সাইফুল মাসুম, ঢাকা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কৃষক আওলাদ হোসেন এ বছর সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। খুব ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপদে পড়েছেন তিনি। উপজেলার নেপচুন কোল্ডস্টোরেজের সামনে দুই দিন অপেক্ষা করেও ২০০ বস্তা আলু রাখতে পারেননি। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের জায়গা শতভাগ পূর্ণ হয়ে গেছে। ভালো ফলনের ‘বাড়তি আলু’ এখন যেন বোঝা হয়ে চেপেছে আওলাদ হোসেনের ওপর।
অন্যতম শীর্ষ আলু উৎপাদনের জেলা মুন্সিগঞ্জে এবার ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। জেলায় আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগার আছে ১০টি, যার সবগুলোই এখন ভর্তি। মুন্সিগঞ্জের স্থানীয়দের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের আলুতে হিমাগারগুলো ভরা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেপচুন কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার রুহুল আমিন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা উত্তরবঙ্গ থেকে আলু এনে মজুত করেন। এতে আমাদের কী করার আছে?’
যেসব জেলায় উৎপাদন বেশি হয়েছে, সবখানেই সংরক্ষণের সমস্যা। বিপদে পড়ে কৃষক উৎপাদন খরচের প্রায় অর্ধেক দামে পর্যন্ত আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, আলু সংরক্ষণের এ সমস্যা নিরসনে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে মত জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাসির-উদ-দৌলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা হিমাগারে আলু সংরক্ষণের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছি। আমরা চাই, তা হিমাগারমালিকেরা অনুসরণ করুক। তবে জনবলসংকটের কারণে ঠিকমতো তদারকি সম্ভব হয় না।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংসের তথ্য অনুসারে, ২০২৪-২৫ রবি মৌসুমে ৪ লাখ ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু চাষ হয়েছে অনেকটাই বেশি, ৫ লাখ ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে।
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ১৩ লাখ টন থাকলেও হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টন। প্রসঙ্গত, দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টনের কিছু বেশি।
হিমাগারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে আলু সংরক্ষণের জন্য প্রায় ৪০০ হিমাগার রয়েছে। এগুলোতে আলু সংরক্ষণের সক্ষমতা ৩৫ লাখ টন।
এবার সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে রংপুর জেলায়, ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে। সেখানে হিমাগার-সংকট চরমে। দুই একর জমিতে আলু চাষ করেছেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সরকারপাড়া গ্রামের কৃষক সাদেকুল ইসলাম। তাঁর বাড়ির দুই কিলোমিটারের মধ্যে দুটি হিমাগার থাকলেও সেখানে জায়গার সংকটে আলু সংরক্ষণ করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে লোকসানে বিক্রি করেছেন। আক্ষেপ করে সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘আলুতে কেজিপ্রতি ২০ টাকা উৎপাদন খরচ হয়েছে। সেই আলু ১২-১৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। অগ্রিম বুকিং দিতে পারি নাই বলে বাড়ির কাছেই দুটি কোল্ডস্টোরেজ থাকলেও আলু সংরক্ষণ করতে পারি নাই।’
তারাগঞ্জের সিনহা হিমাগারের সামনে বস্তা স্তূপ করে রাখার পাঁচ দিন পর উৎপাদিত আলুর মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ সংরক্ষণ করতে পেরেছেন কৃষক নাহিদুজ্জামান। উপজেলার ব্রাদার্স কোল্ডস্টোরেজের ব্যবস্থাপক লোকমান খান বলেন, ‘আমাদের হিমাগার ভরে গেছে। আর আলু নিচ্ছি না বলে এলাকায় মাইকিংও করছি। কিন্তু তারপরও প্রতিদিন লোকে আলু নিয়ে এসে ফেরত যাচ্ছে। আমরা সরকার-নির্ধারিত দামেই আলু সংরক্ষণ করছি।’
আলু সংরক্ষণের সরকার-নির্ধারিত দাম নিয়ে হিমাগারগুলোর আপত্তি রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় এ বছর প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণের দাম ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে। বগুড়া সদরের ঘোলাগাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, মৌখিকভাবে তাঁকে হিমাগার থেকে বলা হয়েছে, কেজিপ্রতি ৮ টাকা দিতে হবে।
উৎপাদনে দেশে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বগুড়া জেলায় এবার আলু চাষ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে।
হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যে আলু সংরক্ষণ করলে হিমাগারমালিকেরা প্রতি কেজিতে দেড় টাকা লোকসানে পড়বেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণে খরচ হয় ৮ টাকার ওপরে। লস হলেও সরকারের নির্ধারিত দামে আলু রাখতে বাধ্য হচ্ছি। নইলে হয়তো মব সৃষ্টি করে হিমাগারে হামলা করবে। রংপুর, ঠাকুরগাঁওয়ে হিমাগার ভাঙচুর হয়েছে। রাজশাহীতে বিক্ষোভ হয়েছে।’
আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, আলু হিমাগারে রাখার সময় দরদাম ঠিক করা হয় না। হিমাগার থেকে আলু বের করার সময় দাম মেটাতে হয়। তবে কোনো কোনো হিমাগার কর্তৃপক্ষ অগ্রিম ভাড়া নিয়ে নেয়।
হিমাগারভাড়াসহ সার্বিক বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়ে ঠিকমতো নজরদারি না করলে নির্দেশনা কাজ করবে না। হিমাগার মালিকদের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও সরকারের খেয়াল রাখতে হবে। আলু রপ্তানির বিষয়ে মনোযোগ বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে রপ্তানিতে প্রণোদনা বাড়িয়ে দিতে হবে।
{প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার রংপুর, বগুড়া, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) ও বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি}

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কৃষক আওলাদ হোসেন এ বছর সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। খুব ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপদে পড়েছেন তিনি। উপজেলার নেপচুন কোল্ডস্টোরেজের সামনে দুই দিন অপেক্ষা করেও ২০০ বস্তা আলু রাখতে পারেননি। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের জায়গা শতভাগ পূর্ণ হয়ে গেছে। ভালো ফলনের ‘বাড়তি আলু’ এখন যেন বোঝা হয়ে চেপেছে আওলাদ হোসেনের ওপর।
অন্যতম শীর্ষ আলু উৎপাদনের জেলা মুন্সিগঞ্জে এবার ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। জেলায় আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগার আছে ১০টি, যার সবগুলোই এখন ভর্তি। মুন্সিগঞ্জের স্থানীয়দের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের আলুতে হিমাগারগুলো ভরা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেপচুন কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার রুহুল আমিন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা উত্তরবঙ্গ থেকে আলু এনে মজুত করেন। এতে আমাদের কী করার আছে?’
যেসব জেলায় উৎপাদন বেশি হয়েছে, সবখানেই সংরক্ষণের সমস্যা। বিপদে পড়ে কৃষক উৎপাদন খরচের প্রায় অর্ধেক দামে পর্যন্ত আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, আলু সংরক্ষণের এ সমস্যা নিরসনে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে মত জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাসির-উদ-দৌলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা হিমাগারে আলু সংরক্ষণের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছি। আমরা চাই, তা হিমাগারমালিকেরা অনুসরণ করুক। তবে জনবলসংকটের কারণে ঠিকমতো তদারকি সম্ভব হয় না।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংসের তথ্য অনুসারে, ২০২৪-২৫ রবি মৌসুমে ৪ লাখ ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু চাষ হয়েছে অনেকটাই বেশি, ৫ লাখ ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে।
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ১৩ লাখ টন থাকলেও হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টন। প্রসঙ্গত, দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টনের কিছু বেশি।
হিমাগারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে আলু সংরক্ষণের জন্য প্রায় ৪০০ হিমাগার রয়েছে। এগুলোতে আলু সংরক্ষণের সক্ষমতা ৩৫ লাখ টন।
এবার সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে রংপুর জেলায়, ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে। সেখানে হিমাগার-সংকট চরমে। দুই একর জমিতে আলু চাষ করেছেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সরকারপাড়া গ্রামের কৃষক সাদেকুল ইসলাম। তাঁর বাড়ির দুই কিলোমিটারের মধ্যে দুটি হিমাগার থাকলেও সেখানে জায়গার সংকটে আলু সংরক্ষণ করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে লোকসানে বিক্রি করেছেন। আক্ষেপ করে সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘আলুতে কেজিপ্রতি ২০ টাকা উৎপাদন খরচ হয়েছে। সেই আলু ১২-১৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। অগ্রিম বুকিং দিতে পারি নাই বলে বাড়ির কাছেই দুটি কোল্ডস্টোরেজ থাকলেও আলু সংরক্ষণ করতে পারি নাই।’
তারাগঞ্জের সিনহা হিমাগারের সামনে বস্তা স্তূপ করে রাখার পাঁচ দিন পর উৎপাদিত আলুর মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ সংরক্ষণ করতে পেরেছেন কৃষক নাহিদুজ্জামান। উপজেলার ব্রাদার্স কোল্ডস্টোরেজের ব্যবস্থাপক লোকমান খান বলেন, ‘আমাদের হিমাগার ভরে গেছে। আর আলু নিচ্ছি না বলে এলাকায় মাইকিংও করছি। কিন্তু তারপরও প্রতিদিন লোকে আলু নিয়ে এসে ফেরত যাচ্ছে। আমরা সরকার-নির্ধারিত দামেই আলু সংরক্ষণ করছি।’
আলু সংরক্ষণের সরকার-নির্ধারিত দাম নিয়ে হিমাগারগুলোর আপত্তি রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় এ বছর প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণের দাম ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে। বগুড়া সদরের ঘোলাগাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, মৌখিকভাবে তাঁকে হিমাগার থেকে বলা হয়েছে, কেজিপ্রতি ৮ টাকা দিতে হবে।
উৎপাদনে দেশে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বগুড়া জেলায় এবার আলু চাষ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে।
হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যে আলু সংরক্ষণ করলে হিমাগারমালিকেরা প্রতি কেজিতে দেড় টাকা লোকসানে পড়বেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণে খরচ হয় ৮ টাকার ওপরে। লস হলেও সরকারের নির্ধারিত দামে আলু রাখতে বাধ্য হচ্ছি। নইলে হয়তো মব সৃষ্টি করে হিমাগারে হামলা করবে। রংপুর, ঠাকুরগাঁওয়ে হিমাগার ভাঙচুর হয়েছে। রাজশাহীতে বিক্ষোভ হয়েছে।’
আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, আলু হিমাগারে রাখার সময় দরদাম ঠিক করা হয় না। হিমাগার থেকে আলু বের করার সময় দাম মেটাতে হয়। তবে কোনো কোনো হিমাগার কর্তৃপক্ষ অগ্রিম ভাড়া নিয়ে নেয়।
হিমাগারভাড়াসহ সার্বিক বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়ে ঠিকমতো নজরদারি না করলে নির্দেশনা কাজ করবে না। হিমাগার মালিকদের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও সরকারের খেয়াল রাখতে হবে। আলু রপ্তানির বিষয়ে মনোযোগ বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে রপ্তানিতে প্রণোদনা বাড়িয়ে দিতে হবে।
{প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার রংপুর, বগুড়া, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) ও বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি}

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৪ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কৃষক আওলাদ হোসেন এ বছর সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। খুব ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপদে পড়েছেন তিনি। উপজেলার নেপচুন কোল্ডস্টোরেজের সামনে দুই দিন অপেক্ষা করেও ২০০ বস্তা আলু রাখতে পারেননি।
৩০ মার্চ ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কৃষক আওলাদ হোসেন এ বছর সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। খুব ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপদে পড়েছেন তিনি। উপজেলার নেপচুন কোল্ডস্টোরেজের সামনে দুই দিন অপেক্ষা করেও ২০০ বস্তা আলু রাখতে পারেননি।
৩০ মার্চ ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৪ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কৃষক আওলাদ হোসেন এ বছর সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। খুব ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপদে পড়েছেন তিনি। উপজেলার নেপচুন কোল্ডস্টোরেজের সামনে দুই দিন অপেক্ষা করেও ২০০ বস্তা আলু রাখতে পারেননি।
৩০ মার্চ ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৪ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৩ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কৃষক আওলাদ হোসেন এ বছর সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। খুব ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপদে পড়েছেন তিনি। উপজেলার নেপচুন কোল্ডস্টোরেজের সামনে দুই দিন অপেক্ষা করেও ২০০ বস্তা আলু রাখতে পারেননি।
৩০ মার্চ ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৪ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে