মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, প্রকল্পের জন্য কত জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং কতগুলো গাড়ি কিনতে হবে, সে বিষয়েও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নেওয়ার কাজ পর্যন্ত করা হয়নি। এ ধরনের অনেক অসংগতি রেখেই তড়িঘড়ি প্রকল্প নিয়ে তা পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে (পিইসি)। এ অবস্থায় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি আলাদা বৈঠক করে প্রকল্প দুটি ফেরত পাঠিয়েছে, বলেছে সব শর্ত পূরণের মাধ্যমে নতুন করে ডিপিপি করতে।
সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই নেওয়া প্রকল্প দুটির একটির নাম ‘হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্প’। এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৫ হাজার ১২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৬৬৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি ৫১৩ লাখ টাকা।
অপর প্রকল্পটির নাম, ‘ক্লাইমেন্ট রেসপনসিভ রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট ফর রেজাল্ট’। ডিপিপিতে প্রকল্পটির ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৩ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক অর্থায়ন ১ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রকল্প দুটি নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প দুটির ডিপিপিতে পরতে পরতে রয়েছে নানা ঘাটতি ও অসংগতি। উভয় প্রকল্পেই ব্যয়ের বড় একটি অংশ বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসার কথা বলা হলেও বৈদেশিক অর্থায়নের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে দাতা সংস্থার চুক্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই প্রকল্পে। মূলত বিদেশি অর্থায়ন লুফে নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে প্রকল্প পাস করাতে গিয়ে ব্যয়-বিবরণ, কাঠামো ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনায় বিশাল ফাঁকফোকর রেখে দিয়েছে প্রকল্প প্রস্তুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পিইসি বৈঠকে এসব নানা অসংগতি ধরা পড়ায় প্রকল্প দুটির বিষয়ে আলোচনার পর পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওষুধ-সরঞ্জাম কেনার তালিকা ও বাজারদর নির্ধারণে মার্কেট কমিটির প্রতিবেদন, বার্ষিক রাজস্ব বাজেটে ধাপে ধাপে ব্যয় অন্তর্ভুক্তির রূপরেখা দেওয়া এবং ভবন নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া পরামর্শক খাতে খরচের যৌক্তিকতা দেখাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান মো. আব্দুর রউফ (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, চলতি বছরের আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। প্রকল্পটির কোনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়নি, জনবল নিয়োগ এবং যানবাহন ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। তাই সব ধরনের কাগজপত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ প্রকল্প দুটি সংশোধন করে আবার জমা দিতে হবে।
ব্লক বরাদ্দই ৭৫ শতাংশ
হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্পের ৫৪টি উপাদানের মধ্যে ৪৫টিই ব্লক বরাদ্দ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট বাজেটের ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা কী খাতে খরচ হবে, তার নির্দিষ্ট তালিকা নেই। ওষুধ, ভ্যাকসিন, সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনার জন্য ৬ হাজার ২১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও কোনটাতে কত খরচ, নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।
ভবন নির্মাণ, পরামর্শক নিয়োগেও অসংগতি
দুই প্রকল্পে ভবন নির্মাণের জন্য ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে মোট ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পের মূল কাঠামোয় ভবন নির্মাণ নেই। পিইসি বৈঠকে বলা হয়, ভবন নির্মাণের কাজ আলাদা অবকাঠামো প্রকল্প হিসেবে নিতে হবে, যেন একই প্রকল্পে পুনরাবৃত্তি না হয়। পরামর্শক খাতে ২৬১ কোটি টাকার প্রস্তাব থাকলেও কতজন পরামর্শক নিয়োগ হবে, তাঁদের কাজ কী, পারিশ্রমিক কত—এসব কিছুই পরিষ্কার নয়। কমিশন বলছে, পরামর্শকদের কাজের ধরন ও পরিমাণ অনুযায়ী টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) ও বাজেট দিতে হবে।
চুক্তি ছাড়াই তড়িঘড়ি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, জুন মাসের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত না হলে ৪০৪ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি সহায়তা হাতছাড়া হবে। এ কারণে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে চিঠি দিয়ে প্রকল্পগুলো দ্রুত একনেকে তোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইআরডি এখনো দাতা সংস্থাগুলোর চুক্তি বা প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দেয়নি। এমনকি জনবল নিয়োগ, গাড়ি কেনাসহ বেশ কিছু খাতে অর্থ বিভাগের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
নীতি পরিবর্তনে খণ্ড খণ্ড প্রকল্পের ঝুঁকি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বছর থেকে সেক্টরভিত্তিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে প্রকল্পভিত্তিক বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে চলতি মেয়াদে (২০২৪-২০২৯) ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি বাতিল করে আলাদা আলাদা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সংহতি ও সমন্বয় বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাড়াহুড়ো নয়, বরং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রকল্পগুলোতে স্বচ্ছতা, ব্যয় যৌক্তিকতা ও পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। তাঁরা বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই না করে এমন বড় প্রকল্প তড়িঘড়ি অনুমোদনের চেষ্টা করলে উন্নয়ন সহযোগীদের আস্থায় আঘাত লাগতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বিগত সময়ে প্রকল্পের নামে লোপাট হয়েছে। এই লোপাটের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নেই। প্রকল্প নেওয়ার আগেই তার প্রয়োজনীয়তা এবং খরচের যৌক্তিকতা তুলে ধরেই প্রকল্পে প্রস্তাব করতে হয়। প্রকল্প নির্বাচনের আগে প্রকল্পের সমীক্ষা ও সম্ভাব্যতা শেষ করতে হবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে ব্যয়ের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে। ব্লক বরাদ্দ বাদ দিয়ে পণ্য, সেবা, অবকাঠামোর নির্দিষ্ট ধরন, পরিমাণ ও খরচ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পরামর্শক খাতের জন্য টিওআর ও ব্যয়ের পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে। প্রকল্পের ‘এক্সিট প্ল্যান’-এ ভবিষ্যতে পরিচালন ব্যয়ে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রকল্প সমন্বয়ের অভাব দূর করতে মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত কার্যপরিকল্পনা সাজানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আফরিনা মাহমুদ বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে সুস্পষ্ট কর্মপন্থা ও কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।z
আরও খবর পড়ুন:

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, প্রকল্পের জন্য কত জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং কতগুলো গাড়ি কিনতে হবে, সে বিষয়েও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নেওয়ার কাজ পর্যন্ত করা হয়নি। এ ধরনের অনেক অসংগতি রেখেই তড়িঘড়ি প্রকল্প নিয়ে তা পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে (পিইসি)। এ অবস্থায় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি আলাদা বৈঠক করে প্রকল্প দুটি ফেরত পাঠিয়েছে, বলেছে সব শর্ত পূরণের মাধ্যমে নতুন করে ডিপিপি করতে।
সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই নেওয়া প্রকল্প দুটির একটির নাম ‘হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্প’। এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৫ হাজার ১২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৬৬৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি ৫১৩ লাখ টাকা।
অপর প্রকল্পটির নাম, ‘ক্লাইমেন্ট রেসপনসিভ রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট ফর রেজাল্ট’। ডিপিপিতে প্রকল্পটির ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৩ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক অর্থায়ন ১ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রকল্প দুটি নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প দুটির ডিপিপিতে পরতে পরতে রয়েছে নানা ঘাটতি ও অসংগতি। উভয় প্রকল্পেই ব্যয়ের বড় একটি অংশ বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসার কথা বলা হলেও বৈদেশিক অর্থায়নের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে দাতা সংস্থার চুক্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই প্রকল্পে। মূলত বিদেশি অর্থায়ন লুফে নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে প্রকল্প পাস করাতে গিয়ে ব্যয়-বিবরণ, কাঠামো ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনায় বিশাল ফাঁকফোকর রেখে দিয়েছে প্রকল্প প্রস্তুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পিইসি বৈঠকে এসব নানা অসংগতি ধরা পড়ায় প্রকল্প দুটির বিষয়ে আলোচনার পর পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওষুধ-সরঞ্জাম কেনার তালিকা ও বাজারদর নির্ধারণে মার্কেট কমিটির প্রতিবেদন, বার্ষিক রাজস্ব বাজেটে ধাপে ধাপে ব্যয় অন্তর্ভুক্তির রূপরেখা দেওয়া এবং ভবন নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া পরামর্শক খাতে খরচের যৌক্তিকতা দেখাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান মো. আব্দুর রউফ (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, চলতি বছরের আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। প্রকল্পটির কোনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়নি, জনবল নিয়োগ এবং যানবাহন ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। তাই সব ধরনের কাগজপত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ প্রকল্প দুটি সংশোধন করে আবার জমা দিতে হবে।
ব্লক বরাদ্দই ৭৫ শতাংশ
হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্পের ৫৪টি উপাদানের মধ্যে ৪৫টিই ব্লক বরাদ্দ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট বাজেটের ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা কী খাতে খরচ হবে, তার নির্দিষ্ট তালিকা নেই। ওষুধ, ভ্যাকসিন, সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনার জন্য ৬ হাজার ২১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও কোনটাতে কত খরচ, নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।
ভবন নির্মাণ, পরামর্শক নিয়োগেও অসংগতি
দুই প্রকল্পে ভবন নির্মাণের জন্য ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে মোট ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পের মূল কাঠামোয় ভবন নির্মাণ নেই। পিইসি বৈঠকে বলা হয়, ভবন নির্মাণের কাজ আলাদা অবকাঠামো প্রকল্প হিসেবে নিতে হবে, যেন একই প্রকল্পে পুনরাবৃত্তি না হয়। পরামর্শক খাতে ২৬১ কোটি টাকার প্রস্তাব থাকলেও কতজন পরামর্শক নিয়োগ হবে, তাঁদের কাজ কী, পারিশ্রমিক কত—এসব কিছুই পরিষ্কার নয়। কমিশন বলছে, পরামর্শকদের কাজের ধরন ও পরিমাণ অনুযায়ী টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) ও বাজেট দিতে হবে।
চুক্তি ছাড়াই তড়িঘড়ি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, জুন মাসের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত না হলে ৪০৪ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি সহায়তা হাতছাড়া হবে। এ কারণে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে চিঠি দিয়ে প্রকল্পগুলো দ্রুত একনেকে তোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইআরডি এখনো দাতা সংস্থাগুলোর চুক্তি বা প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দেয়নি। এমনকি জনবল নিয়োগ, গাড়ি কেনাসহ বেশ কিছু খাতে অর্থ বিভাগের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
নীতি পরিবর্তনে খণ্ড খণ্ড প্রকল্পের ঝুঁকি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বছর থেকে সেক্টরভিত্তিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে প্রকল্পভিত্তিক বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে চলতি মেয়াদে (২০২৪-২০২৯) ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি বাতিল করে আলাদা আলাদা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সংহতি ও সমন্বয় বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাড়াহুড়ো নয়, বরং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রকল্পগুলোতে স্বচ্ছতা, ব্যয় যৌক্তিকতা ও পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। তাঁরা বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই না করে এমন বড় প্রকল্প তড়িঘড়ি অনুমোদনের চেষ্টা করলে উন্নয়ন সহযোগীদের আস্থায় আঘাত লাগতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বিগত সময়ে প্রকল্পের নামে লোপাট হয়েছে। এই লোপাটের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নেই। প্রকল্প নেওয়ার আগেই তার প্রয়োজনীয়তা এবং খরচের যৌক্তিকতা তুলে ধরেই প্রকল্পে প্রস্তাব করতে হয়। প্রকল্প নির্বাচনের আগে প্রকল্পের সমীক্ষা ও সম্ভাব্যতা শেষ করতে হবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে ব্যয়ের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে। ব্লক বরাদ্দ বাদ দিয়ে পণ্য, সেবা, অবকাঠামোর নির্দিষ্ট ধরন, পরিমাণ ও খরচ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পরামর্শক খাতের জন্য টিওআর ও ব্যয়ের পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে। প্রকল্পের ‘এক্সিট প্ল্যান’-এ ভবিষ্যতে পরিচালন ব্যয়ে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রকল্প সমন্বয়ের অভাব দূর করতে মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত কার্যপরিকল্পনা সাজানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আফরিনা মাহমুদ বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে সুস্পষ্ট কর্মপন্থা ও কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।z
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
২৬ মিনিট আগে
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
৩৯ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
৪১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়,
২৬ জুন ২০২৫
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
৩৯ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
৪১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।
উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।
উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়,
২৬ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
২৬ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
৪১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’
দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’
দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়,
২৬ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
২৬ মিনিট আগে
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
৩৯ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়,
২৬ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
২৬ মিনিট আগে
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
৩৯ মিনিট আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
৪১ মিনিট আগে