
জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্কগুলো প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। এদের মধ্যে কোনো কোনোটি আকারে সত্যি বিশাল। শুনে চমকে উঠবেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক আকারে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের চেয়ে বড়।
নেপালের সাগরমাথা ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে পড়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের (৮ হাজার ৮৪৯ মিটার) দক্ষিণের ঢাল। ভেনেজুয়েলার কানিমা জাতীয় উদ্যানের অংশ বিখ্যাত অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত। ৯৭৯ মিটারের (৩ হাজার ২১২ ফুট) অ্যাঞ্জেল পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত। এদিকে ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত, কম্বোডিয়ার আঙ্কর আর্কিওলজিকেল পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রাচীন ধ্বংসপ্রাপ্ত নগর সংরক্ষণে। তবে জাতীয় উদ্যানের একটি বড় বিষয় হলো ওই যে বললাম, তাদের আকার।
ডেলাওয়ার থেকে বড় এবং ওয়েলসের প্রায় সমান আকারের ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যান ১৮৭২ সালে যখন পৃথিবীর প্রথম ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এর আকার বিশাল বলেই বিবেচনা করা হয়। তবে বিশ শতকের গোড়ার দিকে এবং একুশ শতকের গোড়ার দিকে এত বিশাল আয়তনের নতুন নতুন জাতীয় উদ্যান গড়ে উঠতে থাকে যে পুরোনো ন্যাশনাল পার্কগুলোর আকার নিয়ে গর্বের আর ছিটেফোঁটাও থাকেনি। এদের কোনো কোনোটি ইয়েলোস্টোনের চেয়ে ৫০ গুণ বড়। এসব তথ্য উঠে এসেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
এবার বরং বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের বড় ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানগুলোর দিকে নজর দেওয়া যাক।
উত্তর আমেরিকা
বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের প্রায় অর্ধেকজুড়ে বিস্তৃত নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক বর্তমানে বিশ্বের একক বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান এবং ডাঙ্গার সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত এলাকা। এটার আকার কত তা শুনলে চমকে উঠবেন, ৯ লাখ ৭২ হাজার বর্গকিলোমিটার। এতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ২৯টি বাদে বাকি সবগুলোই তার পেছনে পড়েছে।
পার্কের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে গ্রিনল্যান্ডের বরফরাজ্য। তবে এখানে একটি দীর্ঘ, রুক্ষ উপকূলরেখাও রয়েছে। যেখানে কস্তুরি ষাঁড়, মেরু ভালুক এবং আর্কটিক অঞ্চলের অন্যান্য প্রাণীর আবাসস্থল।
পূর্ব গ্রিনল্যান্ডে ট্যুরের ব্যবস্থা করা নানু ট্র্যাভেলের মেট পাইক বারসেলাজসেন বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকালে নৌকায় করে, শীতকালে আমাদের স্থানীয় শিকারিদের সঙ্গে কুকুরে টানা স্লেজে চেপে সেখানে যেতে পারেন।’
দক্ষিণ আমেরিকা
দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় উদ্যানগুলো গড়ে উঠেছে মহাদেশের সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ এলাকা আমাজন ও পাতাগোনিয়ায়। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব কলম্বিয়ার চিরিবিকেতে জাতীয় উদ্যানের কথা বলতে হয়। আয়তন ৪৩ হাজার বর্গকিলোমিটার। আমাজন রেইন ফরেস্ট, তেপুই বা সমতল চূড়ার পর্বত এবং পাহাড়ি নদীগুলোর বড় একটি অংশকে রক্ষা করা পার্কটিকে দেখলে ‘জুরাসিক পার্কে’র মতো একটা কিছু মনে হতে পারে। ডাইনোসর না থাকলে বড় শিকারি প্রাণীর অভাব নেই জায়গাটিতে।
বিস্তৃত উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগতের পাশাপাশি ৭৫ হাজারের বেশি প্রাচীন প্রস্তরচিত্র চোখে পড়বে জায়গাটিতে। কলম্বিয়া ওকাল্টা নামের ট্যুর কোম্পানিটি এখানকার সত্যিকারের ‘হারানো পৃথিবী’কে দেখার সুযোগ করে দেয় আকাশ থেকে।
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকাটি খুব বেশি দিন হয়নি গড়ে উঠেছে। মুংগা-থিররি-সিম্পসন ন্যাশনাল পার্কের যাত্রা শুরু ২০২১ সালে। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে উত্তরের অনিন্দ্যসুন্দর মরু এলাকাকে রক্ষার জন্যই জায়গাটিকে ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এই জায়গায় আছে পৃথিবীর বৃহত্তম বালিয়াড়ি এলাকা, অ্যাকাশিয়ার জঙ্গল, ঘেসো জমি, বছরের বিশেষ সময়ে তৈরি হওয়া হ্রদ ইত্যাদি। ১৫০ প্রজাতির বেশি পাখি, অস্ট্রেলীয় বুনো কুকুর ডিংগো, বুনো উট, গুইসাপের মতো দেখতে পেরেনটাইসহ বিভিন্ন জাতের বন্যপ্রাণীর দেখাও মেলে জায়গাটিতে।
পর্যটকদের জন্য সে রকম কোনো সুবিধা নেই এখানে। সিম্পসন মরুভূমিতে প্রবেশ করতে চাইলে মরুভূমিতে টিকে থাকার তরিকা জানাটা জরুরি। আউটব্যাক স্পিরিট অ্যাডভেঞ্চারস মার্সিডিজ বেঞ্জ জি ওয়াগনে ১৪ দিনের একটি ট্যুরের ব্যবস্থা করে। প্রচণ্ড তাপের কারণে গ্রীষ্মকালে পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে।
এশিয়া
আকারে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ হলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যানের দৌড়ে এশিয়া কিছুটা পিছিয়ে। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনের সানিয়াগুয়ান ন্যাশনাল পার্কটি এই মুহূর্তে আকারে মহাদেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান। এর আয়তন ১ লাখ ২৩ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার। তিব্বতের মালভূমির একটি বড় অংশ পড়েছে এর সীমানায়। এখানকার দুর্গম ও দুরারোহ পার্বত্য এলাকায় অনেক বিপন্ন প্রাণীরই বসবাস। এদের মধ্যে আছে তুষার চিতা, হিমালয়ান নেকড়ে, বুনো চামরী গাই, কস্তুরি মৃগ প্রভৃতি। এর সীমানায় সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গাও আছে।
এলিভেটেড ট্রিপস নামে একটি ট্যুর অপারেটিং সংস্থা চিংহাই প্রদেশের ভেতর দিয়ে ভ্রমণের ব্যবস্থা করে। এরই অন্তর্ভুক্ত সানিয়াগুয়ান ন্যাশনাল পার্কে ভ্রমণ।
ইউরোপ
যেহেতু মহাদেশটি আকারে অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে ছোট, এখানকার বড় জাতীয় উদ্যানগুলোও পৃথিবীর বড় ন্যাশনাল পার্কগুলোর বিবেচনায় পুঁচকে। তার মানে এই নয় যে এরা আসলেই ছোট।
এখনকার পার্কগুলোর মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড় আইসল্যান্ডের ভাতনালুকো ন্যাশনাল পার্ক (১৪ হাজার ১৪১ বর্গ কিলোমিটার)। আগ্নেয়গিরি, উষ্ণ প্রস্রবণ, সামুদ্রিক খাঁড়ি কিংবা হিমবাহ যাঁরা পছন্দ করেন তাঁদের প্রায় গন্তব্য এটি। চাইলে নিজে থেকেই এখানে ঘুরে আসতে পারবেন। ক্যাম্পিং, হাইকিং কিংবা পাখি দেখা—যে উদ্দেশ্যেই যান না কেন সমস্যা নেই।
আফ্রিকা
পশ্চিম নামিবিয়ার নামিব-নওকলাফত ন্যাশনাল পার্কের বড় আকর্ষণ এখানকার বিশাল সব বালিয়াড়ি। জাতীয় উদ্যান এলাকার আয়তন ৪৯ হাজার ৭৬৮ বর্গকিলোমিটার। এখানকার বালিয়াড়িগুলোর কোনো কোনোটি ২০০ মিটারের (৬৫৬ ফুট) বেশি উঁচু।
আপনার নিজের গাড়ির সাহায্যে সহজেই ঘুরে আসা যায় উদ্যানটি থেকে। পার্কের প্রধান রাস্তা ধরে গেলে সসেস ভ্লেই এবং ডেড ভ্লেইয়ের দেখা পাবেন। হট এয়ার বেলুনে চেপে বসলে মরুভূমির অসাধারণ ভূপ্রকৃতি পাখির চোখে দেখার সুযোগ মিলবে।
বালিয়াড়ি ছাড়াও মরুভূমির গিরিখাত, উপকূলে পুরোনো দিনের বিধ্বস্ত জাহাজের দেখা পাবেন। তেমনি পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক স্থানগুলোর একটিতে অভিযোজিত হওয়া বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখার সুযোগ মিলবে।
জাতীয় উদ্যান না হলেও আফ্রিকার সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত এলাকা হলো কাভাংগো-জাম্বেসি ট্রান্সফ্রন্টিয়ার কনজারভেশন এরিয়া। জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, অ্যাঙ্গোলা ও নামিবিয়ার ৫ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে ২০১২ সালে গড়ে ওঠে সংরক্ষিত এলাকাটি।
অ্যান্টার্কটিকা
গ্রহের নিচের প্রান্তটিতে এখনো কোনো জাতীয় উদ্যান নেই। তবে অ্যান্টার্কটিকার একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক সংরক্ষিত এলাকা হলো রস সি মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সংরক্ষিত এলাকাটির আয়তন ১৫ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার। পেঙ্গুইন, তিমি, সিলসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক পাখি ও মেরু এলাকার নানান প্রাণীর বাস এখানে।
তবে ভবিষ্যতে কোনো এক সময়ে সমগ্র মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা ওয়ার্ল্ড পার্কে পরিণত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১ কোটি ৪২ লাখ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পার্কটি হবে বিশ্বের অন্য যেকোনো রিজার্ভের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বড়।

জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্কগুলো প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। এদের মধ্যে কোনো কোনোটি আকারে সত্যি বিশাল। শুনে চমকে উঠবেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক আকারে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের চেয়ে বড়।
নেপালের সাগরমাথা ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে পড়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের (৮ হাজার ৮৪৯ মিটার) দক্ষিণের ঢাল। ভেনেজুয়েলার কানিমা জাতীয় উদ্যানের অংশ বিখ্যাত অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত। ৯৭৯ মিটারের (৩ হাজার ২১২ ফুট) অ্যাঞ্জেল পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত। এদিকে ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত, কম্বোডিয়ার আঙ্কর আর্কিওলজিকেল পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রাচীন ধ্বংসপ্রাপ্ত নগর সংরক্ষণে। তবে জাতীয় উদ্যানের একটি বড় বিষয় হলো ওই যে বললাম, তাদের আকার।
ডেলাওয়ার থেকে বড় এবং ওয়েলসের প্রায় সমান আকারের ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যান ১৮৭২ সালে যখন পৃথিবীর প্রথম ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এর আকার বিশাল বলেই বিবেচনা করা হয়। তবে বিশ শতকের গোড়ার দিকে এবং একুশ শতকের গোড়ার দিকে এত বিশাল আয়তনের নতুন নতুন জাতীয় উদ্যান গড়ে উঠতে থাকে যে পুরোনো ন্যাশনাল পার্কগুলোর আকার নিয়ে গর্বের আর ছিটেফোঁটাও থাকেনি। এদের কোনো কোনোটি ইয়েলোস্টোনের চেয়ে ৫০ গুণ বড়। এসব তথ্য উঠে এসেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
এবার বরং বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের বড় ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানগুলোর দিকে নজর দেওয়া যাক।
উত্তর আমেরিকা
বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের প্রায় অর্ধেকজুড়ে বিস্তৃত নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক বর্তমানে বিশ্বের একক বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান এবং ডাঙ্গার সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত এলাকা। এটার আকার কত তা শুনলে চমকে উঠবেন, ৯ লাখ ৭২ হাজার বর্গকিলোমিটার। এতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ২৯টি বাদে বাকি সবগুলোই তার পেছনে পড়েছে।
পার্কের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে গ্রিনল্যান্ডের বরফরাজ্য। তবে এখানে একটি দীর্ঘ, রুক্ষ উপকূলরেখাও রয়েছে। যেখানে কস্তুরি ষাঁড়, মেরু ভালুক এবং আর্কটিক অঞ্চলের অন্যান্য প্রাণীর আবাসস্থল।
পূর্ব গ্রিনল্যান্ডে ট্যুরের ব্যবস্থা করা নানু ট্র্যাভেলের মেট পাইক বারসেলাজসেন বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকালে নৌকায় করে, শীতকালে আমাদের স্থানীয় শিকারিদের সঙ্গে কুকুরে টানা স্লেজে চেপে সেখানে যেতে পারেন।’
দক্ষিণ আমেরিকা
দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় উদ্যানগুলো গড়ে উঠেছে মহাদেশের সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ এলাকা আমাজন ও পাতাগোনিয়ায়। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব কলম্বিয়ার চিরিবিকেতে জাতীয় উদ্যানের কথা বলতে হয়। আয়তন ৪৩ হাজার বর্গকিলোমিটার। আমাজন রেইন ফরেস্ট, তেপুই বা সমতল চূড়ার পর্বত এবং পাহাড়ি নদীগুলোর বড় একটি অংশকে রক্ষা করা পার্কটিকে দেখলে ‘জুরাসিক পার্কে’র মতো একটা কিছু মনে হতে পারে। ডাইনোসর না থাকলে বড় শিকারি প্রাণীর অভাব নেই জায়গাটিতে।
বিস্তৃত উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগতের পাশাপাশি ৭৫ হাজারের বেশি প্রাচীন প্রস্তরচিত্র চোখে পড়বে জায়গাটিতে। কলম্বিয়া ওকাল্টা নামের ট্যুর কোম্পানিটি এখানকার সত্যিকারের ‘হারানো পৃথিবী’কে দেখার সুযোগ করে দেয় আকাশ থেকে।
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকাটি খুব বেশি দিন হয়নি গড়ে উঠেছে। মুংগা-থিররি-সিম্পসন ন্যাশনাল পার্কের যাত্রা শুরু ২০২১ সালে। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে উত্তরের অনিন্দ্যসুন্দর মরু এলাকাকে রক্ষার জন্যই জায়গাটিকে ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এই জায়গায় আছে পৃথিবীর বৃহত্তম বালিয়াড়ি এলাকা, অ্যাকাশিয়ার জঙ্গল, ঘেসো জমি, বছরের বিশেষ সময়ে তৈরি হওয়া হ্রদ ইত্যাদি। ১৫০ প্রজাতির বেশি পাখি, অস্ট্রেলীয় বুনো কুকুর ডিংগো, বুনো উট, গুইসাপের মতো দেখতে পেরেনটাইসহ বিভিন্ন জাতের বন্যপ্রাণীর দেখাও মেলে জায়গাটিতে।
পর্যটকদের জন্য সে রকম কোনো সুবিধা নেই এখানে। সিম্পসন মরুভূমিতে প্রবেশ করতে চাইলে মরুভূমিতে টিকে থাকার তরিকা জানাটা জরুরি। আউটব্যাক স্পিরিট অ্যাডভেঞ্চারস মার্সিডিজ বেঞ্জ জি ওয়াগনে ১৪ দিনের একটি ট্যুরের ব্যবস্থা করে। প্রচণ্ড তাপের কারণে গ্রীষ্মকালে পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে।
এশিয়া
আকারে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ হলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যানের দৌড়ে এশিয়া কিছুটা পিছিয়ে। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনের সানিয়াগুয়ান ন্যাশনাল পার্কটি এই মুহূর্তে আকারে মহাদেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান। এর আয়তন ১ লাখ ২৩ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার। তিব্বতের মালভূমির একটি বড় অংশ পড়েছে এর সীমানায়। এখানকার দুর্গম ও দুরারোহ পার্বত্য এলাকায় অনেক বিপন্ন প্রাণীরই বসবাস। এদের মধ্যে আছে তুষার চিতা, হিমালয়ান নেকড়ে, বুনো চামরী গাই, কস্তুরি মৃগ প্রভৃতি। এর সীমানায় সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গাও আছে।
এলিভেটেড ট্রিপস নামে একটি ট্যুর অপারেটিং সংস্থা চিংহাই প্রদেশের ভেতর দিয়ে ভ্রমণের ব্যবস্থা করে। এরই অন্তর্ভুক্ত সানিয়াগুয়ান ন্যাশনাল পার্কে ভ্রমণ।
ইউরোপ
যেহেতু মহাদেশটি আকারে অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে ছোট, এখানকার বড় জাতীয় উদ্যানগুলোও পৃথিবীর বড় ন্যাশনাল পার্কগুলোর বিবেচনায় পুঁচকে। তার মানে এই নয় যে এরা আসলেই ছোট।
এখনকার পার্কগুলোর মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড় আইসল্যান্ডের ভাতনালুকো ন্যাশনাল পার্ক (১৪ হাজার ১৪১ বর্গ কিলোমিটার)। আগ্নেয়গিরি, উষ্ণ প্রস্রবণ, সামুদ্রিক খাঁড়ি কিংবা হিমবাহ যাঁরা পছন্দ করেন তাঁদের প্রায় গন্তব্য এটি। চাইলে নিজে থেকেই এখানে ঘুরে আসতে পারবেন। ক্যাম্পিং, হাইকিং কিংবা পাখি দেখা—যে উদ্দেশ্যেই যান না কেন সমস্যা নেই।
আফ্রিকা
পশ্চিম নামিবিয়ার নামিব-নওকলাফত ন্যাশনাল পার্কের বড় আকর্ষণ এখানকার বিশাল সব বালিয়াড়ি। জাতীয় উদ্যান এলাকার আয়তন ৪৯ হাজার ৭৬৮ বর্গকিলোমিটার। এখানকার বালিয়াড়িগুলোর কোনো কোনোটি ২০০ মিটারের (৬৫৬ ফুট) বেশি উঁচু।
আপনার নিজের গাড়ির সাহায্যে সহজেই ঘুরে আসা যায় উদ্যানটি থেকে। পার্কের প্রধান রাস্তা ধরে গেলে সসেস ভ্লেই এবং ডেড ভ্লেইয়ের দেখা পাবেন। হট এয়ার বেলুনে চেপে বসলে মরুভূমির অসাধারণ ভূপ্রকৃতি পাখির চোখে দেখার সুযোগ মিলবে।
বালিয়াড়ি ছাড়াও মরুভূমির গিরিখাত, উপকূলে পুরোনো দিনের বিধ্বস্ত জাহাজের দেখা পাবেন। তেমনি পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক স্থানগুলোর একটিতে অভিযোজিত হওয়া বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখার সুযোগ মিলবে।
জাতীয় উদ্যান না হলেও আফ্রিকার সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত এলাকা হলো কাভাংগো-জাম্বেসি ট্রান্সফ্রন্টিয়ার কনজারভেশন এরিয়া। জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, অ্যাঙ্গোলা ও নামিবিয়ার ৫ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে ২০১২ সালে গড়ে ওঠে সংরক্ষিত এলাকাটি।
অ্যান্টার্কটিকা
গ্রহের নিচের প্রান্তটিতে এখনো কোনো জাতীয় উদ্যান নেই। তবে অ্যান্টার্কটিকার একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক সংরক্ষিত এলাকা হলো রস সি মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সংরক্ষিত এলাকাটির আয়তন ১৫ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার। পেঙ্গুইন, তিমি, সিলসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক পাখি ও মেরু এলাকার নানান প্রাণীর বাস এখানে।
তবে ভবিষ্যতে কোনো এক সময়ে সমগ্র মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা ওয়ার্ল্ড পার্কে পরিণত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১ কোটি ৪২ লাখ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পার্কটি হবে বিশ্বের অন্য যেকোনো রিজার্ভের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বড়।

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
৬ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্কগুলো প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। এদের মধ্যে কোনো কোনোটি আকারে সত্যি বিশাল। শুনে চমকে উঠবেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক আকারে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের চেয়েই বড়।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্কগুলো প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। এদের মধ্যে কোনো কোনোটি আকারে সত্যি বিশাল। শুনে চমকে উঠবেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক আকারে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের চেয়েই বড়।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
৬ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। আইকিউএয়ারের সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৫৪। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেচারাম দেউরি, কল্যাণপুর, দক্ষিণ পল্লবী, শান্তা ফোরাম, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা দিল্লির একিউআই স্কোর ৫০৭। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (১৯১), পাকিস্তানের লাহোর (১৯১), ভারতের কলকাতা (১৮১) ও মুম্বাই (১৬৫)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। আইকিউএয়ারের সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৫৪। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেচারাম দেউরি, কল্যাণপুর, দক্ষিণ পল্লবী, শান্তা ফোরাম, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা দিল্লির একিউআই স্কোর ৫০৭। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (১৯১), পাকিস্তানের লাহোর (১৯১), ভারতের কলকাতা (১৮১) ও মুম্বাই (১৬৫)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্কগুলো প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। এদের মধ্যে কোনো কোনোটি আকারে সত্যি বিশাল। শুনে চমকে উঠবেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক আকারে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের চেয়েই বড়।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
৬ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকালবেলা রাজধানী ঢাকার আকাশ ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। তাপমাত্রাও গতকাল শনিবারের চেয়ে বেড়েছে। আগের দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৯ থেকে সামান্য বেড়ে আজ সকাল ৬টায় ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকালবেলা রাজধানী ঢাকার আকাশ ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। তাপমাত্রাও গতকাল শনিবারের চেয়ে বেড়েছে। আগের দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৯ থেকে সামান্য বেড়ে আজ সকাল ৬টায় ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্কগুলো প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। এদের মধ্যে কোনো কোনোটি আকারে সত্যি বিশাল। শুনে চমকে উঠবেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক আকারে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের চেয়েই বড়।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
৬ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
১৯ ঘণ্টা আগে