মো. আরিফুজ্জামান, ঢাকা

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্লোভাকিয়া রিপাবলিক, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত, এমনকি রাশিয়াকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রোসাটম রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের চুক্তি (জেনারেল কন্ট্রাক্টসহ) পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, রূপপুরের মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এখন পর্যন্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এই কেন্দ্রের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হবে আরও অন্তত সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা বা দুই বিলিয়ন ডলার। এই হিসাব রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণব্যয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্মাণব্যয়ে এশিয়ায় শীর্ষে রূপপুর
আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয় মূলত হিসাব করা হয় প্রতি ১ হাজার ওয়াট (১ কিলোওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদনে কত মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে তার ভিত্তিতে। একে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্টও বলে। অর্থাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যয়কে মোট উৎপাদন সক্ষমতা (কিলোওয়াট হিসাবে) দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, সেটাই প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ভারত, রাশিয়া, তুরস্ক, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় গড়ে ১ হাজার ৫৫৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩৭ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮১ ডলার (৬ লাখ ৬ হাজার ১৮৪ টাকা)। কিন্তু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৫ হাজার ৮৯০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩০ টাকা। এমনকি যে রাশিয়ার প্রযুক্তিতে রূপপুর নির্মিত হচ্ছে, সেখানেও একই প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৪ হাজার ৭৫ ডলার (৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৪ টাকা)। কেবল যুক্তরাজ্য ও হাঙ্গেরিতে এই ব্যয় ৬ হাজার ডলারের বেশি।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে বাংলাদেশেই নির্মাণব্যয় বেশি
ভারত, তুরস্ক, ইরান, বুলগেরিয়াসহ বেশ কিছু দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে রাশিয়ার রোসাটম। এখনো তারা কিছু দেশে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এসব দেশে রোসাটমের নির্মাণব্যয়ের তুলনায় রূপপুরের নির্মাণব্যয় বেশি।
ভারতের কুদামকুলামে রাশিয়ার ভিভিইআর ১০০০ প্রযুক্তিতে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রয়েছে। সেখানে একই প্রযুক্তির আরও দুটি ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার মেগাওয়াট। এখানকার প্রথম দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় ১৭ হাজার ২৭০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ হাজার ৫৬০ কোটি ৪১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। তিন ও চার নম্বর ইউনিটের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে। এই দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৭৪৭ কোটি রুপি (৫৬ হাজার ৫২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। ভারতের কুদামকুলামে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ইউনিটের নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে। এ দুই ইউনিটের নির্মাণ খরচ হবে ৫ হাজার কোটি রুপি (৭ হাজার ১১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার কিছু বেশি)। অর্থাৎ ছয় ইউনিট নির্মাণে মোট ব্যয় হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা।
রাশিয়ার রোসাটম ফিনল্যান্ডে ১২০০ মেগাওয়াটের ভিভিইআর প্রযুক্তির একটি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এটি নির্মাণে ৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭১ হাজার ৫৮১ কোটি টাকার কিছু বেশি) ব্যয় ধরা হয়েছে, এখানে ইউনিটপ্রতি নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্ট ৫ হাজার ডলার।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে তুলনামূলক কম টাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে তুরস্কে। তুরস্কের আক্কুইউ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চার ইউনিটের (প্রতি ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট)। কেন্দ্রটি থেকে ৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। চার ইউনিটের এ কেন্দ্রের পেছনে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা)। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২০০ ডলার (৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৭৩ টাকা)।
রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত জেনারেল কন্ট্রাক্ট (সাধারণ চুক্তি) অনুযায়ী, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। এই ব্যয়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ রাশিয়া ঋণ আকারে বাংলাদেশকে দিচ্ছে, বাকি ১০ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ সরকার জোগান দেবে। রূপপুর প্রকল্পের শুরুর দিকে প্রকল্পের সমীক্ষা, ভূমি উন্নয়ন, নকশা প্রণয়ন এবং কিছু ভৌত অবকাঠামোর কাজে ব্যয় হয়েছে ৫৫ কোটি ডলার। এই ব্যয় সাধারণ চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নির্মাণব্যয়ের এই অর্থের কথাই উল্লেখ করেছে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর। তিনি একাধারে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত জানুয়ারিতে তাঁকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়। বর্তমানে তিনি এই তিন পদেই আছেন। রূপপুরের সব ব্যয় ও চুক্তির বিষয়ে জানতে শৌকত আকবরের কাছে দফায় দফায় ফোন ও খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছে ইমেইল করেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
যেসব ব্যয় প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি
রূপপুরের মূল প্রকল্পের নির্মাণব্যয়ের বাইরে আরও ১৯ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রূপপুর প্রকল্পের জন্য ২২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। ফিজিক্যাল প্রোটেকশন সিস্টেম (পিপিএস) প্রকল্পের পেছনেই এই অর্থ ব্যয় হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ডিজাইন বেসিস থ্রেটের (ডিবিটি) বাইরে থেকে আসা ঝুঁকি মোকাবিলা করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এসব প্রকল্পের ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান পিজিসিবি সূত্র বলেছে, রূপপুরের বিদ্যুৎ দেশের আট জেলায় সরবরাহে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৯৮২ কোটি। এই অর্থ ভারত থেকে ঋণ আকারে নিয়েছে বাংলাদেশ। সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ করছে তিনটি ভারতীয় কোম্পানি। এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের তথ্যপ্রযুক্তির পেছনে আরও ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকল্প অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি আনতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে পাবনার পাকশী পর্যন্ত নদীপথ খনন (ক্যাপিটাল ড্রেজিং) ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে ব্যয় হয়েছে ২৩২ কোটি টাকা। তবে ২০১৮ সালে করা এই ড্রেজিং করার এক বছরের মাথায় নদীর নাব্যতা আগের অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায়। মেইনটেন্যান্স ড্রেজিংয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪২ কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাটাই ছিল অপ্রয়োজনীয়। এত অর্থ ব্যয় করে এই প্রকল্প করার মানে নেই। বাংলাদেশে যেকোনো প্রকল্প অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এটার স্বচ্ছতা নেই।
আরও খবর পড়ুন:

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্লোভাকিয়া রিপাবলিক, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত, এমনকি রাশিয়াকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রোসাটম রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের চুক্তি (জেনারেল কন্ট্রাক্টসহ) পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, রূপপুরের মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এখন পর্যন্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এই কেন্দ্রের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হবে আরও অন্তত সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা বা দুই বিলিয়ন ডলার। এই হিসাব রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণব্যয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্মাণব্যয়ে এশিয়ায় শীর্ষে রূপপুর
আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয় মূলত হিসাব করা হয় প্রতি ১ হাজার ওয়াট (১ কিলোওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদনে কত মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে তার ভিত্তিতে। একে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্টও বলে। অর্থাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যয়কে মোট উৎপাদন সক্ষমতা (কিলোওয়াট হিসাবে) দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, সেটাই প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ভারত, রাশিয়া, তুরস্ক, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় গড়ে ১ হাজার ৫৫৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩৭ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮১ ডলার (৬ লাখ ৬ হাজার ১৮৪ টাকা)। কিন্তু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৫ হাজার ৮৯০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩০ টাকা। এমনকি যে রাশিয়ার প্রযুক্তিতে রূপপুর নির্মিত হচ্ছে, সেখানেও একই প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৪ হাজার ৭৫ ডলার (৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৪ টাকা)। কেবল যুক্তরাজ্য ও হাঙ্গেরিতে এই ব্যয় ৬ হাজার ডলারের বেশি।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে বাংলাদেশেই নির্মাণব্যয় বেশি
ভারত, তুরস্ক, ইরান, বুলগেরিয়াসহ বেশ কিছু দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে রাশিয়ার রোসাটম। এখনো তারা কিছু দেশে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এসব দেশে রোসাটমের নির্মাণব্যয়ের তুলনায় রূপপুরের নির্মাণব্যয় বেশি।
ভারতের কুদামকুলামে রাশিয়ার ভিভিইআর ১০০০ প্রযুক্তিতে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রয়েছে। সেখানে একই প্রযুক্তির আরও দুটি ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার মেগাওয়াট। এখানকার প্রথম দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় ১৭ হাজার ২৭০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ হাজার ৫৬০ কোটি ৪১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। তিন ও চার নম্বর ইউনিটের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে। এই দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৭৪৭ কোটি রুপি (৫৬ হাজার ৫২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। ভারতের কুদামকুলামে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ইউনিটের নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে। এ দুই ইউনিটের নির্মাণ খরচ হবে ৫ হাজার কোটি রুপি (৭ হাজার ১১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার কিছু বেশি)। অর্থাৎ ছয় ইউনিট নির্মাণে মোট ব্যয় হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা।
রাশিয়ার রোসাটম ফিনল্যান্ডে ১২০০ মেগাওয়াটের ভিভিইআর প্রযুক্তির একটি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এটি নির্মাণে ৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭১ হাজার ৫৮১ কোটি টাকার কিছু বেশি) ব্যয় ধরা হয়েছে, এখানে ইউনিটপ্রতি নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্ট ৫ হাজার ডলার।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে তুলনামূলক কম টাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে তুরস্কে। তুরস্কের আক্কুইউ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চার ইউনিটের (প্রতি ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট)। কেন্দ্রটি থেকে ৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। চার ইউনিটের এ কেন্দ্রের পেছনে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা)। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২০০ ডলার (৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৭৩ টাকা)।
রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত জেনারেল কন্ট্রাক্ট (সাধারণ চুক্তি) অনুযায়ী, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। এই ব্যয়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ রাশিয়া ঋণ আকারে বাংলাদেশকে দিচ্ছে, বাকি ১০ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ সরকার জোগান দেবে। রূপপুর প্রকল্পের শুরুর দিকে প্রকল্পের সমীক্ষা, ভূমি উন্নয়ন, নকশা প্রণয়ন এবং কিছু ভৌত অবকাঠামোর কাজে ব্যয় হয়েছে ৫৫ কোটি ডলার। এই ব্যয় সাধারণ চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নির্মাণব্যয়ের এই অর্থের কথাই উল্লেখ করেছে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর। তিনি একাধারে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত জানুয়ারিতে তাঁকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়। বর্তমানে তিনি এই তিন পদেই আছেন। রূপপুরের সব ব্যয় ও চুক্তির বিষয়ে জানতে শৌকত আকবরের কাছে দফায় দফায় ফোন ও খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছে ইমেইল করেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
যেসব ব্যয় প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি
রূপপুরের মূল প্রকল্পের নির্মাণব্যয়ের বাইরে আরও ১৯ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রূপপুর প্রকল্পের জন্য ২২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। ফিজিক্যাল প্রোটেকশন সিস্টেম (পিপিএস) প্রকল্পের পেছনেই এই অর্থ ব্যয় হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ডিজাইন বেসিস থ্রেটের (ডিবিটি) বাইরে থেকে আসা ঝুঁকি মোকাবিলা করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এসব প্রকল্পের ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান পিজিসিবি সূত্র বলেছে, রূপপুরের বিদ্যুৎ দেশের আট জেলায় সরবরাহে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৯৮২ কোটি। এই অর্থ ভারত থেকে ঋণ আকারে নিয়েছে বাংলাদেশ। সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ করছে তিনটি ভারতীয় কোম্পানি। এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের তথ্যপ্রযুক্তির পেছনে আরও ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকল্প অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি আনতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে পাবনার পাকশী পর্যন্ত নদীপথ খনন (ক্যাপিটাল ড্রেজিং) ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে ব্যয় হয়েছে ২৩২ কোটি টাকা। তবে ২০১৮ সালে করা এই ড্রেজিং করার এক বছরের মাথায় নদীর নাব্যতা আগের অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায়। মেইনটেন্যান্স ড্রেজিংয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪২ কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাটাই ছিল অপ্রয়োজনীয়। এত অর্থ ব্যয় করে এই প্রকল্প করার মানে নেই। বাংলাদেশে যেকোনো প্রকল্প অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এটার স্বচ্ছতা নেই।
আরও খবর পড়ুন:
মো. আরিফুজ্জামান, ঢাকা

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্লোভাকিয়া রিপাবলিক, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত, এমনকি রাশিয়াকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রোসাটম রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের চুক্তি (জেনারেল কন্ট্রাক্টসহ) পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, রূপপুরের মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এখন পর্যন্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এই কেন্দ্রের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হবে আরও অন্তত সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা বা দুই বিলিয়ন ডলার। এই হিসাব রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণব্যয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্মাণব্যয়ে এশিয়ায় শীর্ষে রূপপুর
আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয় মূলত হিসাব করা হয় প্রতি ১ হাজার ওয়াট (১ কিলোওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদনে কত মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে তার ভিত্তিতে। একে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্টও বলে। অর্থাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যয়কে মোট উৎপাদন সক্ষমতা (কিলোওয়াট হিসাবে) দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, সেটাই প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ভারত, রাশিয়া, তুরস্ক, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় গড়ে ১ হাজার ৫৫৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩৭ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮১ ডলার (৬ লাখ ৬ হাজার ১৮৪ টাকা)। কিন্তু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৫ হাজার ৮৯০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩০ টাকা। এমনকি যে রাশিয়ার প্রযুক্তিতে রূপপুর নির্মিত হচ্ছে, সেখানেও একই প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৪ হাজার ৭৫ ডলার (৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৪ টাকা)। কেবল যুক্তরাজ্য ও হাঙ্গেরিতে এই ব্যয় ৬ হাজার ডলারের বেশি।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে বাংলাদেশেই নির্মাণব্যয় বেশি
ভারত, তুরস্ক, ইরান, বুলগেরিয়াসহ বেশ কিছু দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে রাশিয়ার রোসাটম। এখনো তারা কিছু দেশে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এসব দেশে রোসাটমের নির্মাণব্যয়ের তুলনায় রূপপুরের নির্মাণব্যয় বেশি।
ভারতের কুদামকুলামে রাশিয়ার ভিভিইআর ১০০০ প্রযুক্তিতে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রয়েছে। সেখানে একই প্রযুক্তির আরও দুটি ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার মেগাওয়াট। এখানকার প্রথম দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় ১৭ হাজার ২৭০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ হাজার ৫৬০ কোটি ৪১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। তিন ও চার নম্বর ইউনিটের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে। এই দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৭৪৭ কোটি রুপি (৫৬ হাজার ৫২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। ভারতের কুদামকুলামে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ইউনিটের নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে। এ দুই ইউনিটের নির্মাণ খরচ হবে ৫ হাজার কোটি রুপি (৭ হাজার ১১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার কিছু বেশি)। অর্থাৎ ছয় ইউনিট নির্মাণে মোট ব্যয় হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা।
রাশিয়ার রোসাটম ফিনল্যান্ডে ১২০০ মেগাওয়াটের ভিভিইআর প্রযুক্তির একটি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এটি নির্মাণে ৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭১ হাজার ৫৮১ কোটি টাকার কিছু বেশি) ব্যয় ধরা হয়েছে, এখানে ইউনিটপ্রতি নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্ট ৫ হাজার ডলার।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে তুলনামূলক কম টাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে তুরস্কে। তুরস্কের আক্কুইউ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চার ইউনিটের (প্রতি ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট)। কেন্দ্রটি থেকে ৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। চার ইউনিটের এ কেন্দ্রের পেছনে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা)। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২০০ ডলার (৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৭৩ টাকা)।
রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত জেনারেল কন্ট্রাক্ট (সাধারণ চুক্তি) অনুযায়ী, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। এই ব্যয়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ রাশিয়া ঋণ আকারে বাংলাদেশকে দিচ্ছে, বাকি ১০ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ সরকার জোগান দেবে। রূপপুর প্রকল্পের শুরুর দিকে প্রকল্পের সমীক্ষা, ভূমি উন্নয়ন, নকশা প্রণয়ন এবং কিছু ভৌত অবকাঠামোর কাজে ব্যয় হয়েছে ৫৫ কোটি ডলার। এই ব্যয় সাধারণ চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নির্মাণব্যয়ের এই অর্থের কথাই উল্লেখ করেছে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর। তিনি একাধারে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত জানুয়ারিতে তাঁকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়। বর্তমানে তিনি এই তিন পদেই আছেন। রূপপুরের সব ব্যয় ও চুক্তির বিষয়ে জানতে শৌকত আকবরের কাছে দফায় দফায় ফোন ও খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছে ইমেইল করেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
যেসব ব্যয় প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি
রূপপুরের মূল প্রকল্পের নির্মাণব্যয়ের বাইরে আরও ১৯ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রূপপুর প্রকল্পের জন্য ২২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। ফিজিক্যাল প্রোটেকশন সিস্টেম (পিপিএস) প্রকল্পের পেছনেই এই অর্থ ব্যয় হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ডিজাইন বেসিস থ্রেটের (ডিবিটি) বাইরে থেকে আসা ঝুঁকি মোকাবিলা করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এসব প্রকল্পের ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান পিজিসিবি সূত্র বলেছে, রূপপুরের বিদ্যুৎ দেশের আট জেলায় সরবরাহে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৯৮২ কোটি। এই অর্থ ভারত থেকে ঋণ আকারে নিয়েছে বাংলাদেশ। সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ করছে তিনটি ভারতীয় কোম্পানি। এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের তথ্যপ্রযুক্তির পেছনে আরও ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকল্প অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি আনতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে পাবনার পাকশী পর্যন্ত নদীপথ খনন (ক্যাপিটাল ড্রেজিং) ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে ব্যয় হয়েছে ২৩২ কোটি টাকা। তবে ২০১৮ সালে করা এই ড্রেজিং করার এক বছরের মাথায় নদীর নাব্যতা আগের অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায়। মেইনটেন্যান্স ড্রেজিংয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪২ কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাটাই ছিল অপ্রয়োজনীয়। এত অর্থ ব্যয় করে এই প্রকল্প করার মানে নেই। বাংলাদেশে যেকোনো প্রকল্প অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এটার স্বচ্ছতা নেই।
আরও খবর পড়ুন:

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্লোভাকিয়া রিপাবলিক, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত, এমনকি রাশিয়াকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রোসাটম রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের চুক্তি (জেনারেল কন্ট্রাক্টসহ) পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, রূপপুরের মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এখন পর্যন্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এই কেন্দ্রের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হবে আরও অন্তত সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা বা দুই বিলিয়ন ডলার। এই হিসাব রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণব্যয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্মাণব্যয়ে এশিয়ায় শীর্ষে রূপপুর
আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয় মূলত হিসাব করা হয় প্রতি ১ হাজার ওয়াট (১ কিলোওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদনে কত মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে তার ভিত্তিতে। একে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্টও বলে। অর্থাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যয়কে মোট উৎপাদন সক্ষমতা (কিলোওয়াট হিসাবে) দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, সেটাই প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ভারত, রাশিয়া, তুরস্ক, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় গড়ে ১ হাজার ৫৫৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩৭ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮১ ডলার (৬ লাখ ৬ হাজার ১৮৪ টাকা)। কিন্তু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৫ হাজার ৮৯০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩০ টাকা। এমনকি যে রাশিয়ার প্রযুক্তিতে রূপপুর নির্মিত হচ্ছে, সেখানেও একই প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট নির্মাণব্যয় ৪ হাজার ৭৫ ডলার (৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৪ টাকা)। কেবল যুক্তরাজ্য ও হাঙ্গেরিতে এই ব্যয় ৬ হাজার ডলারের বেশি।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে বাংলাদেশেই নির্মাণব্যয় বেশি
ভারত, তুরস্ক, ইরান, বুলগেরিয়াসহ বেশ কিছু দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে রাশিয়ার রোসাটম। এখনো তারা কিছু দেশে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এসব দেশে রোসাটমের নির্মাণব্যয়ের তুলনায় রূপপুরের নির্মাণব্যয় বেশি।
ভারতের কুদামকুলামে রাশিয়ার ভিভিইআর ১০০০ প্রযুক্তিতে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রয়েছে। সেখানে একই প্রযুক্তির আরও দুটি ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার মেগাওয়াট। এখানকার প্রথম দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় ১৭ হাজার ২৭০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ হাজার ৫৬০ কোটি ৪১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। তিন ও চার নম্বর ইউনিটের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে। এই দুই ইউনিটের নির্মাণব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৭৪৭ কোটি রুপি (৫৬ হাজার ৫২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার কিছু বেশি)। ভারতের কুদামকুলামে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ইউনিটের নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে। এ দুই ইউনিটের নির্মাণ খরচ হবে ৫ হাজার কোটি রুপি (৭ হাজার ১১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার কিছু বেশি)। অর্থাৎ ছয় ইউনিট নির্মাণে মোট ব্যয় হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা।
রাশিয়ার রোসাটম ফিনল্যান্ডে ১২০০ মেগাওয়াটের ভিভিইআর প্রযুক্তির একটি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এটি নির্মাণে ৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭১ হাজার ৫৮১ কোটি টাকার কিছু বেশি) ব্যয় ধরা হয়েছে, এখানে ইউনিটপ্রতি নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্ট ৫ হাজার ডলার।
রাশিয়ার প্রযুক্তিতে তুলনামূলক কম টাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে তুরস্কে। তুরস্কের আক্কুইউ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চার ইউনিটের (প্রতি ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট)। কেন্দ্রটি থেকে ৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। চার ইউনিটের এ কেন্দ্রের পেছনে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা)। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২০০ ডলার (৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৭৩ টাকা)।
রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত জেনারেল কন্ট্রাক্ট (সাধারণ চুক্তি) অনুযায়ী, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। এই ব্যয়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ রাশিয়া ঋণ আকারে বাংলাদেশকে দিচ্ছে, বাকি ১০ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ সরকার জোগান দেবে। রূপপুর প্রকল্পের শুরুর দিকে প্রকল্পের সমীক্ষা, ভূমি উন্নয়ন, নকশা প্রণয়ন এবং কিছু ভৌত অবকাঠামোর কাজে ব্যয় হয়েছে ৫৫ কোটি ডলার। এই ব্যয় সাধারণ চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নির্মাণব্যয়ের এই অর্থের কথাই উল্লেখ করেছে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর। তিনি একাধারে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত জানুয়ারিতে তাঁকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়। বর্তমানে তিনি এই তিন পদেই আছেন। রূপপুরের সব ব্যয় ও চুক্তির বিষয়ে জানতে শৌকত আকবরের কাছে দফায় দফায় ফোন ও খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রোসাটমের কাছে ইমেইল করেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
যেসব ব্যয় প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি
রূপপুরের মূল প্রকল্পের নির্মাণব্যয়ের বাইরে আরও ১৯ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রূপপুর প্রকল্পের জন্য ২২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। ফিজিক্যাল প্রোটেকশন সিস্টেম (পিপিএস) প্রকল্পের পেছনেই এই অর্থ ব্যয় হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ডিজাইন বেসিস থ্রেটের (ডিবিটি) বাইরে থেকে আসা ঝুঁকি মোকাবিলা করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এসব প্রকল্পের ব্যয় মূল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান পিজিসিবি সূত্র বলেছে, রূপপুরের বিদ্যুৎ দেশের আট জেলায় সরবরাহে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৯৮২ কোটি। এই অর্থ ভারত থেকে ঋণ আকারে নিয়েছে বাংলাদেশ। সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ করছে তিনটি ভারতীয় কোম্পানি। এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের তথ্যপ্রযুক্তির পেছনে আরও ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রকল্প অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রূপপুর প্রকল্পের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি আনতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে পাবনার পাকশী পর্যন্ত নদীপথ খনন (ক্যাপিটাল ড্রেজিং) ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে ব্যয় হয়েছে ২৩২ কোটি টাকা। তবে ২০১৮ সালে করা এই ড্রেজিং করার এক বছরের মাথায় নদীর নাব্যতা আগের অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায়। মেইনটেন্যান্স ড্রেজিংয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪২ কোটি টাকা।
সার্বিক বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাটাই ছিল অপ্রয়োজনীয়। এত অর্থ ব্যয় করে এই প্রকল্প করার মানে নেই। বাংলাদেশে যেকোনো প্রকল্প অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এটার স্বচ্ছতা নেই।
আরও খবর পড়ুন:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্ল
২০ আগস্ট ২০২৪
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্ল
২০ আগস্ট ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্ল
২০ আগস্ট ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্ল
২০ আগস্ট ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে