তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

কূটনীতিক হিসেবে চাকরিজীবনে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। কখনো নারীঘটিত বিষয়, আবার কখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় তিন-তিনবার রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব থেকে প্রত্যাখ্যাতও হয়েছেন। কিন্তু এবার আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে। হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কমপক্ষে ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা চিকিৎসার খরচ হিসাবে দেখিয়েছেন। আলোচিত এই কূটনীতিকের নাম মো. তৌহিদুল ইসলাম। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার পদে দায়িত্বরত আছেন তিনি।
বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডার ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা এক যুগ ধরে যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দুজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় কোনো ধরনের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে।
তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে অস্বাভাবিক চিকিৎসা ব্যয় দেখানো নিয়ে। সরকারি খাত থেকে টাকা নিয়ে নিজের চশমা মেরামত, দাঁতের চিকিৎসা, স্ত্রীর রূপচর্চা, স্পা খরচসহ নানাভাবে খরচ দেখিয়েছেন তিনি। অথচ ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্ট্রাকশন ফর দ্য গাইডেন্স অব বাংলাদেশ মিশন অ্যাব্রোড’ ১১ অনুচ্ছেদে-২ (iv) এবং মেডিকেল অ্যাটেনডেন্স রুলস ১৯৫৮-এর ২ (i) অনুযায়ী, এসব খাতে টাকা খরচের সুযোগ নেই।
জানা যায়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেন মো. তৌহিদুল ইসলাম। এর পর থেকে তিনি সর্বমোট ৫ কোটি ৪৭ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ টাকা চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে দেখিয়েছেন। সম্প্রতি সরকারি একটি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের এ কর্মকর্তা সিঙ্গাপুরে দায়িত্ব পালনকালে প্রতিবছর গড়ে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৫ টাকা চিকিৎসাবাবদ ব্যয় করেছেন। তাঁর চিকিৎসাবাবদ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ২০০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি ৯ লাখ ৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯০ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বড় অঙ্কের খরচ দেখানো হয়েছে হাইকমিশনারের চোখের চিকিৎসা, চশমা পরিবর্তনের নামে। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া রেডিয়াম গ্রুপ থেকে স্পার নামেও মোটা অঙ্কের টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ দেখানো হয়েছে। চিকিৎসার জন্য খরচে যে বিল-ভাউচার সংযুক্ত করেছেন, তা কম্পিউটার থেকে তৈরি করে প্রিন্ট করা বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব টাকা খরচ করা হয়েছে, তা ভিআইপিদের জন্য। আমি কোনো টাকা খরচ করিনি। আর আগে যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়েছিল, তা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে সব সময় কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল সরকার। এ কর্মকর্তাকে অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডসে পদায়ন করা হলে দেশ দুটি তাঁকে গ্রহণ করেনি। এরপর তাঁকে জেনেভায় রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তৎকালীন সরকারপ্রধান পরপর তিনবার তা নাকচ করে দেন। তারপরও এই কূটনীতিককে আগলে রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেটে সুরমা নদীর চর খননকাজের উদ্বোধন শেষে তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘কূটনীতিক হিসেবে তৌহিদুল ভেরি গুড অফিসার ও তুখোড় ছেলে। অযথা একটি দল তৌহিদুলের বিপক্ষে লেগেছে। তবে যত দিন মন্ত্রী আছি, তত দিন তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে যাব।’
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসিন্দা তৌহিদুল বর্তমানেও এলাকাপ্রীতি কাজে লাগিয়ে নিজের অবস্থান বেশ শক্ত করেছেন বলে জানা গেছে। সিঙ্গাপুরে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরিতে আছেন কাউন্সেলর তৌফিকুর রহমান, হেড অব চ্যান্সেরি ও কাউন্সিলর পাসপোর্ট ওয়াসিমুল বারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অ্যাকাউন্টস) ফিরোজ আহমদ এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান। তাঁদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একজন পাসপোর্ট অফিসারকে দিয়ে ‘মাই পাসপোর্ট চ্যানেল’ নামে একটি ভিডিও চ্যানেলে কনটেন্ট আপলোড করিয়ে অর্থ আয় করেন, যা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না।
এর আগে ২০১৩ সালে ইতালির মিলানে কনস্যুলার জেনারেল হিসেবে কর্মরত থাকাকালে মো. তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে।

কূটনীতিক হিসেবে চাকরিজীবনে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। কখনো নারীঘটিত বিষয়, আবার কখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় তিন-তিনবার রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব থেকে প্রত্যাখ্যাতও হয়েছেন। কিন্তু এবার আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে। হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কমপক্ষে ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা চিকিৎসার খরচ হিসাবে দেখিয়েছেন। আলোচিত এই কূটনীতিকের নাম মো. তৌহিদুল ইসলাম। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার পদে দায়িত্বরত আছেন তিনি।
বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডার ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা এক যুগ ধরে যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দুজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় কোনো ধরনের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে।
তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে অস্বাভাবিক চিকিৎসা ব্যয় দেখানো নিয়ে। সরকারি খাত থেকে টাকা নিয়ে নিজের চশমা মেরামত, দাঁতের চিকিৎসা, স্ত্রীর রূপচর্চা, স্পা খরচসহ নানাভাবে খরচ দেখিয়েছেন তিনি। অথচ ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্ট্রাকশন ফর দ্য গাইডেন্স অব বাংলাদেশ মিশন অ্যাব্রোড’ ১১ অনুচ্ছেদে-২ (iv) এবং মেডিকেল অ্যাটেনডেন্স রুলস ১৯৫৮-এর ২ (i) অনুযায়ী, এসব খাতে টাকা খরচের সুযোগ নেই।
জানা যায়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেন মো. তৌহিদুল ইসলাম। এর পর থেকে তিনি সর্বমোট ৫ কোটি ৪৭ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ টাকা চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে দেখিয়েছেন। সম্প্রতি সরকারি একটি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের এ কর্মকর্তা সিঙ্গাপুরে দায়িত্ব পালনকালে প্রতিবছর গড়ে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৫ টাকা চিকিৎসাবাবদ ব্যয় করেছেন। তাঁর চিকিৎসাবাবদ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ২০০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি ৯ লাখ ৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯০ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বড় অঙ্কের খরচ দেখানো হয়েছে হাইকমিশনারের চোখের চিকিৎসা, চশমা পরিবর্তনের নামে। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া রেডিয়াম গ্রুপ থেকে স্পার নামেও মোটা অঙ্কের টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ দেখানো হয়েছে। চিকিৎসার জন্য খরচে যে বিল-ভাউচার সংযুক্ত করেছেন, তা কম্পিউটার থেকে তৈরি করে প্রিন্ট করা বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব টাকা খরচ করা হয়েছে, তা ভিআইপিদের জন্য। আমি কোনো টাকা খরচ করিনি। আর আগে যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়েছিল, তা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে সব সময় কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল সরকার। এ কর্মকর্তাকে অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডসে পদায়ন করা হলে দেশ দুটি তাঁকে গ্রহণ করেনি। এরপর তাঁকে জেনেভায় রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তৎকালীন সরকারপ্রধান পরপর তিনবার তা নাকচ করে দেন। তারপরও এই কূটনীতিককে আগলে রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেটে সুরমা নদীর চর খননকাজের উদ্বোধন শেষে তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘কূটনীতিক হিসেবে তৌহিদুল ভেরি গুড অফিসার ও তুখোড় ছেলে। অযথা একটি দল তৌহিদুলের বিপক্ষে লেগেছে। তবে যত দিন মন্ত্রী আছি, তত দিন তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে যাব।’
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসিন্দা তৌহিদুল বর্তমানেও এলাকাপ্রীতি কাজে লাগিয়ে নিজের অবস্থান বেশ শক্ত করেছেন বলে জানা গেছে। সিঙ্গাপুরে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরিতে আছেন কাউন্সেলর তৌফিকুর রহমান, হেড অব চ্যান্সেরি ও কাউন্সিলর পাসপোর্ট ওয়াসিমুল বারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অ্যাকাউন্টস) ফিরোজ আহমদ এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান। তাঁদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একজন পাসপোর্ট অফিসারকে দিয়ে ‘মাই পাসপোর্ট চ্যানেল’ নামে একটি ভিডিও চ্যানেলে কনটেন্ট আপলোড করিয়ে অর্থ আয় করেন, যা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না।
এর আগে ২০১৩ সালে ইতালির মিলানে কনস্যুলার জেনারেল হিসেবে কর্মরত থাকাকালে মো. তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে।
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

কূটনীতিক হিসেবে চাকরিজীবনে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। কখনো নারীঘটিত বিষয়, আবার কখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় তিন-তিনবার রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব থেকে প্রত্যাখ্যাতও হয়েছেন। কিন্তু এবার আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে। হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কমপক্ষে ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা চিকিৎসার খরচ হিসাবে দেখিয়েছেন। আলোচিত এই কূটনীতিকের নাম মো. তৌহিদুল ইসলাম। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার পদে দায়িত্বরত আছেন তিনি।
বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডার ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা এক যুগ ধরে যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দুজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় কোনো ধরনের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে।
তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে অস্বাভাবিক চিকিৎসা ব্যয় দেখানো নিয়ে। সরকারি খাত থেকে টাকা নিয়ে নিজের চশমা মেরামত, দাঁতের চিকিৎসা, স্ত্রীর রূপচর্চা, স্পা খরচসহ নানাভাবে খরচ দেখিয়েছেন তিনি। অথচ ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্ট্রাকশন ফর দ্য গাইডেন্স অব বাংলাদেশ মিশন অ্যাব্রোড’ ১১ অনুচ্ছেদে-২ (iv) এবং মেডিকেল অ্যাটেনডেন্স রুলস ১৯৫৮-এর ২ (i) অনুযায়ী, এসব খাতে টাকা খরচের সুযোগ নেই।
জানা যায়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেন মো. তৌহিদুল ইসলাম। এর পর থেকে তিনি সর্বমোট ৫ কোটি ৪৭ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ টাকা চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে দেখিয়েছেন। সম্প্রতি সরকারি একটি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের এ কর্মকর্তা সিঙ্গাপুরে দায়িত্ব পালনকালে প্রতিবছর গড়ে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৫ টাকা চিকিৎসাবাবদ ব্যয় করেছেন। তাঁর চিকিৎসাবাবদ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ২০০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি ৯ লাখ ৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯০ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বড় অঙ্কের খরচ দেখানো হয়েছে হাইকমিশনারের চোখের চিকিৎসা, চশমা পরিবর্তনের নামে। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া রেডিয়াম গ্রুপ থেকে স্পার নামেও মোটা অঙ্কের টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ দেখানো হয়েছে। চিকিৎসার জন্য খরচে যে বিল-ভাউচার সংযুক্ত করেছেন, তা কম্পিউটার থেকে তৈরি করে প্রিন্ট করা বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব টাকা খরচ করা হয়েছে, তা ভিআইপিদের জন্য। আমি কোনো টাকা খরচ করিনি। আর আগে যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়েছিল, তা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে সব সময় কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল সরকার। এ কর্মকর্তাকে অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডসে পদায়ন করা হলে দেশ দুটি তাঁকে গ্রহণ করেনি। এরপর তাঁকে জেনেভায় রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তৎকালীন সরকারপ্রধান পরপর তিনবার তা নাকচ করে দেন। তারপরও এই কূটনীতিককে আগলে রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেটে সুরমা নদীর চর খননকাজের উদ্বোধন শেষে তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘কূটনীতিক হিসেবে তৌহিদুল ভেরি গুড অফিসার ও তুখোড় ছেলে। অযথা একটি দল তৌহিদুলের বিপক্ষে লেগেছে। তবে যত দিন মন্ত্রী আছি, তত দিন তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে যাব।’
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসিন্দা তৌহিদুল বর্তমানেও এলাকাপ্রীতি কাজে লাগিয়ে নিজের অবস্থান বেশ শক্ত করেছেন বলে জানা গেছে। সিঙ্গাপুরে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরিতে আছেন কাউন্সেলর তৌফিকুর রহমান, হেড অব চ্যান্সেরি ও কাউন্সিলর পাসপোর্ট ওয়াসিমুল বারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অ্যাকাউন্টস) ফিরোজ আহমদ এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান। তাঁদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একজন পাসপোর্ট অফিসারকে দিয়ে ‘মাই পাসপোর্ট চ্যানেল’ নামে একটি ভিডিও চ্যানেলে কনটেন্ট আপলোড করিয়ে অর্থ আয় করেন, যা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না।
এর আগে ২০১৩ সালে ইতালির মিলানে কনস্যুলার জেনারেল হিসেবে কর্মরত থাকাকালে মো. তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে।

কূটনীতিক হিসেবে চাকরিজীবনে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। কখনো নারীঘটিত বিষয়, আবার কখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় তিন-তিনবার রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব থেকে প্রত্যাখ্যাতও হয়েছেন। কিন্তু এবার আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে। হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কমপক্ষে ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা চিকিৎসার খরচ হিসাবে দেখিয়েছেন। আলোচিত এই কূটনীতিকের নাম মো. তৌহিদুল ইসলাম। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার পদে দায়িত্বরত আছেন তিনি।
বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডার ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা এক যুগ ধরে যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দুজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় কোনো ধরনের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে।
তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে অস্বাভাবিক চিকিৎসা ব্যয় দেখানো নিয়ে। সরকারি খাত থেকে টাকা নিয়ে নিজের চশমা মেরামত, দাঁতের চিকিৎসা, স্ত্রীর রূপচর্চা, স্পা খরচসহ নানাভাবে খরচ দেখিয়েছেন তিনি। অথচ ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্ট্রাকশন ফর দ্য গাইডেন্স অব বাংলাদেশ মিশন অ্যাব্রোড’ ১১ অনুচ্ছেদে-২ (iv) এবং মেডিকেল অ্যাটেনডেন্স রুলস ১৯৫৮-এর ২ (i) অনুযায়ী, এসব খাতে টাকা খরচের সুযোগ নেই।
জানা যায়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেন মো. তৌহিদুল ইসলাম। এর পর থেকে তিনি সর্বমোট ৫ কোটি ৪৭ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ টাকা চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে দেখিয়েছেন। সম্প্রতি সরকারি একটি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের এ কর্মকর্তা সিঙ্গাপুরে দায়িত্ব পালনকালে প্রতিবছর গড়ে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৫ টাকা চিকিৎসাবাবদ ব্যয় করেছেন। তাঁর চিকিৎসাবাবদ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ২০০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি ৯ লাখ ৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯০ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বড় অঙ্কের খরচ দেখানো হয়েছে হাইকমিশনারের চোখের চিকিৎসা, চশমা পরিবর্তনের নামে। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া রেডিয়াম গ্রুপ থেকে স্পার নামেও মোটা অঙ্কের টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ দেখানো হয়েছে। চিকিৎসার জন্য খরচে যে বিল-ভাউচার সংযুক্ত করেছেন, তা কম্পিউটার থেকে তৈরি করে প্রিন্ট করা বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেসব টাকা খরচ করা হয়েছে, তা ভিআইপিদের জন্য। আমি কোনো টাকা খরচ করিনি। আর আগে যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়েছিল, তা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে সব সময় কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল সরকার। এ কর্মকর্তাকে অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডসে পদায়ন করা হলে দেশ দুটি তাঁকে গ্রহণ করেনি। এরপর তাঁকে জেনেভায় রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তৎকালীন সরকারপ্রধান পরপর তিনবার তা নাকচ করে দেন। তারপরও এই কূটনীতিককে আগলে রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেটে সুরমা নদীর চর খননকাজের উদ্বোধন শেষে তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘কূটনীতিক হিসেবে তৌহিদুল ভেরি গুড অফিসার ও তুখোড় ছেলে। অযথা একটি দল তৌহিদুলের বিপক্ষে লেগেছে। তবে যত দিন মন্ত্রী আছি, তত দিন তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে যাব।’
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসিন্দা তৌহিদুল বর্তমানেও এলাকাপ্রীতি কাজে লাগিয়ে নিজের অবস্থান বেশ শক্ত করেছেন বলে জানা গেছে। সিঙ্গাপুরে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরিতে আছেন কাউন্সেলর তৌফিকুর রহমান, হেড অব চ্যান্সেরি ও কাউন্সিলর পাসপোর্ট ওয়াসিমুল বারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অ্যাকাউন্টস) ফিরোজ আহমদ এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান। তাঁদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একজন পাসপোর্ট অফিসারকে দিয়ে ‘মাই পাসপোর্ট চ্যানেল’ নামে একটি ভিডিও চ্যানেলে কনটেন্ট আপলোড করিয়ে অর্থ আয় করেন, যা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না।
এর আগে ২০১৩ সালে ইতালির মিলানে কনস্যুলার জেনারেল হিসেবে কর্মরত থাকাকালে মো. তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে।

হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে গণমাধ্যমের
১৯ মিনিট আগে
ছায়ানট ভবনে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
২০ মিনিট আগে
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। তাঁর মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাজুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার এবং বড় ধরনের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়ে
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিষয়ক বৈশ্বিক জোট মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন (এমএফসি)।
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত রাতে সাংবাদিক, সম্পাদক এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে—মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন তার কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে। এ ধরনের সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং জনগণের তথ্য জানার অধিকারে সরাসরি আঘাত।’
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন হামলায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সকল সংবাদকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভয়ভীতি ছাড়া সাংবাদিকদের কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া অপরিহার্য। আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং একটি উন্মুক্ত ও তথ্যসমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণের জন্য সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
উল্লেখ্য, গত রাতে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তেজিত একদল লোক কারওয়ান বাজারে অবস্থিত প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনের সামনে জড়ো হয়। একপর্যায়ে ভবনের ভেতরে ভাঙচুর চালানো হয় এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিষয়ক বৈশ্বিক জোট মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন (এমএফসি)।
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত রাতে সাংবাদিক, সম্পাদক এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে—মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন তার কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে। এ ধরনের সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং জনগণের তথ্য জানার অধিকারে সরাসরি আঘাত।’
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন হামলায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সকল সংবাদকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভয়ভীতি ছাড়া সাংবাদিকদের কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া অপরিহার্য। আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং একটি উন্মুক্ত ও তথ্যসমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণের জন্য সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
উল্লেখ্য, গত রাতে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তেজিত একদল লোক কারওয়ান বাজারে অবস্থিত প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনের সামনে জড়ো হয়। একপর্যায়ে ভবনের ভেতরে ভাঙচুর চালানো হয় এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

কূটনীতিক হিসেবে চাকরিজীবনে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। কখনো নারীঘটিত বিষয়, আবার কখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় তিন-তিনবার রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব থেকে প্রত্যাখ্যাতও হয়েছেন। কিন্তু এবার আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে। হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত
০৩ অক্টোবর ২০২৪
ছায়ানট ভবনে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
২০ মিনিট আগে
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। তাঁর মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাজুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার এবং বড় ধরনের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়ে
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ছায়ানট ভবনে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে তিনি ধানমন্ডির শংকরে ছায়ানট ভবন পরিদর্শন করেন, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জায়গাগুলো দেখেন এবং ছায়ানটের সংগঠক পার্থ তানভীর নভেদসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেন।
পরিদর্শন শেষে সংস্কৃতি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে। এই ভবনে হামলা চালানো হয়েছে, অনেক ক্ষতিসাধন হয়েছে। আমি ছায়ানট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে যাবতীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে প্রতিষ্ঠানটি যেন দ্রুত চালু করা যায়, এ ব্যাপারে আর্থিকসহ সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে। ছায়ানট পরিচালনা কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এ বিষয়ে আমাদের জানাবেন বলে জানিয়েছেন।’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, ‘এই ভবনের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছি। ছায়ানটের বাইরে বিজিবি ও পুলিশ কঠোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। আমি উপদেষ্টা পরিষদের অন্যদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এটা অবশ্যই নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র। আজ আমাদের কথা বলার কথা শহীদ ওসমান হাদিকে নিয়ে। আজ আমাদের শোকাতুর হওয়ার কথা। প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিয়েছে কারা? কারা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটে হামলা করেছে? যারা করেছে, তারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় না।’
সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই জাতীয় শোকের মুহূর্তে এক শ্রেণির হঠকারী লোক দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করেছে। মৃত্যুঞ্জয়ী হাদির মৃত্যুতে কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা কেবল একটি ফৌজদারি অপরাধই নয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থী।’

ছায়ানট ভবনে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে তিনি ধানমন্ডির শংকরে ছায়ানট ভবন পরিদর্শন করেন, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জায়গাগুলো দেখেন এবং ছায়ানটের সংগঠক পার্থ তানভীর নভেদসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেন।
পরিদর্শন শেষে সংস্কৃতি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে। এই ভবনে হামলা চালানো হয়েছে, অনেক ক্ষতিসাধন হয়েছে। আমি ছায়ানট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে যাবতীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে প্রতিষ্ঠানটি যেন দ্রুত চালু করা যায়, এ ব্যাপারে আর্থিকসহ সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে। ছায়ানট পরিচালনা কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এ বিষয়ে আমাদের জানাবেন বলে জানিয়েছেন।’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, ‘এই ভবনের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছি। ছায়ানটের বাইরে বিজিবি ও পুলিশ কঠোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। আমি উপদেষ্টা পরিষদের অন্যদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এটা অবশ্যই নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র। আজ আমাদের কথা বলার কথা শহীদ ওসমান হাদিকে নিয়ে। আজ আমাদের শোকাতুর হওয়ার কথা। প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিয়েছে কারা? কারা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটে হামলা করেছে? যারা করেছে, তারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় না।’
সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই জাতীয় শোকের মুহূর্তে এক শ্রেণির হঠকারী লোক দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করেছে। মৃত্যুঞ্জয়ী হাদির মৃত্যুতে কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা কেবল একটি ফৌজদারি অপরাধই নয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থী।’

কূটনীতিক হিসেবে চাকরিজীবনে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। কখনো নারীঘটিত বিষয়, আবার কখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় তিন-তিনবার রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব থেকে প্রত্যাখ্যাতও হয়েছেন। কিন্তু এবার আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে। হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত
০৩ অক্টোবর ২০২৪
হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে গণমাধ্যমের
১৯ মিনিট আগে
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। তাঁর মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাজুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার এবং বড় ধরনের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়ে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। তাঁর মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোর খবরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরে যান। বিমানবন্দরে হাদির কফিনের পাশে উপস্থিত ছিলেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। এ সময় তাঁদের কয়েকজনকে কাঁদতে দেখা যায়।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘শহিদ ওসমান হাদিকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে হিমাগার এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। সেখানে শহিদ ওসমান হাদিকে রেখে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে এসে অবস্থান নিবে। পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহিদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করার এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বাদ জোহর জানাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আজকের পরিবর্তে আগামীকাল মিছিলসহ ভাইকে সেন্ট্রাল মসজিদে আনা হবে।’
ফাতিমা তাসনিম জুমা পোস্টে আরও লেখেন, ‘ছাত্রজনতা আজ ও আগামীকাল শৃঙ্খলার সাথে আন্দোলন জারি রাখবেন যেন কোনো গোষ্ঠি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আন্দোলন স্তিমিত করতে না পারে একই সাথে সহিংসতা করার সুযোগও না পায়।’
পোস্টে বলা হয়, ‘মরদেহ দেখার কোনো সুযোগ থাকবে না। সকলের নিকট শৃঙ্খলা বজায় রাখার এবং শহিদ ওসমান হাদির জন্য দোয়া পৌঁছানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।’
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় ১২ ডিসেম্বর চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। তাঁর মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোর খবরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরে যান। বিমানবন্দরে হাদির কফিনের পাশে উপস্থিত ছিলেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। এ সময় তাঁদের কয়েকজনকে কাঁদতে দেখা যায়।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘শহিদ ওসমান হাদিকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে হিমাগার এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। সেখানে শহিদ ওসমান হাদিকে রেখে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে এসে অবস্থান নিবে। পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহিদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করার এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বাদ জোহর জানাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আজকের পরিবর্তে আগামীকাল মিছিলসহ ভাইকে সেন্ট্রাল মসজিদে আনা হবে।’
ফাতিমা তাসনিম জুমা পোস্টে আরও লেখেন, ‘ছাত্রজনতা আজ ও আগামীকাল শৃঙ্খলার সাথে আন্দোলন জারি রাখবেন যেন কোনো গোষ্ঠি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আন্দোলন স্তিমিত করতে না পারে একই সাথে সহিংসতা করার সুযোগও না পায়।’
পোস্টে বলা হয়, ‘মরদেহ দেখার কোনো সুযোগ থাকবে না। সকলের নিকট শৃঙ্খলা বজায় রাখার এবং শহিদ ওসমান হাদির জন্য দোয়া পৌঁছানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।’
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় ১২ ডিসেম্বর চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

কূটনীতিক হিসেবে চাকরিজীবনে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। কখনো নারীঘটিত বিষয়, আবার কখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় তিন-তিনবার রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব থেকে প্রত্যাখ্যাতও হয়েছেন। কিন্তু এবার আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে। হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত
০৩ অক্টোবর ২০২৪
হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে গণমাধ্যমের
১৯ মিনিট আগে
ছায়ানট ভবনে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
২০ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাজুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার এবং বড় ধরনের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়ে
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাজুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার এবং বড় ধরনের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়ে একটি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
মার্কিন দূতাবাসের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তাঁর জানাজা আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজের পর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা উপলক্ষে ওই এলাকা এবং সমগ্র ঢাকাজুড়ে অত্যন্ত ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হতে পারে।’
সম্ভাব্য এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য দূতাবাস কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে—নাগরিকদের যেকোনো বড় জনসমাবেশ বা বিক্ষোভ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে আয়োজিত সমাবেশও যেকোনো সময় সংঘাতপূর্ণ বা সহিংস হয়ে উঠতে পারে। জনসমাবেশের আশপাশে চলাচলের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাজুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার এবং বড় ধরনের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়ে একটি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
মার্কিন দূতাবাসের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তাঁর জানাজা আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজের পর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা উপলক্ষে ওই এলাকা এবং সমগ্র ঢাকাজুড়ে অত্যন্ত ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হতে পারে।’
সম্ভাব্য এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য দূতাবাস কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে—নাগরিকদের যেকোনো বড় জনসমাবেশ বা বিক্ষোভ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে আয়োজিত সমাবেশও যেকোনো সময় সংঘাতপূর্ণ বা সহিংস হয়ে উঠতে পারে। জনসমাবেশের আশপাশে চলাচলের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কূটনীতিক হিসেবে চাকরিজীবনে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। কখনো নারীঘটিত বিষয়, আবার কখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় তিন-তিনবার রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব থেকে প্রত্যাখ্যাতও হয়েছেন। কিন্তু এবার আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে। হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত
০৩ অক্টোবর ২০২৪
হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে গণমাধ্যমের
১৯ মিনিট আগে
ছায়ানট ভবনে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
২০ মিনিট আগে
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। তাঁর মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
১ ঘণ্টা আগে