নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বাসার কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানাল এই টাকা। যখন আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আজ রোববার গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগে জঙ্গিবাদ ঠিক করার কথা ছিল, সেটা আমরা করেছি। জঙ্গিবাদ যখন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম, এখন দুর্নীতি যেটা আমার জিরো টলারেন্স ঘোষণা আছে, আমরা ধরছি। আমরা খুঁজে বের করছি বলেই কিন্তু আপনারা জানতে পারছেন। খোঁজ না করলে তো জানা যেত না। এভাবেই চলত। কারণ, এভাবেই চলছিল। সেই ’৭৫-এর পর থেকেই এভাবে চলছে। এখন আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবেই। এখানে কোনো দ্বিধা নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে এটা ধরলে আমার সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমার দায়িত্বই হচ্ছে যে সকল অনিয়মগুলো আছে, সেটা ধরে একটা জায়গায় দেশকে নিয়ে আসা। সুষ্ঠু ধারায় নিয়ে আসা। সেটা করার পদক্ষেপ নিয়েছি। সেটা অব্যাহত থাকবে।’
বিসিএসের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে যারা উত্তীর্ণ হয়ে, চাকরি করছে, খুঁজে বের করা গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নেব না কেন? তাদের তো চাকরি করার কোনো অধিকারই থাকবে না। এখন সেটা খুঁজে দেবে কে? ওরা যদি বলতে পারে যে অমুকের কাছে বিক্রি করেছে, তখন প্রমাণ করতে পারলে সেটি দেখা যাবে।’
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হলেও ওই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে যারা অফিসার হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমিও সেটি বিশ্বাস করি, বেনিফিশিয়ারি যারা, তাদেরও ধরা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ করবে না। কারণ, ঘুষ যে দেবে আর ঘুষ যে নেবে, উভয়েই অপরাধী। এটা মাথায় রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র যারা ফাঁস করে আর সেই প্রশ্নপত্র যারা ক্রয় করে, দুজনেই অপরাধী। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এদের খুঁজে বেরটা করবে কে? সাংবাদিকেরা যদি চেষ্টা করে বের করে দেয়, ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটা কথা বলি, ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা হয়েছিল ২০০২ বা ২০০৩ সালে। বিএনপি আমলে যত পরীক্ষা হতো আর যত চাকরি হতো, এটা কোনো পরীক্ষা-টরীক্ষা না। ওই হাওয়া ভবন থেকে তালিকা পাঠানো হতো আর সেই তালিকায়ই হতো।
‘সে সময় ঢাকা কলেজে পরীক্ষা হয় এবং একটা বিশেষ কামরা তাদের জন্য আলাদা রাখা হয়। যেখানে বসে তারা পরীক্ষা দিয়ে পাস করে চাকরিতে ঢোকে। তখন কোনো উচ্চবাচ্য নাই। এই যে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা এই অনিয়মগুলো তো তখন থেকেই শুরু। আমরা সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে এই জিনিসটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন হওয়ার পর এই গ্রুপটা কী করে যেন আবার এখানে জায়গা করে ফেলে, যেটা এখন ধরা পড়েছে।’
আরও খবর পড়ুন:

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বাসার কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানাল এই টাকা। যখন আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আজ রোববার গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগে জঙ্গিবাদ ঠিক করার কথা ছিল, সেটা আমরা করেছি। জঙ্গিবাদ যখন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম, এখন দুর্নীতি যেটা আমার জিরো টলারেন্স ঘোষণা আছে, আমরা ধরছি। আমরা খুঁজে বের করছি বলেই কিন্তু আপনারা জানতে পারছেন। খোঁজ না করলে তো জানা যেত না। এভাবেই চলত। কারণ, এভাবেই চলছিল। সেই ’৭৫-এর পর থেকেই এভাবে চলছে। এখন আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবেই। এখানে কোনো দ্বিধা নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে এটা ধরলে আমার সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমার দায়িত্বই হচ্ছে যে সকল অনিয়মগুলো আছে, সেটা ধরে একটা জায়গায় দেশকে নিয়ে আসা। সুষ্ঠু ধারায় নিয়ে আসা। সেটা করার পদক্ষেপ নিয়েছি। সেটা অব্যাহত থাকবে।’
বিসিএসের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে যারা উত্তীর্ণ হয়ে, চাকরি করছে, খুঁজে বের করা গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নেব না কেন? তাদের তো চাকরি করার কোনো অধিকারই থাকবে না। এখন সেটা খুঁজে দেবে কে? ওরা যদি বলতে পারে যে অমুকের কাছে বিক্রি করেছে, তখন প্রমাণ করতে পারলে সেটি দেখা যাবে।’
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হলেও ওই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে যারা অফিসার হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমিও সেটি বিশ্বাস করি, বেনিফিশিয়ারি যারা, তাদেরও ধরা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ করবে না। কারণ, ঘুষ যে দেবে আর ঘুষ যে নেবে, উভয়েই অপরাধী। এটা মাথায় রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র যারা ফাঁস করে আর সেই প্রশ্নপত্র যারা ক্রয় করে, দুজনেই অপরাধী। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এদের খুঁজে বেরটা করবে কে? সাংবাদিকেরা যদি চেষ্টা করে বের করে দেয়, ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটা কথা বলি, ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা হয়েছিল ২০০২ বা ২০০৩ সালে। বিএনপি আমলে যত পরীক্ষা হতো আর যত চাকরি হতো, এটা কোনো পরীক্ষা-টরীক্ষা না। ওই হাওয়া ভবন থেকে তালিকা পাঠানো হতো আর সেই তালিকায়ই হতো।
‘সে সময় ঢাকা কলেজে পরীক্ষা হয় এবং একটা বিশেষ কামরা তাদের জন্য আলাদা রাখা হয়। যেখানে বসে তারা পরীক্ষা দিয়ে পাস করে চাকরিতে ঢোকে। তখন কোনো উচ্চবাচ্য নাই। এই যে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা এই অনিয়মগুলো তো তখন থেকেই শুরু। আমরা সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে এই জিনিসটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন হওয়ার পর এই গ্রুপটা কী করে যেন আবার এখানে জায়গা করে ফেলে, যেটা এখন ধরা পড়েছে।’
আরও খবর পড়ুন:

মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
১১ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক
২ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারের আমলে গণমাধ্যম পুরোপরি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি দাবি করে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গণমাধ্যমকে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ, ভয়-ভীতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আজ রোববার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মতিউর রহমান বলেন, ‘সংবাদপত্রের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতায় বিগত ৫০ বছরে আসলে কোনো সরকার আমলেই সংবাদপত্র শিল্প খুব ভালো থাকতে পারেনি। নানা কারণে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেছে। তার মধ্যে পার্থক্য করলে বলতে হয়, বিগত ১৫/১৬ বছর বিগত স্বৈরাচারী সরকার আমলে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ, ভয়-ভীতির মধ্যে দিয়ে সংবাদপত্রকে যেতে হয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে এটা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। বিএনপির শাসন আমলে আমরা পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিলাম, তা না। আমি যদি পার্থক্য করি দুই সরকারের মধ্যে, তাহলে বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল।’
প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ৫০ বছরের ইতিহাসে সামরিক-বেসামরিক সব সরকারের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল বিগত ১৫ বছর। শুধু প্রথম আলোর ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই।’
বিগত ১৫ বছরে প্রথম আলোর মালিকানা বদলে দেওয়া, সম্পাদক বদলে দেওয়া, শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬—এই সময়ে বিএনপি কতগুলো বড় ভুল করেছে। আমরা সেগুলো কঠোরভাবে লিখেছি। এখনও আমি এই লেখাগুলোর পক্ষেই থাকব। সেগুলো নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তর্ক হয়েছে, আবার হাসিমুখে চা খেয়ে ফিরেও এসেছি। পরবর্তীতে আমাদের সেই কথাগুলো অব্যাহতি রেখেছি। তাতে কোনও প্রকাশ্যে আক্রমণ, জেলের ভয়, মামলা-মোকাদ্দমার ভয়–এমন ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি বলেন, ‘নানা সমালোচনা, তর্ক-বিতর্কের মধ্যেও বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে ধৈর্য ছিল। তাদের সহ্যশক্তি ছিল এবং তারা আমাদের পত্রিকার সমালোচনাগুলো মেনে নিয়েছিলেন। সংশোধন করতে পেরেছিলেন কি না–সেটা অনেক লম্বা আলোচনার বিষয়। আগামীতে যদি বিএনপি বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে, আমরা তাদের মধ্যে আরো অধিক সহ্যশক্তি, সমালোচনা সহ্য করার শক্তি, মেনে নেওয়ার মানসিকতা দেখব বলে আশা রাখি।’
দেশে একটা রাজনৈতিক শূন্যতা চলছে উল্লেখ করে প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘এটা একটা বিপজ্জনক অবস্থা। বিএনপির জন্যও কিছুটা কঠিন অবস্থা। আমি সবসময় ভাবতাম বা এখনো মনে করি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি আরেকটু আগে—বেশ একটু আগে দেশে আসতে পারতেন, তাহলে এক্ষেত্রে হয়তো বিএনপি এবং দেশের মধ্যে একটা ভালো, সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হতে পারত।’
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে নির্বাচনের তালিকা, প্রার্থী তালিকা করেছেন, এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তেমন একটা নেই। কিছু কিছু জায়গায় এটা আপনাদের বিবেচনা করার সুযোগ আছে কি না–আমি বলতে পারব না। কিন্তু এসব বিষয় হয়তো আপনারা একটু ভেবে দেখতে পারেন।’
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমরা সবাই আপনাদের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এই সংকটময় সময়ে, আমাদের জন্য যখন একটা বড় দুর্যোগ, তখন আপনারা সবাই দল-মত নির্বিশেষে সব ধরনের পত্রিকা, সব সাংবাদিক, সব ইউনিয়ন, সব প্রেসক্লাব আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা বড় বিষয়। আমি মনে করি, এই প্রকাশটাও আমাদের সংবাদপত্র বা ভবিষ্যৎ সংবাদপত্রের সম্ভাবনা, গণতন্ত্রের সম্ভাবনা নিয়ে খুব ভালো একটা ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এটা রক্ষা করতে পারলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আর এজন্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচন হোক সুষ্ঠু। আমি সবসময় এটা বলে এসেছি। আমি সবসময় বলতাম, যত কিছুই হোক না কেন, নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে সন্দেহ করত, প্রশ্ন করত। আমি তাদের বলতাম, আমি কোনো কিছুই সন্দেহ করি না। কিন্তু এখন আমার মনের মধ্যে একটু প্রশ্ন জাগছে–সময়টা যাচ্ছে, আগামী দিনগুলো কেমন যাবে, আগামী দুইটা মাস কেমন চলবে। বিগত কয়েকদিনের ঘটনাগুলোর প্রভাব কতটুকু হবে, এই নির্বাচন কতটুকু ভালো হতে পারবে—এই প্রশ্ন আমার মধ্যে জেগেছে।’
আগামী দিনগুলো অনেক কঠিন হবে জানিয়ে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘আগামী যে সরকার আসবে, তাদের জন্য সময়টা হবে আরো কঠিন। আমার মনে হয়, বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন।’
তিনি বলেন, যে শক্তির উত্থান ঘটেছে, যে ধরনের বক্তব্য তারা দিচ্ছে, যে ধরনের কার্যক্রম তারা করছে এবং যে ধরনের কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে সারাদেশে একটা মবতন্ত্র তৈরি হয়েছে, যুক্তি-তর্কের বাইরে গিয়ে এবং কোনোরকম চিন্তা-চেতনার বাইরে গিয়ে এবং বাংলাদেশের যে ভিত্তিমূল, যার পক্ষে বিএনপি শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পরিবর্তন–এটাই একমাত্র সমাধান।’
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারের আমলে গণমাধ্যম পুরোপরি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি দাবি করে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গণমাধ্যমকে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ, ভয়-ভীতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আজ রোববার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মতিউর রহমান বলেন, ‘সংবাদপত্রের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতায় বিগত ৫০ বছরে আসলে কোনো সরকার আমলেই সংবাদপত্র শিল্প খুব ভালো থাকতে পারেনি। নানা কারণে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেছে। তার মধ্যে পার্থক্য করলে বলতে হয়, বিগত ১৫/১৬ বছর বিগত স্বৈরাচারী সরকার আমলে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ, ভয়-ভীতির মধ্যে দিয়ে সংবাদপত্রকে যেতে হয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে এটা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। বিএনপির শাসন আমলে আমরা পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিলাম, তা না। আমি যদি পার্থক্য করি দুই সরকারের মধ্যে, তাহলে বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল।’
প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ৫০ বছরের ইতিহাসে সামরিক-বেসামরিক সব সরকারের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল বিগত ১৫ বছর। শুধু প্রথম আলোর ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই।’
বিগত ১৫ বছরে প্রথম আলোর মালিকানা বদলে দেওয়া, সম্পাদক বদলে দেওয়া, শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬—এই সময়ে বিএনপি কতগুলো বড় ভুল করেছে। আমরা সেগুলো কঠোরভাবে লিখেছি। এখনও আমি এই লেখাগুলোর পক্ষেই থাকব। সেগুলো নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তর্ক হয়েছে, আবার হাসিমুখে চা খেয়ে ফিরেও এসেছি। পরবর্তীতে আমাদের সেই কথাগুলো অব্যাহতি রেখেছি। তাতে কোনও প্রকাশ্যে আক্রমণ, জেলের ভয়, মামলা-মোকাদ্দমার ভয়–এমন ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি বলেন, ‘নানা সমালোচনা, তর্ক-বিতর্কের মধ্যেও বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে ধৈর্য ছিল। তাদের সহ্যশক্তি ছিল এবং তারা আমাদের পত্রিকার সমালোচনাগুলো মেনে নিয়েছিলেন। সংশোধন করতে পেরেছিলেন কি না–সেটা অনেক লম্বা আলোচনার বিষয়। আগামীতে যদি বিএনপি বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে, আমরা তাদের মধ্যে আরো অধিক সহ্যশক্তি, সমালোচনা সহ্য করার শক্তি, মেনে নেওয়ার মানসিকতা দেখব বলে আশা রাখি।’
দেশে একটা রাজনৈতিক শূন্যতা চলছে উল্লেখ করে প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘এটা একটা বিপজ্জনক অবস্থা। বিএনপির জন্যও কিছুটা কঠিন অবস্থা। আমি সবসময় ভাবতাম বা এখনো মনে করি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি আরেকটু আগে—বেশ একটু আগে দেশে আসতে পারতেন, তাহলে এক্ষেত্রে হয়তো বিএনপি এবং দেশের মধ্যে একটা ভালো, সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হতে পারত।’
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে নির্বাচনের তালিকা, প্রার্থী তালিকা করেছেন, এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তেমন একটা নেই। কিছু কিছু জায়গায় এটা আপনাদের বিবেচনা করার সুযোগ আছে কি না–আমি বলতে পারব না। কিন্তু এসব বিষয় হয়তো আপনারা একটু ভেবে দেখতে পারেন।’
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমরা সবাই আপনাদের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এই সংকটময় সময়ে, আমাদের জন্য যখন একটা বড় দুর্যোগ, তখন আপনারা সবাই দল-মত নির্বিশেষে সব ধরনের পত্রিকা, সব সাংবাদিক, সব ইউনিয়ন, সব প্রেসক্লাব আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা বড় বিষয়। আমি মনে করি, এই প্রকাশটাও আমাদের সংবাদপত্র বা ভবিষ্যৎ সংবাদপত্রের সম্ভাবনা, গণতন্ত্রের সম্ভাবনা নিয়ে খুব ভালো একটা ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এটা রক্ষা করতে পারলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আর এজন্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচন হোক সুষ্ঠু। আমি সবসময় এটা বলে এসেছি। আমি সবসময় বলতাম, যত কিছুই হোক না কেন, নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে সন্দেহ করত, প্রশ্ন করত। আমি তাদের বলতাম, আমি কোনো কিছুই সন্দেহ করি না। কিন্তু এখন আমার মনের মধ্যে একটু প্রশ্ন জাগছে–সময়টা যাচ্ছে, আগামী দিনগুলো কেমন যাবে, আগামী দুইটা মাস কেমন চলবে। বিগত কয়েকদিনের ঘটনাগুলোর প্রভাব কতটুকু হবে, এই নির্বাচন কতটুকু ভালো হতে পারবে—এই প্রশ্ন আমার মধ্যে জেগেছে।’
আগামী দিনগুলো অনেক কঠিন হবে জানিয়ে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘আগামী যে সরকার আসবে, তাদের জন্য সময়টা হবে আরো কঠিন। আমার মনে হয়, বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন।’
তিনি বলেন, যে শক্তির উত্থান ঘটেছে, যে ধরনের বক্তব্য তারা দিচ্ছে, যে ধরনের কার্যক্রম তারা করছে এবং যে ধরনের কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে সারাদেশে একটা মবতন্ত্র তৈরি হয়েছে, যুক্তি-তর্কের বাইরে গিয়ে এবং কোনোরকম চিন্তা-চেতনার বাইরে গিয়ে এবং বাংলাদেশের যে ভিত্তিমূল, যার পক্ষে বিএনপি শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পরিবর্তন–এটাই একমাত্র সমাধান।’
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বাসার কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানাল এই টাকা। যখন আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’
১৪ জুলাই ২০২৪
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক
২ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশি কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা লক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়েছিল। ওই যুবকেরা ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছিলেন।’
মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করেনি বা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি।’
সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ জনসমক্ষে পাওয়া যাচ্ছে।
বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল আরও উল্লেখ করেন, ‘ভারত বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে। আমাদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ভারতের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। আমরা দিপু চন্দ্র দাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি।’
তিনি আবারও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ভারতের মাটিতে অবস্থিত সব বিদেশি মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘নয়াদিল্লি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গেটে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার মো. ফয়সাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে করে কিছু লোক এসে বাংলাদেশ ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। তারা বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে কিছু কথাবার্তা বলেছে—হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হবে; হাইকমিশনারকে ধরো। পরে তারা মেইন গেটের সামনে এসে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। ওরা চিৎকার করে চলে গেছে—এতটুকুই আমি জানি।’

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশি কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা লক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়েছিল। ওই যুবকেরা ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছিলেন।’
মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করেনি বা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি।’
সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ জনসমক্ষে পাওয়া যাচ্ছে।
বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল আরও উল্লেখ করেন, ‘ভারত বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে। আমাদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ভারতের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। আমরা দিপু চন্দ্র দাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি।’
তিনি আবারও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ভারতের মাটিতে অবস্থিত সব বিদেশি মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘নয়াদিল্লি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গেটে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার মো. ফয়সাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে করে কিছু লোক এসে বাংলাদেশ ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। তারা বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে কিছু কথাবার্তা বলেছে—হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হবে; হাইকমিশনারকে ধরো। পরে তারা মেইন গেটের সামনে এসে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। ওরা চিৎকার করে চলে গেছে—এতটুকুই আমি জানি।’

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বাসার কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানাল এই টাকা। যখন আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’
১৪ জুলাই ২০২৪
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
১১ মিনিট আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক
২ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি যে, তাদের কিছু ছবি ও পরিচয় আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, কোনো প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া বা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা কখনোই কাম্য নয়। সরকার এ ধরনের অন্যায় ও গর্হিত কাজ বন্ধ করতে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। হামলাকারীরা কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে কার্যালয় দুটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ভয়াবহ হামলার ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সাংবাদিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাঁরা বলছেন, এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার একটি জঘন্য প্রচেষ্টা।
ছায়ানট ভবনে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি।’
এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাককর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেন ধর্ম উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, সরকার কোনোভাবেই কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেবে না। প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হবে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি যে, তাদের কিছু ছবি ও পরিচয় আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, কোনো প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া বা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা কখনোই কাম্য নয়। সরকার এ ধরনের অন্যায় ও গর্হিত কাজ বন্ধ করতে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। হামলাকারীরা কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে কার্যালয় দুটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ভয়াবহ হামলার ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সাংবাদিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাঁরা বলছেন, এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার একটি জঘন্য প্রচেষ্টা।
ছায়ানট ভবনে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি।’
এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাককর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেন ধর্ম উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, সরকার কোনোভাবেই কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেবে না। প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হবে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বাসার কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানাল এই টাকা। যখন আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’
১৪ জুলাই ২০২৪
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
১১ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় এই নির্দেশ দেন।
অন্য যাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, সাবেক উপসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
দুদকের সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে মেঘনা-গোমতী সেতুতে ২০১৬ সালে নীতিমালা উপেক্ষা করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেডকে (সিএনএস) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। টাকার অঙ্কে কাজের মূল্য নির্ধারণ না করে বরং মোট আদায় করা টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল তুলেছে। দুদক বলছে, এ প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩০৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় দুদক গত ১২ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তকালে দুদক জানতে পেরেছে, এ মামলার আসামিরা যেকোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তাঁরা দেশ ত্যাগ করলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে বিধায় তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় এই নির্দেশ দেন।
অন্য যাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, সাবেক উপসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
দুদকের সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে মেঘনা-গোমতী সেতুতে ২০১৬ সালে নীতিমালা উপেক্ষা করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেডকে (সিএনএস) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। টাকার অঙ্কে কাজের মূল্য নির্ধারণ না করে বরং মোট আদায় করা টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল তুলেছে। দুদক বলছে, এ প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩০৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় দুদক গত ১২ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তকালে দুদক জানতে পেরেছে, এ মামলার আসামিরা যেকোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তাঁরা দেশ ত্যাগ করলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে বিধায় তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বাসার কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানাল এই টাকা। যখন আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’
১৪ জুলাই ২০২৪
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
১১ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক
২ ঘণ্টা আগে