এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার এক বিচারককে দুই ধাপ ডিঙিয়ে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ওই বিচারক ১৬ বছর ধরে চাকরিতেই নেই। ২০০৮ সালে সাময়িক বরখাস্ত ও ২০১০ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।
তবে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে ওই বিচারককে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ দেন। এরপর সরকার আপিল করলে ২০২১ সালেও চাকরি ফেরতের রায় বহাল থাকে। এরপরও তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁকে চাকরিতে ফেরানো হয়নি।
অথচ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুর, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলাবিধান, চাকরির অন্যান্য শর্তাবলি) বিধিমালা, ২০০৭ অনুযায়ী যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য যুগ্ম জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক কাজের অভিজ্ঞতাসহ ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য অতিরিক্ত জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক অভিজ্ঞতাসহ মোট ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। আর সিনিয়র জেলা জজ হতে জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
অর্থাৎ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা, ২০০৭–এর বাইরে গিয়ে যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার ওই বিচারককে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
মন্ত্রণালয়ের ওই প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায়। তবে ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন থাকা অবস্থাতেই ওই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এবার সরাসরি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকার পতনের পরের দিনই তড়িঘড়ি করে যোগদানের প্রজ্ঞাপন, একদিন পরই পদোন্নতির প্রস্তাব এবং ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন অবস্থাতেই নতুন করে বিধির বাইরে গিয়ে ওই বিচারকের পদোন্নতির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিচারিক অভিজ্ঞতা ছাড়া এই রকম পদোন্নতির নজির নেই। এই বিষয়ে জানতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘এ রকম কোনো নজির আছে বলে আমার জানা নেই। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্টে বিবেচনাধীন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত এটা হয় না। এর আগে এ রকম কোনো নজির নেই। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কী হবে সেটি সুপ্রিম কোর্ট ও মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
আযাদ সুবহানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মজলুম ছিলাম। ১৬ বছর হাল না ছেড়ে ফাইট করেছি। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর যোগদান করতে গিয়েছিলাম। তবে তৎকালীন আইন সচিব বললেন আপিলের মেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, তাঁরা আপিল করবেন না। তবে সাড়ে ৫ মাস পর তাঁরা (মন্ত্রণালয়) আপিল করে দিলেন। ২০২১ সালের আপিলের রায়ও পেলাম। কিন্তু আমাকে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।’
সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকা আযাদ সুবহানীকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ করতে প্রস্তাব এসেছে। বিষয়টি জিএ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় পাঠিয়েছেন। আগামী ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
সৈয়দ আজাদ সুবহানী ২০০৮ সালে যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে নোয়াখালীতে কর্মরত থাকাকালে বিচারকাজ পরিচালনায় অনিয়ম, বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতি বরাবর ওই বছরের ৮ জুলাই চিঠি দেওয়া হয় নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে।
আযাদ সুবহানীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য শুরুতে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা জজ এ. কে. এম জহির আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে মর্মে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিলে বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে ওই মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফেনীর তৎকালীন জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে।
জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামের তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হলেও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ মেলে। এরপর মন্ত্রণালয় আযাদ সুবহানীকে সতর্ক করে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব পাঠায়। তবে সুপ্রিম কোর্টের জিএ কমিটি (প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৪ সদ্যের প্রশাসনিক কমিটি) তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর অনুমোদন দেয়। এরপর বিষয়টি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট (সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির সমন্বয়ে বৈঠক) সভায়। ফুলকোর্ট সভাও ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
আযাদ সুবহানীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সতর্ক করে বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পুনরায় প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অসম্মতি জানালে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, কেন তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে না, মর্মে সরকার দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। এরপর জাতীয় দৈনিকে বিষয়টি প্রকাশ করা হলেও তিনি শাস্তির বিষয়ে কোনো জবাব দেননি। তাই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো।
এদিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আযাদ সুবহানী। ট্রাইব্যুনাল ওই সিদ্ধান্ত বেআইনি ঘোষণা করে সব বকেয়া সুবিধাসহ চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে আপিল করে। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল সরকারের করা আপিল খারিজ করে ২০২১ সালের ৯ মার্চ ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। তবে রায় অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর চাকরি ফেরত দিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। যার কারণে তিনি যোগ দিতে পারেননি।
আরও খবর পড়ুন:

যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার এক বিচারককে দুই ধাপ ডিঙিয়ে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ওই বিচারক ১৬ বছর ধরে চাকরিতেই নেই। ২০০৮ সালে সাময়িক বরখাস্ত ও ২০১০ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।
তবে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে ওই বিচারককে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ দেন। এরপর সরকার আপিল করলে ২০২১ সালেও চাকরি ফেরতের রায় বহাল থাকে। এরপরও তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁকে চাকরিতে ফেরানো হয়নি।
অথচ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুর, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলাবিধান, চাকরির অন্যান্য শর্তাবলি) বিধিমালা, ২০০৭ অনুযায়ী যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য যুগ্ম জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক কাজের অভিজ্ঞতাসহ ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য অতিরিক্ত জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক অভিজ্ঞতাসহ মোট ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। আর সিনিয়র জেলা জজ হতে জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
অর্থাৎ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা, ২০০৭–এর বাইরে গিয়ে যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার ওই বিচারককে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
মন্ত্রণালয়ের ওই প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায়। তবে ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন থাকা অবস্থাতেই ওই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এবার সরাসরি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকার পতনের পরের দিনই তড়িঘড়ি করে যোগদানের প্রজ্ঞাপন, একদিন পরই পদোন্নতির প্রস্তাব এবং ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন অবস্থাতেই নতুন করে বিধির বাইরে গিয়ে ওই বিচারকের পদোন্নতির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিচারিক অভিজ্ঞতা ছাড়া এই রকম পদোন্নতির নজির নেই। এই বিষয়ে জানতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘এ রকম কোনো নজির আছে বলে আমার জানা নেই। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্টে বিবেচনাধীন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত এটা হয় না। এর আগে এ রকম কোনো নজির নেই। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কী হবে সেটি সুপ্রিম কোর্ট ও মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
আযাদ সুবহানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মজলুম ছিলাম। ১৬ বছর হাল না ছেড়ে ফাইট করেছি। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর যোগদান করতে গিয়েছিলাম। তবে তৎকালীন আইন সচিব বললেন আপিলের মেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, তাঁরা আপিল করবেন না। তবে সাড়ে ৫ মাস পর তাঁরা (মন্ত্রণালয়) আপিল করে দিলেন। ২০২১ সালের আপিলের রায়ও পেলাম। কিন্তু আমাকে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।’
সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকা আযাদ সুবহানীকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ করতে প্রস্তাব এসেছে। বিষয়টি জিএ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় পাঠিয়েছেন। আগামী ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
সৈয়দ আজাদ সুবহানী ২০০৮ সালে যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে নোয়াখালীতে কর্মরত থাকাকালে বিচারকাজ পরিচালনায় অনিয়ম, বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতি বরাবর ওই বছরের ৮ জুলাই চিঠি দেওয়া হয় নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে।
আযাদ সুবহানীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য শুরুতে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা জজ এ. কে. এম জহির আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে মর্মে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিলে বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে ওই মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফেনীর তৎকালীন জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে।
জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামের তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হলেও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ মেলে। এরপর মন্ত্রণালয় আযাদ সুবহানীকে সতর্ক করে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব পাঠায়। তবে সুপ্রিম কোর্টের জিএ কমিটি (প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৪ সদ্যের প্রশাসনিক কমিটি) তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর অনুমোদন দেয়। এরপর বিষয়টি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট (সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির সমন্বয়ে বৈঠক) সভায়। ফুলকোর্ট সভাও ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
আযাদ সুবহানীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সতর্ক করে বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পুনরায় প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অসম্মতি জানালে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, কেন তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে না, মর্মে সরকার দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। এরপর জাতীয় দৈনিকে বিষয়টি প্রকাশ করা হলেও তিনি শাস্তির বিষয়ে কোনো জবাব দেননি। তাই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো।
এদিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আযাদ সুবহানী। ট্রাইব্যুনাল ওই সিদ্ধান্ত বেআইনি ঘোষণা করে সব বকেয়া সুবিধাসহ চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে আপিল করে। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল সরকারের করা আপিল খারিজ করে ২০২১ সালের ৯ মার্চ ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। তবে রায় অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর চাকরি ফেরত দিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। যার কারণে তিনি যোগ দিতে পারেননি।
আরও খবর পড়ুন:

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৩৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
০৭ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
০৭ অক্টোবর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৩৪ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৬ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
০৭ অক্টোবর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৩৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
০৭ অক্টোবর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৩৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে