শিমুল চৌধুরী, ভোলা

কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভোলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার মৃত্যুর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে ইপ্সিতার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করে ইপ্সিতার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। এরই মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজের বহুতল ভবন থেকে ইপ্সিতার আত্মহত্যার চেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভোলা সরকারি কলেজের চারতলা একটি ভবনের কার্নিশ থেকে নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন ইপ্সিতা। একপর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ইপ্সিতাকে আটকে দেন। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী তাঁকে দ্রুত কার্নিশ থেকে ওপরে তুলে আনেন। তখন ইপ্সিতার পরনে কলেজের ড্রেস ছিল না। পরে তাঁকে অক্ষত অবস্থায় সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়।
আজ বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে কথা হয় ঘটনার ওই দিনের প্রত্যক্ষদর্শী মো. রাজিবের সঙ্গে। তিনি ভোলা সরকারি কলেজের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এইচএসসি শিক্ষার্থীদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছি। গত প্রায় এক মাস আগে আমি যখন কলেজের এক্সাম ভবনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন প্রথমে কয়েকজন ছাত্র আমাকে ওপরে দেখিয়ে বলল, এক ছাত্রী এক্সাম ভবনের নিচতলায় কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে। আমি দেখতে পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হয়ে যাই। আর মনে মনে ভাবছি, কী করব আমি? একা একটি মেয়েকে কি বাঁচানো সম্ভব। ঠিক সেই মুহূর্তে এইচএসসির কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে তাৎক্ষণিক ওপরে উঠি। পরে কয়েকজন ছাত্রীকে দিয়ে মেয়েটিকে ওপরে তুলে আনি।
এরপর কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে গেলে স্যার মেয়েটির বাবা-মাকে খবর দিয়ে এনে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করেন।’ রাজিব আরও বলেন, মেয়েটিকে হতাশাগ্রস্ত মনে হয়েছিল।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী কলেজের মৃত্তিকা বিভাগের অতিথি শিক্ষক মো. ইমরান বলেন, ‘হঠাৎ কলেজের ড্রেস ছাড়া এক ছাত্রীকে এক্সাম ভবনের চারতলার কার্নিশে দেখে আমাদের অফিস সহকারী রাজিবকে ওপরে পাঠাই। তখন রাজিব কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তবে মেয়েটিকে হতাশাগ্রস্ত দেখা গেছে।
কারণ, সে নিচে কিছুক্ষণ ধরে ভাবছিল। মনে হচ্ছে, সে নিচে লাফ দেবে কি না, ভাবছে। তখন চিন্তা করলাম, সে যেকোনো মুহূর্তে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। তাই দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছি। তখন নিচ থেকে আমাদের কয়েকজন ছাত্র ভিডিওটি তাদের মোবাইলে ধারণ করে।’
মো. ইমরান আরও বলেন, ‘ওই ঘটনার পরে ইপ্সিতার সহপাঠী কয়েকজনকে বলেছিলাম, সে কেন এমন কাজটি করতে চাইল জিজ্ঞেস করো। তখন তারা আমাকে বলল, স্যার, ইপ্সিতা যেকোনো কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। অনেক সময়েই হতাশায় ছিল। কিন্তু কেন হতাশাগ্রস্ত, তা বলবে বলবে বলে আর বলা হয়নি।’
এদিকে কলেজের শিক্ষার্থী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার মৃত্যুর রহস্য নিয়ে লক্ষ্মীপুর থানা-পুলিশ ও নৌ পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ। তিনি আরও জানান, তাদের সহায়তার জন্য ভোলা থানা-পুলিশও তৎপর রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর থানার ওসি মো. মোন্নাফ বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৭ জুন ভোলা থেকে কর্ণফুলী-৪ লঞ্চে উঠে মাঝনদীতে ঝাঁপ দেন কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতা। নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদী থেকে ইপ্সিতার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ভিকটিমের বাবা একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও খবর পড়ুন:

কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভোলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার মৃত্যুর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে ইপ্সিতার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করে ইপ্সিতার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। এরই মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজের বহুতল ভবন থেকে ইপ্সিতার আত্মহত্যার চেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভোলা সরকারি কলেজের চারতলা একটি ভবনের কার্নিশ থেকে নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন ইপ্সিতা। একপর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ইপ্সিতাকে আটকে দেন। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী তাঁকে দ্রুত কার্নিশ থেকে ওপরে তুলে আনেন। তখন ইপ্সিতার পরনে কলেজের ড্রেস ছিল না। পরে তাঁকে অক্ষত অবস্থায় সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়।
আজ বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে কথা হয় ঘটনার ওই দিনের প্রত্যক্ষদর্শী মো. রাজিবের সঙ্গে। তিনি ভোলা সরকারি কলেজের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এইচএসসি শিক্ষার্থীদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছি। গত প্রায় এক মাস আগে আমি যখন কলেজের এক্সাম ভবনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন প্রথমে কয়েকজন ছাত্র আমাকে ওপরে দেখিয়ে বলল, এক ছাত্রী এক্সাম ভবনের নিচতলায় কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে। আমি দেখতে পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হয়ে যাই। আর মনে মনে ভাবছি, কী করব আমি? একা একটি মেয়েকে কি বাঁচানো সম্ভব। ঠিক সেই মুহূর্তে এইচএসসির কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে তাৎক্ষণিক ওপরে উঠি। পরে কয়েকজন ছাত্রীকে দিয়ে মেয়েটিকে ওপরে তুলে আনি।
এরপর কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে গেলে স্যার মেয়েটির বাবা-মাকে খবর দিয়ে এনে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করেন।’ রাজিব আরও বলেন, মেয়েটিকে হতাশাগ্রস্ত মনে হয়েছিল।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী কলেজের মৃত্তিকা বিভাগের অতিথি শিক্ষক মো. ইমরান বলেন, ‘হঠাৎ কলেজের ড্রেস ছাড়া এক ছাত্রীকে এক্সাম ভবনের চারতলার কার্নিশে দেখে আমাদের অফিস সহকারী রাজিবকে ওপরে পাঠাই। তখন রাজিব কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তবে মেয়েটিকে হতাশাগ্রস্ত দেখা গেছে।
কারণ, সে নিচে কিছুক্ষণ ধরে ভাবছিল। মনে হচ্ছে, সে নিচে লাফ দেবে কি না, ভাবছে। তখন চিন্তা করলাম, সে যেকোনো মুহূর্তে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। তাই দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছি। তখন নিচ থেকে আমাদের কয়েকজন ছাত্র ভিডিওটি তাদের মোবাইলে ধারণ করে।’
মো. ইমরান আরও বলেন, ‘ওই ঘটনার পরে ইপ্সিতার সহপাঠী কয়েকজনকে বলেছিলাম, সে কেন এমন কাজটি করতে চাইল জিজ্ঞেস করো। তখন তারা আমাকে বলল, স্যার, ইপ্সিতা যেকোনো কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। অনেক সময়েই হতাশায় ছিল। কিন্তু কেন হতাশাগ্রস্ত, তা বলবে বলবে বলে আর বলা হয়নি।’
এদিকে কলেজের শিক্ষার্থী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার মৃত্যুর রহস্য নিয়ে লক্ষ্মীপুর থানা-পুলিশ ও নৌ পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ। তিনি আরও জানান, তাদের সহায়তার জন্য ভোলা থানা-পুলিশও তৎপর রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর থানার ওসি মো. মোন্নাফ বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৭ জুন ভোলা থেকে কর্ণফুলী-৪ লঞ্চে উঠে মাঝনদীতে ঝাঁপ দেন কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতা। নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদী থেকে ইপ্সিতার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ভিকটিমের বাবা একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও খবর পড়ুন:
শিমুল চৌধুরী, ভোলা

কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভোলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার মৃত্যুর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে ইপ্সিতার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করে ইপ্সিতার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। এরই মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজের বহুতল ভবন থেকে ইপ্সিতার আত্মহত্যার চেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভোলা সরকারি কলেজের চারতলা একটি ভবনের কার্নিশ থেকে নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন ইপ্সিতা। একপর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ইপ্সিতাকে আটকে দেন। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী তাঁকে দ্রুত কার্নিশ থেকে ওপরে তুলে আনেন। তখন ইপ্সিতার পরনে কলেজের ড্রেস ছিল না। পরে তাঁকে অক্ষত অবস্থায় সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়।
আজ বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে কথা হয় ঘটনার ওই দিনের প্রত্যক্ষদর্শী মো. রাজিবের সঙ্গে। তিনি ভোলা সরকারি কলেজের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এইচএসসি শিক্ষার্থীদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছি। গত প্রায় এক মাস আগে আমি যখন কলেজের এক্সাম ভবনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন প্রথমে কয়েকজন ছাত্র আমাকে ওপরে দেখিয়ে বলল, এক ছাত্রী এক্সাম ভবনের নিচতলায় কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে। আমি দেখতে পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হয়ে যাই। আর মনে মনে ভাবছি, কী করব আমি? একা একটি মেয়েকে কি বাঁচানো সম্ভব। ঠিক সেই মুহূর্তে এইচএসসির কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে তাৎক্ষণিক ওপরে উঠি। পরে কয়েকজন ছাত্রীকে দিয়ে মেয়েটিকে ওপরে তুলে আনি।
এরপর কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে গেলে স্যার মেয়েটির বাবা-মাকে খবর দিয়ে এনে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করেন।’ রাজিব আরও বলেন, মেয়েটিকে হতাশাগ্রস্ত মনে হয়েছিল।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী কলেজের মৃত্তিকা বিভাগের অতিথি শিক্ষক মো. ইমরান বলেন, ‘হঠাৎ কলেজের ড্রেস ছাড়া এক ছাত্রীকে এক্সাম ভবনের চারতলার কার্নিশে দেখে আমাদের অফিস সহকারী রাজিবকে ওপরে পাঠাই। তখন রাজিব কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তবে মেয়েটিকে হতাশাগ্রস্ত দেখা গেছে।
কারণ, সে নিচে কিছুক্ষণ ধরে ভাবছিল। মনে হচ্ছে, সে নিচে লাফ দেবে কি না, ভাবছে। তখন চিন্তা করলাম, সে যেকোনো মুহূর্তে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। তাই দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছি। তখন নিচ থেকে আমাদের কয়েকজন ছাত্র ভিডিওটি তাদের মোবাইলে ধারণ করে।’
মো. ইমরান আরও বলেন, ‘ওই ঘটনার পরে ইপ্সিতার সহপাঠী কয়েকজনকে বলেছিলাম, সে কেন এমন কাজটি করতে চাইল জিজ্ঞেস করো। তখন তারা আমাকে বলল, স্যার, ইপ্সিতা যেকোনো কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। অনেক সময়েই হতাশায় ছিল। কিন্তু কেন হতাশাগ্রস্ত, তা বলবে বলবে বলে আর বলা হয়নি।’
এদিকে কলেজের শিক্ষার্থী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার মৃত্যুর রহস্য নিয়ে লক্ষ্মীপুর থানা-পুলিশ ও নৌ পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ। তিনি আরও জানান, তাদের সহায়তার জন্য ভোলা থানা-পুলিশও তৎপর রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর থানার ওসি মো. মোন্নাফ বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৭ জুন ভোলা থেকে কর্ণফুলী-৪ লঞ্চে উঠে মাঝনদীতে ঝাঁপ দেন কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতা। নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদী থেকে ইপ্সিতার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ভিকটিমের বাবা একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও খবর পড়ুন:

কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভোলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার মৃত্যুর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে ইপ্সিতার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করে ইপ্সিতার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। এরই মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজের বহুতল ভবন থেকে ইপ্সিতার আত্মহত্যার চেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভোলা সরকারি কলেজের চারতলা একটি ভবনের কার্নিশ থেকে নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন ইপ্সিতা। একপর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ইপ্সিতাকে আটকে দেন। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী তাঁকে দ্রুত কার্নিশ থেকে ওপরে তুলে আনেন। তখন ইপ্সিতার পরনে কলেজের ড্রেস ছিল না। পরে তাঁকে অক্ষত অবস্থায় সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়।
আজ বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে কথা হয় ঘটনার ওই দিনের প্রত্যক্ষদর্শী মো. রাজিবের সঙ্গে। তিনি ভোলা সরকারি কলেজের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এইচএসসি শিক্ষার্থীদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছি। গত প্রায় এক মাস আগে আমি যখন কলেজের এক্সাম ভবনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন প্রথমে কয়েকজন ছাত্র আমাকে ওপরে দেখিয়ে বলল, এক ছাত্রী এক্সাম ভবনের নিচতলায় কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে। আমি দেখতে পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হয়ে যাই। আর মনে মনে ভাবছি, কী করব আমি? একা একটি মেয়েকে কি বাঁচানো সম্ভব। ঠিক সেই মুহূর্তে এইচএসসির কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে তাৎক্ষণিক ওপরে উঠি। পরে কয়েকজন ছাত্রীকে দিয়ে মেয়েটিকে ওপরে তুলে আনি।
এরপর কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে গেলে স্যার মেয়েটির বাবা-মাকে খবর দিয়ে এনে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করেন।’ রাজিব আরও বলেন, মেয়েটিকে হতাশাগ্রস্ত মনে হয়েছিল।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী কলেজের মৃত্তিকা বিভাগের অতিথি শিক্ষক মো. ইমরান বলেন, ‘হঠাৎ কলেজের ড্রেস ছাড়া এক ছাত্রীকে এক্সাম ভবনের চারতলার কার্নিশে দেখে আমাদের অফিস সহকারী রাজিবকে ওপরে পাঠাই। তখন রাজিব কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তবে মেয়েটিকে হতাশাগ্রস্ত দেখা গেছে।
কারণ, সে নিচে কিছুক্ষণ ধরে ভাবছিল। মনে হচ্ছে, সে নিচে লাফ দেবে কি না, ভাবছে। তখন চিন্তা করলাম, সে যেকোনো মুহূর্তে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। তাই দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছি। তখন নিচ থেকে আমাদের কয়েকজন ছাত্র ভিডিওটি তাদের মোবাইলে ধারণ করে।’
মো. ইমরান আরও বলেন, ‘ওই ঘটনার পরে ইপ্সিতার সহপাঠী কয়েকজনকে বলেছিলাম, সে কেন এমন কাজটি করতে চাইল জিজ্ঞেস করো। তখন তারা আমাকে বলল, স্যার, ইপ্সিতা যেকোনো কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। অনেক সময়েই হতাশায় ছিল। কিন্তু কেন হতাশাগ্রস্ত, তা বলবে বলবে বলে আর বলা হয়নি।’
এদিকে কলেজের শিক্ষার্থী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার মৃত্যুর রহস্য নিয়ে লক্ষ্মীপুর থানা-পুলিশ ও নৌ পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ। তিনি আরও জানান, তাদের সহায়তার জন্য ভোলা থানা-পুলিশও তৎপর রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর থানার ওসি মো. মোন্নাফ বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৭ জুন ভোলা থেকে কর্ণফুলী-৪ লঞ্চে উঠে মাঝনদীতে ঝাঁপ দেন কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতা। নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদী থেকে ইপ্সিতার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ভিকটিমের বাবা একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও খবর পড়ুন:

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
১৩ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
১৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করে সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। এরই মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজের বহুতল ভবন থেকে ইপ্সিতার আত্মহত্যাচেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
২৫ জুন ২০২৫
রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
১৩ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
১৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
আটক যুবকের নাম মো. আরাফাত জামান (৩৯)। তিনি ধানমন্ডীর জিগাতলা এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কর্মসূচি চলাকালে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও উপস্থিত সাধারণ জনতা সন্দেহজনক আচরণের কারণে ওই যুবককে আটক করে। পরে তাঁর হেফাজত থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয় এবং পরে পুলিশে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচি থেকে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ জনতা খেলনা পিস্তলসহ একজনকে আটক করে। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
আটক যুবকের নাম মো. আরাফাত জামান (৩৯)। তিনি ধানমন্ডীর জিগাতলা এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কর্মসূচি চলাকালে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও উপস্থিত সাধারণ জনতা সন্দেহজনক আচরণের কারণে ওই যুবককে আটক করে। পরে তাঁর হেফাজত থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয় এবং পরে পুলিশে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচি থেকে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ জনতা খেলনা পিস্তলসহ একজনকে আটক করে। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করে সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। এরই মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজের বহুতল ভবন থেকে ইপ্সিতার আত্মহত্যাচেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
২৫ জুন ২০২৫
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১০ মিনিট আগে
পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
১৩ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
১৮ মিনিট আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের। শীত থেকে বাঁচার মতো প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ও নেই শ্রমিকদের। একই সঙ্গে ঠান্ডার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাগানের বয়স্ক থেকে শিশুরা।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে।
সূর্যের দেখা না মেলায় ও ঘন কুয়াশা থাকায় মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই ঠান্ডার মধ্যেই গাছ-গাছালিতে ঘেরা চা-বাগানগুলোয় সকাল থেকে কাজে নেমে পড়ছেন চা-শ্রমিকের। তাঁদের পরনে নেই পর্যাপ্ত গরম কাপড়। অনেকে ঠান্ডার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চা-শ্রমিকেরা জানান, শীতের কারণে অনেক কষ্টে পড়েছেন তাঁরা। বাগান কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোনো শীতবস্ত্র দেয় না। আর নিজেদের স্বল্প আয় দিয়ে গরম কাপড় কেনার সাধ্যও তাঁদের নেই। রাতে ঠান্ডার জন্য অনেকেই ঘুমাতে পারেন না। শীত নিবারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাত কাটাতে হয়। কেউ কেউ বস্তা বিছিয়ে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেন।
শমশেরনগর চা-বাগানের চা-শ্রমিক গীতা রবিদাস ও মায়া রবিদাস বলেন, ‘এই শীতে কাজ করা অনেক কষ্টের। আমরা চা-শ্রমিকেরা কোনো শীতবস্ত্র পাই না। বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা খুবই করুণ। ঠান্ডায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
চা-শ্রমিকনেতা সীতারাম বিন বলেন, ‘প্রতিবছর শীতের সময় চা-শ্রমিকদের বেশি কষ্ট হয়। এমনিতেই শ্রীমঙ্গলসহ পুরো মৌলভীবাজার জেলায় শীত বেশি পড়ে। এ জেলায় ৯২টি চা-বাগান রয়েছে। কোনো বাগানের শ্রমিকদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। প্রতিদিন ঠান্ডার কারণে অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন চা-শ্রমিকেরা। বিশেষ করে শীতে বাগানের শিশু ও বৃদ্ধরা অনেক কষ্টে আছেন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরেই এই অঞ্চলে শীতের দাপট বেড়েছে। বিশেষ করে রাতে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েক দিন একই রকম তাপমাত্রা থাকবে।
শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে ঠান্ডার রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। অনেকেই চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটছেন। কেউ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন মো. মামুনুর রহমান বলেন, শীতের মধ্যে সবাইকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরতে হবে। বিশেষ করে এ সময় শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে বেশি করে গরম কাপড় পরিধান করে রাখতে হবে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। কেউ আবেদন করলে তাদের শীতবস্ত্র দেব।’

পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের। শীত থেকে বাঁচার মতো প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ও নেই শ্রমিকদের। একই সঙ্গে ঠান্ডার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাগানের বয়স্ক থেকে শিশুরা।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে।
সূর্যের দেখা না মেলায় ও ঘন কুয়াশা থাকায় মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই ঠান্ডার মধ্যেই গাছ-গাছালিতে ঘেরা চা-বাগানগুলোয় সকাল থেকে কাজে নেমে পড়ছেন চা-শ্রমিকের। তাঁদের পরনে নেই পর্যাপ্ত গরম কাপড়। অনেকে ঠান্ডার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চা-শ্রমিকেরা জানান, শীতের কারণে অনেক কষ্টে পড়েছেন তাঁরা। বাগান কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোনো শীতবস্ত্র দেয় না। আর নিজেদের স্বল্প আয় দিয়ে গরম কাপড় কেনার সাধ্যও তাঁদের নেই। রাতে ঠান্ডার জন্য অনেকেই ঘুমাতে পারেন না। শীত নিবারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাত কাটাতে হয়। কেউ কেউ বস্তা বিছিয়ে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেন।
শমশেরনগর চা-বাগানের চা-শ্রমিক গীতা রবিদাস ও মায়া রবিদাস বলেন, ‘এই শীতে কাজ করা অনেক কষ্টের। আমরা চা-শ্রমিকেরা কোনো শীতবস্ত্র পাই না। বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা খুবই করুণ। ঠান্ডায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
চা-শ্রমিকনেতা সীতারাম বিন বলেন, ‘প্রতিবছর শীতের সময় চা-শ্রমিকদের বেশি কষ্ট হয়। এমনিতেই শ্রীমঙ্গলসহ পুরো মৌলভীবাজার জেলায় শীত বেশি পড়ে। এ জেলায় ৯২টি চা-বাগান রয়েছে। কোনো বাগানের শ্রমিকদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। প্রতিদিন ঠান্ডার কারণে অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন চা-শ্রমিকেরা। বিশেষ করে শীতে বাগানের শিশু ও বৃদ্ধরা অনেক কষ্টে আছেন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরেই এই অঞ্চলে শীতের দাপট বেড়েছে। বিশেষ করে রাতে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েক দিন একই রকম তাপমাত্রা থাকবে।
শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে ঠান্ডার রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। অনেকেই চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটছেন। কেউ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন মো. মামুনুর রহমান বলেন, শীতের মধ্যে সবাইকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরতে হবে। বিশেষ করে এ সময় শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে বেশি করে গরম কাপড় পরিধান করে রাখতে হবে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। কেউ আবেদন করলে তাদের শীতবস্ত্র দেব।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করে সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। এরই মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজের বহুতল ভবন থেকে ইপ্সিতার আত্মহত্যাচেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
২৫ জুন ২০২৫
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
১৮ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আখতারুল আলম ফারুক, খেলাফত মজলিসের মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মো. নূরে আলম সিদ্দিকী।
অপর দিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন প্রয়াত প্রকৌশলী শামছ উদ্দিনের স্ত্রী অধ্যক্ষ আখতার সুলতানা, ছেলে তানভীর আহমেদ রানা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এই আসনে নির্বাচনের জন্য ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন, তাঁর মধ্যে আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলনকে মনোনয়ন দিলে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা জামায়াত মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন ও অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থনে ‘ফুলবাড়িয়া ঐক্যবদ্ধ জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন।
এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সদস্যপদ (রুকনিয়াত) স্থগিত করে জামায়াতে ইসলামী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন না করলেও মানুষের ভালোবাসায় প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনে সাধারণ মানুষ আমার ওপর আস্থা রাখবে।’
উল্লেখ্য, একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসন। মোট ভোটার ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৯ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জন নারী এবং হিজড়া দুজন।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আখতারুল আলম ফারুক, খেলাফত মজলিসের মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মো. নূরে আলম সিদ্দিকী।
অপর দিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন প্রয়াত প্রকৌশলী শামছ উদ্দিনের স্ত্রী অধ্যক্ষ আখতার সুলতানা, ছেলে তানভীর আহমেদ রানা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এই আসনে নির্বাচনের জন্য ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন, তাঁর মধ্যে আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলনকে মনোনয়ন দিলে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা জামায়াত মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন ও অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থনে ‘ফুলবাড়িয়া ঐক্যবদ্ধ জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন।
এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সদস্যপদ (রুকনিয়াত) স্থগিত করে জামায়াতে ইসলামী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন না করলেও মানুষের ভালোবাসায় প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনে সাধারণ মানুষ আমার ওপর আস্থা রাখবে।’
উল্লেখ্য, একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসন। মোট ভোটার ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৯ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জন নারী এবং হিজড়া দুজন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করে সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। এরই মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজের বহুতল ভবন থেকে ইপ্সিতার আত্মহত্যাচেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
২৫ জুন ২০২৫
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
১৩ মিনিট আগে