Ajker Patrika

ইশরাক নিয়ে মুখোমুখি বিএনপি-সরকার

  • মেয়র পদে ইশরাকের শপথ নিয়ে মতামত দিচ্ছে না আইন মন্ত্রণালয়।
  • বিএনপির সমালোচনায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, এনসিপি নেতা।
  • স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও নগর ভবনে অচলাবস্থা।
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ২০ মে ২০২৫, ১৫: ৩১
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। গতকাল ট্রাক ও দড়ি দিয়ে সড়ক বন্ধ করে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে গুলিস্তান-সদরঘাট সড়কে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। গতকাল ট্রাক ও দড়ি দিয়ে সড়ক বন্ধ করে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে গুলিস্তান-সদরঘাট সড়কে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদে বসানো হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে সরকার। ইশরাক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারবেন কি না, সরকারের পক্ষ থেকে তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। দিন দিন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। ইশরাক সমর্থকদের লাগাতার অবরোধে নগর ভবনে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।

আইন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী ইশরাকের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দেওয়ার সুযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি টিম কাজ করছে। এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই হুট করে মতামত দেওয়া যাবে না। আমরা এ-সংক্রান্ত আইনগুলো পর্যালোচনা করছি।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দিয়েছিলেন ইশরাক হোসেন। ইশরাকের করা মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল না করার বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কি না, তা জানতে চেয়ে গত শুক্রবার আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের নগর উন্নয়ন অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিন বলেন, ‘আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় রয়েছি। তাদের মতামত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সরকারি সফরে এখন বিদেশে আছেন। ২৬ মে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যেকোনো মতামতে আইন উপদেষ্টার স্বাক্ষর থাকে। ইশরাকের বিষয়ে মতামত দেওয়া হলেও আইন উপদেষ্টার দেশে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করাটা ভুল হয়েছে। এখন সরকার তাঁকে মেয়র হিসেবে শপথ নিয়ে পদে বসানোর মতো ভুল করতে চায় না। এ জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে কোনো মতামত দেওয়া হবে না।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আগের ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হলেও শপথ না হওয়ায় মেয়রের পদে বসতে পারছেন না তিনি। সিটি করপোরেশনের মেয়রদের প্রধানমন্ত্রী (প্রধান উপদেষ্টা) শপথ পড়ান। ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট জারির আগে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই মতামত না পেয়ে ইশরাকের নামে গেজেট প্রকাশ করে ইসি।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ওপর নির্ভর করবে ইশরাক শপথ নিতে পারবেন কি না। স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর যতক্ষণ না একমত হবে, ততক্ষণ তার শপথ হবে না।

মন্ত্রণালয়-নগর ভবনে অচলাবস্থা

সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস নগর ভবনে স্থানান্তর করা হয়। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং সমবায় বিভাগের সচিবদের দপ্তরও নগর ভবনে করা হয়। ইশরাকের সমর্থকেরা গত বুধবার থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও গত শনিবার থেকে নগর ভবনের সব গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে শনিবার থেকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের দুটি ফ্লোরে গাদাগাদি-ঠাসাঠাসি করে অফিস করছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অতি জরুরি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করতে পারছেন না তাঁরা।

সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, ১০৪ নম্বর কক্ষে অফিস করছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। কর্মকর্তারা হাতে হাতে ফাইল এনে তাতে স্বাক্ষর করাচ্ছেন।

একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কে যে কার রুমে বসেছেন, বোঝা যাচ্ছে না। যে যেখানে জায়গা পাচ্ছেন, সেখানেই বসছেন। অনেকে জায়গা না পেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে বাসায় চলে গেছেন। আমাদের ফাইলপত্রসহ সবকিছু নগর ভবনে থাকায় কোনো কাজও করা যাচ্ছে না।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনের ১৩ তলায় এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই ভবনের ১২ তলায় অফিস করছিলেন। শনিবার থেকে তাঁরা সেখানে ঢুকতে পারেননি।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাজে সমস্যা হচ্ছে। যেগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, আমরা এখন শুধু সেই জরুরি কাজগুলো করতে পারছি। যেসব বিষয় উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করে করতে হচ্ছে, সেগুলো উপদেষ্টার বাংলোতে গিয়ে করছি।’

জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি, পাল্টাপাল্টি অবস্থান

মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ নিয়ে রাখঢাক না রেখে বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিএনপি নেতা ইশরাকও পাল্টা জবাব দিয়েছেন।

গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে বিএনপি আন্দোলন করছে মন্তব্য করে আসিফ মাহমুদ গতকাল ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ না হওয়ার পেছনে ১০টি জটিলতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এসব জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।

আসিফের সুরে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। ইশরাকের উদ্দেশে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে নির্বাচন অবৈধ, সেই নির্বাচনের মেয়র আমি কীভাবে হতে চাই? সেটা কীভাবে বৈধ হয়? তাহলে তো সেই নির্বাচনকে আমি বৈধতা দিয়ে দিচ্ছি।’

অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েক ব্যক্তি প্রসঙ্গে ইশরাক বলেছেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে এরা ঢাকায় বিএনপির মেয়র আটকানোর চেষ্টার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী ভূমিকা পালন করবে, তা ক্লিনকাট বুঝিয়ে দিল।’ যাঁরা নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে একটি দলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন, অবিলম্বে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।

গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ইশরাক হোসেন লিখেছেন, ‘মেয়র ফেওর কিছু না। অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ ও এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। অনেক সমালোচনা মাথা পেতে নিয়েছি, পিতা-মাতা তুলে গালিগালাজও চুপ করে সহ‍্য করে গিয়েছি। কারণ একটাই, এদের চেহারা উন্মোচন করতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের ভোটের অধিকারের স্বার্থে। কোনো কথা চলবে না, যারা নিরপেক্ষতা শুধু বিসর্জন দিয়েছে, তা নয়; বরং একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে, তাদের অবিলম্বে পদত‍্যাগ করতে হবে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সভা বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সভা বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: পিআইডি

রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকেরা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতার দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেন। জবাবে শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। তবে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’

চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এদিকে একই সংবাদ সম্মেলনে ওসমান হাদির খুনের মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত করছে। পুলিশসহ সব নিরাপত্তা সংস্থা এ বিষয়ে কাজ করছে।’ তিনি জানান, মূল সন্দেহভাজন না হলেও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আশপাশের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। সরকার তদন্তে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘সরকার এ ঘটনায় সিরিয়াসভাবে তদন্ত করছে এবং আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এর বিচার হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সরকার তাঁর দেশে ফেরাকে স্বাগত জানায়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বিষয়ে তাঁর দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তারা যতটুকু সহযোগিতা চাচ্ছেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি জানান, তাঁর দলের পক্ষ থেকেই মূলত নিরাপত্তা বিষয়টি দেখা হচ্ছে, তবে সরকার প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করছে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘দীপু চন্দ্র দাস ও ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করে মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, দীপু চন্দ্র দাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে এসব মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যে কোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনী ব্যয় বেশি হলে ভোটে জিতে জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হয়: দেবপ্রিয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৪
নির্বাচনী ব্যয় বেশি হলে ভোটে জিতে জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হয়: দেবপ্রিয়
টানা তৃতীয়বার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্টের (সিডিপি) সদস্য হয়েছেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি

নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতি কমানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-উত্তর দুর্নীতি কমানো যাবে না। কারণ এই ব্যয় পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয়।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ বুধবার আয়োজিত ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার: অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এ বৈঠকের আয়োজন করে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ের যে দায়িত্ব আছে, দুই ক্ষেত্রেই তা অবহেলা করা হচ্ছে। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের কোনো প্রক্রিয়া হলো না এবং এটা আমরা পারলাম না, সে কারণে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন তার সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে কি না–এটা এখন দেখার বিষয়।’

তিনি বলেন, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিফর্ম ট্র্যাকার নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে; যেখানে নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, মিডিয়া এবং শ্রমসহ মোট ১৮টি ডোমেইনের সংস্কার কাজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নির্বাচন সংক্রান্ত প্রায় ৫০টি ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৩১টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে মাত্র দুটি বাস্তবায়নের পর্যায়ে আছে। একটি হলো জেন্ডার গ্যাপ কমানো এবং অন্যটি নির্বাচনের প্রাক্কালে যারা ১৮ বছরে উপনীত হবেন, তারা যাতে ভোটার তালিকায় যুক্ত থাকতে পারেন, সেটার ব্যবস্থা করা।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নির্বাচনই এখন চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের প্রধান স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে–নির্বাচন আদৌ হবে কি না বা হলেও এর গুণমান কেমন হবে। কয়টা বুথ দখল হলে বা কত শতাংশ ভোট পড়লে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে–এমন প্রশ্ন সবার। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সূচক কী হবে এবং ‘অংশগ্রহণমূলক’ ও ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শব্দ দুটির প্রকৃত অর্থ কী, তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এ শব্দগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা না থাকলে নির্বাচনের গুণমান নিয়ে পরবর্তী সময়ে বড় বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সরকারের এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।

বৈঠকে সুজনের সম্পাদক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিচারপতি এম এ মতিন, ইসির সাবেক অতিরিক্তি সচিব জেসমিন টুলি প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোট

ব্যালট পেলেন পৌনে ২ লাখ প্রবাসী, সর্বোচ্চ নিবন্ধন সৌদি আরব থেকে

বাসস, ঢাকা  
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা নিবন্ধন করছেন।

ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান।

আজ বুধবার সকাল ১১টায় ইসির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ভোটার ৫০ হাজার ২১০ জন।

পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ নিবন্ধনকারী প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবের। দেশটি থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া কাতারে ৫৬ হাজার ১৪৪ জন, ওমানে ৪১ হাজার ৭৩৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৯ হাজার ১০৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ১০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজার ৮৪৯ জন, কুয়েতে ২২ হাজার ১২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ২০৯ জন ও সিঙ্গাপুরে ১৭ হাজার ৩৪৬ জন নিবন্ধন করেছেন।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার এবং কাতারে ১১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়। এরপর গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ৮৯২, যুক্তরাজ্যে ৫৭৩ এবং মালয়েশিয়ায় ৬ হাজার ২৪৬ ব্যালট পাঠানো হয়।

গত শনিবার সন্ধ্যায় মোট সাতটি দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৪৮০, চীনে ৬৮১, কুয়েতে ১ হাজার ৩১০, কাতারে ২ হাজার ৭৩৭, সৌদি আরবে ৭ হাজার ৩৪৩, জাপানে ৫ হাজার ৬০০ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭ হাজার ৬৮১টি ব্যালট পাঠানো হয়।

এছাড়া, গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ১১৬, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৭১৮, কানাডায় ৯ হাজার ৪৪৩, ইতালিতে ৫ হাজার ৬৮৬, জার্মানিতে ২ হাজার ১২৬ এবং ফ্রান্সে ৩ হাজার ৩২১টি ব্যালট পাঠানো হয়।

আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।

সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তাঁর ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।

তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী ভোটাররা যে দেশ থেকে ভোট দেবেন, অবশ্যই সে দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।

অন্যদিকে, দেশে অবস্থানরত ভোটারদের মধ্যে ‘ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ জন।

জেলাভিত্তিক নিবন্ধনে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, ৬৪ হাজার ১৩২ জন। ঢাকায় ৫৫ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৫৯০ জন, সিলেটে ২৬ হাজার ৭৪৯ জন ও চাঁদপুরে ২৫ হাজার ৩১৮ জন নিবন্ধন করেছেন।

আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে ৯ হাজার ৬১১ জন নিবন্ধন করেছেন, যা সর্বোচ্চ। এছাড়া, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৮ হাজার ৯৩০ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৮ হাজার ৪৩৮ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার পোস্টাল ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন।

নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বর, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

ইসি জানায়, পোস্টাল ব্যালট পেতে হলে নিবন্ধনের সময় ভোটারের অবস্থানকালীন দেশের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে হবে। প্রয়োজনে কর্মস্থল বা পরিচিতজনের ঠিকানাও ব্যবহার করা যাবে। তবে ভুল ঠিকানা দিলে ব্যালট পাঠানো সম্ভব হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৭
আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। ছবি: ফেসবুক
আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। ছবি: ফেসবুক

আলোচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন মাসের আটকাদেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আজ বুধবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লা আল মামুন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ রাখা হয়েছে।

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, আসাদুল্লাহ বা আতাউর নামেও পরিচিত। তাঁর বাবার নাম হুমায়ুন সর্দার, মা রোকেয়া বেগম।

আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী উপজেলার আমতলী গ্রামে। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ইস্তা গ্রামে অবস্থিত মারকাজুল হুনাফা আল মুসলিমিন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল (অধ্যক্ষ)। এ ছাড়া হুনাফা ইসলামীক স্কুলেরও প্রিন্সিপাল।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ঝিকরগাছা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা এফআইআর (নং- ১৮ / ৭৭)-এর এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।

মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। রাজধানীতেও বিভিন্ন আন্দোলন বিক্ষোভের সময় তাঁকে সামনের সারিতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, আতাউর রহমান, আযাদী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানেরও পদে রয়েছেন।

গত অক্টোবরে গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলায় হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। একই মাসে গাজীপুরের একটি মসজিদের ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর কথিত ‘অপহরণ’ ঘটনা সারা দেশে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। দুটি ঘটনা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপর ছিলেন আতাউর রহমান। এ দুটি বিষয় নিয়ে সশরীরে থানা-পুলিশ করেন তিনি। যদিও মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর ঘটনাটি পরে ‘অপহরণ’ নয় বলে জানায় পুলিশ।

সর্ব সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত বিক্ষোভের একটি অংশে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। যদিও অন্য বিক্ষোভকারীরা তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখায় তিনি মাঝপথে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে চলে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত