Ajker Patrika

শিশু আয়ানের মৃত্যু: চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার না করলে হাসপাতাল ঘেরাওয়ের আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ৫৫
শিশু আয়ানের মৃত্যু: চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার না করলে হাসপাতাল ঘেরাওয়ের আলটিমেটাম

সুন্নতে খাতনার সময় অতিরিক্ত চেতনানাশক প্রয়োগসহ নানা ভুল চিকিৎসায় প্রাণ হারায় শিশু আয়ান। এমন অভিযোগ তুলে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে আয়ানের স্বজন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আন্দোলন নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তার না করা হলে হাসপাতালটি ঘেরাওয়ের ঘোষণা এসেছে তাদের পক্ষ থেকে। 

আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকার বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতালের ভুল চিকিৎসা শিশু আয়ানের মৃত্যুর প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন ঘোষণা দেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক নাজমুল হাসান। 

নাজমুল হাসান বলেন, ‘ভুল চিকিৎসার কারণে যে শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তার পরিবারকে যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ চিকিৎসায় জড়িত চিকিৎসকদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আজকের এই মানববন্ধন থেকে আমরা বলতে চাই—আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডাক্তার সাব্বির, ডাক্তার তাসনুভা মেহজাবিনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতাল ঘেরাও করা হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শিশু আয়ানের সুন্নতে খাতনায় যেন কষ্ট না হয়, সে জন্য দেশের নামকরা একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর সুন্নতে খাতনা করানোর আগে তার বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছিল। তখন তার কোনো ধরনের সমস্যা ছিল না। ডাক্তার তার রিপোর্ট দেখে বলেছিলেন, আয়ানের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক। শিশু আয়ান তখন হেঁটে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারে ঢোকে।’ 

সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, ‘আয়ানকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর চিকিৎসক সাব্বির তাকে অতিমাত্রায় অ্যানেসথেসিয়া দেন। ডাক্তার সাব্বির ১৯ বছরের অভিজ্ঞ অ্যানেসথেসিয়ান। এরপর সার্জারি ডাক্তার তাসনুভা মেহজাবিনসহ বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন ডাক্তারকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্লাস করানো হয়। যার ফলে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। এই ডাক্তারদের মানুষের প্রতি বিন্দুমাত্র মায়া নেই।’ 

মৃত্যুর খবর ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই ৭ জানুয়ারি রাত ১২টায় শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘোষণা করা হয়—এমন অভিযোগ করে নাজমুল হাসান বলেন, ‘এরপর ডাক্তাররা শিশু আয়ানকে তড়িঘড়ি করে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠায়। তারা চেয়েছিল অন্য সব ঘটনার মতো এই ঘটনাও যেন ধামাচাপা পড়ে যায়। এ জন্যই ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন শিশু আয়ানের মৃত্যুর খবর তারা ঘোষণা করে। যাতে নির্বাচনের কারণে এই খবরটা ধামাচাপা পড়ে যায়।’ 

আয়ানের মৃত্যুশোকে তারা মা-বাবা এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ কারণে তাঁরা মানববন্ধনে আসতে পারেননি বলে জানিয়ে নিহত শিশু আয়ানের চাচা মো. মানিক বলেন, ‘আমার ভাইস্তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে আমরা ডাক্তারদের অবহেলাকে দায়ী মনে করছি। প্রথমত, তাকে অতিরিক্ত অ্যানেসথেসিয়া (চেতনানাশক) প্রদান করা হয়। তারপর আয়ানের যখন জ্ঞান ফিরছিল না, তখন ডাক্তার তাকে রক্ত দিতে বলেন। কিন্তু অন্য সবাইকে যেভাবে রক্ত দেওয়া হয় এক ফোঁটা-এক ফোঁটা করে, তাকে সেভাবে দেওয়া হয়নি। ডাক্তাররা তড়িঘড়ি করে তাকে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে রক্ত দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছি—এভাবে কখনো কাউকে রক্ত দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আমরা জিজ্ঞেস করলে, তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বলে, আপনারা বেশি বোঝেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকার একটা বিল তৈরি করে আমাদের ছেড়ে দেয়। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে, এই টাকা নিয়ে আপাতত আপনাদের টেনশন করতে হবে না, যখন সময় হবে আস্তে-ধীরে বিল পরিশোধ করে দিয়েন। এরপর আয়ানকে সেখান থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গোসল করানো হয়। পরে আয়ানকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাফন করা হয়।’ 

মানববন্ধন আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য মো. রাকিব হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার সম্রাট ও নেওয়াজ খান বাপ্পী। 

আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেছেন তার বাবা মো. শামীম আহমেদ। এতে আসামি করা হয় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া স্পেশালিস্ট চিকিৎসক সাইদ সাব্বির আহম্মেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তাসনুভা মাহজাবিন, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অজ্ঞাতনামা পরিচালক, চিকিৎসক ও অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’

নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’

বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।

এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।

এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।

কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত