Ajker Patrika

সরকারি চাকরি আইনে সংশোধন

বিভাগীয় মামলা ছাড়াই চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার

  • আইন সংশোধনে নতুন খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
  • শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলায় প্রথমে নোটিশ দেওয়া হবে।
  • নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে হবে।
  • জবাব পাওয়ার দিন থেকে ২০-২৫ কার্যদিবসে অভিযোগ নিষ্পত্তি।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২০ মে ২০২৫, ১২: ৪৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দায়িত্বে অবহেলা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বিভাগীয় মামলা না করেই সরকারি কর্মচারীদের যেকোনো সময় চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। সর্বোচ্চ ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করে এই পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে এমন বিধান যুক্ত করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে গত এপ্রিলের মাঝামাঝি খসড়া করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর আলোচনা-সমালোচনা হয়। পরে সরকারের চারজন উপদেষ্টার নির্দেশনায় নতুন খসড়া চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

চূড়ান্ত খসড়ায় বলা হয়েছে, শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে নোটিশ দেওয়া হবে। নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব দিতে হবে। নোটিশের জবাব পাওয়ার দিন থেকে ২০-২৫ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিভাগীয় মামলার প্রয়োজন হবে না। কেউ সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে ওই কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতেই অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হবে।

শৃঙ্খলাভঙ্গ, অসদাচরণ ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে এখনো সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। তবে বর্তমান আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা দিয়ে এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে অনেক সময় দুই বছরের বেশি সময় লেগে যায়। অভিযোগ নিষ্পত্তির পর রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল ছাড়াও প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সুযোগ পান সরকারি কর্মচারীরা।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পেশাগত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেন ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। সচিবালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দপ্তর ঘেরাও, হট্টগোল তৈরি ও নজিরবিহীন শোডাউন করেন তাঁরা। অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে, অনেককে ওএসডি করেছে। ৫ আগস্টের পর পুলিশের বিভিন্ন স্তরের ১৮০ জন এখনো কাজে যোগ দেননি। অনেকে অনুমতি না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী, কারও চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে সরকার কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়েই চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তা পুরো পেনশন পান। আর বিভাগীয় মামলার মাধ্যমে কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালে চাকরিকাল অনুযায়ী পেনশন সুবিধা পান তিনি। তবে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অপসারণ করলে কোনো অবসর সুবিধা পাওয়া যায় না।

নতুন আইন কার্যকর হলে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই যাঁদের চাকরিকাল ২৫ বছরের কম, তাঁদেরও সহজে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা অবসর সুবিধা পাবেন কি না, সে বিষয়ে খসড়ায় কিছু বলা হয়নি।

সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে ২০১৮ সালে বাতিল হওয়া সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯-এর কিছু ধারা যুক্ত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর ওই অধ্যাদেশের চারটি ধারা যোগ করে খসড়া করা হয়।

সূত্র জানায়, খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে গত শুক্রবার বৈঠক করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ ও জনপ্রশাসনসচিব মো. মোখলেস উর রহমান। ওই সভায় এই চার উপদেষ্টা সরকারি চাকরি আইনে কী কী সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে অবহিত হন। কিছু কিছু বিষয়ে তাঁরা লিখিত মতামত দেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চারজন উপদেষ্টার মতামতের আলোকে নতুন করে খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। এখন এটি পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি কর্মচারীদের দলবদ্ধ আন্দোলন, সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচির পথ বন্ধ করতে আইনে নতুন বিধান যোগ করা হচ্ছে বলে তাঁরা মনে করেন। কোনো কর্মচারীকে সভা-সমাবেশ বা কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিতে যোগ দিতে প্ররোচনা দিলেও একই সাজা দেওয়া হবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হয়, যার কারণে অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে আনুগত্য সৃষ্টি হয়, শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়, কর্তব্য পালনে বাধার সৃষ্টি হয়, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। ছুটি না নিয়ে বা যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে এবং অন্য কর্মচারীকে কাজে অনুপস্থিত থাকতে প্ররোচিত করলে; অন্যদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ও কোনো কর্মচারীকে তাঁর কর্তব্য পালন না করতে উসকানি দিলে তা-ও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত, অব্যাহতি এবং পদের অবনমন বা বেতন কমানোর সাজা দেওয়া যাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি চাকরি আইনের খসড়া পাসের জন্য এর আগে একবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঠানো হয়েছিল। তখন উপদেষ্টা পরিষদ তা অনুমোদন না দিয়ে আরও পর্যালোচনার নির্দেশনা দেয়। নতুন আইন প্রণয়ন বা কোনো আইন সংশোধনের আগে খসড়া প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া হলেও সরকারি চাকরি আইনের খসড়ার ওপর মতামত নেওয়া হয়নি।

অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আগে যে খসড়া করা হয়েছিল, সেখানে কর্মচারীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রাখা ছিল না। নতুন খসড়ায় অনেক বিষয় নমনীয় করা হয়েছে। কারণ, আইন সংশোধনের পর আন্দোলন হোক, সরকার তা চায় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ছিল একটি কালাকানুন। ওই ধরনের কোনো আইন এখন করলে সেটিও কালাকানুন হবে। এই সরকারের প্রধান একটি অঙ্গীকার ছিল সব জঙ্গি আইন ও কালাকানুন বাতিল করবে। বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হয়নি। তারা এখন আরেকটা কালাকানুন করার পথে হাঁটছে, যেটা সংবিধানবিরোধী।

গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন দমানো, কথায় কথায় কলমবিরতি বন্ধ করা এবং ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে যারা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, তাদের দমাতে আইন সংশোধন করছে বলে মনে করেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাভাবিক কোনো কাজের জন্য যেন এই বিধান প্রয়োগ না করা হয়। ২৫ কর্মদিবসের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করলে সমস্যা নেই, যদি তদন্তের বিধান রাখা হয়। অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথ বাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ

বাসস, ঢাকা  
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ। ছবি: বাসস
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ। ছবি: বাসস

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগিরই মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনের অন্যতম লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবার উদ্ধার। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট অপারেশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যেসব এলাকায় অস্ত্রের আনাগোনা আছে মর্মে জানা যায়, ওই সব এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে বলা হয়েছে।’

আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক এবং পরবর্তীকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা-সংক্রান্ত ইসির সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধান কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা-সংক্রান্ত ইসির সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, তাদের টার্গেট মূলত শহর এলাকাভিত্তিক। তারা সম্ভবত খুব অর্গানাইজভাবে টার্গেটেড কর্মকাণ্ড করছে। যাতে এটার প্রভাব জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো সব চিহ্নিত করা হয়েছে। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, দলগুলো যাতে যথাযথভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারেন, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সব কাজ যেন নির্বিঘ্ন হতে পারে সে নির্দেশনা দিয়েছি।’

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলো যারা হেরে যায়, তাদের একটা কৌশল। এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করতে হবে। যাতে কেউ এগুলো ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়, তারা যেন পালাতে না পারে—সে জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন করেছি।’

বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের বৈঠক ছিল। আজকে প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর প্রধান তথা সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান এবং বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি। তফসিল ঘোষণা হয়েছে গত ১১ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পরে সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন আমাদের দিকনির্দেশনা এবং অপরাপর আনুষ্ঠানিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তফসিল ঘোষণার পর দ্বিতীয় মিটিংয়ের শুরুতেই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিসহ কয়েকজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সাত-আট দিন আমরা পুরা জাতি শোকের মধ্যে ছিলাম এবং আমাদের ফোকাসটা সে দিকেই ছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

‘সুনির্দিষ্টভাবে কতগুলো নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী হিসেবে যাঁদের মনোনয়ন দিচ্ছেন বা স্বতন্ত্র হিসেবে যাঁরা নির্বাচন করতে চাচ্ছেন—তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে পুলিশ থেকে ইতিমধ্যেই একটা প্রোটোকল দাঁড় করানো হয়েছে। সেই প্রটোকল অনুযায়ী যারা যারা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা আমাদের সমন্বিতভাবে প্রস্তুতির ব্যাপারে জানিয়েছেন। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা তাঁরা নিয়ে রেখেছেন। যত ডেপ্লয়মেন্ট যেভাবে করা দরকার সেটা তারা করতে যাচ্ছেন। যেমন—সেনাবাহিনী এক লাখ সদস্য মোতায়েন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৬
হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রাথমিকভাবে এসব লেনদেন সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব এসব তথ্য জানান।

সিআইডি জানায়, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এসব অর্থ মানিলন্ডারিং, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপরই সিআইডি এই হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার অভিযানের সময় উদ্ধার করা বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই সিআইডি গুরুত্বসহকারে বিশ্লেষণ করে। এতে দেখা যায়, প্রধান আসামি ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা একাধিক চেক বইয়ে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থের উল্লেখ রয়েছে। যদিও এসব লেনদেন চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়নি, তবুও এসব রেকর্ডের সমষ্টিগত মূল্য প্রায় ২১৮ কোটি টাকা।

সিআইডির প্রাথমিক বিশ্লেষণে আরও উঠে এসেছে, ফয়সাল ও তাঁর সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন সংঘটিত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মানিলন্ডারিং বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফয়সাল ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে দ্রুত বাজেয়াপ্ত করার লক্ষ্যে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে।

সিআইডি জানিয়েছে, এসব অর্থের মূল সরবরাহকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহে কোনো সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক জড়িত ছিল কি না, সে বিষয়েও একাধিক তদন্ত দল কাজ করছে। অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার এবং পুরো অপরাধচক্র উন্মোচনে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
ফয়সাল করিম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের দপ্তর থেকে ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি জানা যায়। এর পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ শাখাকে (এসবি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল আসা দুই ব্যক্তির একজনের গুলিতে আহত হন।

ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়ার পর সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান হাদি।

এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি ফয়সালকে গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রধান আসামি ফয়সাল দেশে থাকলে যাতে বিদেশ গমন করতে না পারে সে জন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।

এদিকে অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের অবস্থান সম্পর্কে তাঁদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। ফয়সাল দেশের বাইরে চলে গেছেন, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্যও পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগামী পাঁচ দিন শীতের অনুভূতি বাড়বে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রংপুরের মিঠাপুকুর। ছবি: প্রদীপ কুমার গোসামী
আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রংপুরের মিঠাপুকুর। ছবি: প্রদীপ কুমার গোসামী

পৌষের শুরুতেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক, মাঠ ও জনপদ। গতকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা মিশে সাধারণ মানুষের জীবনে শীতের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি থাকবে।

শীতের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে মহাসড়ক ও নদীপথে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হচ্ছে চালক ও নৌযান সংশ্লিষ্টদের। শীতের কারণে ফুটপাতে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষ ও ছিন্নমূলদের কষ্টও বেড়েছে।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ১২০ ঘণ্টা অর্থাৎ পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। একই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে।

আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই। শীত তীব্রতা প্রকট না হলেও চলতি সপ্তাহে শীত কিছুটা বাড়বে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরে পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করলেও এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে এবং কুয়াশার প্রবণতা বাড়বে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে কুয়াশা আরও ঘন হতে পারে। এ সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বরেও শীতের দাপট অব্যাহত থাকবে। তবে বড় কোনো আবহাওয়াগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত