Ajker Patrika

কিশোরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, অভিযোগ সিভিল সার্জনের কাছে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২৪, ১৫: ৫০
কিশোরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, অভিযোগ সিভিল সার্জনের কাছে

কিশোরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় সামীম ইয়াসার আফফান নামের সাড়ে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আফফানের পরিবার। 

অভিযোগ ওঠা দুই চিকিৎসক হলেন জেলা শহরের মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার লিমিটেডের নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও অ্যানিস্থসিয়া বিশেষজ্ঞ মো. আবু তাহের মিয়া। 

চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে থাকার সময়ে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন এবং অ্যানিস্থসিয়া বিশেষজ্ঞ মো. আবু তাহের মিয়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসরে যান। অন্যদিকে অভিযোগকারী হোসেন সারোয়ার লিটন জেলা শহরের গাইটাল রাকুয়াইল এলাকার মৃত মো. জিন্নত আলীর ছেলে। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুবরণকারী শিশুটি অভিযোগকারীর নাতি। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিশু আফফান ইয়াসার আফ্ফান গলা ব্যথা, ঠান্ডা, কাশি রোগে আক্রান্ত হয়। গত ২৪ এপ্রিল আফফানের বাবা সারোয়ার জাহান উপল ও মা আফসারা মুনা মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার লিমিটেডে নিয়ে যান ছেলের চিকিৎসার জন্য। সেখানে নাক, কান, গলার চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমনের কাছে চিকিৎসা সেবার জন্য শরণাপন্ন হন। আফ্ফানকে দেখার পর কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বলেন চিকিৎসক। 

গত ২৫ এপ্রিল চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও অ্যানিস্থসিয়া চিকিৎসক মো. আবু তাহের মিঞা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল দেখে টনসিল ও অ্যাডিনয়েড অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। অস্ত্রোপচার না করলে শিশু আফফানের চরম ক্ষতি হবে বলে জানান চিকিৎসকেরা। তখন পরিবারের সদস্যরা আফফানের ঠান্ডাজনিত সমস্যার কথা জানিয়ে দুটি অস্ত্রোপচার একত্রে চলবে কি না জিজ্ঞাসা করলে চিকিৎসকেরা জানান অস্ত্রোপচার করা হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। পরে ওই দিন রাত ১০টায় টনসিল এবং অ্যাডিনয়েড গ্রন্থিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই আফফানের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এতে তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। 

গত ২৬ এপ্রিল বিকেলে আফফানের শ্বাসকষ্ট প্রচণ্ড আকার ধারণ করলে চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও আবু তাহের মিঞা শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। ওই দিন রাত ১১টায় আফফানকে নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখে ভর্তি করেনি। পরে তাকে ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

ভর্তির পর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দেখে জানান, শিশু আফফান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এই অবস্থায় এত ছোট শিশুর অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত দায়িত্বশীল কোনো চিকিৎসকের কাছ থেকে কাম্য নয়। অস্ত্রোপচার করার পেছনে আর্থিক বা অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এরপর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ মে সন্ধ্যায় আফফান মারা যায়। 

শিশুটির বাবা সারোয়ার জাহান উপল ও মা আফসারা মুনা বলেন, ‘চিকিৎসক সুমন ও তাহের মিঞার ভুল এবং ত্রুটিপূর্ণ অস্ত্রোপচারের জন্য আমার ছেলে মারা গেছে। এটা হত্যা। চিকিৎসকদের বলা হয়েছিল আমার ছেলের ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে তারপরও তাঁরা অপারেশন করেছে। এই চিকিৎসকদের জন্য আমার ছেলে আমাদের মধ্যে নেই। আমরা এই চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’ 

মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রণব কুমার সাহা মঞ্জু বলেন, ‘আমিতো মেডিকেল লাইনের কেউ না। এ বিষয়ে ওই চিকিৎসকরাই ভালো বলতে পারবেন।’ 

অভিযোগের বিষয়ে চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘টনসিল ও অ্যাডিনয়েড রোগের লক্ষণই সর্দি-কাশি। আর টেস্টের রিপোর্টে নিউমোনিয়া ছিল না। নিউমোনিয়া থাকলে আমরা অপারেশন করতাম না।’ 

অ্যানিস্থসিয়া চিকিৎসক আবু তাহের মিঞা বলেন, ‘আমরা যে রিপোর্ট দেখেছি সেইখানে নিউমোনিয়ার কোনো লক্ষণ ছিল না।’ 

সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ 

এদিকে এই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজনেরা ও এলাকাবাসী। তাঁরা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে মিছিল করে করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন ইদু, নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ সেলিম কবির, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আতিউল্লাহ ভুবন প্রমুখ। 

লিখিত অভিযোগ দায়ের করা শেষে বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি স্বরূপ চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। তাঁরা বলেন, এমন নিষ্পাপ শিশুকে যারা চিকিৎসার নামে হত্যা করেছে তাদের বিচার করতেই হবে। বিচার পাওয়া আমাদের অধিকার। চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা বন্ধ করতেই হবে। আর তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় একটি কারখানার শ্রমিককে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় পিএ নিট কম্পোজিট লিমিটেডের সামনে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, গাজীপুর এলাকা থেকে কারখানার নিজস্ব বাসে করে শ্রমিকেরা ভালুকায় আসার পথে সৌখিন পরিবহনের একটি বাস শ্রমিকবাহী বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের সঙ্গে সৌখিন পরিবহনের চালকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আমিনুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক সৌখিন পরিবহনের বাসে উঠে চালকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়ান। পরে তাঁকে ওই বাসের মধ্যে আটক রেখে বাসটি ময়মনসিংহের দিকে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকেরা।

এর প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকেরা প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকেরা সৌখিন পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে রেখে অন্য যানবাহন ছেড়ে দেন।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘এক শ্রমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সৌখিন পরিবহনের বাসগুলো আটকে রাখা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতির আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় কাপ্তাই বন বিভাগের সতর্কতামূলক কার্যক্রম

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বন্য হাতির আক্রমণে ঝর্ণা চাকমা ও সবিতা চাকমা নামে দুই নারী নিহত হন। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সড়কটিতে হাতির চলাচল বাড়তে থাকে।

কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সোলার ফেন্সিং কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি সোলার ফেন্সিংয়ের আওতার বাইরে থাকা কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।

ওমর ফারুক স্বাধীন আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় হাতি চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও রোডমার্কিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাপ্তাই রেঞ্জের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বন্য হাতির চলাচল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে সূর্যের দেখা নেই, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

দৌলতপুর উপজেলায় নিজস্ব আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই আবহাওয়া আরও এক দিন, অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। রোববার কুষ্টিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনমজুর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে আজ কাজে যেতে পারিনি। তা ছাড়া আমার ঠান্ডাজনিত রোগ আছে, তাই বাইরে বের হওয়াও কষ্টকর।’

উপজেলার মথুরাপুর বাজারের অটোরিকশাচালক মামুন হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। শীতের কারণে যাতায়াত কমে গেছে, আয়ও আগের তুলনায় অনেক কম।’

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ঘন কুয়াশা না থাকলেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে দু-এক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে এবং মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া আরও উন্নত হবে।

এদিকে শীতের প্রভাবে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জ্বর, সর্দি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, শীত থেকে বাঁচতে সবাইকে গরম পোশাক পরতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের সব সময় গরম পোশাকে রাখতে এবং গরম খাবার খাওয়াতে বলা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মধুপুরে পরিবহনের ধাক্কায় পথচারী নিহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু হানিফা আলী বেরিবাইদ ইউনিয়নের চুনিয়া দিগলবাইদ এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে জলছত্র বাজার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে তিনি রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ পাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

বিমল চন্দ পাইন জানান, ঘাতক পরিবহন শনাক্ত ও চালককে আটক করার জন্য তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত