Ajker Patrika

রংপুরে নেসকোর প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবি

রংপুর প্রতিনিধি
প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জবরদস্তিমূলক প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ গ্রাহক ও নাগরিক সমাজ। জনস্বার্থ উপেক্ষা করে নেসকোর চাপের মুখে বাড়ি বাড়ি প্রি-পেইড মিটার বসানোর অভিযোগ তুলে রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে।

আজ রোববার বেলা ২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগের নেতৃত্বে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। প্রি-পেইড মিটার পদ্ধতিতে আর্থিক ক্ষতি, তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হওয়া ও হয়রানির আশঙ্কায় গ্রাহকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন, নীরেন্দ্রনাথ রায়, আব্দুল জব্বার, এ বি এম মসিউর রহমান, অ্যাডভোকেট খায়রুল ইসলাম বাপ্পী, আলোকচিত্রী ফিরোজ চৌধুরী, আব্দুল হামিদ বাবু, মাহফুজার রহমান, অ্যাডভোকেট শারমিন আক্তার, অ্যাডভোকেট মামুন, সবুজ রায়, নুরুন্নবী বুলবুল প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) রংপুর নগরীতে বাসা-বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম জোরদার করেছে। গ্রাহকদের আপত্তি ও আগের প্রশাসনিক নির্দেশনা সত্ত্বেও নেসকো বিভিন্ন কৌশলে জোরপূর্বক মিটার স্থাপন করছে। অনেক ক্ষেত্রে জবরদস্তির অভিযোগও উঠেছে। স্মারকলিপিতে অবিলম্বে হয়রানিমূলক প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধ এবং ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়।

রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ বলেন, গ্রাহকদের মতামত গণশুনানি ছাড়াই নেসকো একতরফাভাবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে। প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে আগাম অর্থ পরিশোধ, ব্যালেন্স শেষ হলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকি এবং মিটার ভাড়া, এজেন্ট কমিশন, জরিমানা ও সারচার্জসহ নানা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের, যা বিদ্যুৎ আইন ২০০৩-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

পলাশ কান্তি নাগ আরও বলেন, প্রি-পেইড মিটার পদ্ধতি চালুর পেছনে রাজনৈতিক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট লাভবান হচ্ছে। বিগত সরকার আমলে নেওয়া সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় নির্দিষ্ট একটি চক্রকে সুবিধা দিতে কোটি কোটি টাকার মিটার কেনাসহ অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, প্রি-পেইড মিটারে ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে সুদসহ জরিমানা দিতে হচ্ছে। সার্ভার ডাউন হলে গ্রাহকেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্ধকারে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষি খাতে সেচপাম্প ব্যবহারকারীরা আগের মতো বাকিতে বিদ্যুৎ নিতে পারছেন না, ফলে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি এ পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ বিভাগের হাজারো কর্মচারীর চাকরি হারানোর আশঙ্কাও রয়েছে। এ বিষয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান বলেন, ‘স্মারকলিপি পেয়েছি। খুব দ্রুত তা ফরওয়ার্ড করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ