নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ডিসিকে ‘সিলেটবিদ্বেষী, অদক্ষ ও ব্যর্থ’ দাবি করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘সহকারী রিটার্নিং অফিসার’ ছিলেন বলেও দাবি করেন আরিফুল হক।
আজ বুধবার নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক নেতারাও যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুকের সঞ্চালনায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রহিম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসম্পাদক মো. আবদুস সালাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৪ তারিখের মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের কথা না শুনলে ৫ তারিখ থেকে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলন কর্মসূচিতে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ তারিখের আগে জরুরি ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন, আপামর জনসাধারণের কথা শুনেন, এরপর অতীতে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক দলের এবং পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ মিলে... আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পাঁয়তারা যেটা করছেন, গুটিকয়েক দুম্বা, দুয়েকজন নেতাকে বশ করে মনে করবেন না আপনে পার পেয়ে যাবেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখব। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের যে আলটিমেটাম, ৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। আমি মনে করি, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে যাতে সিলেটে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তার পাঁয়তারা করছেন। তা যদি না হতো, তিনি অবশ্যই সিলেটের রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের এই অবস্থা হতো না।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছেন, এই হাসপাতালেরই অনুমোদন দিয়েছিলেন উনার চেয়ারে বসা একজন জেলা প্রশাসক। আজ থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন জেলা প্রশাসক আসছেন, গেছেন; প্রত্যেকে এই অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে সাবধান করে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে অশ্রদ্ধা যারা করেছে, তাদের কোনো ধরনের ক্ষমা নেই। আজকে বলে গেলাম, ৫ তারিখের পরে ‘‘তুমি’’ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, ‘আপনারা খবর নেন, সিলেটের মানুষদের ফুসলে তোলার জন্য এই জেলা প্রশাসকই যথেষ্ট। এই জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালসহ কয়েকটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এখন ইজারা বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং মেজরটিলা এলাকায় উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের ক্ষুব্ধতার সুযোগে আরিফুল হক চৌধুরী ‘সেই ক্ষোভ’ মেটাতে রাজপথে নেমেছেন।
তবে কর্মসূচি শেষে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো পাথরশ্রমিকদের নীতিগত কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি। আমি বারবার বলেছিলাম স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। উনি আমারে বলেন—আপনি তো জনপ্রতিনিধি না।’
সমাবেশ থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের ডিসিকে অপসারণ না করলে শনিবার থেকে সিলেটের সব সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ৫ দফা দাবি হচ্ছে—বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
রাত ৮টায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর জেলা প্রশাসকের অপসারণ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা একান্তই তাঁর নিজস্ব কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচি হলে তো আমরাও থাকতাম, তখন আমরা ডিসির সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলাম।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা ও পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর দাবিতে সম্প্রতি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, পরিবহন বন্ধ রাখাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক নেতা, পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বৈঠকে বসেন ডিসি। সেই বৈঠকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলীসহ পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘উনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেন উনি এসব বলছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার জানা নেই।’
আরও খবর পড়ুন:

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ডিসিকে ‘সিলেটবিদ্বেষী, অদক্ষ ও ব্যর্থ’ দাবি করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘সহকারী রিটার্নিং অফিসার’ ছিলেন বলেও দাবি করেন আরিফুল হক।
আজ বুধবার নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক নেতারাও যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুকের সঞ্চালনায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রহিম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসম্পাদক মো. আবদুস সালাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৪ তারিখের মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের কথা না শুনলে ৫ তারিখ থেকে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলন কর্মসূচিতে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ তারিখের আগে জরুরি ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন, আপামর জনসাধারণের কথা শুনেন, এরপর অতীতে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক দলের এবং পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ মিলে... আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পাঁয়তারা যেটা করছেন, গুটিকয়েক দুম্বা, দুয়েকজন নেতাকে বশ করে মনে করবেন না আপনে পার পেয়ে যাবেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখব। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের যে আলটিমেটাম, ৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। আমি মনে করি, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে যাতে সিলেটে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তার পাঁয়তারা করছেন। তা যদি না হতো, তিনি অবশ্যই সিলেটের রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের এই অবস্থা হতো না।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছেন, এই হাসপাতালেরই অনুমোদন দিয়েছিলেন উনার চেয়ারে বসা একজন জেলা প্রশাসক। আজ থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন জেলা প্রশাসক আসছেন, গেছেন; প্রত্যেকে এই অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে সাবধান করে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে অশ্রদ্ধা যারা করেছে, তাদের কোনো ধরনের ক্ষমা নেই। আজকে বলে গেলাম, ৫ তারিখের পরে ‘‘তুমি’’ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, ‘আপনারা খবর নেন, সিলেটের মানুষদের ফুসলে তোলার জন্য এই জেলা প্রশাসকই যথেষ্ট। এই জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালসহ কয়েকটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এখন ইজারা বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং মেজরটিলা এলাকায় উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের ক্ষুব্ধতার সুযোগে আরিফুল হক চৌধুরী ‘সেই ক্ষোভ’ মেটাতে রাজপথে নেমেছেন।
তবে কর্মসূচি শেষে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো পাথরশ্রমিকদের নীতিগত কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি। আমি বারবার বলেছিলাম স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। উনি আমারে বলেন—আপনি তো জনপ্রতিনিধি না।’
সমাবেশ থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের ডিসিকে অপসারণ না করলে শনিবার থেকে সিলেটের সব সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ৫ দফা দাবি হচ্ছে—বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
রাত ৮টায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর জেলা প্রশাসকের অপসারণ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা একান্তই তাঁর নিজস্ব কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচি হলে তো আমরাও থাকতাম, তখন আমরা ডিসির সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলাম।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা ও পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর দাবিতে সম্প্রতি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, পরিবহন বন্ধ রাখাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক নেতা, পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বৈঠকে বসেন ডিসি। সেই বৈঠকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলীসহ পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘উনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেন উনি এসব বলছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার জানা নেই।’
আরও খবর পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ডিসিকে ‘সিলেটবিদ্বেষী, অদক্ষ ও ব্যর্থ’ দাবি করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘সহকারী রিটার্নিং অফিসার’ ছিলেন বলেও দাবি করেন আরিফুল হক।
আজ বুধবার নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক নেতারাও যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুকের সঞ্চালনায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রহিম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসম্পাদক মো. আবদুস সালাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৪ তারিখের মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের কথা না শুনলে ৫ তারিখ থেকে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলন কর্মসূচিতে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ তারিখের আগে জরুরি ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন, আপামর জনসাধারণের কথা শুনেন, এরপর অতীতে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক দলের এবং পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ মিলে... আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পাঁয়তারা যেটা করছেন, গুটিকয়েক দুম্বা, দুয়েকজন নেতাকে বশ করে মনে করবেন না আপনে পার পেয়ে যাবেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখব। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের যে আলটিমেটাম, ৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। আমি মনে করি, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে যাতে সিলেটে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তার পাঁয়তারা করছেন। তা যদি না হতো, তিনি অবশ্যই সিলেটের রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের এই অবস্থা হতো না।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছেন, এই হাসপাতালেরই অনুমোদন দিয়েছিলেন উনার চেয়ারে বসা একজন জেলা প্রশাসক। আজ থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন জেলা প্রশাসক আসছেন, গেছেন; প্রত্যেকে এই অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে সাবধান করে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে অশ্রদ্ধা যারা করেছে, তাদের কোনো ধরনের ক্ষমা নেই। আজকে বলে গেলাম, ৫ তারিখের পরে ‘‘তুমি’’ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, ‘আপনারা খবর নেন, সিলেটের মানুষদের ফুসলে তোলার জন্য এই জেলা প্রশাসকই যথেষ্ট। এই জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালসহ কয়েকটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এখন ইজারা বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং মেজরটিলা এলাকায় উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের ক্ষুব্ধতার সুযোগে আরিফুল হক চৌধুরী ‘সেই ক্ষোভ’ মেটাতে রাজপথে নেমেছেন।
তবে কর্মসূচি শেষে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো পাথরশ্রমিকদের নীতিগত কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি। আমি বারবার বলেছিলাম স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। উনি আমারে বলেন—আপনি তো জনপ্রতিনিধি না।’
সমাবেশ থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের ডিসিকে অপসারণ না করলে শনিবার থেকে সিলেটের সব সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ৫ দফা দাবি হচ্ছে—বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
রাত ৮টায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর জেলা প্রশাসকের অপসারণ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা একান্তই তাঁর নিজস্ব কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচি হলে তো আমরাও থাকতাম, তখন আমরা ডিসির সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলাম।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা ও পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর দাবিতে সম্প্রতি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, পরিবহন বন্ধ রাখাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক নেতা, পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বৈঠকে বসেন ডিসি। সেই বৈঠকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলীসহ পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘উনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেন উনি এসব বলছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার জানা নেই।’
আরও খবর পড়ুন:

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ডিসিকে ‘সিলেটবিদ্বেষী, অদক্ষ ও ব্যর্থ’ দাবি করে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘সহকারী রিটার্নিং অফিসার’ ছিলেন বলেও দাবি করেন আরিফুল হক।
আজ বুধবার নগরের ব্যস্ততম কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকেরা। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক নেতারাও যোগ দেন। বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুকের সঞ্চালনায় সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়।
সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রহিম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসম্পাদক মো. আবদুস সালাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৪ তারিখের মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের কথা না শুনলে ৫ তারিখ থেকে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলন কর্মসূচিতে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ তারিখের আগে জরুরি ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসেন, আপামর জনসাধারণের কথা শুনেন, এরপর অতীতে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক দলের এবং পরিবহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ মিলে... আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পাঁয়তারা যেটা করছেন, গুটিকয়েক দুম্বা, দুয়েকজন নেতাকে বশ করে মনে করবেন না আপনে পার পেয়ে যাবেন। আমরা তাদের চিহ্নিত করে রাখব। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের যে আলটিমেটাম, ৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না। আমি মনে করি, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে যাতে সিলেটে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, তার পাঁয়তারা করছেন। তা যদি না হতো, তিনি অবশ্যই সিলেটের রাজনৈতিক নেতাদের ও প্রত্যেকটা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের এই অবস্থা হতো না।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘জালালাবাদ চক্ষু হাসপাতালে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছেন, এই হাসপাতালেরই অনুমোদন দিয়েছিলেন উনার চেয়ারে বসা একজন জেলা প্রশাসক। আজ থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন জেলা প্রশাসক আসছেন, গেছেন; প্রত্যেকে এই অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালের সভাপতি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাকে সাবধান করে বলে দিতে চাই, সিলেটের মানুষকে অশ্রদ্ধা যারা করেছে, তাদের কোনো ধরনের ক্ষমা নেই। আজকে বলে গেলাম, ৫ তারিখের পরে ‘‘তুমি’’ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।’
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আরিফুল হক বলেন, ‘আপনারা খবর নেন, সিলেটের মানুষদের ফুসলে তোলার জন্য এই জেলা প্রশাসকই যথেষ্ট। এই জেলা প্রশাসকের কারণে সরকারের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ী জনগণের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ হাসপাতালসহ কয়েকটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরীর বিরোধ চলছে। এখন ইজারা বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং মেজরটিলা এলাকায় উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীদের ক্ষুব্ধতার সুযোগে আরিফুল হক চৌধুরী ‘সেই ক্ষোভ’ মেটাতে রাজপথে নেমেছেন।
তবে কর্মসূচি শেষে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো পাথরশ্রমিকদের নীতিগত কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছি। আমি বারবার বলেছিলাম স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সবাইকে নিয়ে বসেন। উনি আমারে বলেন—আপনি তো জনপ্রতিনিধি না।’
সমাবেশ থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের ডিসিকে অপসারণ না করলে শনিবার থেকে সিলেটের সব সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। ৫ দফা দাবি হচ্ছে—বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়া, ক্রাশার মেশিন ধ্বংসের অভিযান বন্ধ করা, পাথর পরিবহনকারী ট্রাক আটক না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা এবং সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।
রাত ৮টায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর জেলা প্রশাসকের অপসারণ কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা একান্তই তাঁর নিজস্ব কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচি হলে তো আমরাও থাকতাম, তখন আমরা ডিসির সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলাম।’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা ও পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর দাবিতে সম্প্রতি পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিকেরা কর্মবিরতি, পরিবহন বন্ধ রাখাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে রাজনৈতিক নেতা, পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে বৈঠকে বসেন ডিসি। সেই বৈঠকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলীসহ পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘উনার অভিযোগগুলো সত্য নয়। কেন উনি এসব বলছেন, তিনিই ভালো বলতে পারবেন, আমার জানা নেই।’
আরও খবর পড়ুন:

চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার পরে হাসপাতালে যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ এলাকা লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া আংশিক) আসনে চন্দনাইশ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার খবরে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার সন্ধ্যায় তাঁর মনোনয়নের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এবার চার দফা দাবি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার রাতে সংগঠনটি ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই দাবিগুলো তুলে ধরে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার পরে হাসপাতালে যান তিনি। পরে সেখানে আধঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান করে রাত ১২টা ৮ মিনিটে বেরিয়ে যান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার মধ্যরাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের অবস্থা অত্যন্ত জটিল বলে জানিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। খালেদা জিয়া সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছেন বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ।
চিকিৎসারত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ কী অবস্থা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই ওনার (খালেদা জিয়া) অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এ কথা বলা যাবে না।...ওনার অবস্থা অত্যন্ত জটিল এবং উনি একটা সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।’
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এই ব্রিফ করা হয়।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর এখানে (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভর্তি হয়েছেন; ভর্তি হওয়ার পরবর্তীতে ওনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছিল।’
স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতির কারণেই খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউ এবং সেখানে থেকে পরবর্তীতে আইসিইউতে নেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এই সদস্য জানান, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকেরা বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাঁর পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান তাতে যুক্ত রয়েছেন।
১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ফেরার পর মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারেক রহমান। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনভর নানা কর্মসূচি শেষে আবারও মাকে দেখতে যান তিনি। দুই ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে অবস্থান করে রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নানা শারীরিক জটিলতার মধ্যে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা ওঠানামা করছে। নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়মিত করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা আকাশযাত্রার উপযোগী না হওয়ায় দেশেই তাঁর চিকিৎসা চলমান।

চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার পরে হাসপাতালে যান তিনি। পরে সেখানে আধঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান করে রাত ১২টা ৮ মিনিটে বেরিয়ে যান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার মধ্যরাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের অবস্থা অত্যন্ত জটিল বলে জানিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। খালেদা জিয়া সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছেন বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ।
চিকিৎসারত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ কী অবস্থা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই ওনার (খালেদা জিয়া) অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এ কথা বলা যাবে না।...ওনার অবস্থা অত্যন্ত জটিল এবং উনি একটা সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।’
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এই ব্রিফ করা হয়।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর এখানে (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভর্তি হয়েছেন; ভর্তি হওয়ার পরবর্তীতে ওনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছিল।’
স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতির কারণেই খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউ এবং সেখানে থেকে পরবর্তীতে আইসিইউতে নেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এই সদস্য জানান, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকেরা বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাঁর পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান তাতে যুক্ত রয়েছেন।
১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ফেরার পর মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারেক রহমান। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনভর নানা কর্মসূচি শেষে আবারও মাকে দেখতে যান তিনি। দুই ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে অবস্থান করে রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নানা শারীরিক জটিলতার মধ্যে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা ওঠানামা করছে। নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়মিত করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা আকাশযাত্রার উপযোগী না হওয়ায় দেশেই তাঁর চিকিৎসা চলমান।

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।
০২ জুলাই ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ এলাকা লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া আংশিক) আসনে চন্দনাইশ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার খবরে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার সন্ধ্যায় তাঁর মনোনয়নের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এবার চার দফা দাবি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার রাতে সংগঠনটি ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই দাবিগুলো তুলে ধরে।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ এলাকা লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমানের কাছ থেকে মাহফুজ আলমের পক্ষে এই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। উপদেষ্টা পদ ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন—এমন খবরে রামগঞ্জসহ পুরো জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, এই নির্বাচনী লড়াইয়ে মাহফুজ আলমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন তাঁর আপন বড় ভাই মাহবুব আলম মাহিরও। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি একই আসন থেকে দলীয়ভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
মাহফুজ আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিলেও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন কি না, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন। আজ রাতেই এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এনসিপি বা জামায়াত-এনসিপি জোটে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
একই আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করা শাহাদাত হোসেন সেলিম, ঢাকা মহানগর বিএনপির (দক্ষিণ) যুগ্ম আহ্বায়ক ও মতিঝিল ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার হারুন অর রশিদসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী।
এ ছাড়া রামগঞ্জ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) আওয়ামী মহাজোটের শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল। তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে হত্যা মামলাসহ নানান কারণে বিতর্কিত এ নেতা এলাকা ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ এলাকা লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমানের কাছ থেকে মাহফুজ আলমের পক্ষে এই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। উপদেষ্টা পদ ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন—এমন খবরে রামগঞ্জসহ পুরো জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, এই নির্বাচনী লড়াইয়ে মাহফুজ আলমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন তাঁর আপন বড় ভাই মাহবুব আলম মাহিরও। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি একই আসন থেকে দলীয়ভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
মাহফুজ আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিলেও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন কি না, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন। আজ রাতেই এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এনসিপি বা জামায়াত-এনসিপি জোটে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
একই আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করা শাহাদাত হোসেন সেলিম, ঢাকা মহানগর বিএনপির (দক্ষিণ) যুগ্ম আহ্বায়ক ও মতিঝিল ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার হারুন অর রশিদসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী।
এ ছাড়া রামগঞ্জ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) আওয়ামী মহাজোটের শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল। তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে হত্যা মামলাসহ নানান কারণে বিতর্কিত এ নেতা এলাকা ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।
০২ জুলাই ২০২৫
চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার পরে হাসপাতালে যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া আংশিক) আসনে চন্দনাইশ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার খবরে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার সন্ধ্যায় তাঁর মনোনয়নের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এবার চার দফা দাবি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার রাতে সংগঠনটি ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই দাবিগুলো তুলে ধরে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া আংশিক) আসনে চন্দনাইশ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার খবরে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাঁর মনোনয়নের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জসিম উদ্দিনের ছবি শেয়ার করে প্রশ্ন তুলছেন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় ও অবস্থান নিয়ে।

যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু জানা না গেলেও চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো তথ্যে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জসিম উদ্দিন আহমেদ মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে তাঁর মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, জসিম উদ্দিন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সহযোগী। তাঁর মালিকানায় কক্সবাজারে ‘রামাদা কক্সবাজার’ এবং দুবাইয়ে ‘রামাদা দুবাই’ হোটেল রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি এলাকায় ‘মহল মার্কেট’, খুলশীতে ‘জসিম হিল পার্ক’সহ একাধিক বাণিজ্যিক ও আবাসিক স্থাপনার মালিক তিনি। এ ছাড়া তাঁর সম্পদের উৎস ও দ্রুত উত্থান ঘিরে রয়েছে নানা অভিযোগ।
অভিযোগ উঠেছে, জসিম উদ্দিন সাবেক দুই আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও শহিদুল হকের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একাধিক নেতার সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যিনি সুবিধাভোগী ছিলেন, তাঁর হাতে ধানের শীষ দেওয়া আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে। এসব বিষয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে বিস্তারিত বলব।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া আংশিক) আসনে চন্দনাইশ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার খবরে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাঁর মনোনয়নের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জসিম উদ্দিনের ছবি শেয়ার করে প্রশ্ন তুলছেন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় ও অবস্থান নিয়ে।

যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু জানা না গেলেও চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো তথ্যে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জসিম উদ্দিন আহমেদ মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে তাঁর মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, জসিম উদ্দিন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সহযোগী। তাঁর মালিকানায় কক্সবাজারে ‘রামাদা কক্সবাজার’ এবং দুবাইয়ে ‘রামাদা দুবাই’ হোটেল রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি এলাকায় ‘মহল মার্কেট’, খুলশীতে ‘জসিম হিল পার্ক’সহ একাধিক বাণিজ্যিক ও আবাসিক স্থাপনার মালিক তিনি। এ ছাড়া তাঁর সম্পদের উৎস ও দ্রুত উত্থান ঘিরে রয়েছে নানা অভিযোগ।
অভিযোগ উঠেছে, জসিম উদ্দিন সাবেক দুই আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও শহিদুল হকের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একাধিক নেতার সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যিনি সুবিধাভোগী ছিলেন, তাঁর হাতে ধানের শীষ দেওয়া আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে। এসব বিষয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে বিস্তারিত বলব।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।
০২ জুলাই ২০২৫
চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার পরে হাসপাতালে যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ এলাকা লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এবার চার দফা দাবি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার রাতে সংগঠনটি ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই দাবিগুলো তুলে ধরে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এবার চার দফা দাবি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার রাতে সংগঠনটি ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই দাবিগুলো তুলে ধরে।
রাত পৌনে ১০টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের এই কর্মসূচি ও দাবিদাওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, এই দাবিগুলো মানা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের ৪ দফা—
১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।
২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।
৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সকল খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এবার চার দফা দাবি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার রাতে সংগঠনটি ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই দাবিগুলো তুলে ধরে।
রাত পৌনে ১০টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের এই কর্মসূচি ও দাবিদাওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, এই দাবিগুলো মানা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের ৪ দফা—
১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।
২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।
৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সকল খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সিলেটে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।
০২ জুলাই ২০২৫
চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার পরে হাসপাতালে যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ এলাকা লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া আংশিক) আসনে চন্দনাইশ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার খবরে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার সন্ধ্যায় তাঁর মনোনয়নের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে