
পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কানে গুলি খেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সময় শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর ওপর হামলা বা গুলি চালানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়।
এখন পর্যন্ত চার চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। চলুন তবে মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপির সূত্রে হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাচেষ্টার শিকার কয়েকজন প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর পরিচয় জেনে নেওয়া যাক।
আব্রাহাম লিংকন, ১৬তম প্রেসিডেন্ট
হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল জন উইকস বুথ নামের এক ব্যক্তি গুলি করেন তাঁকে। একটি কমেডি নাটকের বিশেষ মঞ্চায়ন দেখতে তখন স্ত্রীসহ ওয়াশিংটনের ফোর্ড থিয়েটারে গিয়েছিলেন লিংকন। মাথার পেছনে গুলিবিদ্ধ আব্রাহাম লিংকন মারা যান পরদিন। কালোদের অধিকারের বিষয়ে তাঁর সমর্থন ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূলে।
লিংকনের জায়গায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন। এদিকে ভার্জিনিয়ার একটি আস্তাবলে লুকিয়ে থাকা উইকস বুথকে গুলি করে মারা হয় ১৮৬৫ সালের ২৬ এপ্রিল।
জেমস গারফিল্ড, ২০তম প্রেসিডেন্ট
হত্যাকাণ্ডের শিকার দ্বিতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট গারফিল্ড। মাত্র ছয় মাস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারেন তিনি। ১৮৮১ সালের ২ জুলাই ওয়াশিংটনের একটি রেল স্টেশনে হাঁটছিলেন তিনি। নিউ ইংল্যান্ডের একটি ট্রেন ধরার কথা ছিল তাঁর। এ সময়ই চার্লস গুইতো নামের এক ব্যক্তি গুলি করেন তাঁকে।
টেলিফোনের উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল শুধু গারফিল্ডের জন্য নকশা করা একটি যন্ত্র ব্যবহার করে তাঁর বুকে ঢোকা গুলিটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। তবে সফল হননি।
মারাত্মকভাবে আহত প্রেসিডেন্ট কয়েক সপ্তাহ হোয়াইট হাউসে মুমূর্ষু অবস্থায় শুয়ে ছিলেন। সেপ্টেম্বরে নিউজার্সিতে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান তিনি।
হোয়াইট হাউসে গারফিল্ডের জায়গা নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট চেস্টার আর্থার। চার্লস গুইতো বিচারে দোষী প্রমাণিত হন এবং ১৮৮২ সালের জুনে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
উইলিয়াম ম্যাককিনলে, ২৫তম প্রেসিডেন্ট
নিউইয়র্কের বাফেলোয় একটি বক্তৃতা দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হন ম্যাককিনলে। তারিখটা ছিল ১৯০১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। জনগণের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় একেবারে কাছ থেকে তাঁর বুকে দুটি গুলি করেন এক ব্যক্তি। চিকিৎসকেরা আশা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে ক্ষতের চারপাশে পচন ধরে যায়।
১৯০১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান ম্যাককিনলে। দ্বিতীয় মেয়াদের মাত্র ছয় মাস কাটাতে পেরেছিলেন তিনি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ভাইস প্রেসিডেন্ট থিয়োডর রুজভেল্ট।
লিয়ন অব চলগোস নামের ২৮ বছর বয়স্ক ডেট্রয়টের এক বাসিন্দা গুলি করার কথা শিকার করেন। বিচারে দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর ১৯০১ সালের ২৯ অক্টোবর বৈদ্যুতিক চেয়ারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় তাঁর।
জন এফ কেনেডি, ৩৫তম প্রেসিডেন্ট
লুকিয়ে থাকা এক গুপ্তঘাতক শক্তিশালী রাইফেলের সাহায্যে গুলি করে জন এফ কেনেডিকে, ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে। স্ত্রী জ্যাকুলিনসহ ডালাসে গিয়েছিলেন তখন কেনেডি। ডালাস শহরের কেন্দ্রস্থলে ডিলি প্লাজার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করা হয় গাড়িবহরে। কেনেডিকে দ্রুত পার্কল্যান্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অল্প সময় পরে সেখানে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন।
গুপ্তহত্যার কয়েক ঘণ্টা পর হত্যাকারী লি হার্ভে অসওয়াল্ডকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই দিন পর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে কাউন্টি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন ডালাসের একটি নাইট ক্লাবের মালিক জ্যাক রাবি গুলি করেন তাঁকে। এতেই মৃত্যু হয় অসওয়াল্ডের।
জেরাল্ড ফোর্ড, ৩৮তম প্রেসিডেন্ট
১৯৭৫ সালে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দুবার হত্যার চেষ্টা করা হয় ফোর্ডকে। তবে প্রতিবারই অক্ষত থেকে যান তিনি।
প্রথমবার সেকরামেন্তোতে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন ফোর্ড। এ সময় রাস্তার লোকজন ঠেলে এগিয়ে এসে লিনেট্টে ফ্রমি নামের একজন আধা স্বয়ংক্রিয় একটি পিস্তল তাক করেন ফোর্ডের দিকে। কিন্তু ট্রিগার চাপলেও গুলি বের হয়নি। ফ্রমি দীর্ঘ কারাভোগের পর ২০০৯ সালে মুক্তি পান।
১৭ দিন পর সান ফ্রান্সিসকোর এক হোটেলের বাইরে সারা জেন মুর নামের এক নারী ফোর্ডকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। কিন্তু লক্ষ্যচ্যুত হয় গুলি। দ্বিতীয় গুলি করার চেষ্টা করার সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি মুরের হাত ধরে ফেলেন।
দীর্ঘ কারাভোগের পর ২০০৭ সালে মুক্তি পান মুর।
রোনাল্ড রিগ্যান, ৪০তম প্রেসিডেন্ট
রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি বক্তৃতা দিয়ে গাড়িবহরের দিকে এগোচ্ছিলেন। এ সময় উপস্থিত জনতার মধ্যে থাকা জন হিঙ্কলে জুনিয়র তাঁকে গুলি করেন।
রিগ্যান ১৯৮১ সালের মার্চের এই গুলির ঘটনায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। তার প্রেস সচিব জেমস ব্র্যাডিসহ আরও তিনজন এ সময় গুলিবিদ্ধ হন। ব্র্যাডি এ ঘটনায় আংশিকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
হিঙ্কলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে রিগ্যানকে গুলি করার জন্য মানসিক অসুস্থতাকে জুরিরা কারণ হিসেবে বিবেচনা করলে একটি মানসিক হাসপাতালে বন্দী অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হতে থাকে। ২০২২ সালে ‘নিজের বা অন্যদের জন্য আর বিপজ্জনক নয়’ বলে একজন বিচারক রায় দিলে ছাড়া পান হিঙ্কলি।
জর্জ ডব্লিউ বুশ, ৪৩তম প্রেসিডেন্ট
২০০৫ সালে জর্জিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিখাইল সাকাশভিলির সঙ্গে দেশটির রাজধানী তবিলিসিতে একটি শোভাযাত্রায় অংশ নেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। এ সময় তাঁর দিকে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।
কাপড়ে মোড়ানো গ্রেনেডটি প্রায় ১০০ ফুট দূরে পড়ার সময় দুজনেই বুলেটপ্রুফ ব্যারিয়ারের পেছনে ছিলেন। গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়নি এবং কেউ আহত হয়নি।
এ ঘটনায় ভ্লাদিমির আরুতিউনিয়ান নামে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবার্ট এফ কেনেডি, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী
লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হোটেলে যখন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, তখন রবার্ট এফ কেনেডি ডেমোক্রেটিক রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন চাইছিলেন। ১৯৬৮ সালের ক্যালিফোর্নিয়া প্রাইমারিতে তাঁর বিজয়ী বক্তৃতা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এ সময় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
কেনেডি ছিলেন নিউ ইয়র্কের একজন সিনেটর এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাই। এ ঘটনার পাঁচ বছর আগে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
সিরহান সিরহান নামে এক ব্যক্তি হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তাঁর শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। গত বছর মুক্তির জন্য তাঁর সর্বশেষ আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পরে সিরহান কারাগারেই রয়ে গেছেন।
জর্জ সি ওয়ালেস, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী
ওয়ালেস ১৯৭২ সালে মেরিল্যান্ডে প্রচারাভিযানের সময় গুলিবিদ্ধ হন। ওই সময় ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন চাইছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে কোমর থেকে তাঁর শরীরের নিচের অংশ অবশ হয়ে যায়।
আলাবামার গভর্নর ছিলেন ওয়ালেস।
আর্থার ব্রেমারকে গুলি করার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কারাভোগ শেষে ২০০৭ সালে মুক্তি পান তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর হামলা সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:

পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কানে গুলি খেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সময় শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর ওপর হামলা বা গুলি চালানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়।
এখন পর্যন্ত চার চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। চলুন তবে মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপির সূত্রে হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাচেষ্টার শিকার কয়েকজন প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর পরিচয় জেনে নেওয়া যাক।
আব্রাহাম লিংকন, ১৬তম প্রেসিডেন্ট
হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল জন উইকস বুথ নামের এক ব্যক্তি গুলি করেন তাঁকে। একটি কমেডি নাটকের বিশেষ মঞ্চায়ন দেখতে তখন স্ত্রীসহ ওয়াশিংটনের ফোর্ড থিয়েটারে গিয়েছিলেন লিংকন। মাথার পেছনে গুলিবিদ্ধ আব্রাহাম লিংকন মারা যান পরদিন। কালোদের অধিকারের বিষয়ে তাঁর সমর্থন ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূলে।
লিংকনের জায়গায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন। এদিকে ভার্জিনিয়ার একটি আস্তাবলে লুকিয়ে থাকা উইকস বুথকে গুলি করে মারা হয় ১৮৬৫ সালের ২৬ এপ্রিল।
জেমস গারফিল্ড, ২০তম প্রেসিডেন্ট
হত্যাকাণ্ডের শিকার দ্বিতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট গারফিল্ড। মাত্র ছয় মাস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারেন তিনি। ১৮৮১ সালের ২ জুলাই ওয়াশিংটনের একটি রেল স্টেশনে হাঁটছিলেন তিনি। নিউ ইংল্যান্ডের একটি ট্রেন ধরার কথা ছিল তাঁর। এ সময়ই চার্লস গুইতো নামের এক ব্যক্তি গুলি করেন তাঁকে।
টেলিফোনের উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল শুধু গারফিল্ডের জন্য নকশা করা একটি যন্ত্র ব্যবহার করে তাঁর বুকে ঢোকা গুলিটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। তবে সফল হননি।
মারাত্মকভাবে আহত প্রেসিডেন্ট কয়েক সপ্তাহ হোয়াইট হাউসে মুমূর্ষু অবস্থায় শুয়ে ছিলেন। সেপ্টেম্বরে নিউজার্সিতে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান তিনি।
হোয়াইট হাউসে গারফিল্ডের জায়গা নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট চেস্টার আর্থার। চার্লস গুইতো বিচারে দোষী প্রমাণিত হন এবং ১৮৮২ সালের জুনে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
উইলিয়াম ম্যাককিনলে, ২৫তম প্রেসিডেন্ট
নিউইয়র্কের বাফেলোয় একটি বক্তৃতা দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হন ম্যাককিনলে। তারিখটা ছিল ১৯০১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। জনগণের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় একেবারে কাছ থেকে তাঁর বুকে দুটি গুলি করেন এক ব্যক্তি। চিকিৎসকেরা আশা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে ক্ষতের চারপাশে পচন ধরে যায়।
১৯০১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান ম্যাককিনলে। দ্বিতীয় মেয়াদের মাত্র ছয় মাস কাটাতে পেরেছিলেন তিনি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ভাইস প্রেসিডেন্ট থিয়োডর রুজভেল্ট।
লিয়ন অব চলগোস নামের ২৮ বছর বয়স্ক ডেট্রয়টের এক বাসিন্দা গুলি করার কথা শিকার করেন। বিচারে দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর ১৯০১ সালের ২৯ অক্টোবর বৈদ্যুতিক চেয়ারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় তাঁর।
জন এফ কেনেডি, ৩৫তম প্রেসিডেন্ট
লুকিয়ে থাকা এক গুপ্তঘাতক শক্তিশালী রাইফেলের সাহায্যে গুলি করে জন এফ কেনেডিকে, ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে। স্ত্রী জ্যাকুলিনসহ ডালাসে গিয়েছিলেন তখন কেনেডি। ডালাস শহরের কেন্দ্রস্থলে ডিলি প্লাজার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করা হয় গাড়িবহরে। কেনেডিকে দ্রুত পার্কল্যান্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অল্প সময় পরে সেখানে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন।
গুপ্তহত্যার কয়েক ঘণ্টা পর হত্যাকারী লি হার্ভে অসওয়াল্ডকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই দিন পর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে কাউন্টি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন ডালাসের একটি নাইট ক্লাবের মালিক জ্যাক রাবি গুলি করেন তাঁকে। এতেই মৃত্যু হয় অসওয়াল্ডের।
জেরাল্ড ফোর্ড, ৩৮তম প্রেসিডেন্ট
১৯৭৫ সালে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দুবার হত্যার চেষ্টা করা হয় ফোর্ডকে। তবে প্রতিবারই অক্ষত থেকে যান তিনি।
প্রথমবার সেকরামেন্তোতে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন ফোর্ড। এ সময় রাস্তার লোকজন ঠেলে এগিয়ে এসে লিনেট্টে ফ্রমি নামের একজন আধা স্বয়ংক্রিয় একটি পিস্তল তাক করেন ফোর্ডের দিকে। কিন্তু ট্রিগার চাপলেও গুলি বের হয়নি। ফ্রমি দীর্ঘ কারাভোগের পর ২০০৯ সালে মুক্তি পান।
১৭ দিন পর সান ফ্রান্সিসকোর এক হোটেলের বাইরে সারা জেন মুর নামের এক নারী ফোর্ডকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। কিন্তু লক্ষ্যচ্যুত হয় গুলি। দ্বিতীয় গুলি করার চেষ্টা করার সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি মুরের হাত ধরে ফেলেন।
দীর্ঘ কারাভোগের পর ২০০৭ সালে মুক্তি পান মুর।
রোনাল্ড রিগ্যান, ৪০তম প্রেসিডেন্ট
রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি বক্তৃতা দিয়ে গাড়িবহরের দিকে এগোচ্ছিলেন। এ সময় উপস্থিত জনতার মধ্যে থাকা জন হিঙ্কলে জুনিয়র তাঁকে গুলি করেন।
রিগ্যান ১৯৮১ সালের মার্চের এই গুলির ঘটনায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। তার প্রেস সচিব জেমস ব্র্যাডিসহ আরও তিনজন এ সময় গুলিবিদ্ধ হন। ব্র্যাডি এ ঘটনায় আংশিকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
হিঙ্কলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে রিগ্যানকে গুলি করার জন্য মানসিক অসুস্থতাকে জুরিরা কারণ হিসেবে বিবেচনা করলে একটি মানসিক হাসপাতালে বন্দী অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হতে থাকে। ২০২২ সালে ‘নিজের বা অন্যদের জন্য আর বিপজ্জনক নয়’ বলে একজন বিচারক রায় দিলে ছাড়া পান হিঙ্কলি।
জর্জ ডব্লিউ বুশ, ৪৩তম প্রেসিডেন্ট
২০০৫ সালে জর্জিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিখাইল সাকাশভিলির সঙ্গে দেশটির রাজধানী তবিলিসিতে একটি শোভাযাত্রায় অংশ নেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। এ সময় তাঁর দিকে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।
কাপড়ে মোড়ানো গ্রেনেডটি প্রায় ১০০ ফুট দূরে পড়ার সময় দুজনেই বুলেটপ্রুফ ব্যারিয়ারের পেছনে ছিলেন। গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়নি এবং কেউ আহত হয়নি।
এ ঘটনায় ভ্লাদিমির আরুতিউনিয়ান নামে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবার্ট এফ কেনেডি, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী
লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হোটেলে যখন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, তখন রবার্ট এফ কেনেডি ডেমোক্রেটিক রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন চাইছিলেন। ১৯৬৮ সালের ক্যালিফোর্নিয়া প্রাইমারিতে তাঁর বিজয়ী বক্তৃতা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এ সময় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
কেনেডি ছিলেন নিউ ইয়র্কের একজন সিনেটর এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাই। এ ঘটনার পাঁচ বছর আগে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
সিরহান সিরহান নামে এক ব্যক্তি হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তাঁর শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। গত বছর মুক্তির জন্য তাঁর সর্বশেষ আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পরে সিরহান কারাগারেই রয়ে গেছেন।
জর্জ সি ওয়ালেস, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী
ওয়ালেস ১৯৭২ সালে মেরিল্যান্ডে প্রচারাভিযানের সময় গুলিবিদ্ধ হন। ওই সময় ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন চাইছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে কোমর থেকে তাঁর শরীরের নিচের অংশ অবশ হয়ে যায়।
আলাবামার গভর্নর ছিলেন ওয়ালেস।
আর্থার ব্রেমারকে গুলি করার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কারাভোগ শেষে ২০০৭ সালে মুক্তি পান তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর হামলা সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৫ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কানে গুলি খেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর ওপর হামলা বা গুলি চালানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এখন পর্যন্ত চার চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। চলুন তবে মার্
১৪ জুলাই ২০২৪
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৫ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কানে গুলি খেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর ওপর হামলা বা গুলি চালানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এখন পর্যন্ত চার চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। চলুন তবে মার্
১৪ জুলাই ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৫ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কানে গুলি খেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর ওপর হামলা বা গুলি চালানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এখন পর্যন্ত চার চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। চলুন তবে মার্
১৪ জুলাই ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কানে গুলি খেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর ওপর হামলা বা গুলি চালানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এখন পর্যন্ত চার চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। চলুন তবে মার্
১৪ জুলাই ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৫ ঘণ্টা আগে