আশরাফুল আলম, কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ)

প্রায় ৪০ বছর আগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পোশাক কারখানার পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে এনে এলাকায় শুরু করেন কম্বল তৈরি। সেই কম্বল সাইকেলে করে বিক্রি শুরু করেন বিভিন্ন গ্রামে। তাঁর দেখাদেখি কাজীপুরে কম্বল তৈরি শুরু করেন আরও অনেকে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁদের। কাজীপুর পরিচিত হয়ে উঠেছে কম্বলের পল্লি নামে। শীতের শুরুতে সেই কম্বলপল্লি সরগরম হয়ে উঠেছে। বিরামহীন কাজ করছেন কারিগরেরা। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে কম্বল।
সম্প্রতি উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারের কম্বলপল্লিতে গিয়ে দেখা গেছে, একমাত্র কারখানায় দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকেরা। বাহারি সুতায় বোনা হচ্ছে রঙিন কম্বল। শ্রমিকেরা কম্বল বিভিন্ন মাপে কেটে সেলাই মেশিনে দিচ্ছেন। সেগুলোর মুড়ি সেলাই করছেন কারিগরেরা। পরে ভাঁজ করে বিশেষ ব্যাগে ভরে গুদামে রাখা হচ্ছে। পাইকারেরা আসছেন, দেখছেন, দরদাম করছেন। পছন্দসই দাম হলে কিনে ট্রাকে ভরছেন।
এখন উপজেলার শিমুলদাইড়, বরশিভাঙ্গা, সাতকয়া, শ্যামপুর, ছালাভরা, কুনকুনিয়া, গাড়াবেড়, চকপাড়া, পাইকরতলী, ঢেকুরিয়া, বরইতলা, মুসলিমপাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৩০ থেকে ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ কম্বল তৈরির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আর এই কম্বলশিল্পের প্রাণকেন্দ্র শিমুলদাইড় বাজার। ২০ বছর ধরে এই বাজারে কম্বল তৈরির কাজ চলছে।
জানা গেছে, বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাস কম্বল ও শিশুদের শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন এখানকার কারিগর ও শ্রমিকেরা। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে পরিত্যক্ত কাপড় কিনে এনে তৈরি করা হয় জোড়া কম্বল। এই কম্বল সেলাই করে এখানকার হাজারো নারী-পুরুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে কম্বল তৈরির রোল কাপড় কেনা হয়। মানভেদে প্রতিটি কম্বল ১২০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। আর জোড়া কম্বল তৈরি করা হয় গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত কাপড় দিয়ে। সেগুলোর দাম মানভেদে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে জোড়া কম্বল তৈরি করেন গাড়াবেড় গ্রামের ফোলেরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আগে পায়ের মেশিন আছিল। তহন দিনে তিন থেকে চারটা কম্বল বানাছি। ১৫ টাকা করে মজুরি দিত। এহন কারেনের মেশিন কিনছি। সারা দিন কাম করলি দুই-আড়াই শ হয়। এই টাকা দিয়েই পোলাপানের পড়াশোনার খরচ, পরিবার চালাই।’

ছালাভরা গ্রামের আছিয়া বলেন, ‘২০ বছর ধরে জোড়া কম্বল বানাই। প্রতি কম্বলে মজুরি পাই ৩০ টাকা। একটা মেয়ে বিয়া দিছি, ছেলেকেও আইএ পাস করাছি। এই কাজ করে সবাই পরিবারের উন্নতি করতেছে।’
গাড়াবেড় গ্রামের নুরুল ইসলাম ছোটদের শীতের পাজামা আর হুডি তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন। এগুলো বিক্রি করে পরিবার চালান স্বাচ্ছন্দ্যে। ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাতে ভর্তি করিয়েছেন রুয়েটে। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘জ্যাকেট তৈরির বাছা কাপড় আমরা কিনে নিই। তারপর কারিগর দিয়ে শিশুদের পাজামা ও হুডি তৈরি করি। পরে শিমুলদাইড় বাজারে নিয়ে পাইকারি দিই। ৯ টাকা থেকে শুরু করে ৪৮ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি করি প্রতিটি।’
অনলাইনে কম্বল বিক্রেতা হালিম বলেন, ‘সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করি। আমাদের একটা ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন অন্তত দুই ট্রাক কম্বল ডেলিভারি হয়।’
কম্বল তৈরির কারখানা ও মেসার্স সহি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমাদের এই কম্বলপল্লিতে বর্তমানে ১৬৬ আইটেমের শীতের কাপড় তৈরি হয়। আশা করছি, এবারের মৌসুমে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে এই পল্লিতে। ব্যবসায়ীরা যদি স্বল্প সুদে ঋণ পেত, তাহলে এই শিল্পের আরও প্রসার ঘটত। পাশাপাশি নিরাপদে টাকা লেনদেনের জন্য এই বাজারে একটা ব্যাংকের খুব প্রয়োজন।’
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কাজীপুরের কম্বলশিল্প সারা দেশে ব্র্যান্ড। ঝামেলামুক্ত পরিবেশে দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকেরা। এতে এলাকার বেকারত্ব কমেছে। এই শিল্পের প্রসারে উপজেলা প্রশাসন পাশে আছে।’

প্রায় ৪০ বছর আগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পোশাক কারখানার পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে এনে এলাকায় শুরু করেন কম্বল তৈরি। সেই কম্বল সাইকেলে করে বিক্রি শুরু করেন বিভিন্ন গ্রামে। তাঁর দেখাদেখি কাজীপুরে কম্বল তৈরি শুরু করেন আরও অনেকে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁদের। কাজীপুর পরিচিত হয়ে উঠেছে কম্বলের পল্লি নামে। শীতের শুরুতে সেই কম্বলপল্লি সরগরম হয়ে উঠেছে। বিরামহীন কাজ করছেন কারিগরেরা। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে কম্বল।
সম্প্রতি উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারের কম্বলপল্লিতে গিয়ে দেখা গেছে, একমাত্র কারখানায় দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকেরা। বাহারি সুতায় বোনা হচ্ছে রঙিন কম্বল। শ্রমিকেরা কম্বল বিভিন্ন মাপে কেটে সেলাই মেশিনে দিচ্ছেন। সেগুলোর মুড়ি সেলাই করছেন কারিগরেরা। পরে ভাঁজ করে বিশেষ ব্যাগে ভরে গুদামে রাখা হচ্ছে। পাইকারেরা আসছেন, দেখছেন, দরদাম করছেন। পছন্দসই দাম হলে কিনে ট্রাকে ভরছেন।
এখন উপজেলার শিমুলদাইড়, বরশিভাঙ্গা, সাতকয়া, শ্যামপুর, ছালাভরা, কুনকুনিয়া, গাড়াবেড়, চকপাড়া, পাইকরতলী, ঢেকুরিয়া, বরইতলা, মুসলিমপাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৩০ থেকে ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ কম্বল তৈরির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আর এই কম্বলশিল্পের প্রাণকেন্দ্র শিমুলদাইড় বাজার। ২০ বছর ধরে এই বাজারে কম্বল তৈরির কাজ চলছে।
জানা গেছে, বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাস কম্বল ও শিশুদের শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন এখানকার কারিগর ও শ্রমিকেরা। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে পরিত্যক্ত কাপড় কিনে এনে তৈরি করা হয় জোড়া কম্বল। এই কম্বল সেলাই করে এখানকার হাজারো নারী-পুরুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে কম্বল তৈরির রোল কাপড় কেনা হয়। মানভেদে প্রতিটি কম্বল ১২০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। আর জোড়া কম্বল তৈরি করা হয় গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত কাপড় দিয়ে। সেগুলোর দাম মানভেদে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে জোড়া কম্বল তৈরি করেন গাড়াবেড় গ্রামের ফোলেরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আগে পায়ের মেশিন আছিল। তহন দিনে তিন থেকে চারটা কম্বল বানাছি। ১৫ টাকা করে মজুরি দিত। এহন কারেনের মেশিন কিনছি। সারা দিন কাম করলি দুই-আড়াই শ হয়। এই টাকা দিয়েই পোলাপানের পড়াশোনার খরচ, পরিবার চালাই।’

ছালাভরা গ্রামের আছিয়া বলেন, ‘২০ বছর ধরে জোড়া কম্বল বানাই। প্রতি কম্বলে মজুরি পাই ৩০ টাকা। একটা মেয়ে বিয়া দিছি, ছেলেকেও আইএ পাস করাছি। এই কাজ করে সবাই পরিবারের উন্নতি করতেছে।’
গাড়াবেড় গ্রামের নুরুল ইসলাম ছোটদের শীতের পাজামা আর হুডি তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন। এগুলো বিক্রি করে পরিবার চালান স্বাচ্ছন্দ্যে। ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাতে ভর্তি করিয়েছেন রুয়েটে। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘জ্যাকেট তৈরির বাছা কাপড় আমরা কিনে নিই। তারপর কারিগর দিয়ে শিশুদের পাজামা ও হুডি তৈরি করি। পরে শিমুলদাইড় বাজারে নিয়ে পাইকারি দিই। ৯ টাকা থেকে শুরু করে ৪৮ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি করি প্রতিটি।’
অনলাইনে কম্বল বিক্রেতা হালিম বলেন, ‘সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করি। আমাদের একটা ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন অন্তত দুই ট্রাক কম্বল ডেলিভারি হয়।’
কম্বল তৈরির কারখানা ও মেসার্স সহি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমাদের এই কম্বলপল্লিতে বর্তমানে ১৬৬ আইটেমের শীতের কাপড় তৈরি হয়। আশা করছি, এবারের মৌসুমে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে এই পল্লিতে। ব্যবসায়ীরা যদি স্বল্প সুদে ঋণ পেত, তাহলে এই শিল্পের আরও প্রসার ঘটত। পাশাপাশি নিরাপদে টাকা লেনদেনের জন্য এই বাজারে একটা ব্যাংকের খুব প্রয়োজন।’
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কাজীপুরের কম্বলশিল্প সারা দেশে ব্র্যান্ড। ঝামেলামুক্ত পরিবেশে দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকেরা। এতে এলাকার বেকারত্ব কমেছে। এই শিল্পের প্রসারে উপজেলা প্রশাসন পাশে আছে।’
আশরাফুল আলম, কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ)

প্রায় ৪০ বছর আগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পোশাক কারখানার পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে এনে এলাকায় শুরু করেন কম্বল তৈরি। সেই কম্বল সাইকেলে করে বিক্রি শুরু করেন বিভিন্ন গ্রামে। তাঁর দেখাদেখি কাজীপুরে কম্বল তৈরি শুরু করেন আরও অনেকে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁদের। কাজীপুর পরিচিত হয়ে উঠেছে কম্বলের পল্লি নামে। শীতের শুরুতে সেই কম্বলপল্লি সরগরম হয়ে উঠেছে। বিরামহীন কাজ করছেন কারিগরেরা। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে কম্বল।
সম্প্রতি উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারের কম্বলপল্লিতে গিয়ে দেখা গেছে, একমাত্র কারখানায় দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকেরা। বাহারি সুতায় বোনা হচ্ছে রঙিন কম্বল। শ্রমিকেরা কম্বল বিভিন্ন মাপে কেটে সেলাই মেশিনে দিচ্ছেন। সেগুলোর মুড়ি সেলাই করছেন কারিগরেরা। পরে ভাঁজ করে বিশেষ ব্যাগে ভরে গুদামে রাখা হচ্ছে। পাইকারেরা আসছেন, দেখছেন, দরদাম করছেন। পছন্দসই দাম হলে কিনে ট্রাকে ভরছেন।
এখন উপজেলার শিমুলদাইড়, বরশিভাঙ্গা, সাতকয়া, শ্যামপুর, ছালাভরা, কুনকুনিয়া, গাড়াবেড়, চকপাড়া, পাইকরতলী, ঢেকুরিয়া, বরইতলা, মুসলিমপাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৩০ থেকে ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ কম্বল তৈরির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আর এই কম্বলশিল্পের প্রাণকেন্দ্র শিমুলদাইড় বাজার। ২০ বছর ধরে এই বাজারে কম্বল তৈরির কাজ চলছে।
জানা গেছে, বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাস কম্বল ও শিশুদের শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন এখানকার কারিগর ও শ্রমিকেরা। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে পরিত্যক্ত কাপড় কিনে এনে তৈরি করা হয় জোড়া কম্বল। এই কম্বল সেলাই করে এখানকার হাজারো নারী-পুরুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে কম্বল তৈরির রোল কাপড় কেনা হয়। মানভেদে প্রতিটি কম্বল ১২০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। আর জোড়া কম্বল তৈরি করা হয় গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত কাপড় দিয়ে। সেগুলোর দাম মানভেদে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে জোড়া কম্বল তৈরি করেন গাড়াবেড় গ্রামের ফোলেরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আগে পায়ের মেশিন আছিল। তহন দিনে তিন থেকে চারটা কম্বল বানাছি। ১৫ টাকা করে মজুরি দিত। এহন কারেনের মেশিন কিনছি। সারা দিন কাম করলি দুই-আড়াই শ হয়। এই টাকা দিয়েই পোলাপানের পড়াশোনার খরচ, পরিবার চালাই।’

ছালাভরা গ্রামের আছিয়া বলেন, ‘২০ বছর ধরে জোড়া কম্বল বানাই। প্রতি কম্বলে মজুরি পাই ৩০ টাকা। একটা মেয়ে বিয়া দিছি, ছেলেকেও আইএ পাস করাছি। এই কাজ করে সবাই পরিবারের উন্নতি করতেছে।’
গাড়াবেড় গ্রামের নুরুল ইসলাম ছোটদের শীতের পাজামা আর হুডি তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন। এগুলো বিক্রি করে পরিবার চালান স্বাচ্ছন্দ্যে। ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাতে ভর্তি করিয়েছেন রুয়েটে। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘জ্যাকেট তৈরির বাছা কাপড় আমরা কিনে নিই। তারপর কারিগর দিয়ে শিশুদের পাজামা ও হুডি তৈরি করি। পরে শিমুলদাইড় বাজারে নিয়ে পাইকারি দিই। ৯ টাকা থেকে শুরু করে ৪৮ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি করি প্রতিটি।’
অনলাইনে কম্বল বিক্রেতা হালিম বলেন, ‘সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করি। আমাদের একটা ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন অন্তত দুই ট্রাক কম্বল ডেলিভারি হয়।’
কম্বল তৈরির কারখানা ও মেসার্স সহি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমাদের এই কম্বলপল্লিতে বর্তমানে ১৬৬ আইটেমের শীতের কাপড় তৈরি হয়। আশা করছি, এবারের মৌসুমে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে এই পল্লিতে। ব্যবসায়ীরা যদি স্বল্প সুদে ঋণ পেত, তাহলে এই শিল্পের আরও প্রসার ঘটত। পাশাপাশি নিরাপদে টাকা লেনদেনের জন্য এই বাজারে একটা ব্যাংকের খুব প্রয়োজন।’
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কাজীপুরের কম্বলশিল্প সারা দেশে ব্র্যান্ড। ঝামেলামুক্ত পরিবেশে দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকেরা। এতে এলাকার বেকারত্ব কমেছে। এই শিল্পের প্রসারে উপজেলা প্রশাসন পাশে আছে।’

প্রায় ৪০ বছর আগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পোশাক কারখানার পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে এনে এলাকায় শুরু করেন কম্বল তৈরি। সেই কম্বল সাইকেলে করে বিক্রি শুরু করেন বিভিন্ন গ্রামে। তাঁর দেখাদেখি কাজীপুরে কম্বল তৈরি শুরু করেন আরও অনেকে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁদের। কাজীপুর পরিচিত হয়ে উঠেছে কম্বলের পল্লি নামে। শীতের শুরুতে সেই কম্বলপল্লি সরগরম হয়ে উঠেছে। বিরামহীন কাজ করছেন কারিগরেরা। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে কম্বল।
সম্প্রতি উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারের কম্বলপল্লিতে গিয়ে দেখা গেছে, একমাত্র কারখানায় দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকেরা। বাহারি সুতায় বোনা হচ্ছে রঙিন কম্বল। শ্রমিকেরা কম্বল বিভিন্ন মাপে কেটে সেলাই মেশিনে দিচ্ছেন। সেগুলোর মুড়ি সেলাই করছেন কারিগরেরা। পরে ভাঁজ করে বিশেষ ব্যাগে ভরে গুদামে রাখা হচ্ছে। পাইকারেরা আসছেন, দেখছেন, দরদাম করছেন। পছন্দসই দাম হলে কিনে ট্রাকে ভরছেন।
এখন উপজেলার শিমুলদাইড়, বরশিভাঙ্গা, সাতকয়া, শ্যামপুর, ছালাভরা, কুনকুনিয়া, গাড়াবেড়, চকপাড়া, পাইকরতলী, ঢেকুরিয়া, বরইতলা, মুসলিমপাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৩০ থেকে ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ কম্বল তৈরির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আর এই কম্বলশিল্পের প্রাণকেন্দ্র শিমুলদাইড় বাজার। ২০ বছর ধরে এই বাজারে কম্বল তৈরির কাজ চলছে।
জানা গেছে, বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাস কম্বল ও শিশুদের শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন এখানকার কারিগর ও শ্রমিকেরা। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে পরিত্যক্ত কাপড় কিনে এনে তৈরি করা হয় জোড়া কম্বল। এই কম্বল সেলাই করে এখানকার হাজারো নারী-পুরুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে কম্বল তৈরির রোল কাপড় কেনা হয়। মানভেদে প্রতিটি কম্বল ১২০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। আর জোড়া কম্বল তৈরি করা হয় গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত কাপড় দিয়ে। সেগুলোর দাম মানভেদে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে জোড়া কম্বল তৈরি করেন গাড়াবেড় গ্রামের ফোলেরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আগে পায়ের মেশিন আছিল। তহন দিনে তিন থেকে চারটা কম্বল বানাছি। ১৫ টাকা করে মজুরি দিত। এহন কারেনের মেশিন কিনছি। সারা দিন কাম করলি দুই-আড়াই শ হয়। এই টাকা দিয়েই পোলাপানের পড়াশোনার খরচ, পরিবার চালাই।’

ছালাভরা গ্রামের আছিয়া বলেন, ‘২০ বছর ধরে জোড়া কম্বল বানাই। প্রতি কম্বলে মজুরি পাই ৩০ টাকা। একটা মেয়ে বিয়া দিছি, ছেলেকেও আইএ পাস করাছি। এই কাজ করে সবাই পরিবারের উন্নতি করতেছে।’
গাড়াবেড় গ্রামের নুরুল ইসলাম ছোটদের শীতের পাজামা আর হুডি তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন। এগুলো বিক্রি করে পরিবার চালান স্বাচ্ছন্দ্যে। ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাতে ভর্তি করিয়েছেন রুয়েটে। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘জ্যাকেট তৈরির বাছা কাপড় আমরা কিনে নিই। তারপর কারিগর দিয়ে শিশুদের পাজামা ও হুডি তৈরি করি। পরে শিমুলদাইড় বাজারে নিয়ে পাইকারি দিই। ৯ টাকা থেকে শুরু করে ৪৮ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি করি প্রতিটি।’
অনলাইনে কম্বল বিক্রেতা হালিম বলেন, ‘সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করি। আমাদের একটা ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন অন্তত দুই ট্রাক কম্বল ডেলিভারি হয়।’
কম্বল তৈরির কারখানা ও মেসার্স সহি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমাদের এই কম্বলপল্লিতে বর্তমানে ১৬৬ আইটেমের শীতের কাপড় তৈরি হয়। আশা করছি, এবারের মৌসুমে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে এই পল্লিতে। ব্যবসায়ীরা যদি স্বল্প সুদে ঋণ পেত, তাহলে এই শিল্পের আরও প্রসার ঘটত। পাশাপাশি নিরাপদে টাকা লেনদেনের জন্য এই বাজারে একটা ব্যাংকের খুব প্রয়োজন।’
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কাজীপুরের কম্বলশিল্প সারা দেশে ব্র্যান্ড। ঝামেলামুক্ত পরিবেশে দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকেরা। এতে এলাকার বেকারত্ব কমেছে। এই শিল্পের প্রসারে উপজেলা প্রশাসন পাশে আছে।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২১ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

প্রায় ৪০ বছর আগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পোশাক কারখানার পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে এনে এলাকায় শুরু করেন কম্বল তৈরি।
১২ দিন আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

প্রায় ৪০ বছর আগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পোশাক কারখানার পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে এনে এলাকায় শুরু করেন কম্বল তৈরি।
১২ দিন আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২১ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

প্রায় ৪০ বছর আগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পোশাক কারখানার পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে এনে এলাকায় শুরু করেন কম্বল তৈরি।
১২ দিন আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২১ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

প্রায় ৪০ বছর আগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পোশাক কারখানার পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে এনে এলাকায় শুরু করেন কম্বল তৈরি।
১২ দিন আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২১ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে