হিমেল চাকমা, রাঙামাটি

রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বরকলের আইমাছড়া ভূষণছড়া, বড়হরিণা, জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরোলেও এসব সীমান্ত এলাকায় এখনো নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই কোনো সরকারি টিউবওয়েল। ফলে নদী, ছড়া বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করেন তাঁরা। এসব পানি দিয়েই গোসল, রান্না, ধোয়াসহ পান করেন এসব ইউনিয়নের মানুষ।
এতে সারা বছর ধরে এসব এলাকার মানুষ ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েডসহ পানি বাহিত নানা রোগে ভোগেন। এমনকি এসব এলাকায় নেই স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রও।
সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নে চান্দবিঘাট গ্রামে ২ শতাধিক পরিবারের বসবাস। এ গ্রামে নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। সারা বছর কুয়া আর ঠেগা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে সেটা পান করেন গ্রামের মানুষ। গত বছর এই গ্রামে দুই মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন রোগে পাঁচজন মারা যান। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শতভাগ জুম কৃষিনির্ভর এ গ্রামে পরিবারগুলোর অন্যতম একটি জীবিকা পশু পালন। দেখা গেছে, পালিত এসব পশুপাখি পানির ক্ষেত্রগুলোতে বিচরণ করায় পানি থাকে দূষিত। এসব দূষিত পানি দিয়েই চলে চান্দবিঘাট গ্রামের মানুষদের জীবন।
জনতে চাইলে গ্রামের সূর্যমুখী চাকমা (৪৩) বলেন, ‘কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করি। এই পানি দিয়ে সবকিছু করতে হয়। এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।’ মনিমালা চাকমা (৬০) বলেন, ‘আমার এত বছরের জীবনে নলকূপের পানি পান করার সুযোগ হয়নি। মনে হয় এ বয়সে আর পাব না।’
শুধু চান্দবিঘাট গ্রাম নয়, আইমাছড়া ইউনিয়নের কালাপুনাছড়া, আন্দারমানিক, করল্যাছড়ি, উপর করল্যাছড়ি, ভুয়োঠেক, পেরাছড়া, গোইহাটছড়া ও নোয়াপাড়া, ভূষনছড়া ইউনিয়নের তাগলকবাক, মরাঠেগা, তালছড়া, খুব্বাং, তমবাক, ছাদারা ছড়া, মধ্যে ছাদারাছড়া, চান্দবীঘাট, বড় হরিণা বড় হরিণা মুখ, কুকিছড়া বাজার, কালাপান্যা, ভাইবোন ছড়া, দোকানঘাট, শ্রীনগর, মাজিপাড়া ও নোয়াপাড়ার আশপাশে ঝর্ণা না থাকায় পানি পান করেন কর্ণফুলী, ঠেগা নদী, বড় হরিণা ছড়া থেকে। সীমান্তবর্তী সব গ্রামের একাই চিত্র। এসব ইউনিয়নের ৪০ হাজার বেশি মানুষ বিশুদ্ধ পানিসেবা থেকে একেবারে বঞ্চিত।
আন্দরমানিক এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুশীল জীবন চাকমা বলেন, ‘আমরা বেঁচে আছি ভগবানের দয়ায়। আমাদের সরকারি সুবিধা বলতে গেলে একেবারেই নেই। দাবিদাওয়া বলতে গেলে, যত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আমরা সরকারের কাছে সবগুলোই চাই। কারণ এ এলাকাটি সুবিধা বঞ্চিত এলাকা। ঠেগা নদীর পাড়ে টিউবওয়েল বসানো যাবে। কিন্তু কোনো সরকারি সংস্থা টিউবওয়েল বসাতে আসে না। টিউবওয়েল হবে কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাইও করা হয়নি কোনোবার। এখানে বরাদ্দ বাড়িয়ে হলেও টিউবওয়েল করা দরকার।’
আইমাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুবিমল চাকমা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এসব এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফলে বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত সীমান্ত পাড়ের মানুষ। যে দু-চারটি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সে বরাদ্দ সীমান্ত এলাকায় পৌঁছায় না। এই এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে হলেও যেন নলকূপ স্থাপন করা যায়, এ নিয়ে বারবার আবেদন জানানো হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া মেলে না। এই এলাকায় বিভিন্ন সময় বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহের কথা বলা হলেও কার্যত কোনো সরকারের আমলে তা শুরু হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি-সংকটের কথা স্বীকার করেন রাঙামাটি জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় কখনো সার্ভে হয়নি। এসব এলাকায় নলকূপ বসাতে গেলে বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন। সে বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদারেরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে চান না।’

রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বরকলের আইমাছড়া ভূষণছড়া, বড়হরিণা, জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরোলেও এসব সীমান্ত এলাকায় এখনো নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই কোনো সরকারি টিউবওয়েল। ফলে নদী, ছড়া বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করেন তাঁরা। এসব পানি দিয়েই গোসল, রান্না, ধোয়াসহ পান করেন এসব ইউনিয়নের মানুষ।
এতে সারা বছর ধরে এসব এলাকার মানুষ ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েডসহ পানি বাহিত নানা রোগে ভোগেন। এমনকি এসব এলাকায় নেই স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রও।
সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নে চান্দবিঘাট গ্রামে ২ শতাধিক পরিবারের বসবাস। এ গ্রামে নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। সারা বছর কুয়া আর ঠেগা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে সেটা পান করেন গ্রামের মানুষ। গত বছর এই গ্রামে দুই মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন রোগে পাঁচজন মারা যান। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শতভাগ জুম কৃষিনির্ভর এ গ্রামে পরিবারগুলোর অন্যতম একটি জীবিকা পশু পালন। দেখা গেছে, পালিত এসব পশুপাখি পানির ক্ষেত্রগুলোতে বিচরণ করায় পানি থাকে দূষিত। এসব দূষিত পানি দিয়েই চলে চান্দবিঘাট গ্রামের মানুষদের জীবন।
জনতে চাইলে গ্রামের সূর্যমুখী চাকমা (৪৩) বলেন, ‘কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করি। এই পানি দিয়ে সবকিছু করতে হয়। এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।’ মনিমালা চাকমা (৬০) বলেন, ‘আমার এত বছরের জীবনে নলকূপের পানি পান করার সুযোগ হয়নি। মনে হয় এ বয়সে আর পাব না।’
শুধু চান্দবিঘাট গ্রাম নয়, আইমাছড়া ইউনিয়নের কালাপুনাছড়া, আন্দারমানিক, করল্যাছড়ি, উপর করল্যাছড়ি, ভুয়োঠেক, পেরাছড়া, গোইহাটছড়া ও নোয়াপাড়া, ভূষনছড়া ইউনিয়নের তাগলকবাক, মরাঠেগা, তালছড়া, খুব্বাং, তমবাক, ছাদারা ছড়া, মধ্যে ছাদারাছড়া, চান্দবীঘাট, বড় হরিণা বড় হরিণা মুখ, কুকিছড়া বাজার, কালাপান্যা, ভাইবোন ছড়া, দোকানঘাট, শ্রীনগর, মাজিপাড়া ও নোয়াপাড়ার আশপাশে ঝর্ণা না থাকায় পানি পান করেন কর্ণফুলী, ঠেগা নদী, বড় হরিণা ছড়া থেকে। সীমান্তবর্তী সব গ্রামের একাই চিত্র। এসব ইউনিয়নের ৪০ হাজার বেশি মানুষ বিশুদ্ধ পানিসেবা থেকে একেবারে বঞ্চিত।
আন্দরমানিক এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুশীল জীবন চাকমা বলেন, ‘আমরা বেঁচে আছি ভগবানের দয়ায়। আমাদের সরকারি সুবিধা বলতে গেলে একেবারেই নেই। দাবিদাওয়া বলতে গেলে, যত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আমরা সরকারের কাছে সবগুলোই চাই। কারণ এ এলাকাটি সুবিধা বঞ্চিত এলাকা। ঠেগা নদীর পাড়ে টিউবওয়েল বসানো যাবে। কিন্তু কোনো সরকারি সংস্থা টিউবওয়েল বসাতে আসে না। টিউবওয়েল হবে কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাইও করা হয়নি কোনোবার। এখানে বরাদ্দ বাড়িয়ে হলেও টিউবওয়েল করা দরকার।’
আইমাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুবিমল চাকমা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এসব এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফলে বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত সীমান্ত পাড়ের মানুষ। যে দু-চারটি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সে বরাদ্দ সীমান্ত এলাকায় পৌঁছায় না। এই এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে হলেও যেন নলকূপ স্থাপন করা যায়, এ নিয়ে বারবার আবেদন জানানো হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া মেলে না। এই এলাকায় বিভিন্ন সময় বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহের কথা বলা হলেও কার্যত কোনো সরকারের আমলে তা শুরু হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি-সংকটের কথা স্বীকার করেন রাঙামাটি জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় কখনো সার্ভে হয়নি। এসব এলাকায় নলকূপ বসাতে গেলে বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন। সে বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদারেরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে চান না।’
হিমেল চাকমা, রাঙামাটি

রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বরকলের আইমাছড়া ভূষণছড়া, বড়হরিণা, জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরোলেও এসব সীমান্ত এলাকায় এখনো নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই কোনো সরকারি টিউবওয়েল। ফলে নদী, ছড়া বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করেন তাঁরা। এসব পানি দিয়েই গোসল, রান্না, ধোয়াসহ পান করেন এসব ইউনিয়নের মানুষ।
এতে সারা বছর ধরে এসব এলাকার মানুষ ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েডসহ পানি বাহিত নানা রোগে ভোগেন। এমনকি এসব এলাকায় নেই স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রও।
সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নে চান্দবিঘাট গ্রামে ২ শতাধিক পরিবারের বসবাস। এ গ্রামে নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। সারা বছর কুয়া আর ঠেগা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে সেটা পান করেন গ্রামের মানুষ। গত বছর এই গ্রামে দুই মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন রোগে পাঁচজন মারা যান। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শতভাগ জুম কৃষিনির্ভর এ গ্রামে পরিবারগুলোর অন্যতম একটি জীবিকা পশু পালন। দেখা গেছে, পালিত এসব পশুপাখি পানির ক্ষেত্রগুলোতে বিচরণ করায় পানি থাকে দূষিত। এসব দূষিত পানি দিয়েই চলে চান্দবিঘাট গ্রামের মানুষদের জীবন।
জনতে চাইলে গ্রামের সূর্যমুখী চাকমা (৪৩) বলেন, ‘কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করি। এই পানি দিয়ে সবকিছু করতে হয়। এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।’ মনিমালা চাকমা (৬০) বলেন, ‘আমার এত বছরের জীবনে নলকূপের পানি পান করার সুযোগ হয়নি। মনে হয় এ বয়সে আর পাব না।’
শুধু চান্দবিঘাট গ্রাম নয়, আইমাছড়া ইউনিয়নের কালাপুনাছড়া, আন্দারমানিক, করল্যাছড়ি, উপর করল্যাছড়ি, ভুয়োঠেক, পেরাছড়া, গোইহাটছড়া ও নোয়াপাড়া, ভূষনছড়া ইউনিয়নের তাগলকবাক, মরাঠেগা, তালছড়া, খুব্বাং, তমবাক, ছাদারা ছড়া, মধ্যে ছাদারাছড়া, চান্দবীঘাট, বড় হরিণা বড় হরিণা মুখ, কুকিছড়া বাজার, কালাপান্যা, ভাইবোন ছড়া, দোকানঘাট, শ্রীনগর, মাজিপাড়া ও নোয়াপাড়ার আশপাশে ঝর্ণা না থাকায় পানি পান করেন কর্ণফুলী, ঠেগা নদী, বড় হরিণা ছড়া থেকে। সীমান্তবর্তী সব গ্রামের একাই চিত্র। এসব ইউনিয়নের ৪০ হাজার বেশি মানুষ বিশুদ্ধ পানিসেবা থেকে একেবারে বঞ্চিত।
আন্দরমানিক এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুশীল জীবন চাকমা বলেন, ‘আমরা বেঁচে আছি ভগবানের দয়ায়। আমাদের সরকারি সুবিধা বলতে গেলে একেবারেই নেই। দাবিদাওয়া বলতে গেলে, যত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আমরা সরকারের কাছে সবগুলোই চাই। কারণ এ এলাকাটি সুবিধা বঞ্চিত এলাকা। ঠেগা নদীর পাড়ে টিউবওয়েল বসানো যাবে। কিন্তু কোনো সরকারি সংস্থা টিউবওয়েল বসাতে আসে না। টিউবওয়েল হবে কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাইও করা হয়নি কোনোবার। এখানে বরাদ্দ বাড়িয়ে হলেও টিউবওয়েল করা দরকার।’
আইমাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুবিমল চাকমা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এসব এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফলে বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত সীমান্ত পাড়ের মানুষ। যে দু-চারটি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সে বরাদ্দ সীমান্ত এলাকায় পৌঁছায় না। এই এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে হলেও যেন নলকূপ স্থাপন করা যায়, এ নিয়ে বারবার আবেদন জানানো হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া মেলে না। এই এলাকায় বিভিন্ন সময় বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহের কথা বলা হলেও কার্যত কোনো সরকারের আমলে তা শুরু হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি-সংকটের কথা স্বীকার করেন রাঙামাটি জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় কখনো সার্ভে হয়নি। এসব এলাকায় নলকূপ বসাতে গেলে বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন। সে বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদারেরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে চান না।’

রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বরকলের আইমাছড়া ভূষণছড়া, বড়হরিণা, জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরোলেও এসব সীমান্ত এলাকায় এখনো নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই কোনো সরকারি টিউবওয়েল। ফলে নদী, ছড়া বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করেন তাঁরা। এসব পানি দিয়েই গোসল, রান্না, ধোয়াসহ পান করেন এসব ইউনিয়নের মানুষ।
এতে সারা বছর ধরে এসব এলাকার মানুষ ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েডসহ পানি বাহিত নানা রোগে ভোগেন। এমনকি এসব এলাকায় নেই স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রও।
সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নে চান্দবিঘাট গ্রামে ২ শতাধিক পরিবারের বসবাস। এ গ্রামে নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। সারা বছর কুয়া আর ঠেগা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে সেটা পান করেন গ্রামের মানুষ। গত বছর এই গ্রামে দুই মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন রোগে পাঁচজন মারা যান। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শতভাগ জুম কৃষিনির্ভর এ গ্রামে পরিবারগুলোর অন্যতম একটি জীবিকা পশু পালন। দেখা গেছে, পালিত এসব পশুপাখি পানির ক্ষেত্রগুলোতে বিচরণ করায় পানি থাকে দূষিত। এসব দূষিত পানি দিয়েই চলে চান্দবিঘাট গ্রামের মানুষদের জীবন।
জনতে চাইলে গ্রামের সূর্যমুখী চাকমা (৪৩) বলেন, ‘কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করি। এই পানি দিয়ে সবকিছু করতে হয়। এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।’ মনিমালা চাকমা (৬০) বলেন, ‘আমার এত বছরের জীবনে নলকূপের পানি পান করার সুযোগ হয়নি। মনে হয় এ বয়সে আর পাব না।’
শুধু চান্দবিঘাট গ্রাম নয়, আইমাছড়া ইউনিয়নের কালাপুনাছড়া, আন্দারমানিক, করল্যাছড়ি, উপর করল্যাছড়ি, ভুয়োঠেক, পেরাছড়া, গোইহাটছড়া ও নোয়াপাড়া, ভূষনছড়া ইউনিয়নের তাগলকবাক, মরাঠেগা, তালছড়া, খুব্বাং, তমবাক, ছাদারা ছড়া, মধ্যে ছাদারাছড়া, চান্দবীঘাট, বড় হরিণা বড় হরিণা মুখ, কুকিছড়া বাজার, কালাপান্যা, ভাইবোন ছড়া, দোকানঘাট, শ্রীনগর, মাজিপাড়া ও নোয়াপাড়ার আশপাশে ঝর্ণা না থাকায় পানি পান করেন কর্ণফুলী, ঠেগা নদী, বড় হরিণা ছড়া থেকে। সীমান্তবর্তী সব গ্রামের একাই চিত্র। এসব ইউনিয়নের ৪০ হাজার বেশি মানুষ বিশুদ্ধ পানিসেবা থেকে একেবারে বঞ্চিত।
আন্দরমানিক এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুশীল জীবন চাকমা বলেন, ‘আমরা বেঁচে আছি ভগবানের দয়ায়। আমাদের সরকারি সুবিধা বলতে গেলে একেবারেই নেই। দাবিদাওয়া বলতে গেলে, যত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে আমরা সরকারের কাছে সবগুলোই চাই। কারণ এ এলাকাটি সুবিধা বঞ্চিত এলাকা। ঠেগা নদীর পাড়ে টিউবওয়েল বসানো যাবে। কিন্তু কোনো সরকারি সংস্থা টিউবওয়েল বসাতে আসে না। টিউবওয়েল হবে কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাইও করা হয়নি কোনোবার। এখানে বরাদ্দ বাড়িয়ে হলেও টিউবওয়েল করা দরকার।’
আইমাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুবিমল চাকমা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এসব এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফলে বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত সীমান্ত পাড়ের মানুষ। যে দু-চারটি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সে বরাদ্দ সীমান্ত এলাকায় পৌঁছায় না। এই এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে হলেও যেন নলকূপ স্থাপন করা যায়, এ নিয়ে বারবার আবেদন জানানো হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া মেলে না। এই এলাকায় বিভিন্ন সময় বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহের কথা বলা হলেও কার্যত কোনো সরকারের আমলে তা শুরু হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি-সংকটের কথা স্বীকার করেন রাঙামাটি জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘এসব এলাকায় কখনো সার্ভে হয়নি। এসব এলাকায় নলকূপ বসাতে গেলে বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন। সে বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদারেরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে চান না।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বরকলের আইমাছড়া ভূষণছড়া, বড়হরিণা, জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরোলেও এসব সীমান্ত এলাকায় এখনো নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই কোনো সরকারি টিউবওয়েল। ফলে নদী, ছড়া বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করে
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বরকলের আইমাছড়া ভূষণছড়া, বড়হরিণা, জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরোলেও এসব সীমান্ত এলাকায় এখনো নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই কোনো সরকারি টিউবওয়েল। ফলে নদী, ছড়া বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করে
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বরকলের আইমাছড়া ভূষণছড়া, বড়হরিণা, জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরোলেও এসব সীমান্ত এলাকায় এখনো নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই কোনো সরকারি টিউবওয়েল। ফলে নদী, ছড়া বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করে
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বরকলের আইমাছড়া ভূষণছড়া, বড়হরিণা, জুরাছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরোলেও এসব সীমান্ত এলাকায় এখনো নেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। নেই কোনো সরকারি টিউবওয়েল। ফলে নদী, ছড়া বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করে
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে