়ে ওঠে। এদের কেউ মুদিদোকানি, কেউ পাইকারি ফড়িয়া আবার কেউ বেকার। শুরু হয় গ্রামের দরিদ্র মানুষকে দ্রুত বড় লোক হওয়ার লোভ দেখানো। সেই লোভে অনেক মা-বাবা তাঁদের বাচ্চাদের তুলে দেন চক্রের হাতে।
আমি সেখানে খোঁজ করতে গিয়ে অনেককে পেয়েছিলামও। যেমন সর্দারপাড়ার জহির আহমেদের পুত্র মহিউদ্দিন। তাকে পাচার করেছিল এলাকার আলাউদ্দিন নামের এক যুবক। কয়েক বছর পর ফিরে এসেছিল জহির। দুবাই যাওয়ার সুবাদে তার পরিবার উঠে যায় পাকা বাড়িতে। মহিউদ্দিনের মতো আরেকজন আজিবপুরের সুবেদ আলীর ছেলে হোসেন তখন মিজমিজির বেতিমোহন স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত। সাত-আট বছর আগে তাকে পাঠানো হয়েছিল উটের জকি হিসেবে।
গ্রামের আরেক পিতা নূর মোহাম্মদ আব্দুলের পুলপাড়ে বাড়ি। তাঁর দুই সন্তান শাহাবুদ্দিন ও মহিউদ্দিন। এই দুই সন্তানকে নিয়ে নূর মোহাম্মদ দুবাই গিয়েছিলেন। নিজের সন্তানকে লাগিয়েছিলেন জকির কাজে। একদিন উটের পিঠ থেকে পড়ে এক ছেলে মারা যায়। আমি নূর মোহাম্মদের স্ত্রী জমিলার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। জমিলা বলেছিলেন, আমার ছেলে গেছে, কিন্তু ভাগ্য তো ফিরেছে। এখন তাঁদের অনেক আয়-রোজগার। বাড়িও পাকা হয়েছে। নূর মোহাম্মদ বঙ্গবাজারে টুপির কারবার করেন। তাঁর ছেলে শাহাবুদিন তখন কলেজে পড়ত। সে আমাকে বলেছিল, সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো তাকে তাড়া করে ফেরে।
সে সময় ওই গ্রামের লোকদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছিল, মিজমিজি থেকে উটের জকি হিসেবে শিশু পাচারের ঘটনা সেখানে ওপেন সিক্রেট। গ্রামের সাধারণ মানুষ যেমন জানে বিষয়টি, তেমনি জানেন পুলিশ-প্রশাসনসহ স্থানীয় কর্মকর্তারা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তখন ওসি ছিলেন ইসমাইল হোসেন খন্দকার। তিনি বলেছিলেন, কিছুই জানেন না। নারায়ণগঞ্জের এসপি ছিলেন শফিকুল ইসলাম। তিনিও একই সুরে কথা বললেন। কিন্তু আমি মাত্র তিন দিনে সে গ্রাম থেকে দুই শতাধিক শিশু পাচারের তথ্য পেয়েছিলাম।
গ্রামের অনেকে আমাকে বলেছিলেন, চিটাগাং রোডের দুই কসাই চান মিয়া আর কুব্বতের স্ত্রীরাও দুবাইতে থাকেন। প্রতিবছর তাঁরা দেশে এসে একটি করে বাচ্চা নিয়ে যান। পুলপাড়ের বেগমের ছেলে গ্রামে বসে এ কাজ করেন। গ্রামের আরেকজন ইসমাইলের ভাই নাসির দুটি বাচ্চা নিয়ে দুবাই যান। একটি বাচ্চা ফেরত এসেছে, অন্যটি এখনো আসেনি। পাচার হওয়া অনেক বাচ্চার মতো সেই বাচ্চাও উটের পায়ের তলায় পড়ে মারা যায়।
পাচারকারী চক্রের সদস্য আলিম মুনশির দুই ছেলে ইবরা ও হোসেন এমন একটি মরা বাচ্চা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। পরে এ নিয়ে গ্রামে সালিস হয়। এরপর তিন লাখ টাকায় মিটমাট হয়ে যায়। গ্রাম থেকে পাচার হওয়া আরেক শিশু নাজমুল উটের দৌড়ের সময় পড়ে গিয়ে আহত হলে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
তখনকার পিজি হাসপাতালে শিশুটি মারা যায় ২০০১ সালের ১১ এপ্রিল। শিশু পাচার নিয়ে আমার সিরিজ প্রতিবেদনটি ছাপা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের ২০ মে থেকে। এই প্রতিবেদন করতে গিয়ে মানুষের যে ভয়াবহ রূপ দেখেছি, তা আমাকে ব্যথিত করেছিল।
শিশু নাজমুল মারা যাওয়ার পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের হিউম্যান রাইটস মনিটরিং সেলের আইনজীবী দিলরুবা আফতাবী ও ইসরাত ফাতেমা একটি মামলাও করেন আদালতে। প্রথম প্রথম সবকিছু ভালোই চলছিল। একদিন ফলোআপ করতে গিয়ে শুনি, দিলরুবার মন খারাপ। নাজমুলের মা নাজমা আর মামলা চালাতে চান না। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সব মিটমাট করে ফেলেছেন। এরপর পাচারকারীদের পরামর্শে নাজমুলের মা অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। দিলরুবা একটি টানা নিশ্বাস ছেড়ে বললেন, দারিদ্র্য, লোভ ও হুমকির কাছে হার মেনে গেল মাতৃস্নেহ। আমাদের জীবন বোধ হয় এ রকমই ভাই।
দিলরুবার কথায় আমারও খুব মন খারাপ হলো। তাঁর কথার কোনো জবাব না দিয়েই ফিরে এলাম।
আরও পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

আমার অবস্থা তখন জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো, ‘অতিদূর সমুদ্রের ’পর হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা’। দিনভর তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনো কূলকিনারা করতে পারছি না। স্থানীয় লোকজন আমাকে সাহায্য না করে উল্টো সন্দেহ করতে শুরু করেছে। এ রকম অবস্থায় তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

আমার অবস্থা তখন জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো, ‘অতিদূর সমুদ্রের ’পর হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা’। দিনভর তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনো কূলকিনারা করতে পারছি না। স্থানীয় লোকজন আমাকে সাহায্য না করে উল্টো সন্দেহ করতে শুরু করেছে। এ রকম অবস্থায় তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আমার অবস্থা তখন জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো, ‘অতিদূর সমুদ্রের ’পর হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা’। দিনভর তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনো কূলকিনারা করতে পারছি না। স্থানীয় লোকজন আমাকে সাহায্য না করে উল্টো সন্দেহ করতে শুরু করেছে। এ রকম অবস্থায় তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আমার অবস্থা তখন জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো, ‘অতিদূর সমুদ্রের ’পর হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা’। দিনভর তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনো কূলকিনারা করতে পারছি না। স্থানীয় লোকজন আমাকে সাহায্য না করে উল্টো সন্দেহ করতে শুরু করেছে। এ রকম অবস্থায় তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে