Ajker Patrika

বেশির ভাগ দেশের চেয়ে আকারে বড় বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান

আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫: ২৪
বেশির ভাগ দেশের চেয়ে আকারে বড় বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান

জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্কগুলো প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। এদের মধ্যে কোনো কোনোটি আকারে সত্যি বিশাল। শুনে চমকে উঠবেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক আকারে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের চেয়ে বড়।

নেপালের সাগরমাথা ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে পড়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের (৮ হাজার ৮৪৯ মিটার) দক্ষিণের ঢাল। ভেনেজুয়েলার কানিমা জাতীয় উদ্যানের অংশ বিখ্যাত অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত। ৯৭৯ মিটারের (৩ হাজার ২১২ ফুট) অ্যাঞ্জেল পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত। এদিকে ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত, কম্বোডিয়ার আঙ্কর আর্কিওলজিকেল পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রাচীন ধ্বংসপ্রাপ্ত নগর সংরক্ষণে। তবে জাতীয় উদ্যানের একটি বড় বিষয় হলো ওই যে বললাম, তাদের আকার।

ডেলাওয়ার থেকে বড় এবং ওয়েলসের প্রায় সমান আকারের ইয়েলোস্টোন জাতীয় উদ্যান ১৮৭২ সালে যখন পৃথিবীর প্রথম ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এর আকার বিশাল বলেই বিবেচনা করা হয়। তবে বিশ শতকের গোড়ার দিকে এবং একুশ শতকের গোড়ার দিকে এত বিশাল আয়তনের নতুন নতুন জাতীয় উদ্যান গড়ে উঠতে থাকে যে পুরোনো ন্যাশনাল পার্কগুলোর আকার নিয়ে গর্বের আর ছিটেফোঁটাও থাকেনি। এদের কোনো কোনোটি ইয়েলোস্টোনের চেয়ে ৫০ গুণ বড়। এসব তথ্য উঠে এসেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।

নেপালের সাগরমাথা জাতীয় উদ্যান।এবার বরং বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের বড় ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানগুলোর দিকে নজর দেওয়া যাক।

উত্তর আমেরিকা
বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের প্রায় অর্ধেকজুড়ে বিস্তৃত নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক বর্তমানে বিশ্বের একক বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান এবং ডাঙ্গার সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত এলাকা। এটার আকার কত তা শুনলে চমকে উঠবেন, ৯ লাখ ৭২ হাজার বর্গকিলোমিটার। এতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ২৯টি বাদে বাকি সবগুলোই তার পেছনে পড়েছে। 

পার্কের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে গ্রিনল্যান্ডের বরফরাজ্য। তবে এখানে একটি দীর্ঘ, রুক্ষ উপকূলরেখাও রয়েছে। যেখানে কস্তুরি ষাঁড়, মেরু ভালুক এবং আর্কটিক অঞ্চলের অন্যান্য প্রাণীর আবাসস্থল। 

পূর্ব গ্রিনল্যান্ডে ট্যুরের ব্যবস্থা করা নানু ট্র্যাভেলের মেট পাইক বারসেলাজসেন বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকালে নৌকায় করে, শীতকালে আমাদের স্থানীয় শিকারিদের সঙ্গে কুকুরে টানা স্লেজে চেপে সেখানে যেতে পারেন।’ 

চিরিবিকেতে জাতীয় উদ্যানের তেপুই এলাকা।দক্ষিণ আমেরিকা
দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় উদ্যানগুলো গড়ে উঠেছে মহাদেশের সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ এলাকা আমাজন ও পাতাগোনিয়ায়। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব কলম্বিয়ার চিরিবিকেতে জাতীয় উদ্যানের কথা বলতে হয়। আয়তন ৪৩ হাজার বর্গকিলোমিটার। আমাজন রেইন ফরেস্ট, তেপুই বা সমতল চূড়ার পর্বত এবং পাহাড়ি নদীগুলোর বড় একটি অংশকে রক্ষা করা পার্কটিকে দেখলে ‘জুরাসিক পার্কে’র মতো একটা কিছু মনে হতে পারে। ডাইনোসর না থাকলে বড় শিকারি প্রাণীর অভাব নেই জায়গাটিতে। 

বিস্তৃত উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগতের পাশাপাশি ৭৫ হাজারের বেশি প্রাচীন প্রস্তরচিত্র চোখে পড়বে জায়গাটিতে। কলম্বিয়া ওকাল্টা নামের ট্যুর কোম্পানিটি এখানকার সত্যিকারের ‘হারানো পৃথিবী’কে দেখার সুযোগ করে দেয় আকাশ থেকে। 

মুংগা-থিররি-সিম্পসন ন্যাশনাল পার্কের যাত্রা শুরু ২০২১ সালে।অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকাটি খুব বেশি দিন হয়নি গড়ে উঠেছে। মুংগা-থিররি-সিম্পসন ন্যাশনাল পার্কের যাত্রা শুরু ২০২১ সালে। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে উত্তরের অনিন্দ্যসুন্দর মরু এলাকাকে রক্ষার জন্যই জায়গাটিকে ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 

এই জায়গায় আছে পৃথিবীর বৃহত্তম বালিয়াড়ি এলাকা, অ্যাকাশিয়ার জঙ্গল, ঘেসো জমি, বছরের বিশেষ সময়ে তৈরি হওয়া হ্রদ ইত্যাদি। ১৫০ প্রজাতির বেশি পাখি, অস্ট্রেলীয় বুনো কুকুর ডিংগো, বুনো উট, গুইসাপের মতো দেখতে পেরেনটাইসহ বিভিন্ন জাতের বন্যপ্রাণীর দেখাও মেলে জায়গাটিতে। 

পর্যটকদের জন্য সে রকম কোনো সুবিধা নেই এখানে। সিম্পসন মরুভূমিতে প্রবেশ করতে চাইলে মরুভূমিতে টিকে থাকার তরিকা জানাটা জরুরি। আউটব্যাক স্পিরিট অ্যাডভেঞ্চারস মার্সিডিজ বেঞ্জ জি ওয়াগনে ১৪ দিনের একটি ট্যুরের ব্যবস্থা করে। প্রচণ্ড তাপের কারণে গ্রীষ্মকালে পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে। 

পশ্চিম নামিবিয়ার নামিব-নওকলাফত ন্যাশনাল পার্কে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বিচরণ চোখে পড়ে।এশিয়া
আকারে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাদেশ হলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যানের দৌড়ে এশিয়া কিছুটা পিছিয়ে। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনের সানিয়াগুয়ান ন্যাশনাল পার্কটি এই মুহূর্তে আকারে মহাদেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান। এর আয়তন ১ লাখ ২৩ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার। তিব্বতের মালভূমির একটি বড় অংশ পড়েছে এর সীমানায়। এখানকার দুর্গম ও দুরারোহ পার্বত্য এলাকায় অনেক বিপন্ন প্রাণীরই বসবাস। এদের মধ্যে আছে তুষার চিতা, হিমালয়ান নেকড়ে, বুনো চামরী গাই, কস্তুরি মৃগ প্রভৃতি। এর সীমানায় সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গাও আছে। 

এলিভেটেড ট্রিপস নামে একটি ট্যুর অপারেটিং সংস্থা চিংহাই প্রদেশের ভেতর দিয়ে ভ্রমণের ব্যবস্থা করে। এরই অন্তর্ভুক্ত সানিয়াগুয়ান ন্যাশনাল পার্কে ভ্রমণ। 

ইউরোপ
যেহেতু মহাদেশটি আকারে অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে ছোট, এখানকার বড় জাতীয় উদ্যানগুলোও পৃথিবীর বড় ন্যাশনাল পার্কগুলোর বিবেচনায় পুঁচকে। তার মানে এই নয় যে এরা আসলেই ছোট। 

এখনকার পার্কগুলোর মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড় আইসল্যান্ডের ভাতনালুকো ন্যাশনাল পার্ক (১৪ হাজার ১৪১ বর্গ কিলোমিটার)। আগ্নেয়গিরি, উষ্ণ প্রস্রবণ, সামুদ্রিক খাঁড়ি কিংবা হিমবাহ যাঁরা পছন্দ করেন তাঁদের প্রায় গন্তব্য এটি। চাইলে নিজে থেকেই এখানে ঘুরে আসতে পারবেন। ক্যাম্পিং, হাইকিং কিংবা পাখি দেখা—যে উদ্দেশ্যেই যান না কেন সমস্যা নেই। 

আফ্রিকা
পশ্চিম নামিবিয়ার নামিব-নওকলাফত ন্যাশনাল পার্কের বড় আকর্ষণ এখানকার বিশাল সব বালিয়াড়ি। জাতীয় উদ্যান এলাকার আয়তন ৪৯ হাজার ৭৬৮ বর্গকিলোমিটার। এখানকার বালিয়াড়িগুলোর কোনো কোনোটি ২০০ মিটারের (৬৫৬ ফুট) বেশি উঁচু। 

আপনার নিজের গাড়ির সাহায্যে সহজেই ঘুরে আসা যায় উদ্যানটি থেকে। পার্কের প্রধান রাস্তা ধরে গেলে সসেস ভ্লেই এবং ডেড ভ্লেইয়ের দেখা পাবেন। হট এয়ার বেলুনে চেপে বসলে মরুভূমির অসাধারণ ভূপ্রকৃতি পাখির চোখে দেখার সুযোগ মিলবে। 

বালিয়াড়ি ছাড়াও মরুভূমির গিরিখাত, উপকূলে পুরোনো দিনের বিধ্বস্ত জাহাজের দেখা পাবেন। তেমনি পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক স্থানগুলোর একটিতে অভিযোজিত হওয়া বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখার সুযোগ মিলবে। 

জাতীয় উদ্যান না হলেও আফ্রিকার সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত এলাকা হলো কাভাংগো-জাম্বেসি ট্রান্সফ্রন্টিয়ার কনজারভেশন এরিয়া। জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, অ্যাঙ্গোলা ও নামিবিয়ার ৫ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে ২০১২ সালে গড়ে ওঠে সংরক্ষিত এলাকাটি। 

অ্যান্টার্কটিকা
গ্রহের নিচের প্রান্তটিতে এখনো কোনো জাতীয় উদ্যান নেই। তবে অ্যান্টার্কটিকার একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক সংরক্ষিত এলাকা হলো রস সি মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সংরক্ষিত এলাকাটির আয়তন ১৫ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার। পেঙ্গুইন, তিমি, সিলসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক পাখি ও মেরু এলাকার নানান প্রাণীর বাস এখানে। 

তবে ভবিষ্যতে কোনো এক সময়ে সমগ্র মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা ওয়ার্ল্ড পার্কে পরিণত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১ কোটি ৪২ লাখ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পার্কটি হবে বিশ্বের অন্য যেকোনো রিজার্ভের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বড়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণ বেড়েছে ঢাকায়, বিপর্যস্ত কায়রো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।

ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার তাপমাত্রা কমবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ু দূষণে তৃতীয় স্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।

আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা আবারও ১৬ ডিগ্রির ঘরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত