কামরুল হাসান

সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে পৌঁছাতে বড়জোর ১৫ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে টেলিফোন অপারেটর লিজার দুবার ফোন। এক যুবকের তাড়ায় লিজার তর সইছিল না। সেই যুবক আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় আছেন।
অফিসে ঢুকতেই দেখি, অভ্যর্থনা-কক্ষের সোফায় আধশোয়া এক সুদর্শন যুবক। পোশাক-আশাক ততটা পরিপাটি নয়, কিছুটা অগোছালো। নির্ঘুম ঢুলুঢুলু লাল চোখ। আমাকে দেখে এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে বললেন, ‘আমার নাম রিপন, আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।’ আমি হাত বাড়িয়ে বললাম, ধন্যবাদ। এরপর যুবকটি যা বললেন, তা শোনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। এ রকম পরিস্থিতির জন্য কারও প্রস্তুত থাকার কথাও নয়। রিপন শান্তভাবে বললেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে খুন করে এসেছি।’
আমি তো থ! কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। মুখের ভাষা যেন হারিয়ে গেছে। একবার ভাবছিলাম, যুবকটি ঠিক বলছেন তো! আবার মনে হচ্ছিল, শুধু শুধু মশকরা করার জন্য কেউ সাতসকালে পত্রিকা অফিসেই-বা আসবেন কেন। রিপন আর কিছুই বললেন না। আমার মুখের দিকে হাঁ করে চেয়ে ছিলেন উত্তরের অপেক্ষায়।
রিপনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এর দুই মাস আগে টাইম ম্যাগাজিনে পড়া একটি কভারস্টোরির কথা মনে পড়ে গেল। জনকণ্ঠের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী আলী হাবিব এটা পড়তে দিয়েছিলেন। ‘জোডিয়াক কিলার’ নামের এক খুনিকে নিয়ে লেখা। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় এই ব্যক্তি ৩৭ জনকে খুন করেছিলেন। প্রতিটি খুনের পর পুলিশ ও সংবাদপত্র অফিসে খুনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে চিঠি পাঠাতেন, কিন্তু কেউ তাঁকে ধরতে পারেনি। জোডিয়াক কিলারের সঙ্গে তো এই যুবকের কোনো মিল নেই! তবে কেন নিজেই এসে ধরা দিতে চাইছেন? আমার ঘোর কাটছিল না কিছুতেই।
জনকণ্ঠ ভবনের যে তলায় রিপোর্টিং বিভাগ, সেখানে অতিথিদের বসার জন্য দুটি ছোট রুম ছিল। তার একটিতে যুবককে নিয়ে বসিয়ে জানতে চাইলাম, কিছু খাবেন? তিনি না সূচক মাথা নাড়লেন। আবার বললাম, নাশতা-টাশতা হয়েছে? তিনি জানালেন, না, কিছুই খাননি। অফিসের পিয়ন মেহেদী নাশতা আনতে গেল।
দেখেশুনে মনে হচ্ছিল, যুবকটি খুবই উদ্বিগ্ন। বারবার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছিলেন। এই অবস্থায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা কতটা নিরাপদ ভাবতে ভাবতে মনে হলো, যুবকটি নাশতা খেয়ে নিলে তারপর কথা বলা যাবে। নাশতা এল। মনে হলো, তিনি খুবই ক্ষুধার্ত ছিলেন। খেয়ে বেশ তৃপ্ত হলেন। পানি খেলেন দুই গ্লাস। এবার তাঁর সামনে বসে জানতে চাইলাম কী ঘটেছিল।
এতক্ষণ আমার কর্মকাণ্ড দেখে যুবকের সন্দেহ, আমি তাঁর কথা বিশ্বাস করিনি। তিনি আবারও বললেন, ‘আমি সত্যি সত্যিই স্ত্রীকে খুন করে এসেছি।’ আমি মাথা নেড়ে তাঁর কথায় সম্মতি দিয়ে জানতে চাইলাম, লাশ কোথায়? তিনি বললেন, ‘খিলক্ষেতের বাসায়। তালা দিয়ে এসেছি।’ বললাম, কেন খুন করলেন?
ধীরে ধীরে নিজেকে খুলে দিলেন রিপন। বললেন, তাঁর স্ত্রীর নাম সালমা আক্তার। দুজনেরই বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। দুজনেই স্নাতক অব্দি পড়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিয়ে পরিবারের কেউ মেনে নেননি। এরপর জীবনের লড়াই চালাতে ঢাকায় চলে আসেন। অল্প বেতনে স্বামী-স্ত্রী কাজ নেন ছোট একটি এনজিওতে। সবকিছু ভালোই চলছিল। একদিন হঠাৎ রিপনের মনে হলো, স্ত্রী সালমা তাঁর বসের প্রতি অনুরক্ত। তাঁর কথায় ওঠাবসা করেন। বসের সঙ্গে বিভিন্ন জেলা সফরে যাওয়ার পর সন্দেহটা গভীর হলো। রিপন মনে করছিলেন, স্ত্রীর সব ভাবনা এখন বসকে নিয়ে। তাঁর দিকে স্ত্রীর কোনো মনোযোগ নেই। এসব নিয়ে প্রথম দিকে কিছু ঝগড়া হলো, কিন্তু কাজ হলো না। সবকিছু অস্বীকার করে উল্টো রিপনকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন সালমা।
আমি বললাম, সবই তো সন্দেহ থেকে বললেন, কোনো কিছুর প্রমাণ নেই? রিপন বললেন, ‘ওই যে কথায় আছে, কৌশল, জোরজবরদস্তি আর ভালোবাসায় পৃথিবীর সব তালা খোলা যায়। কাল রাতে এ নিয়ে অনেক কথা-কাটাকাটি হলো। সালমার মনের তালাও খুলে গেল। একপর্যায়ে সবই স্বীকার করল। এরপর সে ঘুমিয়ে পড়তেই আমার মাথায় খুন চেপে গেল। ঘুমের মধ্যে তার মুখে বালিশ চাপা দিলাম।’ আমি বললাম, বাধা দেয়নি? যুবক বললেন, ‘চরকার মাকুর মতো দুই হাত ছুড়ে বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমার শক্তির কাছে পারেনি।’
বিস্মিত হয়ে বললাম, তারপর? রিপন বললেন, ‘বালিশ সরিয়ে একবার নাকের কাছে হাত নিয়ে দেখলাম, নিশ্বাস পড়ছে কি না। এরপর সারা রাত সেই মৃতদেহের পাশে শুয়ে ছিলাম। সকাল হওয়ার পর ঘরে তালা দিয়ে পথে বেরিয়ে পড়ি। কোথায় যাব স্থির করতে পারছিলাম না। পরে সিদ্ধান্ত নিই, পত্রিকা অফিসে গিয়ে ক্রাইম রিপোর্টারের কাছে সব বলে সাহায্য চাইব।’ খিলক্ষেত থেকে তিনি হাঁটতে হাঁটতে ইস্কাটনে এসেছেন। এটুকু বলে আমার কাছে জানতে চাইলেন, ‘এই অবস্থায় আমার কী করা উচিত?’
আমি তাঁকে বললাম, আপনি চাইলে এখান থেকে চলে যেতে পারেন। তবে আমার পরামর্শ হলো পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার। সেটাই ভালো হবে। রিপন বললেন, ‘দুটি কারণে আমার ভয়। একটি হলো, পুলিশের কাছে গেলেই তারা আমাকে মারধর করবে; অন্যটি হলো, তারা আমার দরিদ্র পরিবারকে জড়িয়ে সর্বস্বান্ত করবে।’
আমি বললাম, আপনি চাইলে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারি। তার আগে আপনি আরও কিছুক্ষণ ভাবতে পারেন। রিপন কোনো সময় না নিয়ে বললেন, ‘আমি সালমাকে অনেক ভালোবাসি বলেই খুন করেছি। এখন আর পালিয়ে যাব না। আপনি ব্যবস্থা করুন।’
রমনা থানার ওসি ছিলেন রফিকুল ইসলাম। তাঁকে ফোন করতেই কয়েকজন পুলিশসহ তিনি এসে হাজির হলেন। যুবকের কথা শুনে ওসিও বেশ অবাক। আমি যুবকের দুটি শর্তের কথা ওসিকে বলতেই তিনিও রাজি হয়ে গেলেন। যুবককে নিয়ে ওসি থানায় গেলেন।
ঘণ্টা দুয়েক পরে ওসি রফিকুল ইসলামের ফোন। বললেন, সেই যুবককে নিয়ে যাবেন তাঁর বাসায়। আমি চাইলে তাঁর সঙ্গে যেতে পারি। পুলিশের দলের সঙ্গে আমিও গেলাম রিপনের বাসায়। রিপন যেভাবে বর্ণনা করেছিলেন, সবকিছুই মিলে গেল। লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হলো, আর রিপনকে গ্রেপ্তার করে রাখা হলো হাজতে। পরদিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন রিপন।
বছর দুয়েক পরে বিপ্লব নামের এক ছেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে এল। সে নিজেকে সালমার ভাই পরিচয় দিয়ে বলল, খিলক্ষেত থানার সেই খুনের মামলার প্রধান সাক্ষী আমি। তাঁর বোনের খুনের মামলা আটকে আছে আমি সাক্ষ্য না দেওয়ায়। ছেলেটি আমাকে আদালতে যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করল। আমি তাকে সাফ জানিয়ে দিলাম, আমি সাক্ষ্য দেব না, এটা আমার কাজ নয়। এর কিছুদিন পর এল সাক্ষী পরোয়ানা। রমনা থানার এক দারোগা একদিন এসে বললেন, ‘সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালত আপনাকে ধরে নিয়ে যেতে আদেশ দিয়েছেন।’ নানা কায়দা করে সেটাও এড়ালাম। কিছুদিন পর ফোন করলেন সেই মামলার পিপি। তিনি খুব অনুরোধ করে বললেন, ‘এই মামলার আপনিই একমাত্র প্রত্যক্ষ সাক্ষী। সাক্ষ্য না দিলে আসামি বেকসুর খালাস পেয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত পিপির অনুরোধে সাক্ষ্য দিলাম।
আরও বছরখানেক পর মামলার রায় হলো। ১২ বছরের সাজা হলো রিপনের। এর মধ্যে আমার কর্মস্থল বদল হলো। একদিন কারওয়ান বাজারের সিএ ভবনের দোতলায় অফিসে কাজ করছি। অভ্যর্থনা থেকে কে যেন জানালেন, একজন লোক আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। গিয়ে দেখি সেই রিপন। খুনের মামলায় সাজা খেটে বেরিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। হঠাৎ তাঁকে দেখে আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। মনে হলো, সে আমার কোনো ক্ষতি করতে এসেছে। সব মিলিয়ে এক অজানা শঙ্কা গ্রাস করল। আমি এমন ভাব করলাম যেন তাঁকে চিনতেই পারিনি। দু-একটি কথা বলে নিরাশ হয়ে চলে গেলেন রিপন।
অফিসের ভেতরে গিয়ে সিটে বসেছি, কিন্তু মন খুবই অস্থির। কিছুতেই কাজে মনোযোগ দিতে পারছি না। একটু পরে দোতলার সিঁড়ির কাছে এলাম। জানালা দিয়ে দেখি, রাস্তার ওপারে সিএ ভবনের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে রিপন। কিছুক্ষণ দেখার পর রিপনের প্রতি খুব মায়া হলো। কী যেন মনে করে রাস্তায় গিয়ে গলা চড়িয়ে ডাকলাম, রি...প...ন...। মনে হলো, তিনি অপেক্ষায়ই ছিলেন। আমার ডাক শুনে প্রাণপণে দৌড়ে রাস্তা পেরিয়ে এপারে এলেন। এরপর আমাকে ধরে কাঁদতে লাগলেন শিশুর মতো। জড়িয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ, অনেকক্ষণ, অনন্তকাল...। তাঁকে কোনোমতে থামিয়ে জানতে চাইলাম, কিছু খাবেন? রিপন বললেন, ‘না স্যার, আজ যাই। অনেক দূর যেতে হবে। নতুন করে বাঁচব বলে আপনার দোয়া নিতে এসেছি।’ আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে হেঁটে চলে গেলেন রিপন।
আমি তাঁর পথের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। হালকা উত্তুরে হাওয়া গায়ে লাগছিল। মনে হচ্ছিল, বুকের পাথরটা ধীরে ধীরে সরে গেল।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে পৌঁছাতে বড়জোর ১৫ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে টেলিফোন অপারেটর লিজার দুবার ফোন। এক যুবকের তাড়ায় লিজার তর সইছিল না। সেই যুবক আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় আছেন।
অফিসে ঢুকতেই দেখি, অভ্যর্থনা-কক্ষের সোফায় আধশোয়া এক সুদর্শন যুবক। পোশাক-আশাক ততটা পরিপাটি নয়, কিছুটা অগোছালো। নির্ঘুম ঢুলুঢুলু লাল চোখ। আমাকে দেখে এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে বললেন, ‘আমার নাম রিপন, আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।’ আমি হাত বাড়িয়ে বললাম, ধন্যবাদ। এরপর যুবকটি যা বললেন, তা শোনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। এ রকম পরিস্থিতির জন্য কারও প্রস্তুত থাকার কথাও নয়। রিপন শান্তভাবে বললেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে খুন করে এসেছি।’
আমি তো থ! কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। মুখের ভাষা যেন হারিয়ে গেছে। একবার ভাবছিলাম, যুবকটি ঠিক বলছেন তো! আবার মনে হচ্ছিল, শুধু শুধু মশকরা করার জন্য কেউ সাতসকালে পত্রিকা অফিসেই-বা আসবেন কেন। রিপন আর কিছুই বললেন না। আমার মুখের দিকে হাঁ করে চেয়ে ছিলেন উত্তরের অপেক্ষায়।
রিপনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এর দুই মাস আগে টাইম ম্যাগাজিনে পড়া একটি কভারস্টোরির কথা মনে পড়ে গেল। জনকণ্ঠের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী আলী হাবিব এটা পড়তে দিয়েছিলেন। ‘জোডিয়াক কিলার’ নামের এক খুনিকে নিয়ে লেখা। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় এই ব্যক্তি ৩৭ জনকে খুন করেছিলেন। প্রতিটি খুনের পর পুলিশ ও সংবাদপত্র অফিসে খুনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে চিঠি পাঠাতেন, কিন্তু কেউ তাঁকে ধরতে পারেনি। জোডিয়াক কিলারের সঙ্গে তো এই যুবকের কোনো মিল নেই! তবে কেন নিজেই এসে ধরা দিতে চাইছেন? আমার ঘোর কাটছিল না কিছুতেই।
জনকণ্ঠ ভবনের যে তলায় রিপোর্টিং বিভাগ, সেখানে অতিথিদের বসার জন্য দুটি ছোট রুম ছিল। তার একটিতে যুবককে নিয়ে বসিয়ে জানতে চাইলাম, কিছু খাবেন? তিনি না সূচক মাথা নাড়লেন। আবার বললাম, নাশতা-টাশতা হয়েছে? তিনি জানালেন, না, কিছুই খাননি। অফিসের পিয়ন মেহেদী নাশতা আনতে গেল।
দেখেশুনে মনে হচ্ছিল, যুবকটি খুবই উদ্বিগ্ন। বারবার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছিলেন। এই অবস্থায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা কতটা নিরাপদ ভাবতে ভাবতে মনে হলো, যুবকটি নাশতা খেয়ে নিলে তারপর কথা বলা যাবে। নাশতা এল। মনে হলো, তিনি খুবই ক্ষুধার্ত ছিলেন। খেয়ে বেশ তৃপ্ত হলেন। পানি খেলেন দুই গ্লাস। এবার তাঁর সামনে বসে জানতে চাইলাম কী ঘটেছিল।
এতক্ষণ আমার কর্মকাণ্ড দেখে যুবকের সন্দেহ, আমি তাঁর কথা বিশ্বাস করিনি। তিনি আবারও বললেন, ‘আমি সত্যি সত্যিই স্ত্রীকে খুন করে এসেছি।’ আমি মাথা নেড়ে তাঁর কথায় সম্মতি দিয়ে জানতে চাইলাম, লাশ কোথায়? তিনি বললেন, ‘খিলক্ষেতের বাসায়। তালা দিয়ে এসেছি।’ বললাম, কেন খুন করলেন?
ধীরে ধীরে নিজেকে খুলে দিলেন রিপন। বললেন, তাঁর স্ত্রীর নাম সালমা আক্তার। দুজনেরই বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। দুজনেই স্নাতক অব্দি পড়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিয়ে পরিবারের কেউ মেনে নেননি। এরপর জীবনের লড়াই চালাতে ঢাকায় চলে আসেন। অল্প বেতনে স্বামী-স্ত্রী কাজ নেন ছোট একটি এনজিওতে। সবকিছু ভালোই চলছিল। একদিন হঠাৎ রিপনের মনে হলো, স্ত্রী সালমা তাঁর বসের প্রতি অনুরক্ত। তাঁর কথায় ওঠাবসা করেন। বসের সঙ্গে বিভিন্ন জেলা সফরে যাওয়ার পর সন্দেহটা গভীর হলো। রিপন মনে করছিলেন, স্ত্রীর সব ভাবনা এখন বসকে নিয়ে। তাঁর দিকে স্ত্রীর কোনো মনোযোগ নেই। এসব নিয়ে প্রথম দিকে কিছু ঝগড়া হলো, কিন্তু কাজ হলো না। সবকিছু অস্বীকার করে উল্টো রিপনকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন সালমা।
আমি বললাম, সবই তো সন্দেহ থেকে বললেন, কোনো কিছুর প্রমাণ নেই? রিপন বললেন, ‘ওই যে কথায় আছে, কৌশল, জোরজবরদস্তি আর ভালোবাসায় পৃথিবীর সব তালা খোলা যায়। কাল রাতে এ নিয়ে অনেক কথা-কাটাকাটি হলো। সালমার মনের তালাও খুলে গেল। একপর্যায়ে সবই স্বীকার করল। এরপর সে ঘুমিয়ে পড়তেই আমার মাথায় খুন চেপে গেল। ঘুমের মধ্যে তার মুখে বালিশ চাপা দিলাম।’ আমি বললাম, বাধা দেয়নি? যুবক বললেন, ‘চরকার মাকুর মতো দুই হাত ছুড়ে বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমার শক্তির কাছে পারেনি।’
বিস্মিত হয়ে বললাম, তারপর? রিপন বললেন, ‘বালিশ সরিয়ে একবার নাকের কাছে হাত নিয়ে দেখলাম, নিশ্বাস পড়ছে কি না। এরপর সারা রাত সেই মৃতদেহের পাশে শুয়ে ছিলাম। সকাল হওয়ার পর ঘরে তালা দিয়ে পথে বেরিয়ে পড়ি। কোথায় যাব স্থির করতে পারছিলাম না। পরে সিদ্ধান্ত নিই, পত্রিকা অফিসে গিয়ে ক্রাইম রিপোর্টারের কাছে সব বলে সাহায্য চাইব।’ খিলক্ষেত থেকে তিনি হাঁটতে হাঁটতে ইস্কাটনে এসেছেন। এটুকু বলে আমার কাছে জানতে চাইলেন, ‘এই অবস্থায় আমার কী করা উচিত?’
আমি তাঁকে বললাম, আপনি চাইলে এখান থেকে চলে যেতে পারেন। তবে আমার পরামর্শ হলো পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার। সেটাই ভালো হবে। রিপন বললেন, ‘দুটি কারণে আমার ভয়। একটি হলো, পুলিশের কাছে গেলেই তারা আমাকে মারধর করবে; অন্যটি হলো, তারা আমার দরিদ্র পরিবারকে জড়িয়ে সর্বস্বান্ত করবে।’
আমি বললাম, আপনি চাইলে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারি। তার আগে আপনি আরও কিছুক্ষণ ভাবতে পারেন। রিপন কোনো সময় না নিয়ে বললেন, ‘আমি সালমাকে অনেক ভালোবাসি বলেই খুন করেছি। এখন আর পালিয়ে যাব না। আপনি ব্যবস্থা করুন।’
রমনা থানার ওসি ছিলেন রফিকুল ইসলাম। তাঁকে ফোন করতেই কয়েকজন পুলিশসহ তিনি এসে হাজির হলেন। যুবকের কথা শুনে ওসিও বেশ অবাক। আমি যুবকের দুটি শর্তের কথা ওসিকে বলতেই তিনিও রাজি হয়ে গেলেন। যুবককে নিয়ে ওসি থানায় গেলেন।
ঘণ্টা দুয়েক পরে ওসি রফিকুল ইসলামের ফোন। বললেন, সেই যুবককে নিয়ে যাবেন তাঁর বাসায়। আমি চাইলে তাঁর সঙ্গে যেতে পারি। পুলিশের দলের সঙ্গে আমিও গেলাম রিপনের বাসায়। রিপন যেভাবে বর্ণনা করেছিলেন, সবকিছুই মিলে গেল। লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হলো, আর রিপনকে গ্রেপ্তার করে রাখা হলো হাজতে। পরদিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন রিপন।
বছর দুয়েক পরে বিপ্লব নামের এক ছেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে এল। সে নিজেকে সালমার ভাই পরিচয় দিয়ে বলল, খিলক্ষেত থানার সেই খুনের মামলার প্রধান সাক্ষী আমি। তাঁর বোনের খুনের মামলা আটকে আছে আমি সাক্ষ্য না দেওয়ায়। ছেলেটি আমাকে আদালতে যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করল। আমি তাকে সাফ জানিয়ে দিলাম, আমি সাক্ষ্য দেব না, এটা আমার কাজ নয়। এর কিছুদিন পর এল সাক্ষী পরোয়ানা। রমনা থানার এক দারোগা একদিন এসে বললেন, ‘সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালত আপনাকে ধরে নিয়ে যেতে আদেশ দিয়েছেন।’ নানা কায়দা করে সেটাও এড়ালাম। কিছুদিন পর ফোন করলেন সেই মামলার পিপি। তিনি খুব অনুরোধ করে বললেন, ‘এই মামলার আপনিই একমাত্র প্রত্যক্ষ সাক্ষী। সাক্ষ্য না দিলে আসামি বেকসুর খালাস পেয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত পিপির অনুরোধে সাক্ষ্য দিলাম।
আরও বছরখানেক পর মামলার রায় হলো। ১২ বছরের সাজা হলো রিপনের। এর মধ্যে আমার কর্মস্থল বদল হলো। একদিন কারওয়ান বাজারের সিএ ভবনের দোতলায় অফিসে কাজ করছি। অভ্যর্থনা থেকে কে যেন জানালেন, একজন লোক আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। গিয়ে দেখি সেই রিপন। খুনের মামলায় সাজা খেটে বেরিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। হঠাৎ তাঁকে দেখে আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। মনে হলো, সে আমার কোনো ক্ষতি করতে এসেছে। সব মিলিয়ে এক অজানা শঙ্কা গ্রাস করল। আমি এমন ভাব করলাম যেন তাঁকে চিনতেই পারিনি। দু-একটি কথা বলে নিরাশ হয়ে চলে গেলেন রিপন।
অফিসের ভেতরে গিয়ে সিটে বসেছি, কিন্তু মন খুবই অস্থির। কিছুতেই কাজে মনোযোগ দিতে পারছি না। একটু পরে দোতলার সিঁড়ির কাছে এলাম। জানালা দিয়ে দেখি, রাস্তার ওপারে সিএ ভবনের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে রিপন। কিছুক্ষণ দেখার পর রিপনের প্রতি খুব মায়া হলো। কী যেন মনে করে রাস্তায় গিয়ে গলা চড়িয়ে ডাকলাম, রি...প...ন...। মনে হলো, তিনি অপেক্ষায়ই ছিলেন। আমার ডাক শুনে প্রাণপণে দৌড়ে রাস্তা পেরিয়ে এপারে এলেন। এরপর আমাকে ধরে কাঁদতে লাগলেন শিশুর মতো। জড়িয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ, অনেকক্ষণ, অনন্তকাল...। তাঁকে কোনোমতে থামিয়ে জানতে চাইলাম, কিছু খাবেন? রিপন বললেন, ‘না স্যার, আজ যাই। অনেক দূর যেতে হবে। নতুন করে বাঁচব বলে আপনার দোয়া নিতে এসেছি।’ আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে হেঁটে চলে গেলেন রিপন।
আমি তাঁর পথের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। হালকা উত্তুরে হাওয়া গায়ে লাগছিল। মনে হচ্ছিল, বুকের পাথরটা ধীরে ধীরে সরে গেল।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে পৌঁছাতে বড়জোর ১৫ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে টেলিফোন অপারেটর লিজার দুবার ফোন। এক যুবকের তাড়ায় লিজার তর সইছিল না। সেই যুবক আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় আছেন।
১৫ জুলাই ২০২৩
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে পৌঁছাতে বড়জোর ১৫ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে টেলিফোন অপারেটর লিজার দুবার ফোন। এক যুবকের তাড়ায় লিজার তর সইছিল না। সেই যুবক আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় আছেন।
১৫ জুলাই ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে পৌঁছাতে বড়জোর ১৫ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে টেলিফোন অপারেটর লিজার দুবার ফোন। এক যুবকের তাড়ায় লিজার তর সইছিল না। সেই যুবক আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় আছেন।
১৫ জুলাই ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে পৌঁছাতে বড়জোর ১৫ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে টেলিফোন অপারেটর লিজার দুবার ফোন। এক যুবকের তাড়ায় লিজার তর সইছিল না। সেই যুবক আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষায় আছেন।
১৫ জুলাই ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে