নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

গ্যাস জালিয়াতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তারাই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসব মামলা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক বলে দাবি করে তাঁরা দুষলেন দুদকের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনটি শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি মূলত দুদকের বিরুদ্ধেই। কারণ দুদকের কোনো কর্মকর্তা কমিশনের অনুমোদন ছাড়া মামলার সুপারিশ করতে পারে না।
আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে দেড় বছর পর হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন করেন গ্যাস জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ও দুদকের মামলার আসামি কর্ণফুলী গ্যাসের সদ্য সাবেক প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন, একই মামলার আসামি দিদারুল আলম, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার আসামি আরএফ বিল্ডার্সের মালিক হাজী দেলোয়ার হোসেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী ছিলেন দুদকের শরীফ উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে সারোয়ার হোসেন দাবি করেন, শরীফের এক আত্মীয়ের বাসায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। শরীফ কয়েকজন আত্মীয়কেও প্রভাব খাঁটিয়ে কেজিডিসিএলে চাকরি দেন বলে দাবি করেন তিনি।
অথচ ২০২১ সালে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ প্রদান করায় সাবেক প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলামের (বিএসসি) বড় ছেলে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. মুজিবুর রহমান, কর্ণফুলী গ্যাসের মো. সারওয়ার হোসেন, সাবেক ব্যবস্থাপক মো. মজিবুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সার্ভেয়ার মো. দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন শরীফ উদ্দিন। এই মামলায় সারওয়ার, মজিবুর ও দিদারুলকে গ্রেপ্তার করে দুদক। পরে কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ এসব সংযোগ বিচ্ছিন্নও করে।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আমার কোনো আত্মীয়ের পক্ষ নিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে তদবির করিনি। এটি পুরো মিথ্যা। সারোয়ার সাহেব অবৈধ গ্যাস অনুমোদন দেওয়ায় মামলা করেছিলাম। যার প্রমাণ প্রতিষ্ঠানটি পেয়ে ওই সব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচারাধীন মামলার অভিযুক্তরা কোনোভাবেই সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন না। দুর্নীতিবাজরা-তো পারেনও না। তাদের কী রকম সাহস বা তাদের হাত কত লম্বা হলে দুদকের বিরুদ্ধেই সংবাদ সম্মেলন করল। এই থেকে বোঝা যায়, দুদকের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।’
আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনটি যারা করেছে তারা সবাই দুদকের মামলার আসামি। কেউ কেউ জেলও খেটেছেন। তারা সাবেক একজন দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেও, মূলত এটি দুদকের বিরুদ্ধেই। দুদকের উচিত এখনই অ্যাকশন নেওয়া।’
আরএফ বিল্ডার্সের মালিক হাজী দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, মাত্র দুটি দোকান না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়।
বিষয়টিকে ‘একেবারেই হাস্যকর’ বলছেন দুদকের শরীফ। দুদকের অনুসন্ধানে শত কোটি টাকা লুটপাটের চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে হাজী দেলোয়ার হোসেন বিরুদ্ধে। দুদকের তথ্য মতে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে তিনি দুদকের মামলায়ও জেল খাটেন। তবে তাঁর বিভিন্ন ‘স্বপ্নফাঁদ’ প্রকল্পে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পাননি শত শত গ্রাহক।
দুদকের তথ্য মতে আরও জানা যায়, ওয়েসিস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড ৩৮ হাজার ৯৮০ জন শেয়ার হোল্ডার থেকে ৫৫৭ কোটি টাকা হাতানোর টার্গেট নিয়ে সাব কবলায় ফ্ল্যাট বিক্রি শুরু করে ২০১২ সালে। চড়কদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে সারা দেশের গ্রাহকদের স্বপ্ন দেখিয়ে অন্তত শতকোটি টাকা লুটপাট করার পরে সেই প্রতিষ্ঠানটিই গায়েব করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে।
নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আবুল খায়ের নামের একজন গ্রাহক ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর (আইডি- ২২৯ ই) ২৯০ স্কয়ার ফিটের রুম বুকিং দিয়ে ১৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেছেন ২০১৪ সাল পর্যন্ত। হুমায়ুন কবীর নামের আরেকজন গ্রাহক একই বছরের ১১ জুন ৩০৫ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট বুকিং দিয়েছিলেন (৫২০ ই-২); বিনিময়ে ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরিশোধ করেছেন ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৫ টাকা। ফারহানা চৌধুরী লুসি ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর (১২১৮ এফ) ২৪৫ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটের জন্য ১০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। কিন্তু এখনো তাঁরা কোনো কিছু পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে হাজী দেলোয়ার বলেন, ‘আমি বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে আমার স্ত্রীর নামে জায়গা বা সম্পদ কিনেছি। এটি আমার অপরাধ। দোকান না দেওয়ায় আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা করে শরীফ।’
অভিযোগের বিষয়ে শরীফ উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ একেবারে মনগড়া। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে ঢাকায়। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তবে, আমাকে যখন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন টাকা নিয়ে দোকান বা ফ্ল্যাট তাঁরা বুঝিয়ে দিতেন না বলে শত শত গ্রাহক অভিযোগ করেছিলেন।’
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

গ্যাস জালিয়াতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তারাই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসব মামলা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক বলে দাবি করে তাঁরা দুষলেন দুদকের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনটি শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি মূলত দুদকের বিরুদ্ধেই। কারণ দুদকের কোনো কর্মকর্তা কমিশনের অনুমোদন ছাড়া মামলার সুপারিশ করতে পারে না।
আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে দেড় বছর পর হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন করেন গ্যাস জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ও দুদকের মামলার আসামি কর্ণফুলী গ্যাসের সদ্য সাবেক প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন, একই মামলার আসামি দিদারুল আলম, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার আসামি আরএফ বিল্ডার্সের মালিক হাজী দেলোয়ার হোসেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী ছিলেন দুদকের শরীফ উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে সারোয়ার হোসেন দাবি করেন, শরীফের এক আত্মীয়ের বাসায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। শরীফ কয়েকজন আত্মীয়কেও প্রভাব খাঁটিয়ে কেজিডিসিএলে চাকরি দেন বলে দাবি করেন তিনি।
অথচ ২০২১ সালে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ প্রদান করায় সাবেক প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলামের (বিএসসি) বড় ছেলে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. মুজিবুর রহমান, কর্ণফুলী গ্যাসের মো. সারওয়ার হোসেন, সাবেক ব্যবস্থাপক মো. মজিবুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সার্ভেয়ার মো. দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন শরীফ উদ্দিন। এই মামলায় সারওয়ার, মজিবুর ও দিদারুলকে গ্রেপ্তার করে দুদক। পরে কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ এসব সংযোগ বিচ্ছিন্নও করে।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আমার কোনো আত্মীয়ের পক্ষ নিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে তদবির করিনি। এটি পুরো মিথ্যা। সারোয়ার সাহেব অবৈধ গ্যাস অনুমোদন দেওয়ায় মামলা করেছিলাম। যার প্রমাণ প্রতিষ্ঠানটি পেয়ে ওই সব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচারাধীন মামলার অভিযুক্তরা কোনোভাবেই সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন না। দুর্নীতিবাজরা-তো পারেনও না। তাদের কী রকম সাহস বা তাদের হাত কত লম্বা হলে দুদকের বিরুদ্ধেই সংবাদ সম্মেলন করল। এই থেকে বোঝা যায়, দুদকের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।’
আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনটি যারা করেছে তারা সবাই দুদকের মামলার আসামি। কেউ কেউ জেলও খেটেছেন। তারা সাবেক একজন দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেও, মূলত এটি দুদকের বিরুদ্ধেই। দুদকের উচিত এখনই অ্যাকশন নেওয়া।’
আরএফ বিল্ডার্সের মালিক হাজী দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, মাত্র দুটি দোকান না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়।
বিষয়টিকে ‘একেবারেই হাস্যকর’ বলছেন দুদকের শরীফ। দুদকের অনুসন্ধানে শত কোটি টাকা লুটপাটের চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে হাজী দেলোয়ার হোসেন বিরুদ্ধে। দুদকের তথ্য মতে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে তিনি দুদকের মামলায়ও জেল খাটেন। তবে তাঁর বিভিন্ন ‘স্বপ্নফাঁদ’ প্রকল্পে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পাননি শত শত গ্রাহক।
দুদকের তথ্য মতে আরও জানা যায়, ওয়েসিস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড ৩৮ হাজার ৯৮০ জন শেয়ার হোল্ডার থেকে ৫৫৭ কোটি টাকা হাতানোর টার্গেট নিয়ে সাব কবলায় ফ্ল্যাট বিক্রি শুরু করে ২০১২ সালে। চড়কদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে সারা দেশের গ্রাহকদের স্বপ্ন দেখিয়ে অন্তত শতকোটি টাকা লুটপাট করার পরে সেই প্রতিষ্ঠানটিই গায়েব করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে।
নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আবুল খায়ের নামের একজন গ্রাহক ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর (আইডি- ২২৯ ই) ২৯০ স্কয়ার ফিটের রুম বুকিং দিয়ে ১৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেছেন ২০১৪ সাল পর্যন্ত। হুমায়ুন কবীর নামের আরেকজন গ্রাহক একই বছরের ১১ জুন ৩০৫ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট বুকিং দিয়েছিলেন (৫২০ ই-২); বিনিময়ে ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরিশোধ করেছেন ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৫ টাকা। ফারহানা চৌধুরী লুসি ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর (১২১৮ এফ) ২৪৫ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটের জন্য ১০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। কিন্তু এখনো তাঁরা কোনো কিছু পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে হাজী দেলোয়ার বলেন, ‘আমি বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে আমার স্ত্রীর নামে জায়গা বা সম্পদ কিনেছি। এটি আমার অপরাধ। দোকান না দেওয়ায় আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা করে শরীফ।’
অভিযোগের বিষয়ে শরীফ উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ একেবারে মনগড়া। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে ঢাকায়। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তবে, আমাকে যখন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন টাকা নিয়ে দোকান বা ফ্ল্যাট তাঁরা বুঝিয়ে দিতেন না বলে শত শত গ্রাহক অভিযোগ করেছিলেন।’
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি ও চিরিরবন্দর সংবাদদাতা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াতের মতো কৃষকের ন্যায্যমূল্যও আটকে আছে ইছামতীর তীরে। অন্যদিকে দীর্ঘ পথ ঘুরতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তো স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে আজও বাঁশের সাঁকোর ভরসায় দুই ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদ্রাসা, মডেল স্কুল এবং রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারে যাতায়াত করেন। ব্যাংক লেনদেন, শিক্ষা কার্যক্রম, হাটবাজারে যাওয়াসহ প্রায় সব কাজে নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সাঁকোর ওপর দিয়ে ভ্যান বা অন্য কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। ফলে কৃষিপণ্য বহনের জন্য অনেককে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
জোত সাতনালা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, নদীর ওপারে তাঁর বেশির ভাগ জমি। ধান কেটে সাঁকোর কারণে ভ্যানে করে বাড়ি আনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরের পথ ঘুরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এসে বলেন, ভোট দিলে এখানে সেতু হবে। কত নির্বাচন চলে গেল, কিন্তু আজও সেতু হলো না।’
জানতে চাইলে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইছামতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াতের মতো কৃষকের ন্যায্যমূল্যও আটকে আছে ইছামতীর তীরে। অন্যদিকে দীর্ঘ পথ ঘুরতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তো স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে আজও বাঁশের সাঁকোর ভরসায় দুই ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদ্রাসা, মডেল স্কুল এবং রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারে যাতায়াত করেন। ব্যাংক লেনদেন, শিক্ষা কার্যক্রম, হাটবাজারে যাওয়াসহ প্রায় সব কাজে নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সাঁকোর ওপর দিয়ে ভ্যান বা অন্য কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। ফলে কৃষিপণ্য বহনের জন্য অনেককে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
জোত সাতনালা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, নদীর ওপারে তাঁর বেশির ভাগ জমি। ধান কেটে সাঁকোর কারণে ভ্যানে করে বাড়ি আনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরের পথ ঘুরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এসে বলেন, ভোট দিলে এখানে সেতু হবে। কত নির্বাচন চলে গেল, কিন্তু আজও সেতু হলো না।’
জানতে চাইলে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইছামতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

গ্যাস জালিয়াতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তারাই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসব মামলা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক বলে দাবি করে তাঁরা দুষলেন দুদকের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনটি শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন,
১৬ নভেম্বর ২০২২
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেসাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাচারিবাজার ব্রিজ থেকে বড়বাজার মাছমহল ব্রিজ পর্যন্ত দেখা যায়, নদের দুই পাশের বাউন্ডারির চার শতাধিক গ্রিল উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেওয়া নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১১০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে নরসুন্দা নদের পাড়ের ওয়াকওয়েতে অধিকাংশ সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর এখানে দেখা যায় ভুতুড়ে অন্ধকার। আলো না থাকার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে স্থানটি। সন্ধ্যার পর লোকজন ভয়ে এ ওয়াকওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পৌরবাসী আজিজুল রিয়াদ ও সাকিবসহ কয়েকজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও পৌর কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।’ তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট নির্ভয়ে এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এসব গ্রিল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কোনো কিছু জানি না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এলজিইডি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবির বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল বাস্তবায়ন করে দেওয়ার, আমরা তা করেছি। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের।’

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাচারিবাজার ব্রিজ থেকে বড়বাজার মাছমহল ব্রিজ পর্যন্ত দেখা যায়, নদের দুই পাশের বাউন্ডারির চার শতাধিক গ্রিল উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেওয়া নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১১০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে নরসুন্দা নদের পাড়ের ওয়াকওয়েতে অধিকাংশ সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর এখানে দেখা যায় ভুতুড়ে অন্ধকার। আলো না থাকার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে স্থানটি। সন্ধ্যার পর লোকজন ভয়ে এ ওয়াকওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পৌরবাসী আজিজুল রিয়াদ ও সাকিবসহ কয়েকজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও পৌর কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।’ তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট নির্ভয়ে এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এসব গ্রিল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কোনো কিছু জানি না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এলজিইডি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবির বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল বাস্তবায়ন করে দেওয়ার, আমরা তা করেছি। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের।’

গ্যাস জালিয়াতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তারাই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসব মামলা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক বলে দাবি করে তাঁরা দুষলেন দুদকের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনটি শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন,
১৬ নভেম্বর ২০২২
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

গ্যাস জালিয়াতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তারাই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসব মামলা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক বলে দাবি করে তাঁরা দুষলেন দুদকের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনটি শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন,
১৬ নভেম্বর ২০২২
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

গ্যাস জালিয়াতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তারাই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসব মামলা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক বলে দাবি করে তাঁরা দুষলেন দুদকের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনটি শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন,
১৬ নভেম্বর ২০২২
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে