Ajker Patrika

সরকারি চাকরিতে কোটা, কার ভাগে কত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪, ১২: ১৬
সরকারি চাকরিতে কোটা, কার ভাগে কত

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা আবারও কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন। 

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল চেয়ে ২০১৮ সালেও দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ওই বিক্ষোভের মুখে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্র জারি করে। সেই পরিপত্র গত ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর আজ বুধবার (১০ জুলাই) চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। 

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অবশ্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কোটা বহাল ছিল এবং এখনো আছে। 

সরকারি তথ্য বলছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২০ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতো। বাকি ৮০ শতাংশ পদে কোটায় নিয়োগ হতো। ১৯৭৬ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ৪০ শতাংশে বাড়ানো হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করা হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়। 

এই অগ্রাধিকার কোটার মধ্যে রয়েছে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা ও ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা। পরে ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের নিয়ম চালু করে মোট কোটা দাঁড়ায় ৫৬ শতাংশ। শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল। পরে এ কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তারপর নাতি-নাতনি যুক্ত করা হয়। 

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোটার বিপুল পদ শূন্য থাকত। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়, কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে তা মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ ৭জন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। 

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন চেম্বার আদালত হয়ে ৪ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন আপিল বিভাগ নট টুডে (৪ জুলাই নয়) বলে আদেশ দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। এ অবস্থায় কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী গতকাল মঙ্গলবার আবেদন করেন। 

কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষে করা আবেদন শুনানির জন্য বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সময় নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ। পরে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দেন আপিল বিভাগ। 

ওই রায়ের পর আইনজীবীদের ভাষ্য, সব কোটা, নাকি শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরছে, তা হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে বলা যাবে।

১৯৭২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর {(ইডি/আরআই/আর-৭৩/৭২-১০৯(৫০০)} তৎকালীন সংস্থাপন বিভাগের সচিব এম এম জামানের স্বাক্ষরে স্বাধীনতার পর দেশের সব অঞ্চলের জনগণকে সরকারি চাকরিতে অনুপ্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি এবং সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে চাকরিতে নিয়োগের আদেশ জারি করা হয়। 

আদেশের শুরুতেই বলা হয়, সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে জেলাভিত্তিক এই কোটা নির্ধারণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই আদেশেই মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের অবদান ও ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করে তাদের জনজীবনে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৩০ শতাংশ কোটা দিয়ে চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।

তেমনিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত নারীদের জন্যও ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে চাকরিতে নিয়োগের বিধান রাখা হয়। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে এই কোটা পদ্ধতি নিয়ে চার দশক ধরেই আপত্তি উঠে আসছে। 

জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন পে ও সার্ভিস কমিশনের একজন সদস্য বাদে সবাই সরকারি নিয়োগে কোটা পদ্ধতির বিরোধিতা করেন। কোটার পক্ষে অবস্থান নেওয়া এম এম জামান প্রচলিত কোটাগুলো প্রথম ১০ বছর বহাল রেখে ১৯৮৭ সাল থেকে পরবর্তী ১০ বছরে ধীরে ধীরে কমিয়ে দশম বছরে তা বিলুপ্ত করার পক্ষে মত দেন। 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা প্রয়াত ড. আকবর আলি খান ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের এক গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে ২৫৭ ধরনের কোটা আছে, যা ঐতিহাসিক এবং বিশ্বে বিরল ঘটনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ

ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মাদারীপুর মোস্তফাপুরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার মোস্তফাপুরে জড়ো হন তাঁরা। পরে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

অবরোধ চলাকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় ব্যানার-ফ্যাস্টুন হাতে স্লোগান দেন বক্তারা। পরে সোয়া ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ সময় মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, এনসিপির জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. হাসিবুল্লাহ, যুগ্ম সমন্বয়কারী রুবেল মৃধা, কার্যকরী সদস্য হাফেজ আব্দুর রহিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহ, সাবেক সদস্যসচিব মাসুম বিল্লাহ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম সানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

নরসিংদী প্রতিনিধি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার বেলা ২টা থেকে নরসিংদী শহরের গুরুত্বপূর্ণ জেলখানা মোড় এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তাঁরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন।

অবরোধের ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দূরপাল্লার যাত্রী ও চালকেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন এনসিপির প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল এবং জামায়াতের প্রার্থী ইব্রাহিম ভূইয়া। এ ছাড়া নরসিংদী ছাত্র ঐক্য জোটের নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবি জানান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিকেল ৪টার দিকে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা তাঁর উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ প্রতিবেদন পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহারের কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শনিবারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি পরীক্ষা স্থগিত

গাজীপুর প্রতিনিধি
শনিবারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি পরীক্ষা স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এলএলবি প্রথম পর্বের শনিবারের (২০ ডিসেম্বর) ইকুইটি, ট্রাস্ট, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার ও হিন্দু আইন বিষয়ের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিতকৃত পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে।

আজ শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০২৪ সালের এলএলবি প্রথম পর্বের অন্যান্য পরীক্ষার সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যু: ঝিনাইদহে আ.লীগের ২ নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ শহরে আজ শুক্রবার সকালে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহ শহরে আজ শুক্রবার সকালে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহ শহরে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়িতে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা হয়।/

রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী শহরে টহল বাড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আজ শুক্রবার সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে পুলিশ অবস্থান করছে।

জানা গেছে, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে শহরে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করেন। এরপর তাঁরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসের বাড়িতে ও অফিসে ভাঙচুরসহ আসবাব আগুন ধরিয়ে দেন। এর আগে বাসার দ্বিতীয়তলায় ভাঙচুর করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এরপর শহরের হাটের রাস্তায় সদর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাসুমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই সময় বিক্ষুব্ধরা সাবেক সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এদিকে এসব ঘটনার পর থেকেই শহরে জোরদার করা হয় নিরাপত্তাব্যবস্থা। শহরের হামদহ, মনুমেন্ট, পোস্ট অফিস মোড়, স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ অন্য স্থানে টহলে রয়েছে পুলিশ।

জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসের কার্যালয়ে কর্মরত অসিম বলেন, ‘হঠাৎ রাতে একদল মানুষ এতে ভাঙচুর শুরু করে। বাসার নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ফাইলপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ঝিনাইদহ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে সারা দেশের মতো আমাদেরও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত