Ajker Patrika

দীঘিনালায় পাচারের সময় এক ট্রাক সরকারি বই জব্দ

দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
দীঘিনালায় পাচারের সময় এক ট্রাক সরকারি বই জব্দ

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় গোডাউন থেকে পাচারের সময় এক ট্রাক সরকারি বই জব্দ করেছে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা। ২০২১-২০২২ সালের সরকারি টেক্সট বই (এনসিটিভি) ট্রাকে লোড করার সময় জব্দ করা হয়। 

বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পরিত্যক্ত ভবনের গোডাউন থেকে একটি ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো-১৬২১১৪) বইগুলো লোড করে পাচার করার সময় জব্দ করা হয়। 

পাচারের সময় ব্যবহার করা ট্রাকসহ বই জব্দ করা হয়এ সময় বই লোড করে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী গৌতম চক্রবর্তী (৫৫) ও অস্থায়ী অফিস সহকারী মো. রুবেল (২৬)। গৌতম চক্রবর্তী ২০১৫ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার ভোমরকান্দি গ্রামের মৃত কৃষ্ণবন্ধু চক্রবর্তীর ছেলে তিনি। এ ছাড়া অস্থায়ী (মাস্টার রোল) অফিস সহকারী মো. রুবেল (২৬)। তিনি দীঘিনালা উপজেলা পূর্ব কাঠাঁলতরীর মৃত আ. সামাদের ছেলে। 

এ বিষয়ে দীঘিনালা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি উষা আলো চাকমা বলেন, সরকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে যারা রাতের আঁধারে বই পাচারের কাজে নিয়োজিত ছিল তাঁদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা দরকার এবং সরকারি কর্মচারী জড়িত হয়ে বই পাচার করার নিন্দা জানাচ্ছি। 

দীঘিনালা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আল মামুন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। আমার অনুমতি ছাড়া বই গোডাউন থেকে বের করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ 

এ বিষয়ে দীঘিনালা ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, ‘যারা বই পাচার কাজে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখেছি।’ 

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম পেয়ার আহমেদ বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হতাশা থেকে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন রুমী, ধারণা স্বজনদের

ঢামেক প্রতিবেদক
জান্নাতারা রুমি। ছবি: ফেসবুক
জান্নাতারা রুমি। ছবি: ফেসবুক

রাজধানীর জিগাতলার ছাত্রী হোস্টেল থেকে উদ্ধার হওয়া এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমীর (৩০) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরেই তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ বেলা ১টার দিকে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ রুমীর মরদেহ মর্গে পাঠায়।

এর আগে রুমীর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমা বেগম।

একই থানার উপপরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, রুমীর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে। বাবার জাকির হোসেন। রুমী ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নার্সিংয়ে পড়ালেখা শেষ করেছেন। এরপর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করছিলেন। তবে বর্তমানে কোথায় চাকরি করতেন, নাকি বেকার ছিলেন তা জানাতে পারেননি তিনি।

এদিকে রুমীর চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান জানান, জিগাতলার ওই বাসার ছাত্রী হোস্টেলে থাকতেন রুমী। তার দু’বার বিয়ে হয়েছিল। দুই সংসারই ভেঙে গেছে। দুই সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে রুমীর। দুই সন্তান বাবার কাছে থাকে।

তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছি রুমীর রুমমেট বাড়িতে গিয়েছে। বুধবার রাতে একাই ছিলেন রুমী। তবে একই ফ্ল্যাটে পাশের রুমে অন্য রুমমেটরা ছিলেন। রাতে গৃহকর্মী পঞ্চম তলায় তাঁদের ফ্ল্যাটের সামনে গেলে দরজা খোলা দেখতে পান এবং ভেতরে আলো জ্বলতে দেখেন। এরপর উঁকি দিলে রুমীকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনিই সবাইকে ডেকে তোলেন বলে শুনেছি।’

রুমীর মৃত্যু কারণ সম্পর্কে তাঁর স্বজনেরা বলেন, সাংসারিক বা পারিবারিক বিষয়ে হতাশা থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন রুমী। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান তাঁরা।

উল্লেখ্য, রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে আজ রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, রুমী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এনসিপির ধানমন্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, সড়ক অবরোধ

 রাজশাহী প্রতিনিধি
সহকারী ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার পর সড়কে অবস্থান ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী জুলাই ৩৬ মঞ্চের। ছবি: মিলন শেখ
সহকারী ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার পর সড়কে অবস্থান ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী জুলাই ৩৬ মঞ্চের। ছবি: মিলন শেখ

রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয় অভিমুখে আয়োজিত ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী জুলাই ৩৬ মঞ্চ’-এর পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আন্দোলনকারীরা হাইকমিশন সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জুলাই ৩৬ মঞ্চের ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে নগরীর ভদ্রা মোড়ে জড়ো হন। সেখান থেকে তাঁরা ভারতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে পদ্মা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে পদযাত্রাটি হাইকমিশন কার্যালয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। কার্যালয় থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের আটকে দেয়। একপর্যায়ে জুলাই ৩৬ মঞ্চের সদস্যরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। বাধার মুখে আন্দোলনকারীরা সেখানেই সড়কের ওপর বসে পড়েন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন।

আন্দোলনকারীদের পক্ষে জুলাই ৩৬ মঞ্চের সদস্য শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ভারত আমাদের দেশের ওপর নানা ধরনের আগ্রাসন চালাচ্ছে। সীমান্তে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে, নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এমনকি খুনি হাসিনাকে তারা ভারতে আশ্রয় দিয়েছে। ওসমান হাদির খুনিদেরও ভারত আশ্রয় দিয়েছে। আমরা এই ভারতীয় আগ্রাসন কোনোভাবেই মেনে নেব না।’

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আন্দোলনকারীরা হাইকমিশন কার্যালয় থেকে ১০০ গজ দূরে প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার তাৎক্ষণিক আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নগরীর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং যান চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজদিখানে সরকারি খালের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৯
সরকারি খাল দখলমুক্ত করতে ভাঙা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সরকারি খাল দখলমুক্ত করতে ভাঙা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের চোরমর্দন মৌজার আবিরপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন কমপ্লেক্সের সামনে এই অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বারি। অভিযানে সরকারি মালিকানাধীন প্রায় দুই শতক জমি উদ্ধার করা হয়।

অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মো. কামাল হোসেন, সার্ভেয়ার মো. লিয়ার হোসেন এবং রশুনিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর সোলাইমান।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বারি বলেন, জনস্বার্থে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার এবং সরকারি দখল নিরঙ্কুশভাবে বজায় রাখতে এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ১৩ দফা দাবি পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের

খুলনা প্রতিনিধি
আজ খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করে পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করে পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের জ্বালানি খাতে কাঠামোগত সংস্কার ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে খুলনার নাগরিক সমাজ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরাম, খুলনা’ জ্বালানি খাতে ন্যায্য রূপান্তরের লক্ষ্যে ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সদস্য ও সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার (প্যারিস চুক্তি) বাস্তবায়নে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হওয়া এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।

লিখিত বক্তব্যে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে আরও উল্লেখ করা হয়, গত দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লেও এই খাত বর্তমানে এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ইতিমধ্যে প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এবং খাতটির ওপর মোট ঋণের বোঝা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫৩ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ছে এবং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অনিয়ম জেঁকে বসেছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ-সংযোগসহ এই খাতের বিভিন্ন কার্যক্রম সাধারণ মানুষের কাছে অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক শাসন ও সুশাসনের পরিপন্থী।

সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পেশ করা ১৩ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত জাতীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি প্রণয়ন। কুইক রেন্টালসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি আইন বাতিল করে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি চালু। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা। কয়লা, গ্যাস ও তেলভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র ও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ বন্ধ। ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ। পরিবহন খাতে দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক যানবাহনে শুল্ক হ্রাস। জাতীয় গ্রিডকে স্মার্ট গ্রিডে রূপান্তরকরণ। কৃষি ও ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ২৫ শতাংশ ভর্তুকি ও ৭০ শতাংশ সহজ ঋণের ব্যবস্থা করা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে তরুণদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। কার্বন ক্যাপচার, গ্রিন হাইড্রোজেন ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ। সৌর প্যানেল ও ব্যাটারির রিসাইক্লিং শিল্প গড়ে তোলা। জ্বালানি নীতি প্রণয়নে নারী, ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। কৃষকের জমি অধিগ্রহণের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা পদ্ধতি চালু।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সদস্য সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এনামুল হক, মোস্তফা জামাল পপলু, হাসান হিমালয়, রকিবুল ইসলাম মতি, মাহবুব আলম প্রিন্স, সাদিয়া রওশন অধরা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত